ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। দুই দশকেরও বেশি সময় পর গান্ধী পরিবারের বাইরে থেকে দলীয় সভাপতি নির্বাচনের পরও বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দল ছাড়ার হিড়িক রয়ে গেছে দেশটির সবচেয়ে প্রাচীন দলটিতে। তারই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ আজ বুধবার দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন গুজরাট বিধানসভায় টানা ১০ বার নির্বাচিত বিধায়ক ও প্রবীণ কংগ্রেস নেতা মোহনসিংহ রাথওয়া। কেবল দল ত্যাগ করেছেন তাই নয়, যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসের প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপিতে। ৭৮ বছরের মোহনসিংহ জানিয়েছেন, তিনি নিজে এবার ভোটে দাঁড়াচ্ছেন না। তাঁর ছেলে রাজেন্দ্র সিংহকে প্রার্থী করবে বিজেপি।
তবে হিমাচল প্রদেশের ৭৮ বছর বয়সী বিজেপি নেতা ও সাবেক মুখ্যমন্ত্রী প্রেম কুমার ধামাল তাঁদের দলে কংগ্রেসের থেকে বেশি গোষ্ঠী কোন্দল রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। উল্লেখ্য, হিমাচলে ১২ নভেম্বর এবং গুজরাটে ১ এবং ৫ ডিসেম্বর দুই দফায় ভোট গ্রহণ। দুটি রাজ্যে ভোট গণনা করা হবে ৮ ডিসেম্বর। নির্বাচন সামনে এলেই যেন দল ভাঙা এক রকম নিয়মে পরিণত করেছেন কংগ্রেস নেতারা। মল্লিকার্জুন খাড়গে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরও সেই নিয়মে কোনো কমতি নেই। গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের আগে আবারও ভাঙল দল। রাজ্যটিতে কংগ্রেসের জেতার কোনো সম্ভাবনা নেই উল্লেখ করে দল ছেড়েছেন মোহনসিংহ। ফলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্যেও বেকায়দায় কংগ্রেস।
তবে দলের সভাপতি জেপি নাড্ডার রাজ্য হিমাচলে বিজেপি গোষ্ঠী কোন্দলে জেরবার। সেই কোন্দল থামাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেই ফোন করতে হচ্ছে। রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী প্রেম কুমার তো প্রকাশ্যেই বলছেন, ‘হিমাচলে কংগ্রেসের থেকে বিজেপিতেই গোলমাল বেশি।’ এখন দেখার বিষয় আসন্ন ভোটে তাঁর প্রভাব পড়ে কিনা।