আজঃ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

কন্যাদান নিয়ে তোপের মুখে আলিয়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ সেপ্টেম্বর 20২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ সেপ্টেম্বর 20২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিয়েতে কন্যাদান কি অপরিহার্য? বিয়ের সামগ্রীর এক বিজ্ঞাপনে সম্প্রতি এই প্রশ্ন তুলেছেন আলিয়া ভাট। বিজ্ঞাপনে তাঁকে বলতে দেখা গেল, কন্যাদান নয়, এই রীতির নাম হওয়া উচিত কন্যামান। অর্থাৎ কন্যাকে দান না করে তাঁকে মান দেওয়া উচিত। সবাই বলে কন্যা হলো অন্যের ধন। কিন্তু কন্যা কোনো বস্তু নন, কারোর ধন নন যে তাঁকে দান করা হবে। এ সংলাপের জেরে রক্ষণশীলদের তোপের মুখে পড়েছেন এই বলিউড তারকা। এসব নেট নাগরিকের দাবি, কন্যাদান অস্বীকার করা মানে প্রচলিত রীতিনীতির বিরোধিতা করা।

অনলাইনে এই বিজ্ঞাপন প্রচারের পর থেকে আলিয়ার সংলাপ ও বিজ্ঞাপনদাতাদের নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা। তাদের বিরুদ্ধে বিয়ের জিনিস বিক্রি করতে গিয়ে ভারতীয় বিয়ের রীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

আলিয়াকে নিয়ে তৈরি হয়েছে মিম। এক নেট নাগরিক টুইটারে লিখেছেন, আলিয়া সম্ভবত তাঁর বাবার কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন, যিনি নারীর ক্ষমতায়নের রক্ষক। এক মন্তব্যকারী লিখেছেন, কোনো স্পর্শকাতর বিষয়ে কথা বলার আগে তারকাদের ভাবা উচিত।

বিষয়টি নিয়ে টুইটারে ইতিবাচক মন্তব্যও করেছেন অনেকে। নারীবাদের জাগরণকে স্বাগত জানিয়ে অনেকে লিখেছেন, এটি একটি আধুনিক ধারণা। একে স্বাগত জানাই। আলিয়া যা বলেছেন, প্রতিটি মেয়েই জীবনের কোনো না কোনো সময়ে এ কথাগুলোই ভাবেন। আরেকজন লিখেছেন, ভবিষ্যতের বিয়েতে কন্যাদানের বদলে রীতি হোক কন্যামান।

সর্বশেষ আলিয়া ভাট কাজ করেছেন সঞ্জয় লীলা বানসালির গাঙ্গুবাই কাঠিয়াওয়াড়ি ছবির। এ ছবির নায়িকা হিসেবে ইতিমধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছেন। এ ছবিতে আলিয়ার সঙ্গে কাজ করে বানসালি সন্তুষ্ট। আর আলিয়াও তাঁর সঙ্গে কাজ করে লোভে পড়ে গেছেন।

বানসালির সঙ্গে আরও কাজ করতে চান। বিশেষ করে বানসালির আগামী সিরিজ হীরামন্ডিতে কাজ করার তাঁর খুব ইচ্ছা। জানা গেছে, হীরামন্ডি সিরিজে ছোট একটা চরিত্রে তাঁকে সুযোগ দেওয়ার জন্য বানসালিকে অনুরোধ করেছেন আলিয়া।

বছরে পাঁচ-ছয়টি সিনেমা করেন অক্ষয় কুমার। তাই ছবির শুটিংয়ে অধিকাংশ সময় ব্যস্ত থাকেন এই বলিউড তারকা। একটু অবসর পেলেই সপরিবার বেরিয়ে পড়েন। তাঁর পছন্দের জায়গা হলো কেপটাউন।

মা শ্রীদেবীর হাত ধরেই তাঁর অভিনয়ে জগতে আসা। সৌন্দর্যের ক্ষেত্রেও মায়ের পথেই হেঁটেছেন এই তারকাকন্যা। বয়স ধরে রাখার জন্য বেশ কয়েকবার প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছেন শ্রীদেবী।

নিউজ ট্যাগ: আলিয়া ভাট

আরও খবর



বিজিপি প্রত্যাবাসন: ফাইল আটকে আছে মিয়ানমার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে

প্রকাশিত:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ মার্চ ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
Image

মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১৭৭ সদস্যকে ফেরত পাঠাতে প্রায় সব প্রস্তুতি রয়েছে বাংলাদেশের। মিয়ানমারও তাদের ফেরত নিতে চায়। তবে কবে নাগাদ তাদের ফেরত নেওয়া হবে, তা এখনো জানায়নি দেশটি। আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের ফেরত নেওয়া সংক্রান্ত ফাইল মিয়ানমারের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে আটকে আছে বলে তথ্য মিলছে।

ঢাকা ও নেপিডোর কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ১৭৭ বিজিপি সদস্যকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। তবে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। নেপিডোর দিক থেকে ঢাকাকে জানানো হয়েছে, বিজিপি সদস্যদের ফেরত নেওয়ার ফাইল এখনো ক্লিয়ার করতে পারেননি কর্মকর্তারা। কেননা, কর্মকর্তা পর্যায়ে সব কাজ শেষ হলেও দেশটির প্রধানমন্ত্রীর অফিসে এ সংক্রান্ত ফাইল আটকে আছে। তবে খুব শিগগিরই সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির লড়াইয়ের জেরে গত সপ্তাহে দুই দফায় ১৭৭ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এসব বিজিপি সদস্য বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে রয়েছেন।

৯ দিন ধরে বাংলাদেশে অবস্থান করা মিয়ানমারের সদস্যদের যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফেরত পাঠাতে চায় ঢাকা। এ নিয়ে প্রস্তুতিও রয়েছে ঢাকার। মিয়ানমারের দিক থেকে সবুজ সংকেত পেলে তাদের (বিজিপি) ফেরত পাঠাবে বাংলাদেশ। ফেব্রুয়ারিতে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনী, বিজিপি, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন সংস্থার ৩৩০ সদস্যকে যেভাবে ফেরত পাঠানো হয়েছে, এবারো সেই প্রক্রিয়ায় অনুসরণ করতে চায় বাংলাদেশ।

ঢাকার এক কূটনীতিক বলেন, তাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আমাদের দিক থেকে প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব তাদের ফেরত পাঠাতে। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে। তবে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আগে যেভাবে মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানো হয়েছে, ঠিক একই প্রক্রিয়ায় এদের পাঠানো হবে।

তারা (বিজিপি) এখন ২০০ জনের মতো বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। ইতোপূর্বে আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে অনেককে ফেরত পাঠিয়েছি। একই প্রক্রিয়ায় এদের ফেরত পাঠানোর জন্য আলাপ-আলোচনার মধ্যে আছি। আশা করছি, আমরা তাদেরও ফেরত পাঠাতে পারব।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানো, মিয়ানমার ও সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলমের সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।

এদিকে, কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টায় মিয়ানমার সীমান্তে দুইশর বেশি বিজিপি সদস্য অপেক্ষমাণ রয়েছে বলে দেশের গণমাধ্যমে খবর এসেছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকার এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক জানান, সীমান্তে শ’খানেকের বেশি বিজিপি সদস্য অবস্থান করছে। তারা এখন অবধি বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি চায়নি। আর আমরাও চাই না তারা বাংলাদেশে আসুক।

তাহলে কি নতুন করে আর কোনো বিজিপি সদস্যকে নেবে না বাংলাদেশ– এমন প্রশ্নে এই জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় হয়ত তাদের ঢুকতে দেওয়া হবে। যদি তারা ঢুকেও আমরা তাদের যত দ্রুত সম্ভব ফেরত পাঠাব। আগের মতো এদেরও ফেরত পাঠানো হবে।

চলমান পরিস্থিতিতে ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের দূতকে ডেকে পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা আছে কি না– জানতে চাইলে অন্য এক কূটনীতিক বলেন, রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। তাকে সব বিষয়ে জানানো হয়। রাষ্ট্রদূতকে ডেকে তো কোনো লাভ হচ্ছে না।

সাময়িক আশ্রিত বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানোর প্রশ্নে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, তারা (বিজিপি) এখন ২০০ জনের মতো বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। ইতোপূর্বে আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে অনেককে ফেরত পাঠিয়েছি। একই প্রক্রিয়ায় এদের ফেরত পাঠানোর জন্য আলাপ-আলোচনার মধ্যে আছি। আশা করছি, আমরা তাদেরও ফেরত পাঠাতে পারব।

ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়। চলমান ওই সংঘর্ষে প্রায় পাঁচ দিনের ব্যবধানে মিয়ানমারের সেনা, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য, শুল্ক কর্মকর্তাসহ ৩৩০ জন বাংলাদেশে ঢুকে পড়েন। তাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আমাদের দিক থেকে প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব তাদের ফেরত পাঠাতে। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে। তবে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আগে যেভাবে মিয়ানমারের বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানো হয়েছে, ঠিক একই প্রক্রিয়ায় এদের পাঠানো হবে।

আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষে টিকতে না পেরে গত দেড় মাসে মিয়ানমারের প্রায় ৫০০ সামরিক বাহিনীর সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এদের মধ্যে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা আশ্রয়ের ক্ষেত্রে সহযোগিতা চেয়ে আত্মসমর্পণ করেন। এক্ষেত্রে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের অস্ত্র নিয়ে নেওয়া হয়। পরে তাদের খাবার ও থাকার ব্যবস্থা করা হয়।

এ প্রক্রিয়া সম্পর্কে সরকারের এক কর্মকর্তা জানান, তারা আশ্রয়ের জন্য সহযোগিতা চায়। আমাদের কাছে সারেন্ডার বা আত্মসমর্পণ করতে হয়। বাংলাদেশ সরকার তাদের জিডআর্ম করে এবং তাদের খাবারের ব্যবস্থা করে। এরপর তাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়।

২০২৩ সালের শেষের দিকে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে শুরু হওয়া অপারেশন ১০২৭’ থেকে সংঘর্ষের পর প্রতিবেশী দেশগুলোতে এখন অবধি প্রায় ১ হাজার জান্তা সদস্য (মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সদস্য) আশ্রয় নিয়েছে। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। প্রায় ৫০০ জান্তা সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বার্মা নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (বিএনআই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বিএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী দেশগুলোর বাহিনী এবং গণমাধ্যমের তথ্য মতে, গত বছরের (২০২৩) শেষের দিকে শুরু হওয়া অপারেশন ১০২৭’ থেকে সংঘর্ষের পর প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নেওয়া জান্তা সৈন্যের সংখ্যা প্রায় এক হাজারে পৌঁছেছে। মিয়ানমারের সঙ্গে সীমানা ভাগ করে নেওয়া পাঁচটি প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড, ভারত, বাংলাদেশ ও চীনে সীমান্ত নিয়ে পালিয়ে গেছে জান্তা সৈন্যরা।

বিএনআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, এদের মধ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া জান্তা সৈন্যের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে। আর ভারতে আশ্রয় নিয়েছে ৪০০ জনের বেশি। এ ছাড়া অপারেশন ১০২৭’-এর আগে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে মিয়ানমারের কারেন রাজ্যে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর তীব্র আক্রমণের মধ্যে শত শত জান্তা সৈন্য থাইল্যান্ডে আশ্রয় নেয়। এসব জান্তা সৈন্যকে নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করা হলেও তাদের প্রসঙ্গে মিলিটারি কাউন্সিল বিস্তারিত তথ্য জানানো থেকে বিরত থাকে।


আরও খবর
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




গুলশানে বারের সামনে চুলোচুলি, সেই ৩ নারী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরের ক্যাফে সেলেব্রিটা বারের সামনে সম্প্রতি কয়েকজন নারীর চুলোচুলি ও মারামারির ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

গ্রেপ্তার তরুণীরা হলেন- শারমিন আক্তার মিম, নুসরাত আফরিন বৈশাখী ও ফাহিমা ইসলাম।

হারুন অর রশীদ বলেন, বারের সামনে কয়েকজন নারীর মধ্যে হাতাহাতির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মামলা করেন। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযুক্ত ৩ নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে, গত ১৪ এপ্রিল বারের সামনে সাদা পোশাক পরা নারী ও লাল শাড়ি পরা এক নারীর মধ্যে হাতাহাতির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

এতে দেখা যায়, হাতাহাতির সময় চিৎকার করছিল নারীরা। কয়েকজন পুরুষ তাদেরকে থামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।


