আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিলে আক্রান্ত হতে পারে, কিন্তু গুরুতর অসুস্থ হবে না

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

করোনার টিকা নেওয়ার পরেও শরীরে ভাইরাসটির জীবাণু পাওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি গুরুতর অসুস্থ হবেন না। কিন্তু তার মাধ্যমে অন্য কেউ আক্রান্ত হতে পারেন।

সম্প্রতি ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও কেউ কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন, এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশেষজ্ঞরা একথা বলেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা ভাইরাসের প্রথম ডোজ নেওয়ার দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর শরীরে ভাইরাসের বিরুদ্ধে এন্টিবডি তৈরি হতে থাকে। দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ১৪ দিন পর শরীরে সর্বোচ্চ এন্টিবডি তৈরি হয়। করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও কেউ আক্রান্ত হতে পারেন, তবে এতে তার করোনা ভাইরাসের মৃদু উপসর্গ দেখা দেবে। তিনি গুরুতর অসুস্থ হবেন না। কিন্তু তার মাধ্যমে অন্য কেউ আক্রান্ত হতে পারেন।

টিকা নেওয়ার ১২ দিন পর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. মোহসীন। তিনি রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশিষ্ট চিকিৎসা বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী বলেন, টিকা নেওয়ার ১২ দিন পর শরীরে যে পূর্ণ এন্টিবডি ডেভেলপ করে বিষয়টি তেমন না। মূলত ১৪ দিন পর থেকেই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। সাধারণত ২৮ দিন সময়ে পূর্ণাঙ্গ মাত্রায় এন্টিবডি তৈরি হয়। এই সময়ের আগে করোনায় আক্রান্তের একটা বিষয় হতে পারে, আবার দ্বিতীয় আরেকটা কারণ হতে পারে সেটা হলো অন্য কোনো করোনা ভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন, যে ভ্যারিয়েন্ট কোনোভাবে এই ভ্যাকসিনকে বাইপাস করে গেছে। 

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) অন্যতম উপদেষ্টা এবং সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন এ বিষয়ে বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণের তিন সপ্তাহ পর শরীরে ভাইরাসের বিরুদ্ধে এন্টিবডি তৈরি হতে থাকে। শরীরে সর্বোচ্চ এন্টিবডি তৈরি হয় দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়ার ১৪ দিন পর। কথা হচ্ছে টিকা নেওয়ার আগে ও পরে আক্রান্ত হলে করোনা ভাইরাসের নমুনা শরীরে পাওয়া যেতে পারে। আবার শরীরে এন্টিবডি তৈরি হওয়ার পর যদি কেউ আক্রান্ত হন, তাহলে তার শরীরে করোনা ভাইরাসের মৃদু লক্ষণ, সামান্য জ্বর এবং কাশি হতে পারে। 

ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে এই ভাইরাসে তিনি গুরুতর অসুস্থ হবেন না। তবে তার মাধ্যমে অন্য কেউ আক্রান্ত হতে পারেন। অন্য কেউ আক্রান্ত হলে তার যদি ভ্যাকসিন নেওয়া না থাকে, তাহলে তিনি গুরুতর অসুস্থ হতে পারেন। এজন্যই আমরা বলছি, টিকা নিলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সমস্ত ভ্যাকসিন কিন্তু সিভিয়ার ডিজিস প্রতিরোধে সক্ষম। অন্য দেশে গবেষণায় দেখা গেছে ভ্যাকসিন করোনা ভাইরাসের সিভিয়ার ডিজিসকেও আটকাতে সক্ষম। এটা প্রথম জেনারেশনের ভ্যাকসিন। পরবর্তীসময়ে ভ্যাকসিনের যে সংস্করণ আসবে, সেগুলো আরও বেশি কার্যকর হবে। সেগুলো হয়তো করোনা ভাইরাসের ট্রান্সমিশন রোধ করতেও সক্ষম হবে।

