আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

কর্নওয়ালের ঘূর্ণিতে ২৯৬ রানে অলআউট বাংলাদেশ

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রাখিম কর্নওয়ালের ঘূর্ণিতে ২৯৬ রানে অলআউট হলো বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭১ রান করলেন লিটন দাস। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৭ রান করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৫৪ রান করেছেন মুশফিকুর রহিম। ক্যারিবীয় স্পিনার রাখিম কর্নওয়াল ৭৪ রান দিয়ে শিকার করেছেন ৫টি উইকেট। এছাড়া শ্যানন গ্যাব্রিয়েল ৩টি আলজারি যোসেফ ২টি করে উইকেট শিকার করেন। প্রথম ইনিংস শেষে বাংলাদেশ পিছিয়ে ১১৩ রানে।

আজ দিনের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মোহাম্মদ মিথুন। গতকাল দিন শেষে ব্যক্তিগত ৬ রানে অপরাজিত থাকা ‍মিথুন আজ ফিরেন ব্যক্তিগত ১৫ রানে। দলীয় ১৪২ রানে কর্নওয়ালের বলে শর্ট মিডউইকেটে ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের হাতে ক্যাচ হন তিনি।

এরপর মুশফিকুর রহিম ফিরে যান ব্যক্তিগত ৫৪ রানে। দলীয় ১৫৫ রানে কর্নওয়ালের বলে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে মায়ার্সের হাতে ক্যাচ হন তিনি। তারপর থেকে লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজের জুটিতে এগোতে থাকে বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে জুটি বাঁধা এই দুই ব্যাটসম্যান মিলে দ্বিতীয় সেশন পার করে দেন।

কিন্তু তৃতীয় সেশনে আবার ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। কর্নওয়ালের করা একই ওভারে ফিরে যান লিটন দাস ও নাঈম হাসান। ৯২তম ওভারে ব্লাকউডের হাতে ক্যাচ হন লিটন। পঞ্চম বলে নাঈমও ক্যাচ হন এই ব্লাকউডের হাতে। লিটন ৭১ রান করলেও নাঈম রানের খাতা খুলতে পারেননি।

এই দুই ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর মিরাজও টিকতে পারেননি। দলীয় ২৮৩ রানে গ্যাব্রিয়েলের বলে কাভারে ব্র্যাথওয়েটের হাতে ক্যাচ হন মিরাজ। তার ব্যাট থেকে আসে ৫৭ রান। দলের রান যখন ২৯৬ তখন যোসেফের বলে বোনারের হাতে ক্যাচ হন আবু জায়েদ রাহি।

গত বৃহস্পতিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ। প্রথম দিন টস জিতে ব্যাট করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় দিন শেষ হয় তাদের প্রথম ইনিংস। ৪০৯ রান করে অলআউট হয় ক্যারিবীয়রা।

সফরকারীদের পক্ষে এনক্রুমাহ বোনার ৯০, জশুয়া ডি সিলভা ৯২ ও আলজারি যোসেফ ৮২ রান করেন। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে আবু জায়েদ রাহি ৪টি, তাইজুল ইসলাম ৪টি, সৌম্য সরকার ১টি ও মেহেদী হাসান মিরাজ ১টি করে উইকেট শিকার করেন। দ্বিতীয় দিনই বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ইনিংসের ব্যাট করতে নামে। ৪ উইকেটে ১০৫ রান করে দিনের খেলা শেষ করেছিল টাইগাররা।

