কঙ্গোতে গির্জায়
সন্ত্রাসীদের হামলায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে কয়েকজন হামলাকারীও রয়েছেন। হামলার
সময় বহু মানুষ সেখানে প্রার্থনা করছিলেন। নিহত ১৪ জনের মধ্যে ৯ জন বেসামরিক নাগরিক,
চারজন হামলাকারী এবং একজন সেনা রয়েছেন। রোববার দেশটির পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি গির্জায়
এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটির ডজুগু অঞ্চলের প্রশাসক রুফিন মাপেলা।
খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির সেনাবাহিনী এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ক্রমবর্ধমান হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও কঙ্গোর পূর্বাঞ্চল বছরের পর বছর ধরে ক্রমাগত সহিংসতার মধ্যে রয়েছে এবং রোববারের এই হামলা ও প্রাণহানি ধারাবাহিক অস্থিতিশীলতারই সর্বশেষ ঘটনা।
প্রতিবেদনে
আরও বলা হয়েছে, রোববার কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ ইতুরিতে গির্জায় প্রার্থনারত উপাসকদের
ওপর মিলিশিয়া হামলা হয়। এতে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় কর্মকর্তা এবং
সুশীল সমাজের এক নেতা সোমবার জানিয়েছেন।
ডজুগু অঞ্চলের
প্রশাসক রুফিন মাপেলা এবং নাগরিক সমাজের নেতা ডিউডোন লোসা বলেছেন, দ্য কোঅপারেটিভ ফর
দ্য ডেভেলপমেন্ট অব কঙ্গো (কোডেকো) গ্রুপ এই হামলার পেছনে রয়েছে।
লোসা বলেছেন,
‘নিহতরা
ঘটনার দিন গির্জায় উপস্থিত হয়ে তাদের প্রভুর কাছে প্রার্থনা করছিলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত
কোডেকো হিসাবে চিহ্নিত মিলিশিয়ারা তাদের ওপর গুলিবর্ষণ করে ও হামলা চালায়।’
মাপেলা বলেন, বাহেমা-নর্ড চিফডমে লেক অ্যালবার্টের তীরে অবস্থিত মেসা, সেপ্যাক এবং অমোপ্রো গির্জাগুলোতে হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। ইতুরি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জুলেস এনগোঙ্গো শিকুদি স্থানীয় জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন>> ভিডিও প্রকাশ, প্রিগোজিনের মৃত্যুরহস্যে নতুন মোড়
উল্লেখ্য, কঙ্গোতে
যে কয়েকটি সশস্ত্র মিলিশিয়া গোষ্ঠী রয়েছে, তার একটি হচ্ছে কোডেকো। কঙ্গোর খনিজ-সমৃদ্ধ
পূর্বাঞ্চলীয় ভূখণ্ড ও সম্পদের দখল নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে লড়াই
করছে মিলিশিয়ারা। এই সংঘাতে গত এক দশকে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি এবং লাখ লাখ
মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।