আজঃ বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

কোরবানির পশুর সংকট নেই, একুশ লাখের বেশি উদ্বৃত্ত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৭ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৭ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে কোরবানির পশুর কোনও সংকট নেই। তাই কোরবানির পশু আমদানিও করতে হবে না। বরং অতিরিক্ত পশু রয়েছে এবার। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানিয়েছে, এ বছর কোরবানির জন্য পশুর সম্ভাব্য চাহিদা ১ কোটি ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৯টি। কোরবানিযোগ্য মোট গবাদিপশুর সংখ্যা ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৩টি। এর মধ্যে ৪৮ লাখ ৪৩ হাজার ৭৫২টি গরু-মহিষ, ৭৬ লাখ ৯০ হাজার ছাগল-ভেড়া এবং ২ হাজার ৫৮১টি অন্যান্য প্রজাতির গবাদিপশু। গতবছরের তুলনায় এ বছর ৪ লাখ ১১ হাজার ৯৪৪টি পশু বেশি রয়েছে। হিসাব অনুযায়ী, এ বছর চাহিদার তুলনায় ২১ লাখ ৪১ হাজার ৫৯৪টি পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতর জানিয়েছে, কোরবানিযোগ্য পশুর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৮ লাখ ৯৫ হাজার ৪৫৪টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০ লাখ ৫৩ হাজার ১২৮টি, রাজশাহী বিভাগে ৪৫ লাখ ১১ হাজার ৬১৪টি, খুলনা বিভাগে ১৫ লাখ ১১ হাজার ৭০৮টি, বরিশাল বিভাগে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ২০৬টি, সিলেট বিভাগে ৪ লাখ ১০ হাজার ২২৫টি, রংপুর বিভাগে ১৯ লাখ ৬২ হাজার ৯৫১টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৪৭টি কোরবানিযোগ্য গবাদিপশু রয়েছে।

অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এবারও দেশে উৎপাদিত গবাদিপশু দিয়েই কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। দেশে প্রাণিসম্পদের উৎপাদন এতটা বেড়েছে যে আমরা কোনভাবেই দেশের বাইরের প্রাণির উপর নির্ভরশীল হবো না। অবৈধভাবে দেশে পশু এলে দেশের অর্থ দেশের বাইরে চলে যায়। অবৈধ উপায়ে পশু বিদেশ থেকে আসায় সীমান্তে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। যে পশু আসে সেটির স্বাস্থ্যগত অবস্থাও জানা যায় না। এছাড়াও দেশের খামারে যারা পশু উৎপাদন করছে, তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ বিষয়গুলো কঠোরভাবে দেখা দরকার। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে যাতে কোনভাবেই গবাদিপশু অবৈধ অনুপ্রবেশ করতে না পারেবিষয়টি দেখবার জন্য।

এদিকে এ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জানিয়েছেন, দেশে কোরবানির পশুর কোনও সংকট নেই। তাই কোরবানির পশু আমদানিও করতে হবে না। বরং অতিরিক্ত পশু রয়েছে এবার। কোরবানির হাটে এ বছর কোনভাবেই রোগাক্রান্ত বা অসুস্থ পশু বিক্রি করতে দেওয়া হবে না। এ লক্ষ্যে গত বছরের মতো এবারও সারাদেশে পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম কাজ করবে।

মন্ত্রী জানিয়েছেন, কোরবানির পশু দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বাজারজাত করার সুবিধার্থে অন্যান্য বছরের মতো এবারও রেলে গবাদিপশু পরিবহন করা হচ্ছে। যে অঞ্চলে গবাদিপশুর উৎপাদন বেশি সে অঞ্চল থেকে যে অঞ্চলে উৎপাদন কম সে অঞ্চলে রেলের মাধ্যমে পশু পরিবহন করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে রেল বিশেষ সুযোগ দিচ্ছে। এতে কম খরচে পশু পরিবহনের সুযোগ পাচ্ছেন খামারিরা। দেশের সর্বত্র যাতে কোরবানির পশু পর্যাপ্ত থাকে সে অনুযায়ী পশু পরিবহনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।