নিউজ ট্যাগ: ক্যারিবীয়

আরও খবর



মাসের শুরুতে বৃষ্টির আভাস, তীব্র তাপদাহে আরও পাঁচ মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপদাহে জনজীবন হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত। তাপপ্রবাহ সঙ্গী করে গতকাল বৃহস্পতিবার চলতি মৌসুমের আরও একটি উষ্ণ দিন পার করল ৪৫ জেলার মানুষ। এ অবস্থায় গতকাল থেকে সারাদেশে চলছে আবহাওয়া অধিদপ্তরের তিন দিনের হিট অ্যালার্ট। চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময় জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিও বাড়বে। আগামী তিন দিনে তাপমাত্রা খুব একটা বাড়বে না, গরমও খুব একটা কমবে না। তবে এবারের তাপপ্রবাহের পর একটু একটু করে বৃষ্টি শুরু হতে পারে বলে আশা করছেন আবহাওয়াবিদরা। আগামী মাসের শুরুতে বৃষ্টি হলেও তাতে তাপমাত্রা কতটা কমে, তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। এ অবস্থায় গরম থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টির প্রার্থনা করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নামাজ আদায় করা হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গত ৩০ বছরের মধ্যে এবারের এপ্রিল উষ্ণতম।

এই বর্ষাপূর্ব মৌসুমে দেশে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে এখন বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করছে। খুলনায় গতকাল ২৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে।

উষ্ণতম এপ্রিল

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এই এপ্রিলে ঢাকার তাপমাত্রা গত ৩০ বছরের একই সময়ের গড়ের চেয়ে চার থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, এপ্রিল বাংলাদেশের উষ্ণতম মাস। তবে স্বাধীনতার পর এবারের এপ্রিলই সবচেয়ে উষ্ণ যাচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় প্রকৃত তাপমাত্রার চেয়েও চার থেকে পাঁচ ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রার গরম অনুভূত হচ্ছে। একটি নির্দিষ্ট তারিখে একটি স্থানের গড় তাপমাত্রা ৩০ বছরের তাপমাত্রার গড় করে গণনা করা হয়।

ঢাকা শহরে গতকাল গড় তাপমাত্রা ছিল ৩৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে রেকর্ড হয়েছে ৩৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গড় তাপমাত্রা হলো ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এল নিনোর প্রভাবে এ তাপপ্রবাহ সৃষ্টি হয়েছে, যা বর্তমানে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে প্রভাব ফেলছে এবং এটি এ মাসের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. আমিরুল আজাদ বলেন, খুলনায় তাপমাত্রা দিন দিন বাড়ছে এবং সেই সঙ্গে তাপদাহের স্থায়িত্বকালও বেড়েছে।

আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বিগত বছরের বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে এটি প্রতীয়মান হচ্ছে, ২০২৪ সাল উত্তপ্ত বছর হিসেবে যাবে। আমরা এ বছর তাপপ্রবাহের দিন ও হার বেশি পেতে যাচ্ছি।

এপ্রিল উষ্ণতম মাস হওয়ায় বরাবরই এ সময়ে দেশের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে উল্লেখ করে অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, এটি অস্বাভাবিক নয়। এবার টানা দুই সপ্তাহ তাপপ্রবাহ থাকায় ও বৃষ্টিহীন পরিস্থিতি বিরাজ করায় গরমের অনুভূতি বেড়েছে। জলীয় বাষ্পের পরিমাণটা বেশি, যে কারণে অস্বস্তি বেশি হচ্ছে। স্বাভাবিক যা থাকার কথা, তার চেয়ে ৪ থেকে ৭ ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রা উঠছে বিভিন্ন এলাকায়।

গরমে আরও ৫ মৃত্যু

সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্য বলছে, গত বুধবার রাত থেকে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে গরমের কারণে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল দুপুরে নিজ কক্ষে দায়িত্ব পালনকালে প্রচণ্ড গরমে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর পানামা পোর্ট লিঙ্ক লিমিটেডের ট্রাফিক পরিদর্শক রুহুল আমিন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে দ্রুত শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকদের ধারণা, অতিরিক্ত গরমে হার্ট অ্যাটাকে রুহুল আমিন মারা গেছেন।

এর আগে বুধবার রাতে পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে মারা যান রতন কর্মকার (৫৮) নামে এক স্বর্ণকার। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শফিকুল ইসলাম জানান, ধারণা করা হচ্ছে, হিট স্ট্রোকে রতন কর্মকার মারা গেছেন।