আরও খবর
ঢাকার বাতাসের মান আজও ‘অস্বাস্থ্যকর’

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




রিজভীর মানসিক পরীক্ষা করা দরকার: হাছান মাহমুদ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর মানসিক পরীক্ষা করা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অর্থপাচার নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পাচারকৃত অর্থ বেশিরভাগ হয়েছে বিএনপির আমলে। পরে যে হয়নি তা নয়, পরেও হয়েছে। সেগুলো নিয়ে নানা ইন্টারন্যাশনাল ল এবং কমপ্লিকেশন আছে। আমরা সেগুলো নিয়ে কাজ করছি।

দেশে দুর্ভিক্ষের শুধু পদধ্বনি নয়, দুর্ভিক্ষ বিরাজমান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, রিজভী সাহেবের বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে, ওনার মানসিক পরীক্ষা করা দরকার। দেশে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়েছে বা দুর্ভিক্ষ বিরাজ করছে; এটি রিজভী সাহেব যখন বলতে পেরেছেন তখন তার মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। দেশের মানুষের মধ্যে কোনো হাহাকার নেই। দেশের মানুষ সবাই খেতে পারছে। ওনার মানসিক সুস্থতা পরীক্ষা করার জন্য আমি ড্যাবের ডাক্তারদের অনুরোধ জানাব।

বিএনপির সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের (তারেক রহমান) মানি লন্ডারিংয়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে এসে এপিআই সাক্ষ্য দিয়ে গেছে এবং তার শাস্তি হয়েছে। খালেদা জিয়ার দ্বিতীয় পুত্র আরাফাত রহমানের পাচারকৃত টাকা সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়েছে। তারা যখন ক্ষমতায় ছিল পরপর বাংলাদেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সেগুলো ঢাকার জন্য রিজভী সাহেব আবোল-তাবোল বলছেন।


আরও খবর
বিএনপির আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি: রিজভী

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




বাজার অস্থিতিশীল করতেই ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক বিএনপির

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে ভোগ্যপণ্য থেকে শুরু করে অনেক পণ্যই ভারত থেকে আসে। ভারতীয় পণ্যবর্জনের ডাক দিয়ে দেশের বাজার অস্থিতিশীল করে তোলা ও দ্রব্যমূল্য বাড়ানোই বিএনপির মূল উদ্দেশ্য। দেশে যাতে জনগণের ভোগান্তি হয় এবং পণ্যের মূল্য বাড়ে এটাই চায় তারা।

শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জেলায় সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা ভারত থেকে আসা পেয়াঁজ খাবেন, আপনাদের নেত্রী ভারত থেকে আসা শাড়ি পরিধান করবেন, আপনাদের নেত্রী যেগুলো মাঠে গলা ফাটায়, তারাও আবার ভারতীয় শাড়ি পড়বেন, ভারত থেকে আসা গরুর মাংস দিয়ে আপনারা ইফতার করবেন, সেহেরি খাবেন, ভারতে চিকিৎসা নিতে যাবেন, আবার আপনারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দেবেন-এগুলো হিপোক্রেসি ছাড়া অন্য কোনোকিছু নয়।

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছে জিম্মি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারে সরকারের পক্ষ থেকে কী ধরণের ভূমিকা রাখা হচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গতবার যখন এমভি জাহান মনি ছিনতাই হয়েছিল তাদের মুক্ত করতে ১০০ দিন সময় লেগেছিল। এখন যতদ্রুত সম্ভব তাদের মুক্ত করার চেষ্টাই আমরা করছি। এখানে অবস্থানকারী নাবিক এবং জাহাজের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সেভাবেই আমরা উদ্ধার করার চেষ্টা করছি। জাহাজের মধ্যে কয়লা আছে, কয়লা একটি দাহ্য পদার্থ। সুতরাং এমন কিছু করা যাবে না; যাতে করে দাহ্য পদার্থ হুমকির সম্মুখীন হয়, জাহাজের ক্ষতি হয়। সেভাবেই আমরা এগুচ্ছি এবং যারা জাহাজটি হাইজ্যাক করেছে, তারা ইতোমধ্যে মালিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এ ব্যাপারে আমাদের সহযোগিতা করছে এবং আপনারা নাবিকদের পরিবারের সঙ্গে কথা বললেও জানতে পারবেন তারাও অনেকটা আশ্বস্ত। আশা করছি, আমরা নাবিকদের উদ্ধার করতে পারব।


