আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

করোনা ভ্যাকসিন তৈরির প্রযুক্তি হস্তান্তরের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোভিড-১৯ মোকাবিলায় মানসম্পন্ন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের সার্বজনীন ও ন্যায়সঙ্গত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি এটি স্থানীয়ভাবে উৎপাদনে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং মহামারী পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ তিনটি অগ্রাধিকার ক্ষেত্রে জরুরি মনোযোগ এবং আরো বৈশ্বিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।

কোভিড-১৯ মহামারির প্রেক্ষাপটে ইউএনজিএর ৩১তম বিশেষ অধিবেশনে এক প্রাক রেকর্ডকৃত ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তবুও কিছু অগ্রাধিকার ক্ষেত্রে জরুরি মনোযোগ এবং আরো সহযোগিতা প্রয়োজন। প্রথমত, আমাদের যথাসময়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে ও সাশ্রয়ী মূল্যে সবার জন্য মানসম্মত ভ্যাকসিন প্রাপ্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন (ন্যাম)-এর বর্তমান চেয়ার আজারবাইজান এবং জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া দুদিনের এ বিশেষ অধিবেশন ডেকেছেন।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, ২০৩০ সালের উন্নয়ন এজেন্ডা সমতার নীতি দ্বারা পরিচালিত এসডিজি অর্জনে সার্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজের মৌলিক ভূমিকার স্বীকৃতি দেয়। তিনি বলেন, একইভাবে, যখন ভ্যাকসিন প্রাপ্তির কথা আসে, তখন কাউকে পিছনে রাখা সমীচীন হবে না। এটি মহামারি পরাস্ত করতে, জীবন বাঁচাতে এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ত্বরান্বিত করতে আমাদের সহায়তা করবে।

দ্বিতীয়ত, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনকে গোটা বিশ্বের জন্য একটি বৈশ্বিক জনপণ্য বিবেচনা করতে হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডব্লিউএইচওর অ্যাক্ট ও কোভাক্স সুবিধার উদ্যোগ এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তিনি আরো বলেন, উন্নত দেশগুলোর ট্রিপস চুক্তির আওতায় আইপি রাইটস ওয়েভার ব্যবহার করে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে স্থানীয়ভাবে ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে। বাংলাদেশের সক্ষমতা রয়েছে এবং সুযোগ পেলে ভ্যাকসিন তৈরি করতে প্রস্তুত রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তৃতীয়ত, কোভিড-১৯-এর পরিপ্রেক্ষিতে আর্থিক সহায়তাসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সেগুলোকে বিশেষভাবে স্বীকৃতি দিতে হবে। জাতীয় সরকারগুলোর পাশাপাশি জাতিসংঘ, আইএফআই, সুশীল সমাজকে তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে এবং কোভিড-১৯ মোকাবিলায় একে অপরের সাথে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করতে হবে। তিনি বলেন, সারা বিশ্ব এখনো এই মারাত্মক ভাইরাস এবং এর প্রভাব মোকাবেলায় এক কঠিন সময় পার করছে। এ প্রেক্ষাপটে এ অধিবেশন সর্বোচ্চ গুরুত্ব বহন করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বত্র নিয়ন্ত্রণে না আনলে কোভিড -১৯কে কখনোই কোনো একটি স্থানে নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে না। আসুন আমরা একটি টেকসই বিশ্বের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা সম্পাদনে নতুনভাবে প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করি যেখানে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম ভবিষ্যতের মহামারী মোকাবেলায় সমর্থ হবে। এই অধিবেশন কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় যৌথ পদক্ষেপ, বৈশ্বিক সংহতি এবং বহুপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দেন যে বাংলাদেশ এ বৈশ্বিক প্রচেষ্টায় সকলের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে।

বিশ্বব্যাপী প্রতিদিন শত শত মানুষ মারা যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ মহামারি অনেক মানুষকে আরো দরিদ্র করে তুলেছে এবং আরো অনেকে ক্রমে দারিদ্র্যের দিকে ধাবিত হচ্ছে। সব দেশে অপুষ্টি, বৈষম্য ও ক্রমবর্ধমান অসমতা চেপে বসছে এবং শিক্ষাব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে। এর ফলে ব্যবসা, বাণিজ্য ও পর্যটনে প্রবল ধস নামায় মানুষের জীবন-জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ মহামারি আমাদের মানুষের জীবন ও জীবিকা রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস গ্রহণের এবং তা আরো উন্নত করতে এ সংকট থেকে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্ভাগ্যক্রমে, কোভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই এখনো শেষ হয়নি। অনেক দেশই দ্বিতীয় বা তৃতীয় ধাক্কার মুখোমুখি হচ্ছে।

