আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ‘সুইসড্রাম’

প্রকাশিত:বুধবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশের মধ্যশিক্ষিত, বেকার ও নিরীহ যুবক এবং সরল শ্রেণির মানুষদের টার্গেট করে মোটিভেশনাল বক্তব্য দিয়ে কোম্পানিতে বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সুইসড্রাম নামে এক মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) প্রতিষ্ঠান।

সুইসড্রাম কোম্পানিতে বিনিয়োগের জন্য প্রথমে সুইসড্রাম অ্যাপ- এ অ্যাকাউন্ট খুলে সদস্য হতে হয়।

এরপর সদস্য সংগ্রহ করে আরও বিনিযোগের কথা বলা হয়। এরপর এক স্থান থেকে অন্যত্র কার্যালয় স্থানান্তর করতেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক কাজী আল-আমিন।

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টা থেকে বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর পল্টন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কাজী আল-আমিনসহ ১৭ জন প্রতারকদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার বাকিরা হলেন- মো. সালাউদ্দিন (৪৬), শেখ মো. আব্দুল্লাহ (৫৯), মনিরা ইয়াসমিন (৪৩), মো. জাহিদ হাসান (৪২), স্বপন মিয়া (৩৮), শাহজাহান (২৫), মিজানুর রহমান (৫০), বাদশা ওরফে সুলাইমান (২৬), ইমাম হোসাইন (৩৫), আব্দুর রাজ্জাক ওরফে আনারুল ইসলাম (৪২), মিজানুর রহমান (৩৯), ফারুক উদ্দিন (৪৭), আঞ্জুমানআরা বেগম (৫২), শেখ রবিন (৩৩), ইমাম হোসাইন (৩৫) ও মোছা. আছমা বেগম (৩৫)। 

অভিযানে প্রতারণায় ব্যবহৃত বিভিন্ন সামগ্রীসহ দুটি ল্যাপটপ, একটি প্রজেক্টর, কোম্পানির ব্যবহৃত দুটি সিল, কোম্পানির ব্যানার দুটি, বিভিন্ন ধরনের চারটি ডায়েরি ও খাতা, একটি রেজিস্ট্রার খাতা, কোম্পানির ১২৫টি লিফলেট, প্রতারণায় ব্যবহৃত সুইসড্রাম কোম্পানির ভুয়া ওষুধ/প্রসাধনী সামগ্রী, সুইসড্রাম কোম্পানির ২৫ সেট ডিস্ট্রিবিউটর ওয়ার্কিং ফাইল, ২৩টি মোবাইল ফোন এবং নগদ এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৫ টাকা জব্দ করা হয়।

সন্ধ্যায় র‌্যাব-৪- এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, প্রতারণার নতুন নতুন কৌশল ব্যবহার করে সাধারণ জনগণকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এক শ্রেণির পেশাদার প্রতারক চক্র। সম্প্রতি মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) ও ই-কমার্স ব্যবসার মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে দেশ জুড়ে সমালোচিত হয়েছে ই-কমার্স ব্যবসা।

 এমএলএম এবং ই-কমার্স ব্যবসা নিয়ে যখন সারাদেশে ব্যাপক আলোচনা ও তর্ক-বিতর্ক চলছে, সাধারণ মানুষ যখন অনলাইন প্রতারণার ফাঁদে পড়ে অসহায় ও বিব্রত ঠিক এ মুহূর্তে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে  পল্টন এলাকা থেকে সুইসড্রাম কোম্পানির অন্যতম পরিচালক কাজী আল-আমিনসহ মোট ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি বলেন, এ প্রতারক চক্রটি সুইসড্রাম কোম্পানির নামে একটি ওষুধ (সর্ব রোগের মহৌষধ) যা ক্যান্সার, ডায়াবেটিস ও হার্টের ওষুধ বলে প্রচারণা চালিয়ে আসছিল। এমনকি এ ওষুধ করোনা প্রটেক্টিভ হিসেবে কাজ করে বলেও প্রচার করে এ কোম্পানিটি।

