বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) কয়েকটি নিয়মে পরিবর্তন এনেছে। এতে ফিল্ডিংরত দলকে বেশ চাপে পড়তে হতে পারে। ডিআরএস প্রযুক্তির ব্যবহার এবং কনকাশন নিয়মেও আনা হয়েছে এই পরিবর্তন। বদল করা হয়েছে স্টাম্পিংসহ মাঠে চোট পরীক্ষার সময়ের নিয়মেও। এই পরিবর্তন গত বছরের ১২ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে।
স্টাম্পিংয়ের আবেদন পর্যালোচনার ক্ষেত্রে ব্যাটার কট বিহাইন্ড হয়েছেন কি না সেটা চেক করবেন না আম্পায়াররা। আইসিসি জানিয়েছে, আউটের আবেদন করলে ব্যাটার স্টাম্পড আউট হয়েছেন কি না সেটিই শুধু দেখা হবে। উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচের আবেদন করলে দ্বিতীয়বারের জন্য রিভিউ নিতে হবে বোলিং দলকে।
আইসিসির সংশোধনীতে বলা হয়, পরিবর্তিত রিভিউ শুধুমাত্র স্টাম্পড আউট পরীক্ষার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। রিভিউ না নেওয়া সত্ত্বেও অন্য ডিসমিসালের ক্ষেত্রে ফিল্ডিং দল যেন একটি ফ্রি রিভিউ না পায়, সেটা প্রতিরোধ করার জন্যই এই নিয়ম।
এছাড়া কনকাশন সাবস্টিটিউটের নিয়মেও পরিবর্তন আনে আইসিসি। কনকাশনের সময় কোনো খেলোয়াড়ের বোলিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকে তাহলে বদলি হিসেবে আসা খেলোয়াড়ও বোলিং করতে পারবেন না। সেই সঙ্গে একজন ক্রিকেটারের চোট পর্যবেক্ষণ করার জন্য সর্বোচ্চ ৪ মিনিট সময় পাবেন চিকিৎসকরা।
টিভি আম্পায়ার এখন সব ধরনের নো বল চেক করে মাঠের আম্পায়ারকে নির্দেশ দিতে পারবেন। এতোদিন শুধু সামনের পা পর্যবেক্ষণ করেন নো বলের সিগন্যাল দিতে পারতেন তারা।
একইভাবে কোনো বোলার ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়লেও, তার পরিবর্তে নামা ক্রিকেটারের বল করার ক্ষেত্রে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। আর মাঠে চোটের চিকিৎসার জন্য কোনো দল সর্বোচ্চ ৪ মিনিট সময় পাবে বলেও নতুন এই নিয়মে জানানো হয়।
এর আগে মাঠে চোট পেলে ক্রিকেটারদের পরীক্ষার জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময় ছিল না। ফলে ফিল্ডিংরত দল প্রয়োজন অনুযায়ী সময় নিত। কিন্তু এখন থেকে মাঠে চোট পেলে ৪ মিনিটের বেশি সময় নিতে পারবেন না চিকিৎসকরা। এর মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাদের। মাঠে যাতে অতিরিক্ত সময় নষ্ট না হয়, সেজন্যই এই নিয়মে বদল করেছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।