ভ্যাকসিন কার্যক্রমের পাশাপাশি গবেষণার বিষয়ে আরও বেশি উদ্যোগ নেওয়া দরকার বলে মনে করছেন ডাক্তার এবং গবেষকরা। তারা বলছেন, আরটি পিসিআর টেস্টের পাশাপাশি বাধ্যতামূলক শতকরা ৫ থেকে ১০ শতাংশ নমুনা সিকোয়েন্সিং করে দেখা দরকার। ভাইরাসের নমুনা শুধু সিকোয়েন্সিং করে মিউটেশন আছে কিনা, সেটা দেখলে হবে না, পাশাপাশি এই ভাইরাসের সঙ্গে ডিজিস ও ভ্যাকসিনের সম্পর্ক কী সেটাও আমাদের সিকোয়েন্সিং করে দেখতে হবে।  


আরও খবর



ইসরায়েলের কোনও দূতাবাস নিরাপদ নয়: ইরান

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের সর্বোচ্চ নেতার একজন উপদেষ্টা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, গত সপ্তাহে সিরিয়ার রাজধানীতে ইসরায়েলের হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের সাত সদস্য নিহত হওয়ার পর কোনো ইসরায়েলি দূতাবাস আর নিরাপদ নয়’।

খবর অনুসারে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ইয়াহিয়া রহিম সাফাভি বলেন, ইহুদিবাদী সরকারের দূতাবাসগুলো এখন আর নিরাপদ নয়।

ইরানের বার্তা সংস্থাটি একটি গ্রাফিকসও প্রকাশ করেছে যাতে দাবি করা হয়েছে, নয় ধরণের ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে যা ইসরায়েলে আঘাত হানতে সক্ষম।

গত সোমবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এই হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদি ছাড়াও ছয়জন নিহত হন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ইরানের আরেক জেনারেল আছেন।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, কূটনৈতিক মিশনে দিবালোকের এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে অনুশোচনা’ করিয়ে ছাড়বে তেহরান।


আরও খবর



তামিম-মিরাজের সেই বিজ্ঞাপন ইস্যুতে যা বললেন পাপন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বেশ কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে তামিম ও মেহেদী হাসান মিরাজের এক ফোনালাপ। দেশের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের অংশ ছিল সেটি। তামিম-মিরাজের এমন বিজ্ঞাপনী প্রচারণা ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। এবার সেই বিজ্ঞাপন ইস্যুতে কথা বলেছেন যুব ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পাপন জানান, এখনও সমালোচিত সেই বিজ্ঞাপনটি দেখেননি তিনি।

বিসিবি সভাপতি বলেন, আমি বিজ্ঞাপনটা দেখিনি, তবে শুনেছি। একজন আমাকে বলেছে যে এ রকম একটা বিজ্ঞাপন হয়েছে। ওরা যদি বিসিবির কোন নিয়ম ভেঙে থাকে তাহলে বোর্ড তার সিদ্ধান্ত নেবে।

তিনি আরও বলেন, এমন কোনো বিজ্ঞাপন কিংবা নাটক করা উচিত না যেটা কোনো ক্রিকেটারকে হাস্যকরে পরিণত করে।

ক্ষোভ প্রকাশ করে বিসিবি প্রধান বলেন, এরা কেউ বাচ্চা ছেলে না যে, হঠাৎ করে আজকে ওদেরকে মাঠে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই জিনিসটা বলে দিতে হবে। তারা প্রত্যেকে জানে। এই কারণে আমাদের মনটা খারাপ হয়েছে এবং সেটা নিয়েই কথা বলব। সেজন্য আজকে সবার সঙ্গে বসার জন্য এখানে আসছি।


আরও খবর



কত ভোটে হারলেন হেলেনা জাহাঙ্গীর

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে মাহমুদ কলি-নিপুণ আক্তার প্যানেল থেকে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে প্রার্থী হয়েছিলেন প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে জেল ফেরত হেলেনা জাহাঙ্গীর। তবে জয়ের স্বাদ পাননি তিনি।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সমালোচিত এ নারীর বাক্সে ভোট পড়েছে ১৭০ টি।

এদিকে হেলেনা জাহাঙ্গীর ছাড়াও কার্যনির্বাহী সদস্য পদে হেরেছেন সুজাতা আজিম, সঞ্জু জন, স্বপ্না, সাইফ, মো. সাইফুল, মো. ফিরোজ মিয়া, বাদল শেখ, পীরজাদা শহীদুল হারুন, নাদের চৌধুরী, নিরঞ্জন সরকার, নাসরিন, তানভীর তনু, জেসমিন আক্তার, সাদিয়ায় মির্জা, ইউসুফ খান।