কোম্পানিতে নতুন সদস্যদের পাঁচটি ক্যাটাগরির মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত করা হতো। ১ ও ২ ক্যাটাগরিতে ৪ হাজার ২০০ থেকে ৬ হাজার ২০০ টাকার বিনিময়ে এক প্যাকেট ওষুধ ও ৩, ৪ নম্বর ক্যাটাগরিতে ২৬ হাজার ২০০ থেকে ৫৮ হাজার টাকার বিনিময়ে ৬ থেকে ১৪ প্যাকেট ওষুধ এবং ৫ নম্বর ক্যাটাগরিতে ১ লাখ ১৭ হাজার টাকার বিনিময়ে ২৮ প্যাকেট ভুয়া ওষুধ দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল সুইসড্রাম কোম্পানি। যদিও প্রতিষ্ঠানটি নির্দিষ্ট কোনো সাইনবোর্ড ও ঠিকানা নেই।

প্রতারণার কার্যপদ্ধতি:

টার্গেট বা সদস্য সংগ্রহ:

এ প্রতারক চক্রের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মী/সদস্য রয়েছে। তারা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বেকার ও অস্বচ্ছল তরুণ-তরুণী এমনকি শিক্ষিত লোকজনকে স্বল্প সময়ে অধিক মুনাফা লাভের প্রলোভন দেখিয়ে প্লাটিনাম, গোল্ড, সিলভার ও সাধারণ সদস্য হিসেবে অর্ন্তভুক্ত করে। কথাবার্তায় পটু, আর্থিকভাবে মোটামুটি স্বচ্ছলদের সদস্য সংগ্রহের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়। তাদের মোটা অংকের টাকা দিতে বাধ্য করে এবং নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে ব্যাপক অর্থ আত্মসাৎ করা হয়।

পরের ধাপে, গ্রেফতার কাজী আল-আমিন দামি ব্র্যান্ডের গাড়ি নিয়ে কোম্পানির নতুন সদস্যদের কাছে প্রবাসী এবং বিভিন্ন দপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতেন। তাদের প্রলুব্ধ করে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পদে মনোনয়ন দিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতো। ভুক্তভোগীদের প্রলুব্ধ করে এবং তথ্যাদি সংগ্রহ করে ভুলিয়ে বিভিন্ন কৌশলে প্রতারক চক্রের কার্যালয়ে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হতো। এদের গ্রাহক/টার্গেট সংগ্রহের জন্য নির্দিষ্ট অংকের টাকা দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করা হতো এবং অধিক মুনাফা লাভের স্বপ্ন দেখানো হতো।

প্রতারণার কৌশল:

সভা/সেমিনার/মোটিভেশনাল ওয়ার্কশপ/আকর্ষনীয় লাঞ্চ ও বুফে ডিনার পার্টির আয়োজন করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এবং রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় আকর্ষনীয় রেস্টুরেন্টে ভিকটিমদের নিয়ে এসে প্রতারণামূলক সভা/সেমিনার/মোটিভেশনাল ওয়ার্কশপ/আকর্ষনীয় লাঞ্চ ও ডিনার পার্টির আয়োজন করতো প্রতারক চক্রটি। অসহায়, নিরীহ অর্ধ-শিক্ষিত এমনকি শিক্ষিত শ্রেণির ভিকটিমরা এধরনের জাঁকালো আয়োজনে প্রলুব্ধ হয়ে খুব সহজেই তাদের প্রতারণার ফাঁদে পা দিতেন। 

র‌্যার-৪- এর সিও অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক বলেন, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সুইসড্রাম কোম্পানি মধ্যশিক্ষিত বেকার ও নিরীহ যুবক এবং শিক্ষিত সরল শ্রেণির লোকজনদের মোটিভেশনাল বক্তব্য দিয়ে ও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সদস্য হিসেবে সুইসড্রাম অ্যাপ- এ অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন পরিচালক কাজী আল-আমিন। প্রতারণার কৌশল হিসেবে তারা ঘন ঘন তাদের অফিস পরিবর্তন করতো।

সুইসড্রাম কোম্পানির বিরুদ্ধে যতো অভিযোগ:

কোম্পানির সব কার্যক্রম প্রতারণামূলক। এ কোম্পানির পণ্যগুলো বিএসটিআই অনুমোদিত নয়। কোম্পানির পণ্য ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর কর্তৃক অনুমোদিত নয়। পণ্য আমদানি সংক্রান্তে উক্ত কোম্পাণির কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। কোম্পানির পণ্য সম্পর্কে কোনো নোটিফিকেশন/ডিক্লারেশন নেই। কোম্পানি কর্তৃক সরকারি ভ্যাট/ট্যাক্সও দিতো না।

গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান র‌্যাব-৪- এর সিও মোজাম্মেল।