খামারিরা যাতে পছন্দ অনুযায়ী হাটে কোরবানির পশু বিক্রি করতে পারে এবং জোর করে কেউ পথে পশু নামাতে না পারে সেজন্য খামারিরা চাইলে ৯৯৯ এ যোগাযোগ করতে পারবে বলে জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলেও জানিয়েছে সূত্র।

এ বছর হাটে যাতে কৃত্রিম সংকট না হয়, সে জন্য হাটে আনার পথে, বাড়িতেও পশু বিক্রি করা যাবে। তবে রাস্তায় হাট বসানো যাবে না। এ ছাড়া ডিজিটাল হাটের মাধ্যমেও পশু বিক্রি করা যাবে।


আরও খবর



বেলাবতে সীমাহীন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে অতিষ্ট জনজীবন

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদী প্রতিনিধি

Image

বেলাব উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর ঘন ঘন লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। কোনরকম কারণ ছাড়াই ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে বিদ্যুৎ বন্ধ থাকছে বেলাব উপজেলার ৮ ইউনিয়নে। এছাড়া সামান্য বাতাস বা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি দেখা দিলে বিদ্যুৎ চলে যায় দীর্ঘসময়ের জন্য। দিনরাতে এ এলাকায় বিদ্যুৎ থাকে ৪ থেকে ৫ ঘন্টা।

সর্বশেষ সোমবার সকাল থেকে সারাদিন দেখা দেয় ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিভ্রাট। শুধু গতকাল সোমবারই নয় এ এলাকায় বিদ্যুৎ এর লোডশেডিং কিংবা বিদ্যুৎ বিভ্রাট এখন হয়ে পড়েছে নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। বিদ্যুৎ এর লাগামহীন লোডশেডিং এর কারন জানতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর অফিসে গ্রাহকরা ফোন দিলেও তারা ফোন রিসিভ করেনা বলে অভিযোগ রয়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে ঝুঁকে পড়ছে আশির দশকের হাতপাঁখা আর মোমবাতি ও কুপির দিকে। এলাকাবাসির অভিযোগ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কর্মকর্তা কর্মচারীদের দায়িত্বে অবহেলার কারণে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের স্বীকার হচ্ছেন তারা।

অন্যদিকে গ্রাহকদের অভিযোগ গত আগষ্ট মাসে পল্লী বিদ্যুৎ-২ এর আওতায় বেলাব উপজেলার সকল গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল রহস্যজনক কারণে বেশি এসেছে। প্রতি বিলেই বিগত মাসের তুলনায় ৫শ থেকে এক হাজার অনেক ক্ষেত্রে এর উপরে পর্যন্ত বিল বেশি আসছে।

গ্রাহকরা জানান, গত মাসেও বিদ্যুৎ এর ভয়াবহ লোডশেডিং ছিল। ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকলেও অতিরিক্ত বিল আসায় গ্রাহকদের ধারনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরি করা রিডিং প্রস্তুতকারী ব্যক্তিরা বাসায় বসে অনুমানের উপর ইউনিট লেখার কারণেই এসেছে এই ভূতুরে বিল। তবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন ইউনিট অনুযায়ীই বিল এসেছে। তবে যদি কোথাও কোন বিলে ভুল অংক এসে থাকে তাহলে সেটা অফিসে আসলে আমরা দেখেশুনে ঠিক করে দিব।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মরজাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর অধীন বেলাব উপজেলার ৮ ইউনিয়নে মরজাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও শিবপুর শাখা হতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এর মধ্যে মরজাল এলাকা ও বেলাব উপজেলার বেশ কিছু অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২।