একই রাতে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গরমে মারা গেছে ঋতু সুলতানা নামের এক শিক্ষার্থী। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বুধবার সকালে রোদের মধ্যে ঋতু মায়ের সঙ্গে ধান শুকানোর কাজ করার সময় অসুস্থ হয়ে পড়ে। রাত আড়াইটার দিকে ঋতু প্রচণ্ড অস্বস্তি বোধ করলে তার বাবা স্থানীয় একজন গ্রাম্য চিকিৎসককে নিয়ে আসেন। এর আগেই ঋতু মারা যায়।

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বুধবার রাতে তীব্র গরমে নিজ বাড়িতে অসুস্থ হয়ে মারা যান ফাতেমা বেগম (৫৭)। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, ফাতেমা দীর্ঘদিন ধরে হাইপার টেনশনের রোগী। চিকিৎসকদের ধারণা, হিট স্ট্রোকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

ঢাকার পিলখানার বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আবদুর রব স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী জেবীন (১৬) প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে মারা গেছে। রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

বৃষ্টি হবে কবে

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, ২৯ এপ্রিলের দিকে সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তবে এখন পর্যন্ত যা দেখা যাচ্ছে, তাতে আগামী মাসের শুরুতে মোটামুটি ভালোই বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এবার বৃষ্টি শুরু হতে পারে সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চল দিয়ে। ফলে গরম খুব একটা কমবে না। তবে তাপমাত্রা আর বাড়বে না, এটি বলা যায়।


আরও খবর



শ্যালককে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে বললেন প্রতিমন্ত্রী পলক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি

Image

নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী লুৎফুল হাবীবকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বলেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) মোবাইল ফোনে তাকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশনা দেন প্রতিমন্ত্রী।

এদিকে অপহরণ ও মারধরের ঘটনায় শুক্রবার রাতে লুৎফুল হাবীবকে উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এ কথা নিশ্চিত করেছেন সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস।

পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, লুৎফুল হাবীবের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশসহ একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রস্তুত করা হচ্ছে। শুক্রবার রাতের মধ্যেই লুৎফুল হাবিবকে নোটিশটি পাঠানো হবে। এছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়ে আগামীকাল শনিবার লুৎফুল হাবীবকে আরও একটি চিঠি পাঠানো হবে। উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন লুৎফুল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দলীয় এই নির্দেশনা অমান্য করলে লুৎফুলের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে তাকে দল থেকে বহিষ্কারও করা হতে পারে।

এর আগে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অপহরণ করে মারধরের ঘটনায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রতিমন্ত্রীর শ্যালক লুৎফুল হাবীবকে তলব করেছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের নোটিশে ১৫ এপ্রিল জেলা নির্বাচন অফিসের সামনে থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনের মনোনয়নপত্র জমাদানে বাধা, মারধর ও অপহরণের ঘটনার কথা তুলে ধরে আগামী তিন দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে লুৎফুল হাবীবকে ফোন দিলেও কল না ধরায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে শুক্রবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অসুস্থ দেলোয়ার হোসেনকে দেখতে যান সিংড়ার সংসদ সদস্য এবং তথ্য প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ ঘটনায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও মারধরের ঘটনায় আমি লজ্জিত, দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী। ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের সুষ্ঠু বিচার হবে।


আরও খবর



হিট স্ট্রোক হলে কী করবেন?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

তীব্র তাপমাত্রায় থাকে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি। তাই একে হেলাফেলা করার সুযোগ নেই। এই গরমে সবাইকেই থাকতে হবে সতর্ক। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এড়িয়ে চলতে হবে সব ধরনের ঝুঁকি। হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে সচেতন ও সতর্ক থাকার বিকল্প নেই। সেজন্য নিজে জানার পাশাপাশি অপরকেও এর লক্ষণ ও প্রতিরোধ সম্পর্কে জানানো জরুরি। কারও হিট স্ট্রোক হয়েছে মনে হলে তাকে দ্রুত কিছু সেবা দিতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

