চলমান করোনা মহামারিতে
বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত
রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় এক হাজার
মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে আড়াই লাখের নিচে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায়
বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায়
শীর্ষে উঠে এসেছে ফ্রান্স। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে জাপান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র,
ব্রাজিল ও রাশিয়া। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৫ কোটি ৪০ লাখের
ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৬ লাখ ৫৯ হাজার।
মঙ্গলবার (১৩
ডিসেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস
থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা
গেছেন ৯৬০ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৫০০ জন। এতে বিশ্বজুড়ে
মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৬ লাখ ৫৯ হাজার ৯৪৯ জনে।
একই সময়ের মধ্যে
ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৪১ হাজার ৬৯ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায়
নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ৮৭ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত
ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ কোটি ৪০ লাখ ৫৫ হাজার ১৭৩ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায়
বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন
করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬২ হাজার ৩৩৬ জন এবং মারা গেছেন ১২৭ জন। করোনা মহামারির
শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৬১ লাখ ৩২ হাজার ১৫৯ জন করোনায়
আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৫১ হাজার ৮২৯ জন মারা গেছেন।
ফ্রান্সে গত ২৪
ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৮৭৮ জন এবং মারা গেছেন ১৬৭ জন। করোনা
মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৮৫ লাখ ১৫ হাজার ৭২১ জন করোনায় আক্রান্ত
হয়েছেন এবং ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮৭০ জন মারা গেছেন। একইসময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ হাজার ৬৬৭ জন এবং মারা গেছেন ৩০ জন।
যুক্তরাষ্ট্রে
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৫৬ জন এবং মারা গেছেন
৮৩ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬৬
হাজার ৭৫৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১১ লাখ ৯ হাজার ৯৭৬ জন মারা গেছেন। একইসময়ে
থাইল্যান্ডে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৯৬১ জন এবং মারা গেছেন
১০৭ জন।
রাশিয়ায় গত ২৪
ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৬ হাজার ৩৭৬ জন এবং মারা গেছেন ৫০ জন। এছাড়া
মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ১৬ লাখ ৭১ হাজার
৫২৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৯২ হাজার ৬৬১ জনের। একইসময়ে ইন্দোনেশিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২২৫ জন এবং মারা গেছেন ৩১ জন।
তাইওয়ানে গত ২৪
ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১০ হাজার ৮৫৩ জন এবং মারা গেছেন ৩১ জন। এছাড়া
মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮৪ লাখ ৮১ হাজার ৪০
জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৪ হাজার ৭১০ জনের। একইসময়ে চিলিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
হয়েছেন ২ হাজার ৩৩৫ জন এবং মারা গেছেন ৩০ জন।
লাতিন আমেরিকার
দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয়
অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৫ জন এবং নতুন
করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৯৩০ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে
মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৫৬ লাখ ৫৯ হাজার ৫২০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৯১
হাজার ২১ জনের।
উল্লেখ্য, ২০১৯
সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০
সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর
আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।