প্রতিবাদ বা
বিক্ষোভের নামে পবিত্র কোরআনসহ অন্যান্য ধর্মীয় গ্রন্থ পোড়ানোর মতো কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ
করার কথা ভাবছে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ সুইডেন ও ডেনমার্ক। মূলত নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক
উদ্বেগের কারণে এই পদক্ষেপের কথা ভাবছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য দেশ দুটি।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক উদ্বেগের কারণে পবিত্র কোরআন বা অন্যান্য ধর্মীয় গ্রন্থ পোড়ানোর মতো প্রতিবাদ বা বিক্ষোভে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা ভাবছে ডেনমার্ক।
আরও পড়ুন: নাইজারে বড় ধরনের যুদ্ধের আশঙ্কা
ডেনমার্কের
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তবে এই ধরনের বিক্ষোভ চরমপন্থীদের উপকার করে এবং নিরাপত্তা হুমকির সৃষ্টি করে। আর তাই
দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভসহ কিছু পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রীয়ভাবে হস্তক্ষেপ করার আইনি উপায়
খতিয়ে দেখছে কোপেনহেগেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত বেড়ে ৪৪
এছাড়া সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, তাদের দেশেও একই ধরনের প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এক বিবৃতিতে ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা এমন কিছু বিক্ষোভে হস্তক্ষেপ করতে চায় যেখানে ‘অন্যান্য দেশ, সংস্কৃতি ও ধর্মের অবমাননা করা হচ্ছে এবং যেখানে নিরাপত্তা উদ্বেগসহ ডেনমার্কের জন্য উল্লেখযোগ্য নেতিবাচক পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
আরও পড়ুন: কানাডায় বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ৬
কিন্তু ডেনমার্ক
সরকার বাকস্বাধীনতাকে সমুন্নত রেখেছে যে কোনও পরিবর্তন অবশ্যই ‘সাংবিধানিকভাবে সুরক্ষিত মত প্রকাশের
স্বাধীনতার কাঠামোর মধ্যে করা উচিত বলে জোর দিয়েছে।
এদিকে পৃথক এক বিবৃতিতে সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন বলেছেন, ডেনমার্কের মতো সুইডেনেও ইতোমধ্যেই একই প্রক্রিয়া হাতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া এই বিষয়ে তিনি ডেনিশ প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেনের সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছেন বলেও নিশ্চিত করেছেন ক্রিস্টারসন।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি শিবিরে সংঘর্ষে ফাতাহ কমান্ডারসহ নিহত ৬
সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী
উলফ ক্রিস্টারসন ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, “আমরা ইতোমধ্যেই (পবিত্র কোরআন বা অন্যান্য ধর্মীয় গ্রন্থ পোড়ানো বন্ধ
করতে) আইনি পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে শুরু করেছি..আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা এবং সুইডেন
ও বিশ্বজুড়ে সুইডিশদের নিরাপত্তা জোরদার করার ব্যবস্থা বিবেচনা করার জন্য এটি করা
হচ্ছে।