নিউজ ট্যাগ: সুইসড্রাম

আরও খবর



ট্রান্সকম গ্রুপের সিমিনসহ তিনজনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমানকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সিমিন রহমানসহ তিনজনকে দেশে ফেরার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সিমিন রহমান ছাড়া বাকি দুজন শীর্ষ কর্তা হলেন- গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহনাজ রহমান ও হেড অব ট্রান্সফরমেশন যারেফ আয়াত হোসেন।

রোববার (৩১ মার্চ) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও কে এম জাহিদ সারওয়ারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

গেলো ২১ মার্চ রাতে ট্রান্সকমের প্রয়াত চেয়ারম্যান লতিফুর রহমানের ছোট মেয়ে শাযরেহ হক গুলশান থানায় সিমিন রহমান সহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এ হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তিনি অভিযোগ করেন, ভাই আরশাদ ওয়ালিউর রহমান অসুস্থ ছিলেন না। তার বড় বোন সিমিন ও অন্য আসামিরা চক্রান্ত করে তাকে হত্যা করেছেন।

উল্লেখ্য, গেলো ২১ মার্চ ট্রান্সকম গ্রুপের সিইও সিমিন রহমান এবং বর্তমান চেয়ারম্যান মা শাহনাজ রহমানসহ তিনজনকে প্রতারণার একটি মামলায় দেশে প্রবেশের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিলেন চেম্বার আদালত।

লতিফুর রহমানের ছোট মেয়ে শাযরেহ হক এই মামলা করেন। তার বড় বোন, ট্রান্সকম গ্রুপের বর্তমান সিইও সিমিন রহমান এবং গ্রুপের বর্তমান চেয়ারম্যান, তাদের মা শাহনাজ রহমানসহ ট্রান্সকমের আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেন শাযরেহ হক।


আরও খবর



সংসদ এলাকায় ড্রোন: মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সাবেক এমপিপুত্র

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সংসদ ভবন, পুরাতন বিমানবন্দর, চন্দ্রিমা উদ্যান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, গণভবন এবং বঙ্গভবন ইত্যাদি রাজধানীর ভিভিআইপি ও স্পর্শকাতর এলাকা। এসব এলাকায় ড্রোন উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে গত ১৫ এপ্রিল সেই আইন ভেঙে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ সড়কে আঁকা আল্পনার ছবি ও ভিডিও করতে ওই এলাকায় ড্রোন উড়ান সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এইচএম গোলাম রেজার ছেলে হোসেন মোহাম্মদ মায়াজ। সেই অপরাধে তাকে আটকও করে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ। পরে অবশ্য মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান এই এমপিপুত্র।

এ প্রসঙ্গে হোসেন মোহাম্মদ মায়াজ জানান, পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আঁকা আল্পনার একটি ভিডিওগ্রাফি ও ছবি তোলার জন্য তিনি পূর্ব অনুমতি ছাড়া তার ব্যক্তিগত ড্রোন ব্যবহার করেন। এটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। এলাকাটি রেস্ট্রিক্টেড এবং নিরাপত্তার স্বার্থে সচেতন থাকা উচিত ছিল জানিয়ে নিজের ভুলের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। আইনের প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল থাকবেন জানিয়ে এই ধরনের কর্মকাণ্ড ভবিষ্যতে আর কখনো করবেন বলেও অঙ্গীকার করেন মায়াজ।

নিরাপত্তার জন্য পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ড্রোন ওড়ানোর ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ আছে। বিশেষ করে রেড জোনে ড্রোন উড্ডয়ন নিষিদ্ধ। আইন অনুযায়ী, দেশের আকাশসীমায় ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম, রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান, ঘুড়ি ও লেজার রশ্মি ব্যবহারে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। এজন্য একটি নির্দিষ্ট সময় আগে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে দেওয়া ফরম অনুযায়ী পূর্বানুমতি নিতে হবে।

সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) অনুমতি ছাড়া ড্রোন না ওড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, সম্প্রতি কিছু উৎসাহী ব্যক্তি, বেসামরিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, এনজিও এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিনা অনুমতিতে বাংলাদেশের আকাশ সীমায় ড্রোন, রিমোটলি পাইলটেড এয়ারক্রাফট সিস্টেম (ইউএভি/আরপিএএস), রিমোট কন্ট্রোলড খেলনা বিমান, ঘুড়ি ও ফানুস ইত্যাদি উড্ডয়ন করছেন। জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এ ধরনের অননুমোদিত উড্ডয়ন, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার ঝুঁকি হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনেও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

