চলমান করোনা মহামারিতে
বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত
রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন পৌনে সাতশো
মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমে এসেছে আড়াই লাখের নিচে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায়
বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির
তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে ব্রাজিল,
তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া ও রাশিয়া। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে
৬৪ কোটি ৪৭ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৬ লাখ ৩২ হাজার।
শুক্রবার (২৫
নভেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস
থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা
গেছেন ৬৭৫ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে ৩ শতাধিক। এতে বিশ্বজুড়ে
মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৬ লাখ ৩২ হাজার ২৫১ জনে।
একই সময়ের মধ্যে
ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৩৩ হাজার ৫১৭ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায়
নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত
ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪ কোটি ৪৭ লাখ ১৭ হাজার ৬৮০ জনে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায়
বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এই সময়ের মধ্যে
দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬০ হাজার ১০৮ জন এবং মারা গেছেন ১৩০
জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৪১ লাখ ২৮
হাজার ৯১৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪৮ হাজার ৭৭২ জন মারা গেছেন।
অন্যদিকে দৈনিক
প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে
নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৪৬৭ জন এবং মারা গেছেন ৮৮ জন। করোনাভাইরাসে
সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১০ কোটি ৪ লাখ ১৮ হাজার ১১২ জন করোনায় আক্রান্ত
হয়েছেন এবং ১১ লাখ ৪ হাজার ৫৫৩ জন মারা গেছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ায়
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯ হাজার ৮৯ জন এবং মারা গেছেন ৫৯ জন।
করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ৬৭ লাখ ৮৪ হাজার ১৪২ জন করোনায়
আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৩০ হাজার ২২৩ জন মারা গেছেন। একইসময়ে ইন্দোনেশিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ১১০ জন এবং মারা গেছেন ৪১ জন।
রাশিয়ায় গত ২৪
ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৫ হাজার ৭৮৪ জন এবং মারা গেছেন ৫৮ জন। এছাড়া
মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ১৫ লাখ ৫৬ হাজার
৭৬৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৯১ হাজার ৬৮০ জনের। একইসময়ে অস্ট্রেলিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮৪০ জন এবং মারা গেছেন ১২ জন।
তাইওয়ানে গত ২৪
ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১৬ হাজার ৫২ জন এবং মারা গেছেন ৬৫ জন। এছাড়া
মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮২ লাখ ২৬ হাজার ৯৯৫
জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৪ হাজার ১২৫ জনের। একইসময়ে চিলিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
হয়েছেন ৬ হাজার ১০৬ জন এবং মারা গেছেন ৫৭ জন।
লাতিন আমেরিকার
দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয়
অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭১ জন এবং নতুন
করে সংক্রমিত হয়েছেন ২৫ হাজার ৭৯০ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে
মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৫১ লাখ ৪৭ হাজার ৯১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৮৯ হাজার
৩৯৬ জনের।
উল্লেখ্য, ২০১৯
সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০
সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর
আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।