কোনো ব্যক্তি
কোনো কর্মের কপিরাইটের স্বত্বাধিকারী না হয়ে প্রকাশ, পরিবেশন বা সম্পাদন করলে পাঁচ
লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ‘কপিরাইট আইন,
২০২৩’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি)
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার
বৈঠকে এ খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে
ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আমাদের
একটা কপিরাইট আইন ছিল। সেটা ২০০০ সালে প্রণয়ন করা হয়েছিল। এরপর ২০০৫ সালে সেটি সংশোধন
করা হয়েছিল। ডিজিটাল যুগের কিছু বাস্তবতার আলোকে এই কপিরাইট আইনকে সংশোধন করে নতুন
একটি খসড়া করা হয়েছিল। সেটি ২০২১ সালের অক্টোবরে কিছু অবজারভেশনসহ নীতিগত অনুমোদন
দেওয়া হয়েছিল। মন্ত্রিসভা এটি চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ
সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, সময়ের প্রেক্ষাপটে বেশ কিছু সংজ্ঞা সংযোজন এবং বিয়োজন করা
হয়েছে। অজ্ঞাতনামা বা ছদ্মনামে কর্মের সত্ত্বাধিকারী, ডেটাবেজ, পাবলিক ডোমেইন, মনোগ্রাম,
প্রডিউসার, ব্যক্তি, লোকগান, লোকসংস্কৃতি, সম্পাদক, সম্পত্তি অধিকার—এসব কিছুর নতুন
সংজ্ঞা সংযোজিত হয়েছে।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের
জন্য যদি কোনো মেধাসত্ত্বের বিষয় থাকে, তা নিশ্চিত করার কথা আইনে রাখা হয়েছে উল্লেখ
রয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
মাহবুব হোসেন
বলেন, পাইরেসি প্রতিরোধে দণ্ডের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ডিজিটাল অর্থাৎ কম্পিউটারভিত্তিক
কার্যক্রমকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে, যা আগে ছিল না। ডিজিটাল প্লাটফর্মে কপিরাইট লঙ্ঘনের
ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আইনে লোকগান ও
লোকসংগীতে অধিকার সুরক্ষার জন্য একটি নতুন জিনিস সংযোজন করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ
সচিব।
শাস্তির বিষয়ে
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি কপিরাইটের স্বত্বাধিকারী না হয়ে প্রকাশ,
পরিবেশন বা সম্পাদন করেন তাহলে তিনি অনধিক পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।