রেড জোনে ড্রোন উড়ানোর বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেঁজগাও ডিভিশনের মোহাম্মদপুর জোনের এডিসি রওশানুল হক সৈকত বলেন, নিরাপত্তার জন্য পৃথিবীর সব দেশেই স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ড্রোন ওড়ানোর ক্ষেত্রে কঠোর বিধি-নিষেধ আছে। আমাদের দেশেও স্পর্শকাতর এলাকায় ড্রোন ওড়ানো নিষেধ। এটা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের নিরাপত্তার জন্য জরুরি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ড্রোন নিবন্ধন ও উড্ডয়ন নীতিমালা-২০২০ অনুযায়ী ড্রোন অপারেশন জোন রয়েছে, যেখানে রেড জোনে ড্রোন উড়ানো নিষিদ্ধ। বিমানবন্দর বা বিশেষ কেপিআই রেড জোনের মধ্যে পড়েছে। বিশেষ অনুমতি ছাড়া রেড জোনে ড্রোন উড়ানো যাবে না; এ বিষয়ে সবার সচেতন হওয়া জরুরি। যেকোনো দেশের রাষ্ট্রের নিরাপত্তার সঙ্গে কেপিআইয়ের নিরাপত্তা ওতপ্রোতভাবে জড়িত।


আরও খবর



অরিত্রীর আত্মহত্যা : দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মামলার রায় ফের পেছালো

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় ওই প্রতিষ্ঠানের সাময়িক বরখাস্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখা প্রধান জিন্নাত আক্তারের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় চতুর্থ দফার মত পিছিয়েছে। আগামী ৩ জুন রায়ের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ-১২ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঘোষণার জন্য আগামী ৩ জুন নতুন দিন ধার্য করেন আদালত।

গত ২৭ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের তারিখ ২১ জানুয়ারি ধার্য করেন। তবে, ওই দিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তা পিছিয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়। ওই দিনেও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তারিখ পিছিয়ে ৩ মার্চ ধার্য করা হয়। একই কারণে রায় ঘোষণার দিন পিছিয়ে ৯ এপ্রিল ধার্য করেন আদালত।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর অরিত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

২০১৯ সালের ২০ মার্চ এ দুই শিক্ষককে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কামরুল হাসান তালুকদার। আসামিদের নির্দয় ব্যবহারে অরিত্রী আত্মহত্যায় প্ররোচিত হয় বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করা হয়।

একই বছরের ১০ জুলাই এ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ২৫ নভেম্বর এ মামলার বাদী ও অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারীর জবানবন্দির মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এরপর ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট অরিত্রী মা বিউটি অধিকারী আদালতে সাক্ষ্য দেন। এ মামলার ১৮ সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছে মোবাইলফোন পান শিক্ষক। মোবাইলফোনে নকল করেছে-এমন অভিযোগে অরিত্রীর মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। দিলীপ অধিকারী তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। এসময় অরিত্রী দ্রুত অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। পরে শান্তিনগরে বাসায় গিয়ে তিনি দেখেন, অরিত্রী তার কক্ষে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে।


আরও খবর



যমুনায় নানীর সাথে মাছ ধরতে গিয়ে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জামালপুর প্রতিনিধি

Image

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় নানীর সাথে যমুনা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে মিনহাজ উদ্দিন (১০) ও মিনাল মিয়া (৮) নামে দুই সহোদর ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার সাপধরী ইউনিয়নের দুর্গম চরশিশুয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

তারা উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের জারুলতলা এলাকার আজাহার মিয়ার ছেলে। এর আগে ঈদের দুইদিন আগে বাবা-মার সাথে তারা নানা দুদু সরকারের বাড়িতে বেড়াতে আসে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ শনিবার দুপুর ১টার দিকে বাড়ির পাশে নানীর সাথে যমুনা নদীতে মাছ ধরতে যায় ওই দুই শিশু। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীর পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয় তারা। অনেক খোঁজাখুঁজির এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর তাদের মৃতদেহ নদীতে ভেসে উঠে।

সাপধরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ্ আলম মন্ডল জানান, তাদের নানা খুবই দরিদ্র। নদীতে মাছ ধরেই জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। দুপুরে নানীর সাথে যমুনা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।


আরও খবর



সুপারসনিক মিসাইল নিয়ে ভূমধ্যসাগরে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরাইলের ভূখণ্ডে ইরানের কয়েকশ ড্রোন এবং মিসাইল হামলার জেরে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ভূমধ্যসাগরে যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে রাশিয়া।