বাংলাদেশ এ মহামারির কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ আমাদের অর্থনীতি, আমাদের জীবন ও জীবিকা, আমাদের অভিবাসী জনগোষ্ঠিকে ব্যাপক প্রভাবিত করেছে এবং আমাদের কষ্টার্জিত উন্নয়ন সাফল্যকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তবে আমরা শুরু থেকেই এবং কার্যকরভাবে হস্তক্ষেপ করেছি এবং আমাদের অর্থনীতি ও জনগণকে মহামারি থেকে রক্ষায় সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছি। আমার সরকার আমাদের ব্যবসায়, কর্মসংস্থান ও উৎপাদনশীলতার ওপর প্রভাব হ্রাস করতে ১৪ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, যা আমাদের জিডিপির ৪ দশমিক ৩ শতাংশের সমান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহামারিটির দ্বিতীয় ধকল সামাল দিতে ব্যাপক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



ময়মনসিংহে ২৭ ও কুমিল্লায় ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে: ইসি

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। শনিবার (৯ মার্চ) দুপুর ১২টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ সিটিতে ২৭ শতাংশ ও কুমিল্লা সিটিতে ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি বলেন, সকাল থেকে স্থানীয় সরকারের ২৩১ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে। সকালে কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের একটি কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, দুই সিটির নির্বাচনে এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু ভোট হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কুমিল্লা সিটি মেয়র পদে উপ-নির্বাচনে ২৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। আর ময়মনসিংহ সিটিতে ভোট পড়েছে ২৭ শতাংশ।

কুমিল্লা সংঘর্ষ নিয়ে রিটার্নিং অফিসার মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৭৪, ৭৫ ও ৭৬ নম্বর কেন্দ্র তিনটি পাশাপাশি। গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে, এতে আহত হয়েছেন ২ জন। তবে এ ঘটনা কেন্দ্রের বাইরে।

ভোটের কার্যক্রম সচল রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে নির্বাচন কর্মকর্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন। এ ছাড়া ২০-২২ নম্বর কেন্দ্রের বাইরে একজনকে ছুরিকাহত করা হয়েছে বলেও জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা। কেন্দ্রের ভেতরে কোথাও ঝামেলা হয়নি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।


আরও খবর



বাংলায় ঝড় উঠবে, মোদির হুঁশিয়ারি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পুরো পশ্চিমবঙ্গে সন্দেশখালি ঝড় উঠবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার (০৬ মার্চ) রাজ্যটির উত্তর ২৪ পরগণার বারাসাতে বিজেপি আয়োজিত মহিলা সম্মেলন’-এ একই জেলার সন্দেশখালির প্রসঙ্গ তুলে ধরে এ কথা বলেন তিনি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, উত্তর ২৪ পরগণার বসিরহাটের অন্তর্গত সন্দেশখালি এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য রাজনীতির সব চেয়ে আলোচিত এলাকা। এর পাশের লোকসভা আসন বারাসাতে আজ মহিলা সম্মেলন’ করে বিজেপি।

পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের সমালোচনা করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, তৃণমূল এই ভূমিতে নারীশক্তির ওপর অত্যাচার করেছে। মা-বোনদের ওপর অত্যাচার করে তৃণমূল ঘোর পাপ করেছে। সন্দেশখালিতে যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে যে কারও মাথা লজ্জায় নুয়ে যায়। কিন্তু তৃণমূলের কিছু যায় আসে না।’

দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। এ বিষয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরা (তৃণমূল) অপরাধীকে বাঁচাতে পুরো শক্তি লাগিয়ে দিয়েছে! কিন্তু প্রথমে হাইকোর্ট, তারপর সুপ্রিম কোর্টে এরা ধাক্কা খেয়েছে।’

মোদি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, গরিব, আদিবাসী, দলিত মা-বোনদের ওপর তৃণমূলের নেতারা অত্যাচার করছেন। তৃণমূলের নিজেদের নেতাদের ওপর ভরসা থাকলেও আমাদের মা-বোনদের ওপর ভরসা নেই। তাই মা-বোনেরা রুষ্ট হয়েছেন। মা-বোনদের এই রাগ সন্দেশখালিতে সীমাবদ্ধ থাকবে না। পুরো রাজ্যে সন্দেশখালি ঝড় উঠবে।’

সন্দেশখালির নারীদের প্রশংসা করে তিনি আরও বলেন, তৃণমূলের মাফিয়ারাজ শেষ করতে বাংলার নারীশক্তি এগিয়ে এসেছে। সন্দেশখালি সেটা দেখিয়ে দিয়েছে।’


