বিজ্ঞানভিত্তিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি যৌথ পরামর্শক দলের সাথে এক সভা করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। সোমবার টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় চসিকের বিদ্যমান বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা এবং তা কাটিয়ে উঠতে দক্ষিণ কোরিয়ার অভিজ্ঞতাকে কীভাবে কাজে লাগানো যায় তা উঠে আসে।
সভায় চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামের দ্রুত বর্ধমান জনসংখ্যার ফলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে বিজ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতিতে ঢেলে সাজানো এখন সময়ের দাবি। বর্জ্য কেবল অপসারণ করলেই হবেনা। এসব বর্জ্য থেকে কীভাবে জ্বালানি উৎপাদন করা যায় এবং দূষকের নি:সরণ কমানো যায় তা নিয়েও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চাই আমি।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধি দলটি জানায়, বর্তমানে চসিক সব ধরনের বর্জ্য একসাথে সংগ্রহ করায় পুনব্যবহারের হার মাত্র ৮-১০ শতাংশের মধ্যে এবং এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করাও অনেক জটিল ও পরিবেশবান্ধব নয়। বর্জ্যকে শহর থেকে সংগ্রহ করে নির্দিষ্ট স্থানে এনে রাখলে নগর পরিস্কার থাকলেও তা থেকে বিভিন্ন ক্ষতিকর গ্যাস ও জলীয় পদার্থ নিঃসরিত হয়ে পরিবেশের ক্ষতি সাধন করে। এক্ষেত্রে কোরিয়ার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগালে চসিক বর্জ্যকে পরিবেশবান্ধব উপায়ে ব্যবস্থাপনা করতে পারে।
সভায় চসিকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মনিরুল হুদা, সহকারী প্রকৌশলী রিফাতুল করিম। দ. কোরিয়ার প্রতিনিধি দলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দ. কোরিয়ার কিয়ুঙয়োন ইঞ্জিনিয়ারিং এর ভাইস প্রেসিডেন্ট হিয়ুঙ হি ইয়ুন, দি হ্যাম সোলজ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শিনহিয়ুন ক্যাং, কোরিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালট্যান্টস ম্যানেজার জিওংওয়াং হোং।
উল্লেখ্য, এর আগে এক আলোচনায় কোরিয়া সরকার চসিককে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন ও স্বাস্থ্যসম্মত করতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে (চসিক) ২০২৪ সালে ১৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৪২ কোটি ৮০ লাখ টাকা) অনুদান প্রদানে ইচ্ছে পোষণ করেছিল।