শ্বাস এবং সঞ্চালন পর্যবেক্ষণ : হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস এবং সঞ্চালনের উপর কড়া নজর রাখুন। যদি তিনি অজ্ঞান হয়ে যান বা শ্বাস নেওয়া বন্ধ করে দেন, তবে অবিলম্বে সিপিআর শুরু করুন এবং জরুরি চিকিৎসা সহায়তা না পাওয়া পর্যন্ত চালিয়ে যান। সেজন্য আপনাকে সিপিআর জেনে রাখতে হবে। এটি অনেক জরুরি অবস্থায় আক্রান্ত ব্যক্তির জীবন বাঁচাতে সাহায্য করে।

ঠান্ডা পানীয় পান : হিট স্ট্রোকের প্রভাব এড়াতে ঠান্ডা পানি বা ইলেক্ট্রোলাইট সমৃদ্ধ পানীয় পান করাতে পারেন। তবে অতিরিক্ত ঠান্ডা পানীয় বা খাবার এড়িয়ে চলুন। কারণ অতিরিক্ত ঠান্ডা কিছু খেলে তা কাঁপুনির কারণ হতে পারে, যা শরীরের তাপ উৎপাদন বাড়িয়ে তুলতে পারে।

ভেজা কাপড় বা আইস প্যাক : হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে যাবে। এমন অবস্থায় তার শরীরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য শীতল ও ভেজা কাপড় বা আইস প্যাক ব্যবহার করুন। আক্রান্ত ব্যক্তির মাথা, ঘাড়, বগল এবং কুঁচকির দিকে এটি বেশি ব্যবহার করুন। কারণ এসব স্থান শরীরের প্রধান তাপ-বিনিময় অঞ্চল।

শীতল ও ছায়াযুক্ত পরিবেশে রাখুন : হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত রোদ থেকে সরিয়ে শীতল ও ছায়াযুক্ত পরিবেশে নিয়ে যান। সবচেয়ে ভালো হয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে নিয়ে যেতে পারলে। এমন পরিবেশ আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করবে।

পোশাক ঢিলে করে দিন : এই গরমে ভারী বা আঁটসাঁট পোশাক পরা থেকে বিরত থাকুন। অন্যদেরও একই পরামর্শ দিন। যতটা সম্ভব হালকা ও প্রশান্তিদায়ক রং বেছে নিন। এই গরমে কালো রঙের পোশাক পরা এড়িয়ে চলুন। আবার কেউ হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছে মনে হলে তার পরনের পোশাক ঢিলে করে দিন।


আরও খবর
গরমে যে কারণে দই খাওয়া জরুরি

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪




তীব্র তাপদাহে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের পাশে আইজিপি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বৈশাখের তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত। কিন্তু প্রখর খরতাপ উপেক্ষা করেও নগরবাসীর যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে নিরলস দায়িত্ব পালন করছেন ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের প্রতিটি সদস্য। তাদের পেশাদারিত্ব ও মনোবল অটুট রাখতে সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তারই নির্দেশনায় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান প্রচণ্ড দাবদাহে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের একটু বাড়তি স্বস্তি দিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ডিএমপির আটটি ট্রাফিক বিভাগের প্রত্যেক সদস্যের জন্য সুপেয় পানির বোতল সরবরাহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি খাবার স্যালাইন, ফলের জুস, লেবুর শরবত প্রভৃতি সরবরাহ করা হচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদেরকে ছাতা সরবরাহ করা হয়েছে। প্রতিটি ট্রাফিক-বক্সে হাত-মুখ ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে ও তাপপ্রবাহের মধ্যেও সুস্থ থাকতে প্রত্যেক ফোর্সকে করণীয়/বর্জনীয় সম্পর্কে ব্রিফিং প্রদান করা হয়েছে।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মুনিবুর রহমান বলেন, তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এই মুহূর্তে উত্তপ্ত রোদে ইউনিফর্ম পরে পিচঢালা সড়কে দাঁড়িয়ে নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব একাগ্রচিত্তে পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। এ সময় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মনোবল বাড়াতে আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এ ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে একদিকে ফোর্সের মনোবল যেমন চাঙ্গা হচ্ছে, অপরদিকে তাপদাহের মধ্যেও ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে সম্মানিত নগরবাসী পাচ্ছেন সর্বোত্তম সেবা।