আরও খবর



দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বর্তমানে জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ করাই আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা এখন গুরুত্ব দিয়ে এই কাজটিই করছি।

আজ মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের শেষ দিনের কার্যঅধিবেশনে অংশ নেওয়ার পর সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসকরা কিছু বিষয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেছেন। ভার্চুয়াল কোর্টের ব্যবস্থা করা যায় কি না, এ বিষয়টিও পর্যালোচনা করে দেখার কথা বলেছেন। বিপজ্জনক আসামিদের আদালতে আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে যাতে কোনো সমস্যা না হয় এ বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা সারা দেশে ভার্চুয়াল কোর্টের বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করবো।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় রেখে জেলা প্রশাসকদের কাজ করার জন্য বলা হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী জেলা প্রশাসকরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশে থাকবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।


আরও খবর



কারাগারে রাজবন্দী নয় বিএনপির অ্যাক্টিভিস্ট আছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, তারা (বিএনপি) বলছে যে, হাজার হাজার রাজবন্দী। আমি বলব রাজবন্দী বলতে আমাদের এখানে কেউ নেই। বন্দী আছে বিএনপির অ্যাক্টিভিস্ট।

পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২৪ উপলক্ষে শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজে কনভেনশন হলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, রাজবন্দী বলতে আমাদের এখানে কেউ নেই। যারা প্রধান বিচারপতির বাসায় ভাঙচুর করেছে, যারা আমার পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করেছে, যারা আমার আনসার পিটিয়ে হত্যা করেছে, যারা আমাদের মেয়েদের গায়ে হাত দিয়েছে... ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের সনাক্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে; যেটা পুলিশ করছে।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, ২০১৪ সালেও তারা (বিএনপি) একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচনকে বানচালের চেষ্টা করেছে। তবে ক্রমান্বয়ে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন করবেন না বলে মুছলেকা দিয়ে ইংল্যান্ডে গেছেন, আত্মগোপন করেছেন- তার নির্দেশ অনুযায়ী আমরা দেখলাম দলটির সেক্রেটারি জেনারেল পদত্যাগ করেছেন। ইংল্যান্ডে বসে থেকে তিনি এদেশে তার দলের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন। তিনি শুধু এ দেশের জনগণ নয় তার দলীয় নেতাকর্মীদেরও বুঝি তিনি ভালো-মন্দ চান না। দিন দিন এই দলটি জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হয়েছে। আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী আপনারা দেখেন যেখানে যাবেন তার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। এদেশের মানুষ বিশ্বাস করে যতদিন প্রধানমন্ত্রী বেঁচে থাকবেন ততদিন পথ হারাবে না বাংলাদেশ।


আরও খবর



জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও আম্মান আটক

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শনিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় তাদের আটক করা হয়েছে। আটকের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।

এর আগে অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় নিজের কোনো দায় নেই বলে দাবি করেছেন দ্বীন ইসলাম। নিজ এলাকার মানুষ হওয়ায় অবন্তিকা ও তার পরিবারকে যথেষ্ট সহায়তা করেছেন জানিয়ে দ্বীন ইসলাম বলেন, অফিশিয়ালি যে দায়িত্ব পেয়েছিলেন, সে অনুযায়ী তা পালন করেছেন তিনি।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে অভিযুক্ত করে আত্মহত্যার ঘটনায় সঠিক তথ্য জেনে সিদ্ধান্ত এবং মন্তব্য করার অনুরোধ করে বিবৃতিও দেন সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম। ওই বিবৃতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের এই সহকারী অধ্যাপক বলেন, একজন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকা এবং তাদের জন্য কাজ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। শুধুমাত্র স্ট্যাটাসের ওপর ভিক্তি করে কাউকে ভুল না ভাবার অনুরোধ রইল। আমাদের স্নেহের শিক্ষার্থী অবন্তিকা হয়তো দীর্ঘদিন যাবৎ কোনো মানসিক চাপে ছিল। সেটা হয়তো তার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই। এই অপ্রত্যাশিত ঘটনার প্রকৃত রহস্য উন্মোচনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য আমি সবিনয়ে প্রস্তুত। সঠিক তথ্য জেনে সিদ্ধান্ত এবং মন্তব্য করার অনুরোধ রইল।

এদিকে, অবন্তিকার মৃত্যুর জন্য দায়ীদের বিচারসহ ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। শনিবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি ঘোষণা করে। তারা বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবি মানা না হলে, সোমবার (১৮ মার্চ) ভিসি কার্যালয় ঘেরাও করা হবে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত ১০ টায় কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। এর কিছুক্ষণ আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দীন ইসলামকে দায়ী করে যান অবন্তিকা।


আরও খবর