![Image](https://cdn.ajkerdarpon.com/images/481542b2da11262854988c6d5f516156.jpeg)
সরকারি দপ্তর,
স্বায়ত্তশাসিত বা আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন কর্পোরেশনে প্রথম ও দ্বিতীয়
শ্রেণির সরকারি চাকুরিতে কোটা পুনর্বহালের রায় বাতিল ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের
দাবিতে ফের বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
আজ সোমবার দুপুরে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে একে একে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
পরে সেখান থেকে কলাভবনসহ ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে সন্ত্রাস বিরোধী রাজু
ভাস্কর্যে একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা
‘সংবিধানের/মুক্তিযুদ্ধের
মূলকথা, সুযোগের সমতা’, ‘সারা বাংলায়
খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘আঠারোর হাতিয়ার,
গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে,
ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘লেগেছে রে লেগেছে,
রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘কোটা প্রথা, বাতিল
চাই বাতিল চাই’, ‘কোটা প্রথার বিরুদ্ধে,
ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘কোটা না মেধা?
মেধা মেধা’, ‘আপস না সংগ্রাম,
সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘মুক্তিযুদ্ধের
বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’- ইত্যাদি স্লোগান
দিতে থাকেন।
এসময় শিক্ষার্থীরা
চারটি দাবি উপস্থাপন করে। সেগুলো হলো- ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি
বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে; ১৮' এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে
কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকুরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক
কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান
অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে; সরকারি চাকরির নিয়োগ
পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না
পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে; দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ
ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
ছাত্র সমাবেশের
শেষের দিকে হাজারো কণ্ঠে আপেল মাহমুদের দেশাত্মবোধক গান ‘তীর হারা এই ঢেউয়ের
সাগর পাড়ি দেবো রে’ গাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে মোট ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল। ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। ওই বছরের ৪ অক্টোবর কোটা বাতিলবিষয়ক পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরে ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রিট করেন।