বিশ্বকাপে চিতার
মতো ছুটছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। প্রতিপক্ষের কোনো ডিফেন্ডারই এখন পর্যন্ত আটকাতে পারেননি
তাঁকে। ফরাসি স্ট্রাইকারের কাছে নাস্তানাবুদ হয়ে পোল্যান্ড ডিফেন্ডার ম্যাটি ক্যাশ
জানিয়েছেন, শেষ ষোলোর ম্যাচে তাঁর পায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন এমবাপ্পে।
এরপর থেকেই বিশ্বকাপে
এমবাপ্পেকে থামাবেন কে এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। সেই আলোচনায় যুক্ত হয়ে ইংল্যান্ডের
সাবেক ডিফেন্ডার গ্যারি নেভিল জানিয়েছেন, পিএসজি তারকাকে আটকানোর ক্ষমতা কাইল ওয়াকারের
আছে।
পূর্বসূরির এমন
প্রশংসা শুনে এমবাপ্পেকে আটকাতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন ওয়াকার। তাঁর মতে, ফরাসি স্ট্রাইকারকে
লাল গালিচায় অভ্যর্থনা জানাবেন না তিনি। তাঁকে আটকে দিতে প্রস্তুত ম্যান সিটির ডিফেন্ডার।
ইংল্যান্ড-ফ্রান্সের
কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচটিকে তাই অনেকেই মনে করছেন ইংল্যান্ড বনাম এমবাপ্পের ম্যাচ।
তবে এমনটা মানতে নারাজ ইংলিশ ডিফেন্ডার ওয়াকার। ৩২ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার বলেছেন, মনে
করি না, এটি ইংল্যান্ড বনাম এমবাপ্পে ম্যাচ। এটি অবশ্যই ইংল্যান্ড বনাম ফ্রান্স ম্যাচ।
আমরা তার প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, সে দুর্দান্ত একজন ফুটবলার এবং সে বিশ্বকাপে দুরন্ত
ফর্মেও আছে। কিন্তু তার জন্য আমি লাল গালিচা বিছিয়ে রাখব না। আর বলব না যে যাও এবং
গোল কর।
নিজের দেশের বিশ্বকাপ
জয়ের পথে এমবাপ্পে কোনো বাধা হবেন না বলেও জানিয়েছেন ওয়াকার। তিনি বলেছেন, কোয়ার্টার
ফাইনালে আমার দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করব। এটা বাঁচা-মরার ম্যাচ। যদি আমরা হারি তাহলে
দেশে ফিরব। তবে সে আমার দেশের বিশ্বকাপ জয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।
বিশ্বকাপে প্রতিপক্ষের
ডিফেন্ডারদের গতিতে পরাস্ত করে এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা এমবাপ্পে।
৪ ম্যাচে ৫ গোল করেছেন এই ফরাসি স্ট্রাইকার। সঙ্গে দুটি গোলে সহায়তাও করেছেন তিনি।
ফলে গোল্ডেন বুট জেতার ক্ষেত্রে অনেকের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে আছেন ২৩ বছর বয়সী এই তারকা।
ইতিমধ্যে অনেককে পেছনে ফেললেও এখন দেখার বিষয় কোয়ার্টার ফাইনালে ওয়াকারকে কীভাবে পরাস্ত
করবেন এমবাপ্পে।