মানবিকতার এসব উদ্যোগ গ্রহণ করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সকল সদস্যের পক্ষ থেকে আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।


আরও খবর



নয় জেলায় কালবৈশাখীর তাণ্ডব, নিহত ১৩

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ১৫ মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে পিরোজপুর পৌরসভার পালপাড়া ও সদর উপজেলার শারিকতলা ডুমরিতলাসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। ঝড়ের তাণ্ডবে নলবুনিয়া গ্রামের খালে পড়ে মৃত কানাই লাল পালের ছেলে অনিল পাল (৮২) মারা গেছেন।

ঝড়ের সময় কানাই লাল গ্রামের একটি বাজারে ছিলেন। ঝড়ের গতি বাড়তে থাকায় এ সময় তিনি বাড়িতে রওনা দিলে প্রচণ্ড বাতাসে তিনি খালে পড়ে নিখোঁজ হন। ঝড় থামলে পরে স্থানীয়রা তাকে মৃত অবস্থায় খাল থেকে উদ্ধার করে। অপরদিকে, ঝড়ের সময় শারিকতলা ইউনিয়নের মরিচাল গ্রামে ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে রুবী বেগম (২২) নামে এক নারী নিহত হন। এসময় তার শিশু কন্যা গুরুতর আহত হলে তাকে খুলনায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

ঝড়ে পিরোজপুর পৌরসভা ও সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় শত শত গাছ উপরে পড়ে ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাঁচা ঘর-বাড়ির টিনের চালা উড়ে গেছে। বিভিন্ন এলাকায় বন্ধ হয়ে গেছে সড়ক যোগাযোগ। ঝড়ে গাছ উপড়ে পড়ে বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। বিদ্যুৎ বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস ও যুব রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা রাস্তায় কাজ করছে।

পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, হঠাৎ ঝড়ে গাছপালা উপড়ে পড়ে পিরোজপুরের সদর উপজেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় ২ জন নিহত হয়েছেন।

কালবৈশাখী ঝড়ে তছনছ হয়ে গেছে ভোলার লালমোহন উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বহু ঘর-বাড়ি। রোববার বেলা ১১টার দিকে লালমোহনে হঠাৎ করেই বইতে শুরু করে ঝড়। প্রায় ঘণ্টাখানেক ধরে চলে ঝড়ের তাণ্ডব। এতে ঘর চাপা পড়ে ও বজ্রপাতে দুইজন নিহত হয়েছেন।

জানা গেছে, ঝড়ের প্রভাবে উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ঘর চাপা পড়ে হারিছ আহমেদ (৭০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। তিনি পার্শ্ববর্তী ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।

একই সময় বজ্রপাতে উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চরলেঙুটিয়া গ্রামে মো. বাচ্চু নামে (৩৫) এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই এলাকার কয়ছর আহমেদের ছেলে। এছাড়া ঝড়ে দুই শতাধিক ঘর-বাড়ির ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। ঝড়ের তাণ্ডবে ছিঁড়ে গেছে বিদ্যুতের তার।

লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঝড়ে দুই জনের প্রাণহানিসহ এলাকায় বেশ কিছু ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।

অপরদিকে, বিচ্ছিন্ন মনপুরা উপজেলায় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এতে উপজেলার হাজিরহাট, উত্তর সাকুচিয়া ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকার তিন শতাধিকের ওপরে ঘর-বাড়ি সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের তিনটি গ্রাম ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।

দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত আধা ঘণ্টাব্যাপী কালবৈশাখী ঝড়ের পাশাপাশি বৃষ্টির তাণ্ডব শুরু হলে এ ক্ষয়-ক্ষতি হয়। ঝড়ে বিধ্বস্ত ঘরের নিচে চাপা পড়ে তিনজন আহত হয়েছে। সবাইকে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। তাদের সবার বাড়ি হাজিরহাট ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে পূর্ব সোনারচর গ্রামে।

এছাড়াও অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঘর বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি উপজেলার মনোয়ারা বেগম মহিলা কলেজের টিনশেড ক্লাসরুমটি বিধ্বস্ত হয়। বিভিন্ন চরে থাকা কৃষকের ৩০টি গরু নদীতে পড়ে নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।

উপজেলার ২নং হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে হাজিরহাট ইউনিয়নে দুই থেকে আড়াইশ ঘরের ওপরে সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়। চর থেকে কৃষকের ৩০টি গরু নদীতে পড়ে হারিয়ে যায়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জহিরুল ইসলাম জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। কোনো সাহায্য সহযোগিতা পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে দেওয়া হবে।

পটুয়াখালীর বাউফলে কালবৈশাখী ঝড়ে রাতুল (১৪) নামের এক কিশোর ও সুফিয়া বেগম (৮৫) নামের এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। রাতুলের বাড়ি উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের রায় তাঁতের কাঠি গ্রামে। বাবার নাম জহির সিকদার। তাকে রাস্তায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে বজ্রপাতে তিনি মারা গেছেন। আর সুফিয়া বেগমের বাড়ি উপজেলার দাশপাড়া ইউনিয়নের চরআলগী গ্রামে। তার স্বামীর নাম মৃত আহম্মেদ প্যাদা। ঘরের উপর গাছ চাপা পরে তিনি নিহত হন। এছাড়াও ঝড়ে উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

রবিবার সকাল সাড়ে ১০টা থকে ১১টা ৫ মিনিট পর্যন্ত ৩৫ মিনিট স্থায়ী এ ঝড়ে কাঁচা বাড়ি-ঘর, গাছ গাছালি উপরে গেছে। বাউফলের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় শতাধিক আধাপাকা বাড়ি বিধ্বস্ত ও কয়েক হাজার গাছগাছালি উপরে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। এ সময় ব্যাপক শিলাবৃষ্টি ও বিরামহীনভাবে বজ্রপাত হয়েছে। বাউফল পৌর শহরের থানার সামনে ছালেহিয়া ফাজিল মাদরাসার একটি ভবনের টিনের চালা উপড়ে রাস্তায় পরে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

গোসিংগা গ্রামের আফসেরের গ্রেজ এলাকায় ঘরের উপর গাছ ভেঙে পড়ে মা সাবিহা (৩০), তার মেয়ে ইভা (১২) ও দুই বছর বয়সি শিশু মারাত্মক আহত হয়েছে। ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে ও বেশ কয়েকটি খুঁটি ভেঙে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে তরমুজসহ রবি ফসল ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বশির গাজী বলেন, ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য কৃষি বিভাগ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রবিবার সকাল ৯টার দিকে বাগেরহাটে আকস্মিক ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলার বিভিন্নস্থানে কয়েকশ কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রচুর গাছপালা উপড়ে ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। আকস্মিক ঝড় চলাকালে জেলার কচুয়া উপজেলার চর সোনাকুড় গ্রামে বজ্রপাতে আরিফুল ইসলাম লিকচান (৩৫) নামে মাদরাসার দপ্তরি নিহত হয়েছেন।

এছাড়া জেলা কেন্দ্রীয় বাস-টার্মিনালে একটি সাইনবোর্ডের টাওয়ার ভেঙে দাঁড়িয়ে থাকা একটি যাত্রীবাহীবাসেরওপর পড়ে এক বাস শ্রমিকসহ বিভিন্ন স্থানে ১৫ জন আহত হয়েছেন।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালিদ হোসেন জানান, আকস্মিক ঝড়ে বাগেরহাটের দেড় শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক এলাকায় ঘরবাড়ি ও গাছপালা উপড়ে পড়েছে।

জেলার রাজস্থলী উপজেলায় বজ্রপাতে সাজেউ খিয়াং (৪৮) নামে একজন নিহত গেছেন। রবিবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।

