আজঃ মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

কোটা সংস্কার আন্দোলন: দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে হাসপাতালের বেডে তারা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ পেরিয়ে ডানদিকে একটু গেলেই ১০১ নম্বর ওয়ার্ড। সেখানে রয়েছে ২৮টি বেড, যার সবগুলোতেই ভর্তি রয়েছেন সাম্প্রতিক সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ রোগীরা। অপারেশনের পর এদের কারো কারো শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

তবে এখনই হাসপাতাল থেকে ছাড় পাচ্ছেন না তারা, থাকতে হবে আরও বেশ কিছুদিন। হাসপাতালের বেডে শুয়েই সময় কাটছে তাদের, পাশে আছেন স্বজনরাও। আহতদের অনেকের এখনো কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে। তবুও ধীরে ধীরে কথা বলছেন স্বজনদের সঙ্গে। এর মধ্যেই কেউ কেউ গুলিবিদ্ধ হওয়ার দুঃসহ স্মৃতি মনে করে আঁতকে উঠছেন।

রোববার (২৮ জুলাই) ঢাকা মেডিকেলের ১০১ নম্বর ওয়ার্ড ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সহিংসতায় আহত ও গুলিবিদ্ধরা এই ওয়ার্ড ছাড়াও ঢাকা মেডিকেলের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে ১৮, ১৯ ও ২০ জুলাই ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এসময় অনেকে গুলিবিদ্ধ হন। তারা ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেলের ১০১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন খোরশেদ আলম। তিনি মুক্ত খবর নামের একটি গণমাধ্যমের সাংবাদিক। গত ২০ জুলাই রামপুরা এলাকায় সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হন তিনি।

খোরশেদ আলম বলেন, আছরের নামাজ পড়তে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছি। কোন দিক থেকে গুলি এসে লাগল, এরপর আমি পড়ে যাই। এটা দুঃসহ স্মৃতি।

তার স্ত্রী নুরুন নাহার আক্তার বলেন, আমরা রাজধানীর পশ্চিম রামপুরায় থাকি। আমার স্বামীই আমাদের পরিবারের আয়ের উৎস। সে গুলিবিদ্ধ হওয়ায় আমাদের বড় ক্ষতি হয়ে গেছে। আমার স্বামী নামাজ পড়ে বের হয়ে বাইরে গন্ডগোল দেখতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। কোমরে গুলি লেগেছে। তার পায়খানার রাস্তা ফেলে দেওয়া হয়েছে অপারেশনের মাধ্যমে। আমার শ্বশুর বাড়ি নোয়াখালীর চৌমুহনীতে। আমাদের দুই মেয়ে। তাদের বাবা গুলিবিদ্ধ হওয়ায় আমাদের আয়-রোজগার নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছি।

শনির আখড়া এলাকায় ১৯ জুলাই গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেলে আসেন মোহাম্মদ পিন্টু। ২০ নম্বর বেডে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি। পিন্টু বলেন, শনির আখড়ায় আমার তামা-পিতলের দোকান। দোকান থেকে বের হয়েছি, এরপর গুলি এসে আমার গায়ে লাগে। আমার পাশে আরও দুই-তিনজন গুলিকে খেয়েছে। দুপুরের দিকের গণ্ডগোলে আমার গুলি লাগে।

তিনি বলেন, প্রথমে আমি কোমরে গুলি খেয়ে মাটিতে পড়ে যাই। মনে হলো ইলেকট্রিক শক খেলাম, ছটফট করছিলাম। প্রথমে অন্য একটা হাসপাতালে নিয়ে গেছে স্থানীয়রা, পরে অজ্ঞান হয়ে যাই। এরপর আমাকে আনা হয় ঢাকা মেডিকেলে। সেই পরিস্থিতির কথা মনে হলে ভয় পেয়ে যাই, আঁতকে উঠি।

পিন্টু জানান, তার গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুরে। শনির আখড়ায় তামা-পিতলের পণ্যের ব্যবসা করেন। পরিবারের তিনিই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। এই ব্যবসায়ী বলেন, আমি বিয়ে করিনি। মা, ছোট ভাই-বোন একসঙ্গে থাকি। সবার দায়িত্ব আমার কাঁধে।

ঢামেকের ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের ৮ নম্বর বেডে চিকিৎসা নিচ্ছেন কামরুল হাসান। তিনি বলেন, ১৯ জুলাই আমি বায়তুল মোকাররম মসজিদে জুমার নামাজ পড়ে বের হয়ে রাস্তায় গুলি খেয়েছি। এরপর আমি লুটিয়ে পড়ি। মানুষ আমাকে এনে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। আমি হামদর্দে চাকরি করি। আমার বাড়ি নোয়াখালী। অপারেশন হওয়ার পর এখনো খুব অসুস্থ অবস্থার মধ্যে আছি। গুলি লাগার সেই মুহূর্ত মনে হলে এখনো শিউরে উঠি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রোগী ভর্তির রেকর্ড সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ভর্তি হওয়া ৩৬৭ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কয়েকজন চিকিৎসা শেষে চলে গেছেন। এছাড়াও ১৫ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ১৫৭৯ জন চিকিৎসা নিয়েছেন।


আরও খবর
ডেঙ্গুতে ৮ মাসে মারা গেছেন ৯২ জন

রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ওয়ালটন পণ্য মেরামতে গ্রাহকদের ফ্রি সার্ভিস প্রদানের ঘোষণা

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি জেলায় আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বিপুল সংখ্যক গ্রাহকের পরিবারে ব্যবহৃত ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল, হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য। ওই সব পণ্য মেরামতে ক্ষতিগ্রস্থ গ্রাহকদের ফ্রি সার্ভিস দিবে ওয়ালটনের কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট (সিএসএম)।

সম্প্রতি রাজধানীতে ওয়ালটন কর্পোরেট অফিসে আয়োজিত এক বিশেষ সভায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ইলেকট্রনিক্স পণ্য সামগ্রী মেরামতে গ্রাহকদের ফ্রি সার্ভিস প্রদানের জন্য সিএসএম বিভাগকে নির্দেশনা দেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম। তাঁর নির্দেশনার প্রেক্ষিতে বন্যাদুর্গত ওয়ালটন পণ্যের গ্রাহকদের জন্য ফ্রি সার্ভিস প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে সিএসএম বিভাগ।

ওয়ালটন সিএসএম বিভাগের প্রধান শিবদাস রায় বলেন, সম্প্রতি আকস্মিক বন্যায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি জেলার লাখ লাখ পরিবারের ঘরবাড়ী পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে, এই অঞ্চলের সিংহভাগ পরিবারে ব্যবহৃত ওয়ালটনের বিভিন্ন ধরণের ইলেকট্রনিক্স, হোম ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ওই সব পণ্যের সার্ভিসিং এর প্রয়োজন পড়বে। তাই বন্যা কবলিত গ্রাহকদের জন্য ওয়ালটন পণ্য মেরামতে ফ্রি সার্ভিস প্রদান করা হবে।

তিনি জানান, গ্রাহকদের দুর্দিনে ওয়ালটন পরিবার সর্বদা পাশে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় বন্যাদুর্যোগ এলাকায় ওয়ালটনের যেসব গ্রাহকের ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেগুলো মেরামতে সার্ভিসিং চার্জ ফ্রি করা হয়েছে। এছাড়াও পণ্য মেরামতে নতুন কোনো স্পেয়ার পার্টস বা খুচরা যন্ত্রাংশ লাগলে সেসব যন্ত্রাংশের দামের উপরও গ্রাহকদের বিশেষ ছাড় দেয়া হবে। গ্রাহকেরা ১৬২৬৭ বা ০৮০০০০১৬২৬৭ (টোল ফ্রি) নাম্বারে ফোন করে এই সুবিধা নিতে পারবেন।  

উল্লেখ্য, বন্যার শুরুতেই মানুষের পাশে, মানুষের জন্য স্লোগানে অসহায় মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায় ওয়ালটন পরিবারের সদস্যরা। বন্যা দুর্গত এলাকায় ত্রাণ বিতরণে এগিয়ে আসে ওয়ালটনের স্থানীয় ডিস্ট্রিবিউটর, ডিলার, প্লাজার বিক্রয় প্রতিনিধি ও সিএসএম বিভাগের প্রতিনিধিরা। এছাড়াও ওয়ালটন কর্পোরেট অফিস থেকেও সরকার অনুমোদিত বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানে সাধ্যমত আর্থিক অনুদান ও বিপুল পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী প্রদান করা হয়। বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের ক্ষতিগ্রস্থ ওয়ালটনের ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল পণ্য ফ্রি সার্ভিস প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।


আরও খবর



কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে লুট হওয়া শর্টগান ও বন্দুক উদ্ধার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

Image

কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে লুট হওয়া শর্টগান ও বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (১৪ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে র‌্যাব-১২ সিপিসি-১ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের অভিযানিক দল কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১টি শর্টগান ও ১টি এক নলা বন্দুক পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে।

র‌্যাব সূত্র জানায়, গত ৫ আগস্ট শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় কতিপয় দুষ্কৃতকারী কুষ্টিয়া মডেল থানায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এসময় তারা থানা থেকে অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট করে নিয়ে যায়।

লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার অভিযানে গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে কুষ্টিয়া র‌্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় সিপিসি-১ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের অভিযানিক দল বুধবার (১৪ আগস্ট) রাতে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ১টি শর্টগান ও ১টি এক নলা বন্দুক পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা অস্ত্র কুষ্টিয়া মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।


আরও খবর



ডিজিএফআইয়ের প্রধান হলেন মেজর জেনারেল ফয়জুর রহমান

প্রকাশিত:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মেজর জেনারেল মো. ফয়জুর রহমান। তিনি মেজর জেনারেল হামিদুল হকের স্থলাভিষিক্ত হলেন। সোমবার আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।

এর আগে ৬ আগস্ট বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শীর্ষ পদে ব্যাপক রদবদল করা হয়। মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে চাকরি হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. সাইফুল আলমের চাকরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মজিবুর রহমানকে জিওসি আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ড, লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহম্মদ তাবরেজ শামস চৌধুরীকে সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল, লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীমকে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ, লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হককে কমান্ড্যান্ট এনডিসি এবং মেজর জেনারেল আ স ম রিদওয়ানুর রহমানকে এনটিএমসির মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।


আরও খবর



চাকরি বহালের দাবিতে অবস্থান, আইজিপিসহ অবরুদ্ধ কর্মকর্তারা

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজনৈতিক তকমায় বা ঠুনকো অভিযোগে চাকরি হারানো পুলিশ সদস্যরা সব সুযোগ সুবিধাসহ চাকরি ফিরে পেতে পুলিশ সদর দফতরের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন পুলিশ সদস্যরা। ফলে ভবনের ভেতরে অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন আইজিপিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

গত ১৫ বছরের বিভিন্ন সময়ে চাকরি হারানো হাজারো পুলিশ সদস্য রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। এ সময় তারা স্লোগান দে এক দফা, এক দাবি, নির্বাহী আদেশে চাকরি ফেরত দেওয়া।

বিকেল থেকে পুলিশ সদর দফতরের সামনের সড়কের দুই লেন বন্ধ করে বিক্ষোভ ও অবস্থান করলেও দেখা মেলেনি পুলিশ প্রধান ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা কনস্টেবল ফরহাদ বিশ্বাস বলেন, ২০২১ সালে বগুড়া জেলায় আমাকে ডোপ টেস্টের নামে চাকরিচ্যুত করা হয়। আদালতে মামলা করি। আদালত থেকে আমি নির্দোষ প্রমাণিত হলেও এসপি সুদীপ কুমার চক্রবর্তী আমাকে যোগদান করতে দেননি।

তিনি বলেন, এ রকম হাজারো পুলিশ সদস্য হাহাকার নিয়ে এখানে উপস্থিত হয়েছেন। আমাদের দাবি একটাই নির্বাহী আদেশে চাকরি ফেরত দেওয়া।

আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যরা জানান, বিগত সময়ে বিসিএস পুলিশ কর্মকর্তারা যদি চাকরি ফিরে পান তাহলে আমরা কেন পাব না। বিশেষ করে বিভাগীয় মামলা ও আদালতের আশ্রয় নিয়ে তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়ায় যারা নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন, তাদের কী দোষ! তাদের তো চাকরি বহালে কোনো বাধা থাকার কথা না। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের তাবেদার আইজিপি শহীদুল হক, বেনজির, আব্দুল্লাহ আল-মামুনরা চাকরি ফিরিয়ে দেননি।

পুলিশ কনস্টেবল মঞ্জুরুল হক বলেন, এসপিবিএনে থাকতে আমাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তখন করোনাকাল। বাবা ও মা করোনা আক্রান্ত ছিলেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য আমি বাড়ি যেতে চাইলে ছুটি মঞ্জুর করেনি। বাধ্য হয়ে আমি ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ছুটি ছাড়াই বাড়ি যাই। ফিরে আসার পর আমাকে সাসপেন্ড করা হয়। বিনা ছুটিতে কেন বাড়ি গেলাম, সেজন্য পরে চাকরিচ্যুত করা হয়। চাকরি করি পরিবারের জন্য। বিপদে যদি সেই পরিবারের পাশে থাকতে না দেয় বাহিনী সেটা তো অন্যায্য। আমি চাকরি ফেরত চাই।


আরও খবর



মা হলেন দীপিকা, বাবা রণবীর

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ। প্রথম সন্তানের বাবা-মা হলেন দীপিকা পাডুকোন ও রণবীর সিং। আজ রবিবার মুম্বাইয়ের এইচ এন রিলায়েন্স হাসপাতালে ফুটফুটে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দিলেন তিনি। দুই থেকে তিন হলেন দীপিকা-রণবীর।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানা যায়, যদিও এখনও পর্যন্ত নিজেদের পক্ষ থেকে সন্তান আগমনের আনুষ্ঠানিক খবর ঘোষণা দেননি রণবীর-দীপিকা।

এর আগে গত শুক্রবার গণেশ চতুর্থীতে সিদ্ধিবিনায়ক মন্দিরে প্রার্থনা করতে দেখা যায় রণবীরদীপিকাকে। এর পরদিন শনিবার বিকেলে মুম্বাইয়ের এক হাসপাতালে দেখা যায় এ দম্পতিকে।

অন্তঃসত্ত্বা দীপিকাকে হাসপাতালে দেখা যেতেই তার মা হওয়ার গুঞ্জন বেড়েছে। যদিও অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছিল, ২৮ সেপ্টেম্বর ভূমিষ্ঠ হতে পারে তাদের প্রথম সন্তান। কিন্তু তার অনেক আগেই হাসপাতালে হাজির তারকা জুটি। এর পরদিনই সন্তান এল দীপিকার কোলে। কিছু দিন আগেই মাতৃত্বকালীন ফটোশ্যুটে ধরা দেন দীপিকা। অভিনেত্রীর বেবিবাম্প প্রকাশ পায় সেই সব ছবিতেই।

দীপিকাকে সর্বশেষ দেখা গেছে কল্কি ২৮৯৮ এডি ছবিতে। অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন এই ছবির শুটিং করেছিলেন অভিনেত্রী। ছবিতেও এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। এছাড়াও দীপাবলিতে দীপিকার পরবর্তী সিনেমা সিংহম এগেইন মুক্তি পাবে।


আরও খবর