
বিশ্ববাজারে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক থাকলেও
দেশের বাজারে উল্টো চিত্র। কৃষক পর্যায়ে সংরক্ষণ এবং আমদানি না হওয়ায় দেশের বাজারে
পেঁয়াজের কেজি শতক ছুঁই ছুঁই। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত পেঁয়াজ আমদানির কথা বলেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী
টিপু মুনশি।
কমোডিটি অনলাইনের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গতকাল ভারতের কলকাতায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৯ টাকা এবং দিল্লিতে ৩২ টাকা, পাকিস্তানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩২ টাকায়। মিয়ানমারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১১১ টাকায়। চীনে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬৩ টাকা এবং বাংলাদেশে ৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গতকাল রাজধানীর বাজারগুলোয় প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮০ টাকায় বিক্রি হলেও এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়।
আরও পড়ুন<< এমপিওভুক্ত হচ্ছেন সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী
সরকার দ্রুত পেঁয়াজ আমদানির
অনুমোদন দিলে কেজিতে ২৫-৩০ টাকা কমে যাবে। দেশের স্থানীয় বাজারে প্রতি মণ (৪০ কেজি)
পেঁয়াজ বর্তমানে দুই হাজার ৭০০ থেকে দুই হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাংলাদেশ ট্রেড
অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের তথ্যানুসারে বছরে দেশে পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে প্রায় ২৫ লাখ
টন।
স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত হয়েছে ২৯ লাখ
৫৫ হাজার টন। আমদানি করা হয় ছয় থেকে সাত লাখ টন। সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় নষ্ট
হয় ২৫ শতাংশ পেঁয়াজ। দুই-এক দিনের মধ্যে সরকার পেঁয়াজ আমদানি করবে—বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, পেঁয়াজের দাম আবারও বেড়ে গেছে, সেটা আমি জানি। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে দাম স্বাভাবিক রাখা হবে। আর দুই-এক দিনের মধ্যে সরকার পেঁয়াজ আমদানি শুরু করবে।