চলমান করোনা মহামারিতে
বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে নতুন শনাক্ত
রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাত শতাধিক
মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩ লাখ।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায়
বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ব্রাজিলে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায়
শীর্ষে রয়েছে তাইয়োন। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে ব্রাজিল, ইতালি, রাশিয়া ও ফ্রান্স।
এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৪ কোটি ৪৭ লাখের ঘর। অন্যদিকে
মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৩ লাখ ৪১ হাজার।
মঙ্গলবার (২১
জুন) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস
থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা
গেছেন ৭২৭ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে দেড় শতাধিক। এতে বিশ্বজুড়ে
মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৩ লাখ ৪১ হাজার ৭৩২ জনে।
একই সময়ের মধ্যে
ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ১ হাজার ১ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায়
নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪৫ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত
ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ কোটি ৪৭ লাখ ৯৮ হাজার ৯৬৮ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায়
বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ব্রাজিলে। লাতিন আমেরিকার এই দেশটি
করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০৮ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত
হয়েছেন ৫১ হাজার ৯২৫ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত
রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ১৭ লাখ ৫৬ হাজার ১১৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৬৯ হাজার ২১৭ জনের।
অন্যদিকে দৈনিক
প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে তাইওয়ান। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে
মারা গেছেন ১৪৪ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৫ হাজার ৬৩২ জন। এছাড়া মহামারির
শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩৩ লাখ ৩০ হাজার ৬৯৫ জন এবং মৃত্যু
হয়েছে ৫ হাজার ৩৬৫ জনের।
রাশিয়ায় গত ২৪
ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৪ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন
২ হাজার ৬৬৭ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা
১ কোটি ৮৪ লাখ ৯২৭ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮০ হাজার ৫১৭ জনের।
ফ্রান্সে গত ২৪
ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৫৬৬ জন এবং মারা গেছেন ৪৫ জন।
করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ১ লাখ ৮১ হাজার ৪১৫ জন করোনায়
আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৪৯ হাজার ১০৬ জন মারা গেছেন। একইসময়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় নতুন
করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯১ জন এবং মারা গেছেন ১৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায়
যুক্তরাজ্যে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ১৪২ জন এবং মারা গেছেন
২২ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ২৫ লাখ ৮ হাজার ৯২৮
জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬০১ জন মারা গেছেন। একইসময়ে কানাডায়
নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৮০২ জন এবং মারা গেছেন ১৫ জন।
জার্মানিতে নতুন
করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৯১১ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের
এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৭২ লাখ ১১ হাজার ৮৬৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং
১ লাখ ৪০ হাজার ২৯২ জন মারা গেছেন। একইসময়ে উত্তর কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
হয়েছেন ১৮ হাজার ৮২০ জন এবং দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৭৩ জন।
যুক্তরাষ্ট্রে
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২২ হাজার ৫৯০ জন এবং মারা গেছেন
৩১ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮ কোটি ৮০ লাখ ৫৩ হাজার
৯০৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৩৮ হাজার ৩৮৫ জন মারা গেছেন। একইসময়ে মেক্সিকোতে
নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৫০৯ জন এবং মারা গেছেন ১০ জন।
ইতালিতে নতুন
করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৫৭১ জন এবং মারা গেছেন ৫৯ জন। করোনা মহামারির
শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৭৮ লাখ ৯৬ হাজার ৬৫ জন করোনায় আক্রান্ত
হয়েছেন এবং ১ লাখ ৬৭ হাজার ৭৮০ জন মারা গেছেন। একইসময়ে জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৮৮৪ জন এবং মারা গেছেন ৯ জন।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায়
অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ২১৪ জন এবং মারা গেছেন
১৩ জন। একইসময়ে থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭৮৪ জন
এবং মারা গেছেন ১৮ জন। চিলিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৪৮৯ জন এবং
মারা গেছেন ২৬ জন।
উল্লেখ্য, ২০১৯
সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০
সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর
আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।