জানা গেছে, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর বেলাব এরিয়ার এক অংশে গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৩৪ হাজার। এই ৩৪ হাজার গ্রাহকদের জন্য বিদ্যুৎ প্রয়োজন ৩২ মেঘাওয়াট। কিন্তু তারা পায় ১০ থেকে ১১ মেঘওয়াট। ঘাটতি থাকে প্রায় ২৩ মেঘাওয়াট। এই ২৩ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ এর ঘাটতির কারনেই সৃষ্টি হয় ঘন ঘন লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ বিভ্রাট।

এদিকে গ্রাহকদের একটি অংশ মনে করছেন বেলাবতে বিদ্যুতের লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের লাইন রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট কর্তকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে গ্রাহক সেবায় উদাসীনতা,কর্তব্য অবহেলা ও স্বেচ্ছাচারিতার কারনেই এ এলাকায় দফায় দফায় লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়।

বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বেলাব বাজারের ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান বলেন, দিনরাতে ৩/৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকে কিনা সন্দেহ। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর অব্যবস্থাপনা,বিদ্যুৎ চুরি ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের গাফিলতির কারনেই বিদ্যুৎ এর লোডশেডিং হচ্ছে  বলে তিনি মনে করেন।

আমলাব বাজারের হোটেল ব্যবসায়ী রতন মিয়া বলেন, গতমাসে বিদ্যুৎ লোডশেডিং ছিল অনেক। এ মাসেও  বিদ্যুতের সার্ভিস ভালনা। তবে গতমাসে হঠাৎ করেই আমার বিদ্যুৎ বিল আসে তিনশ টাকা বেশি। লোডশেডিং কারনে এমনিতেই বিদ্যুৎ ব্যবহার কম হয়েছে। তাহলে তিনশ টাকা বিল বেশি আসবে কেন?

বেলাব প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক বলেন, দিন-রাতে কয়েক দফায় বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার কারণে মানুষের জীবন প্রায় বিপর্যস্ত। দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় বাচ্চারাও লেখাপড়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। জুটমিল ফিডমিলসহ বিভিন্ন কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হওয়াসহ ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে এসেছে।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ বেলাব সাব অফিসের এজিএম এনামুল হক বলেন, আমাদের বিদ্যুৎ এর এ সমস্যাটি থাকবেনা। খুব শ্রীঘ্রই আমরা এ অবস্থা থেকে উত্তোরণ হবো। তবে বিদ্যুৎ এর লোডশেডিং কেন হচ্ছে সেটা একমাত্র কারিগরি বিভাগই বলতে পারবে।

তবে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কারিগরি বিভাগের ডিপুটি জেনারেল ম্যানাজার প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন দেয়ার পর তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

নিউজ ট্যাগ: নরসিংদী

আরও খবর



টিএসসিতে আজও চলছে গণত্রাণ সংগ্রহ

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৪ আগস্ট 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যার্ত মানুষকে সহায়তা করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) তৃতীয় দিনের মতো আজ শনিবারও চলছে গণত্রাণ সংগ্রহ কার্যক্রম।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এ গণত্রাণ সংগ্রহ কর্মসূচিতে আজও মানুষের ঢল নেমেছে। শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগে অংশীদার হতে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী নগদ অর্থ কিংবা ত্রাণসহায়তা পৌঁছে দিতে আসেন বিপুলসংখ্যক মানুষ।

টিএসসি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ত্রাণ সংগ্রহ বুথে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসছেন। যার কাছে যা কিছু আছে তাই বন্যার্তদের জন্যে দিচ্ছেন তারা। রিকশা ও পিকআপে করে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে আসছেন। মুড়ি, বিস্কুট, বিশুদ্ধ পানি, নানা জাতীয় শুকনো খাবার, কাপড়-চোপড়, তেল, চাল, লবন, স্যানিটারি ন্যাপকিন, ওষুধ, স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় হতে পারে এমন সব কিছুই ত্রাণ তহবিলে দিচ্ছে মানুষ। পাশাপাশি নগদ টাকাও দিচ্ছেন অনেকে।

গণত্রাণ সংগ্রহ কর্মসূচি ঘিরে বিভিন্ন স্তরে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন শিক্ষার্থীরাই। কেউবা দান করা টাকার হিসাব রাখছেন, আবার কেউ খাবার, কাপড়সহ অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী আলাদা আলাদা করে গুছিয়ে রাখছেন।

এর আগে দেশের বন্যার্ত এলাকার মানুষের সহায়তার জন্য শুক্রবার ১ কোটি ২৬ লাখ ২২ হাজার ১৭২ টাকা সংগ্রহ করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা জানিয়েছেন, শুক্রবার নগদ অর্থের পাশাপাশি সংগ্রহ করা হয়েছে শুকনো খাবার, প্রয়োজনীয় ওষুধ, স্যালাইন ও পোশাক। এছাড়াও সংগ্রহ করা হয়েছে গবাদি পশুর খাবারও।

এ ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক বিভাগ, ইনস্টিটিউট, হল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন পৃথকভাবে বন্যার্তদের জন্যে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন।


আরও খবর



ঢামেকে চিকিৎসককে মারধর, ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঢামেক প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসককে মারপিট ও ভাঙচুরের ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিইউবিটির শিক্ষকসহ তিন শিক্ষার্থীকে। এ ছাড়া মামলায় আরও ৪০ থেকে ৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঢামেক হাসপাতালের অফিস সহায়ক আমির হোসেন (৫৩) বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় এজাহার করেছেন। মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন বিইউবিটির শিক্ষক শাহরিয়ার অর্ণব, শিক্ষার্থী পলজয়, সহাব তুর্জ ও সাইমি নাজ শয়ন।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম শাহাবুদ্দিন।

এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাত ১টা ১০ মিনিটের দিকে ঢামেকের ২০০ নম্বর ওয়ার্ডে ডা. কানিজ ফাতেমা ইসরাত জাহানের তত্ত্বাবধানে অজ্ঞাতনামা একজন সড়ক দুর্ঘটনা আহত হয়ে ভর্তি হয়। পরদিন শনিবার সকাল ৭টায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। পরে মরদেহের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত করার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।

শনিবার বিকাল ৪টায় হঠাৎ নিউরোসার্জারি বিভাগের ২০১ নম্বর ওয়ার্ডের ইমার্জেন্সি অপারেশন থিয়েটারের চিকিৎসক আল মাশরাফিকে ৩০ থেকে ৪০ জন লোক ঘিরে ধরে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। একপর্যায়ে তাকে মারতে মারতে তার গায়ের অ্যাপ্রোন খুলে ফ্লোরে ছুড়ে ফেলা হয় এবং হাসপাতালে থাকা বিভিন্ন জিনিসপত্র দিয়ে তাকে মারধর করতে থাকেন।

বাদী আরও অভিযোগ করেন, সেই সময় চিকিৎসক মো. ইমরান হোসেনসহ আমি এগিয়ে যাই এবং চিকিৎসক ইমরান হোসেন স্যারকে কেন মারধর করা হচ্ছে, জানতে চাইলে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের মধ্যে থেকে একজন বলে ওঠে, এই সেই ডাক্তার, যে গতকাল ডিউটিতে ছিল। তখন তারা আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে ডা. ইমরানকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর শুরু করে এবং টেনেহিচঁড়ে মারতে মারতে গায়ের পোশাক ছিঁড়ে হাসপাতালের পরিচালক স্যারের অফিস রুমে নিয়ে যান। পরে সেখানে সবাইকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।

এ ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দোষীদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের আলটিমেটাম দেন চিকিৎসকরা। রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) মারধর ও জরুরি বিভাগে ভাঙচুরের ঘটনায় সেবা বন্ধ করে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি দেন চিকিৎসকরা। সকাল থেকেই জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগের চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে কর্মবিরতিতে যান তারা।

পরে রবিবার বিকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সঙ্গে বৈঠকে তারা সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত কর্মবিরতি স্থগিতের ঘোষণা দেন। বৈঠকে উপদেষ্টা দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।