আরও খবর



মার্চে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৬৫, আহত ১২২৮

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গত মার্চে ৫৫২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৬৫ জন নিহত ও ১২২৮ জন আহত হয়েছেন। এ সময়ে ১৮১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০৩ জন নিহত ও ১৬৬ জন আহত হয়েছেন। যা মোট দুর্ঘটনার ৩২.৭৮ শতাংশ, নিহতের ৩৫.৯২ শতাংশ ও আহতের ১৩.৫১ শতাংশ।

একই সময়ে রেলপথে ৩৮টি দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত ও ৮৬ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে সাতটি দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৫৯৭টি দুর্ঘটনায় ৬১২ জন নিহত ও ১৩৩১ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংগঠনটি।

মার্চ মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ১৬২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত ও ৩০৬ জন আহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে বরিশাল বিভাগে। সেখানে ২৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২ জন নিহত ও ৯২ জন আহত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, প্রকাশিত এই তথ্য দেশে সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনার প্রকৃত চিত্র নয়। এটি কেবল গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য। দেশে সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনার একটি বড় অংশ প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত গণমাধ্যমে স্থান পায় না। তাই এসব তথ্য আমাদের প্রতিবেদনে তুলে ধরা সম্ভব হয় না। দেশে সড়ক দুর্ঘটনার প্রাথমিক উৎসস্থল দেশের হাসপাতালগুলোতে দেখলে এমন ভয়াবহ তথ্য মেলে।

ঢাকা জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (পঙ্গু হাসপাতালে) মার্চ মাসে ১৩৬৯ জন সড়ক দুঘর্টনায় গুরুতর আহত পঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। বিজ্ঞান বলে একটি দুঘর্টনায় ১০ জন আহত হলে তার মধ্যে কেবল একজন গুরুতর আহত বা পঙ্গু হন। বাংলাদেশে ১০ হাজার সরকারি ও ছয় হাজার বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে। এসব হাসপাতালে প্রতিবছর সড়ক দুঘর্টনায় আহত প্রায় তিন লাখের বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছে। অথচ গণমাধ্যমে তার ১০ ভাগের এক শতাংশ তথ্যও প্রকাশিত হয় না বলে আমরা ঘটনার ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরতে পারি না।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে মার্চ মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হচ্ছে— ট্রাফিক আইনের অপপ্রয়োগ, দুর্বল প্রয়োগ, নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনিয়ম দুর্নীতি ব্যাপক বৃদ্ধি, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও তিন চাকার যানের ব্যাপক বৃদ্ধি ও এসব যানবাহন সড়ক মহাসড়কে অবাধে চলাচল, সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কে বাতি না থাকা, রাতের বেলায় ফগ লাইটের অবাধ ব্যবহার, সড়ক-মহাসড়কে নির্মাণ ক্রটি, ফিটনেস যানবাহন ও অদক্ষ চালকের হার ব্যাপক বৃদ্ধি, ফুটপাত বেদখল, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা, উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালানো।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশগুলো হচ্ছে— রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে প্রাথমিক উৎস থেকে সড়ক দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ ডাটা ব্যাংক চালু করা, স্মার্ট গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা, মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের মতো ছোট ছোট যানবাহন আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা, দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, ডিজিটাল পদ্ধতিতে যানবাহনের ফিটনেস প্রদান, রাতের বেলায় বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল চালকদের রিফ্লেক্টিং ভেস্ট পোশাক পরিধান বাধ্যতামূলক করা, সড়কে চাদাঁবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা, রাতের বেলায় চলাচলের জন্য জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে পর্যাপ্ত আলোক সজ্জার ব্যবস্থা করা, ব্লাক স্পট নিরসন করা, সড়ক নিরাপত্তা অডিট করা, স্টার মানের সড়ক করিডোর গড়ে তোলা এবং দেশে সড়কে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু ঠেকাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ’র চলমান গতানুগতিক কার্যক্রম অডিট করে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা চিহ্নিত করা, প্রাতিষ্ঠানিক অকার্যকারিতা জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা।


আরও খবর
ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