নিপুণের হাত ধরে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। সেসময় অভিযোগ উঠেছিল নীতিমালা না মেনে এই তাকে শিল্পী সমিতির সদস্য পদ দিয়েছে সদ্য ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণের নেতৃত্বাধীন কমিটি।

সমিতির সদস্য হওয়ার জন্য একজন শিল্পীর যে যোগ্যতা লাগে (ন্যূনতম পাঁচটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অবিতর্কিত চরিত্রে অভিনয় করতে হয়) তা তার ছিল না। তারপরও হেলেনা জাহাঙ্গীরকে সমিতির সদস্য পদ দেয়া হয়।

নির্বাচনে অংশ নিয়েই হেলেনা জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আমার গার্মেন্টস কারখানা আছে। সংস্কৃতি অঙ্গনের যাদের চাকরি লাগবে, তাদের আমি চাকরি দিতে পারব। এ জন্য কলি-নিপুণ পরিষদের যে অফার ছিল তা লুফে নিয়েছি।

সেসময় তার এ মন্তব্যে চলচ্চিত্রাঙ্গণে সমালোচনা শুরু হয়। বিতর্কিত হেলেনা জাহাঙ্গীরের সদস্য হওয়ার খবরে নিন্দা জানান শিল্পীরা।


আরও খবর



বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি অুনসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালা উদ্দিন রিগ্যান সোমবার (২২ এপ্রিল) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এটির শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

এ বিষয়ে দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলছেন, তারা রিটের একটি কপি হাতে পেয়েছেন। সেখানে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে বিবাদী করা হয়েছে দুদক চেয়ারম্যান, সচিবসহ চারজনকে।

এর আগে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন যা তার আয়ের তুলনায় অসম।

গত ৩১ মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠে ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক মহাপরিদর্শক তার স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন।

বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার আয়ের তুলনায় প্রতিবেদনে উল্লিখিত সম্পত্তিগুলি অধিগ্রহণ করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে চিঠিতে জানান ব্যারিস্টার সুমন। এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, স্ত্রী, বড় মেয়ে এবং ছোট মেয়ের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ সংগ্রহের জন্য তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদককে অনুরোধ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দৈনিক কালের কণ্ঠে ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি।

জাতীয় ওই দৈনিকে বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে তার নানা অর্থ সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়। বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে, গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। এছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার পাশে বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি।

অথচ গত ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদ বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।


আরও খবর



ইরানি কনস্যুলেটে হামলা, কমান্ডারসহ নিহত ৭

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেট ভবনে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের এক কমান্ডারসহ অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (০১ এপ্রিল) সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের মাজেহতে অবস্থিত কনস্যুলেট ভবনের এনেক্স ভবনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সানার বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

লেবানের একটি নিরাপত্তা সূত্র বলেছেন, এই হামলায় বিপ্লবী গার্ডের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার মোহাম্মদ রেজা জাহিদী নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলিদের চালানো হামলায় ইরানি কনস্যুলেটের সেই ভবনটি পুরোপুরি ধসে গেছে। হামলার পরপর ভবনটি থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলি বের হতে দেখা যায়।

তবে হামলার ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি দখলদার ইসরায়েল।

সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েলি হামলায় ইরানের কনস্যলেট ভবনটি পুরোপুরি ধসে গেছে এবং ভবনের ভেতর যারা ছিলেন তাদের সবাই আহত অথবা নিহত হয়েছেন।

তবে ইসরায়েলি হামলায় সিরিয়ায় নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত হোসেন আকবারি এবং তার পরিবারের কোনও সদস্য ক্ষতিগ্রস্ত হননি। কনস্যুলেটের যে ভবনটিতে হামলা হয়েছে তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।

যদিও হামলার পর সিরিয়ার বার্তাসংস্থা সানা নিউজ জানিয়েছিল, ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কোনও একটি ক্ষেপণাস্ত্র কনস্যুলেটের এনেক্স ভবনে আঘাত হানতে সমর্থ হয়।

গত সপ্তাহে সিরিয়ায় আরেকটি বড় হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল। ওই হামলায় ৫৩ জন নিহত হন। যার মধ্যে ৩৮ সিরীয় সেনা এবং হিজবুল্লাহর ৭ যোদ্ধা ছিলেন।


আরও খবর