রবিবার (১৪ এপ্রিল) রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে আলজাজিরা জানিয়েছে, মার্শাল শাপোশনিকভ নামে রাশিয়ার ফ্রিগেটটি মিশরের সুয়েজ খাল হয়ে ভূমধ্যসাগরে প্রবেশ করেছে। এই ফ্রিগেট কিনঝাল সুপারসনিক মিসাইল দিয়ে সজ্জিত।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, পরিকল্পিত নৌ মহড়ার অংশ হিসাবে কিনঝাল সুপারসনিক মিসাইল সজ্জিত রাশিয়ান নৌবাহিনীর একটি ফ্রিগেট ভূমধ্যসাগরে প্রবেশ করেছে।

পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মার্শাল শাপোশনিকভ তার ওপর অর্পিত কাজগুলি সম্পাদন করে যাবে বলেও বিবৃতিতে জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এর বাইরে আর বিস্তারিত তথ্য দেয়া হয়নি।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরাইল। এতে বিপ্লবী গার্ডের দুই কমান্ডারসহ ৭ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিহত হন।

ওই ঘটনার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজন বিরাজ করছে। এই ইস্যুতে আঞ্চলিক বিশৃঙ্খলা এড়াতে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল ক্রেমলিন।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‌এই অঞ্চলের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ অস্থিতিশীলতার দিকে যাতে চলে না যায় সেজন্য এখনই সব পক্ষের সংযম বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এদিকে দামেস্কের কনস্যুলেটে হামলার উপযুক্ত জবাব দেয়ার যে হুঁশিয়ারি ইরানের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছিল তা রোববার (১৪ এপ্রিল) বাস্তবায়ন করেছে দেশটি। ইসরাইলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান।

ইরানের এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাজ্য, জার্মানিসহ পশ্চিমা দেশগুলো। যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সসহ অনেক দেশ ইরানের হামলা ঠেকাতে ইসরাইলকে সহায়তা করেছে। ইসরাইলের নিরাপত্তার জন্য সবকিছু করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

এক বিবৃতিতে ইসরাইলে ইরানি হামলার শক্ত ভাষায় নিন্দা জানিয়েছেন বাইডেন। বিবৃতিতে তেল আবিবকে ওয়াশিংটনের লোহবর্মের মতো সুরক্ষা দেয়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যাক্ত করেন বাইডেন।

এই অঞ্চলে মার্কিন বাহিনী এবং তাদের কোনো স্থাপনা ইরানের লক্ষ্যবস্তু না হলেও সমস্ত হুমকির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক রয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।

বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের দিক থেকে আসা সব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে ইসরাইলকে সহায়তা করেছে।

এদিকে ইসরাইলে ইরানের এ হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ সলজের মুখপাত্র ইরানকে সতর্ক করে বলেছেন, এটি আঞ্চলিক যুদ্ধের ঝুঁকিতে রয়েছে।

জার্মানি ইসরাইলের পাশে থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, এই দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং অযৌক্তিক হামলার মাধ্যমে ইরান একটি আঞ্চলিক সংঘর্ষের ঝুঁকিতে পড়ল।

এদিকে এই ঘটনায় তৃতীয় কোনো পক্ষ নাক গলাতে এলে কিংবা ইসরাইলের পাল্টা পদক্ষেপে সহায়তা করলে তার বিরুদ্ধেও হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। ওয়াশিংটন ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর পদক্ষেপে সমর্থন জানালে মার্কিন ঘাঁটিও লক্ষ্যবস্তু করা হবে বলে জানিয়েছে ইরান।

এদিকে হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরাইলের ওপর ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার প্রতিক্রিয়ায় জারি করা এক বিবৃতিতে সব পক্ষকে শান্ত ও ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্রের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলমান পরিস্থিতিতে গাজা সংঘাত আরও দীর্ঘ হবে। সংঘাত এখনই শেষ হওয়া উচিত।

মুখপাত্র আরও বলেন, গত ২৫ মার্চ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে যে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে তা বাস্তবায়নে আর বিলম্ব করা উচিত নয়। ওই অঞ্চলে শান্তি এবং গঠনমূলক ভূমিকা পালন করার জন্য প্রভাবশালী দেশগুলোর প্রতিও আহ্বান জানানো হয়েছে।


আরও খবর