আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

কমলগঞ্জে মাকে হত্যাকারী ঘাতক ছেলে গ্রেফতার

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের আলীনগর চা বাগানে পারিবারিক কলহে ছেলের লাঠির আঘাতে মা খুনের ঘটনায় ঘাতক ছেলেক গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গতকাল (৭ মার্চ) দুপুরে কমলগঞ্জ থানাধীন আলীনগর চা বাগান এলাকায় তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দেওন্তি নুনিয়া(৪৫), স্বামী- ইন্দ্রপ্রসাদ নুনিয়ার (নানকা) সাথে তার ছেলে সাধন নুনিয়ার(২৩)কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সাধন তার মায়ের মাথায় লাঠি দিয়ে সজোরে আঘাত করলে তার মা রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

শোর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এসে দেওন্তি নুনিয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনার পরপরই ঘাতক ছেলে সাধন নুনিয়া পালিয়ে যায়।

দেওন্তি নুনিয়া পরবর্তীতে পৌঁনে ৫ টার দিকে ক্যামেলিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

এ বিষয়ে মৃত দেওন্তি নুনিয়ার দ্বিতীয় স্বামী ইন্দ্রপ্রসাদ নুনিয়া থানায় মামলা দায়ের করলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই হারুন-অর-রশীদ-চৌধুরী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দিক নির্দেশনায় সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স সহ কৌশলী অভিযান পরিচালনা করে বুধবার দিবাগত রাত পৌনে তিনটায় ঘাতক সাধন নুনিয়াকে আলীনগর চা বাগান থেকে গ্রেফতার করেন।

এবিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা হারুন-অর-রশীদ জানান, মাকে হত্যার বিষয়ে ছেলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধী প্রদান করেছে। ঘাতক ছেলেক কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।


আরও খবর



কারাগারে জন্ম নেওয়া শিশুর মাকে জামিন দিলেন হাইকোর্ট

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা মামলায় কারাগারে যান অন্তঃসত্ত্বা নারী আহিনা খাতুন। কারাগারেই জন্ম দেন এক কন্যা শিশুর। কারাগারেই বেড়ে উঠা শিশুর বয়স এখন ১১ মাস। শিশুটি তার মায়ের সঙ্গে কাশেমপুর কারাগারে রয়েছে। সেই মায়ের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অ্যাডভোকেট মনজুরুল ইসলাম সুমন।

এ সংক্রান্ত আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি খোন্দকার দিলিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজুরুল ইসলাম সুমন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল সারোয়ার হোসেন বাপ্পী।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হওয়ার পরে উচ্চ আদালতে জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। ওই আবেদন শুনানি নিয়ে জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন আদালত। শিশুটি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত মর্মে হত্যা মামলার আসামি ও ওই মায়ের জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছিল।

মামলার নথি থেকে জানা গেছে, শিশুটির মা আহিনা খাতুনের (২৯) গ্রামের বাড়ি নীলফামারী সদরে। তার স্বামী আলী নূর বিশ্বাসের বাড়ি বরিশাল জেলার মূলাদী থানায়। গার্মেন্টস কর্মী আহিনা খাতুনের সঙ্গে রিকশাচালক আলী নূর বিশ্বাসের পরিচয় ২০১৮ সালে। এরপর বিয়ে হয় তাদের। এর মধ্যে তারা আশুলিয়ায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। ২০২২ সালের কোরবানির ঈদের সময় বাড়িতে যান আলী নুর বিশ্বাস। গ্রামের বাড়িতে গিয়ে আরও একটি বিয়ে করেন। আবার ফিরে আসেন আশুলিয়ায়।

হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তির বিষয়ে আইনজীবী বলেন, আহিনা খাতুনের অভিযোগ তার সঙ্গে আলী নূর বিশ্বাস সংসার করতে চাইতেন না। গার্মেন্টস এ কাজ করার পর সব টাকা নিয়ে নিতেন, টাকা না দিলে মারধর করতেন। ঘটনার দিন রাতে আলী নূর বিশ্বাস দোকান থেকে একটি বোতল হাতে নিয়ে এসে বলেন, বিষ মেশানো পানি খেয়ে মরে যাবেন তারা। তখন দুই প্লেটে ভাত খাওয়ার প্রস্তুতি নিলে ঘরের বাইরে আহিনা দেখেন আলী নূর ভাতের সঙ্গে কিছু একটা মেশাচ্ছেন। আহিনা সেই ভাত না খেয়ে ফেলে দেন। শেষরাতে আলী নূর বিশ্বাস বটি নিয়ে আহিনাকে মারতে গেলে ওই বটি কেড়ে নিয়ে পাল্টা আঘাত করেন আহিনা। শব্দ হবে বলে বালিশ চাপা দিয়ে ধরলে মারা যান আলী নূর। এরপর নারাণগঞ্জে পালিয়ে যান আহিনা। আলী নূরের পরিবারকে ফোন দিয়ে জানান সে মারা গেছে। এরপর পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। আহিনাকেও নারায়ণগঞ্জ থেকে আটক করে র‌্যাব। এরপর থেকেই কারাগারে আহিনা।


আরও খবর
পরীমণিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




মুন্সীগঞ্জে সুপারবোর্ড কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মুন্সীগঞ্জের সুপারবোর্ড কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। তবে এখনো ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট কাজ করছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে থাকলেও পুরোপুরি নেভানোর কাজ চলছে।

রোববার (২৪ মার্চ) দুপুর সোয়া ১টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হলে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত ১২টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১২টার পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এখনো কারখানার ভেতরে পাটখড়ি থাকায় কিছু জায়গায় আগুন জ্বলছে। যা নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের দল। সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে ৯টার  দিকে ফায়ার সার্ভিসের গজারিয়া ইউনিটের স্টেশন অফিসার রিফাত মল্লিক এসব জানায়।

তিনি বলেন, রাতভর চেষ্টার পর রাত ১২টার দিকে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। এখন আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট এখনো কাজ করছে। ভিতরে পাটখড়িসহ দাহ্য পদার্থ থাকায় ওগুলোর মধ্যে এখনো অল্প পরিমাণে আগুন জ্বলছে। সেগুলোর স্তুপ ভেঙে ভেঙে আগুন নেভাতে হচ্ছে।

তবে আগুনের লেলিহান শিখা এখন আর নেই। তারপরেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আপাতত চারটি ইউনিট কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, গতকাল রাত ৮টার দিকে যখন ঝড় হয় তখন আমরা এই আগুন নিয়ে খুব শঙ্কিত ছিলাম। ঝড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। পড়ে আমরা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনতে সক্ষম হয়েছি। আগুনের উৎস সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো উৎস সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও নির্ধারণ করা যায়নি।

প্রসঙ্গত, রোববার দুপুর সোয়া ১টার দিকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দি ইউনিয়নের জামালদি এলাকায় মেঘনা নদীর তীরে সুপারবোর্ড কারখানার গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মুহুর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে ধসে পড়ে গোডাউনের কাঠামো। খবর পেয়ে মুন্সীগঞ্জ-নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে একে একে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। আগুন নেভানোর কাজে ৭ জন আহত হয়। একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে কারখানাটি পুড়ে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। কারখানাটি পোড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই কারখানার পাশে মেঘনা নদীতে রাখা মাল বোঝাই তিনটি ট্রালার পুড়ে ছাই হয়ে যায়।


আরও খবর



৩১ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

মহান স্বাধীনতা দিবসে ৩১ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া ১৭ মার্চ 'জাতীয় শিশু দিবস' উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের পুরস্কার দেওয়া হয় একই অনুষ্ঠানে।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা শুরু হয়ে বেলা আড়াইটায় শেষ হয়।

অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক বেনু কুমার দে এবং উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী।

মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, আমরা যুদ্ধে গিয়েছিলাম বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে। দেশের জনগণকে রক্ষা করার জন্য। দেশের স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে আমরা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। পঁচিশে মার্চ রাতে যে গুলিবর্ষণ হয়েছিল তা আজও আমাদের নাড়া দেয়। সেই রাতে মায়েরা তাদের সন্তান নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় রাত্রিযাপন করেছিলো। বঙ্গবন্ধুর বিচক্ষণ নেতৃত্ব এবং দিকনির্দেশনায় আমরা সম্মিলিতভাবে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে প্রতিহত করেছি।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, অতীতে কী হয়েছে সেগুলো আমি ভাবতে চাই না। তবে অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হবে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মকানুন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।

চবি উপাচার্য বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। ১৯০ বছরের ব্রিটিশ শোষণ ও ২৩ বছরের পাকিস্তান শোষণ থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্তির পথ দেখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। দেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু জীবনের দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেছেন কারাগারে।

উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী বলেন, আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছে দেশের মুক্তির জন্য। ১৭৫৭ সালে এদেশে স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গড়ে ওঠে। ইতিহাসের শুরু থেকেই সবাই এদেশকে শোষণ করে গেছে, কেউ স্বাধীনতা দেয়নি। ১৯৭১ সালে বিশ্ব মোড়লরা সবাই মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল।

আলোচনা সভায় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো জিনিস আমাকে যেমন আনন্দিত করে, তেমনি খারাপ কাজগুলো ব্যথিত করে। আজকের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিয়ে উপাচার্য প্রমাণ করলেন তিনিই এই বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য একজন যোগ্য ব্যক্তি।


আরও খবর



ওপার বাংলায় শুটিংয়ে পরীমণি, জরিমানা করলেন আদালত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

মারধর, হুমকি ও যৌন হয়রানির মামলায় সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে না আসায় আসামিদের এক হাজার টাকা যাতায়াত ভাড়া দিতে চিত্রনায়িকা পরীমণিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২০ মার্চ) ঢাকার ৯ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯-এর বিচারক শাহানা হক সিদ্দিকা এ আদেশ দেন।

এদিন মামলাটি পরীমণির সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য দিন ছিল। কিন্তু পরীমণি আদালতে হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময় আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, পরীমণি শুটিংয়ের জন্য ভারতে থাকায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি।

এ সময় আসামি নাসির উদ্দিনের আইনজীবী আবুল কালাম মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর পরীমণি সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন। এরপর ২০২৩ সালের ১১ জানুয়ারি, ৬ মার্চ ও ২৩ মে সাক্ষ্য গ্রহণের দিনে পরীমণি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। গত বছর ২৪ জুলাই আংশিক সাক্ষ্য দেন। পরবর্তীতে গত বছর ১৩ সেপ্টেম্বর ও চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। অবশিষ্ট সাক্ষ্য দিতে পরীমণির অবহেলায় আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে। আসামিরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তিনি পরীমণির সাক্ষ্য গ্রহণ সমাপ্ত করার আদেশ প্রার্থনা করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত পরীমণিকে শেষবারের মতো সময় দিয়ে আসামিদের যাতায়াত ভাড়া এক হাজার টাকা দিতে নির্দেশ দেন। মামলার আসামি হলেন নাসির উদ্দিন, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শহীদুল আলম। ২০২২ সালের ১৮ মে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৪ জুন নাসির উদ্দিন ও অমির নাম উল্লেখ করে এবং চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করে ঢাকার সাভার থানায় মামলা দায়ের করেন পরীমণি। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার পরিদর্শক কামাল হোসেন।

নিউজ ট্যাগ: পরীমণি

আরও খবর



বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপিকে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিবলে আখ্যায়িত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ বুধবার ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা আমাদের বিজয়কে সংহত করার পথে প্রতিবন্ধক তাদের পরাজিত করব। আমাদের লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যাব।

তিনি বলেন, বিজয়কে সুসংহত করার পথে প্রতিবন্ধকতা হলো বিএনপির মতো সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তি। এ শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে।

তিনি বলেন, আজকের এই দিনে আমরা শপথ নেব মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ধারাবাহিক লড়াইয়ে এগিয়ে যাব। উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বয়ে নিয়ে যাব, এটাই হোক আমাদের শপথ।

এর আগে, সকালে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর
বিএনপির আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি: রিজভী

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