সাজেউ খিয়াং রাজস্থলী উপজেলার ১নং ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের ধনুছড়ি পাড়া গ্রামের  অংসাউ খিয়াং এর ছেলে। বিকেলে ধনুছড়ি পাড়া গ্রামের নিজের বাড়ির সামনে কাজ করছিলেন সাজেউ খিয়াং। এ সময় বজ্রপাতসহ বৃষ্টি শুরু হলে তিনি নিজের ঘরে অবস্থান নেন। তখন ঘরে বজ্রপাত হলে মারা যান তিনি।

রাজস্থলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ঝালকাঠি জেলার দুই উপজেলায় ঝড়ের সময় মাঠে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই নারী ও এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। বেলা ১১টার দিকে ঝালকাঠি সদর উপজেলার শেখেরহাট, পোনাবালিয়া ইউনিয়ন এবং কাঁঠালিয়া উপজেলার আওরাবুনিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল।

মৃতরা হলেন, কাঁঠালিয়া উপজেলার আওরাবুনিয়া ইউনিয়নের মুন্সিরাবাদ গাজীবাড়ি এলাকার মৃত আলম গাজীর স্ত্রী গৃহিনী হেলেনা বেগম, সদর উপজেলার শেখেরহাট এলাকার ফারুক হোসেনের স্ত্রী গৃহিনী মিনারা বেগম ও পোনাবালিয়া এলাকার মো. বাচ্চুর মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মাহিয়া আক্তার ঈশান। ঝড়ের আধা ঘণ্টাব্যাপী তাণ্ডবে ঝালকাঠির চার উপজেলায় শতাধিক বসতঘর, দোকানপাট, বিদ্যুতের খুটি ভেঙে পড়ে। এ সময় গাছপালারও ব্যাপক ক্ষতি হয়।

ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, বজ্রপাতে শেখেরহাট এলাকায় মিনারা বেগম নামে এক নারী এবং পোনাবালিয়া এলাকায় মাহিয়া আক্তার ঈশান নামে এক কিশোরী নিহত হয়েছে।

কাঁঠালিয়া থানা পুলিশের ওসি নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, বজ্রপাতে কাঁঠালিয়া উপজেলার মুন্সিরাবাদ গাজীবাড়ি এলাকায় গরু আনতে গিয়ে হেলেনা বেগম নামে আরেক নারী নিহত হয়েছেন।

খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলায় বজ্রপাতে মো. ওবায়দুল্লাহ গাজী (২৯) নামের এক মৎস্যচাষি নিহত হয়েছেন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়ার কোমলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওবায়দুল্লাহ গাজী ওই গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেন গাজীর ছেলে। ডুমুরিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের ফুফাতো ভাই আবু সুফিয়ান বলেন, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ওবায়দুল্লাহ পাশের কানাইডাঙ্গা বিলে গরুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান।

নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার হাওরে বজ্রপাতে শহীদ মিয়া (৫২) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। বেলা পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার রাজঘাট হাওরে বজ্রপাতে এ ঘটনা ঘটে।

শহীদ মিয়া উপজেলার মেন্দীপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে। নিহতের ভাই স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম জানান, সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে গ্রামের সামনে রাজঘাট হাওরে মরিচ ক্ষেতের পরিচর্যা করছিলেন তার ভাই। দুপুরের দিকে হঠাৎ বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হলে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলায় ধান ক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে আব্দুল মালেক পাটোয়ারী (৬০) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। সকালে উপজেলার বড়পোদাউলিয়া গ্রামের বিলে এ ঘটনা ঘটেছে। ঝিকরগাছার শংকরপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য পোদাউলিয়া গ্রামের জাহান আলি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত আব্দুল মালেক উপজেলার বড়পোদাউলিয়া গ্রামের মৃত ওমর আলি পাটোয়ারীর ছেলে।

নিউজ ট্যাগ: কালবৈশাখী ঝড়

আরও খবর