আরও খবর
দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে পুলিশ কর্মকর্তা কাফি

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




টানা বৃষ্টিতে লক্ষ্মীপুরের পরিস্থিতির অবনতি: বিশুদ্ধ পানির সংকট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

কনক মজুমদার, রামগঞ্জ

লক্ষ্মীপুরে জলাবদ্ধতার পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। টানা ও ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় প্রতিদিনই পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটছে। জেলার পাঁচটি উপজেলায় জলাবদ্ধতা প্রকট আকার ধারণ করেছে। চার দিন ধরে বেশির ভাগ ঘরবাড়ি জলমগ্ন হয়ে আছে। চরাঞ্চলের বেশিরভাগ নলকূপ ডুবে যাওয়ায় বর্তমানে বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। অনেকেই রান্না বান্না করতে না পেরে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।

লক্ষ্মীপুর জেলা সদর, রায়পুর, রামগঞ্জ, রামগতি ও কমলনগর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বসতবাড়ি ও রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় দিশাহারা হয়ে পড়েছেন জেলার কয়েক লাখ মানুষ। কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও মেঘনার জোয়ারের পানি বাড়ছে বলে জানিয়েছে লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে কয়েক হাজার পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। তলিয়ে গেছে আমন ধানের খেতসহ শত শত হেক্টর জমি শাকসবজি। এছাড়া মহিষ, গরু ও হাঁস-মুরগীর খামারে পানি ঢুকে ক্ষতির সম্মুক্ষিণ হয়েছে শত শত খামারি।

রামগতি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক সোহরাব হোসেন বলেন, গত চার দিনে লক্ষ্মীপুরে ৩১২ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে রামগতি ও কমলনগর উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, চরাঞ্চলের বেশিরভাগ ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে আছে। বসতঘরের ভিতরে হাঁটু পানি। বিশেষত চরাঞ্চলে বিশুদ্ধ পানির সংকট বেশি। অনেকে কোমর পানি ভেঙে, নৌকা ও কলাগাছের ভেলায় দূর থেকে বিশুদ্ধ খাওয়ার পানি সংগ্রহ করছেন।

লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন জানান, চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে জেলায় ১৭ হাজার ৫০০ পুকুর-জলাশয় ভেসে গেছে, চাষিদের বিভিন্ন প্রকার ছোট বড় ৪/৫হাজার মেট্রিক টন মাছ ভেসে গেছে। এতে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টি না কমলে তা বেড়ে দ্বিগুণ হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

লক্ষ্মীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মো. মঞ্জুর হোসেন জানান, বন্যায় আমন ধানের বীজ তলা ১৪৮৬ হেক্টর, আমন ধান ধান ২৬১৮ হেক্টর, আউশ ধান ২৯৬৩ হেক্টর ও শরৎকালীন ৪৪৩ হেক্টরের সবজি আক্রান্ত হয়েছে। পানি আরও বেড়ে ২ দিন থাকলে এসব নষ্ট হয়ে যাবে।

লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ-উজ জামান খান বলেন, মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এত পানি আগে কখনো দেখা যায়নি।

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে স্ব স্ব উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ সাধারণ মানুষদের নিয়ে কাজ করছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন খালের বাঁধ কেটে দেওয়া হয়েছে। খাল-নালা পরিষ্কারের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। বন্যার্তদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর মধ্যে শুকনা খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।


আরও খবর



৩২৩ পৌরসভার মেয়র অপসারণ

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী সরকারের আমলে নির্বাচিত ৩২৩ পৌরসভার মেয়রকে অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

রোববার (১৮ আগস্ট) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এর ধারা ৩২(ক) প্রয়োগ করে বাংলাদেশের নিম্নবর্ণিত পৌরসভার মেয়রগণকে স্ব স্ব পদ হতে অপসারণ করা হলো।

পৌরসভার মেয়রদের তালিকা দেখুন এখানে>>>


আরও খবর