জুনের প্রথম দিকেই দক্ষিণ ভারতের কেরালায়
বর্ষা শুরু হয়। কিন্তু এ বছর দক্ষিণপূর্ব আরব সাগরে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপের কারণে
তা বিলম্বিত হচ্ছে। সেই নিম্নচাপ এবার ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। ঘূর্ণিঝড় হলে সেটি
বিপর্যয় নামে পরিচিত হবে।
দিল্লির আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা
হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ওই গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের আকার নিতে পারে। ফলে
কেরালায় বর্ষা ঢুকতে দেরি করিয়ে দিতে পারে বিপর্যয়।
ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার পর সেটি উত্তরপশ্চিম
দিকে আগ্রসর হবে। ঝড়ের গতি হতে পারে ঘণ্টায় ৫৫ কিলোমিটারের বেশি। আবহাওয়া দফতরের
পূর্বাভাস হলো, বিপর্যয়ের প্রভাবে মুম্বাই ও কোঙ্কোন উপকূলে আগামী ১২ জুন পর্যন্ত
প্রবল বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আরব
সাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ ছিল গোয়া থেকে ৯২০ কিলোমিটার
দক্ষিণপশ্চিম। আর মুম্বাই থেকে ১১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে।
আরও পড়ুন: ৫৯ জেলায় তাপপ্রবাহ, চলতে পারে আরও পাঁচ দিন
উল্লেখ্য, আরব সাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের
প্রভাবে কেরালায় বর্ষা ঢুকতে দেরি হবে। দক্ষিণের এই রাজ্যে মৌসমি বায়ু ঢুকতে পারে ৭-৮
জুন।
কিছু আবহাওয়া মডেলে দেখা যাচ্ছে, এই ঘূর্ণিঝড়টি
ভারতের পশ্চিম উপকূল ঘেঁষে উত্তর দিকে অগ্রসর হবে। আবার কিছু মডেল দেখাচ্ছে, উত্তর
দিকে এগোতে এগোতে এটি বাঁয়ে বাঁক নেবে এবং ওমানের দিকে এগিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: পাঁচ দিনের মধ্যে সারাদেশে বৃষ্টির পূর্বাভাস
এদিকে ৮ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত কর্নাটক
ও মহারাষ্ট্রের উপকূলে সমুদ্র উত্তাল থাকবে বলে জানা গেছে। এদিকে কেরালা থেকে মহারাষ্ট্র
পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দক্ষিণ কর্নাটকের অভ্যন্তরীণ
এলাকাগুলোতেও বৃষ্টি হতে পারে এই সময়ে। এরপর ৯ থেকে ১২ জুন পর্যন্ত এই ঘূর্ণিঝড়ের
জেরে বৃষ্টি হবে গুজরাটের উপকূলীয় এলাকায়।