দেশে যতদিন করোনা
থাকবে, ততদিন টিকা কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা
বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব লোকমান হোসেন মিয়া।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি)
নারায়ণগঞ্জে গণটিকাদান কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি এই কথা জানান।
এর আগে স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর জানিয়েছিল, শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) করোনার প্রথম ডোজ টিকা নেওয়ার শেষ দিন।
রবিবার থেকে সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে প্রথম ডোজ দেওয়ার কাজ। চলবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজ
(বুস্টার) টিকা কর্মসূচি। তাই আজকের মধ্যে যত বেশি সম্ভব মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। প্রতিটি
ইউনিয়ন, উপজেলা, পৌরসভা এবং সিটি করপোরেশনর এলাকায় অতিরিক্ত টিকাদান কেন্দ্র থাকবে।
১২ বছর বা তার
বেশি বয়সী যে কেউ দেশব্যাপী যেকোনও কেন্দ্রে রেজিস্ট্রেশন বা নথি ছাড়াই টিকার প্রথম
ডোজ নিতে পারবেন। আজ দেশজুড়ে অন্তত ১ কোটি মানুষকে প্রথম ডোজের আওতায় আনার চেষ্টা রয়েছে।
স্থানীয়ভাবে প্রয়োজন অনুযায়ী সব ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও বিভাগগুলোতে চাহিদা অনুযায়ী
অতিরিক্ত বুথ ও ভ্যাক্সিনেটরের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে ৭০ হাজারের মতো ভ্যাক্সিনেটর
ও স্বেচ্ছাসেবক টিকা দেওয়ার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।
গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি
দেশে করোনাভাইরাস টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া শুরু হয়। ৮ এপ্রিল শুরু হয় দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার
কার্যক্রম। আর গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করে স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর।