আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

করোনার নতুন ধরন ‘ডেলটাক্রন’ শনাক্ত

প্রকাশিত:সোমবার ১০ জানুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১০ জানুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ডেলটা ও ওমিক্রনের সংমিশ্রণে কোভিড-১৯-এর নতুন একটি ধরন সাইপ্রাসে পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির একজন শীর্ষস্থানীয় অধ্যাপক।

সাইপ্রাস বিশ্ববিদ্যালয়ের জীব বিজ্ঞানের অধ্যাপক এবং বায়োটেকনোলজি ও মলিকুলার ভাইরোলজি ল্যাবরেটরির প্রধান লিওনডিওস কোস্ট্রাইকিস বলেছেন, বর্তমানে ওমিক্রন ও ডেলটা ভ্যারিয়্যান্টের সংক্রমণ অব্যাহত রয়েছে। এবং এর মধ্যেই আমরা একটি স্ট্রেইনটি খুঁজে পেয়েছি, যা এ দুটির সংমিশ্রণে গঠিত। 

কোস্ট্রাইকিস গত শুক্রবার সিগমা টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে বলেন, ডেলটা জিনোমের মধ্যে ওমিক্রন-সদৃশ জেনেটিক তথ্য শনাক্ত হওয়ার কারণে নতুন ধরনটির নাম রাখা হয়েছে ডেলটাক্রন

কোস্ট্রাইকিস এবং তাঁর দল ডেলটাক্রন ধরনে সংক্রমণের ২৫টি ঘটনা শনাক্ত করেছে। এবং পরিসংখ্যানগত বিশ্লেষণ দেখা গেছে, কোভিডে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর মধ্যে ডেলটাক্রনে সংক্রমণের সংখ্যা হাসপাতাল ভর্তি না হওয়া রোগীর তুলনায় বেশি। ডেল্টাক্রনে আক্রান্তদের জিনগত তথ্য আন্তর্জাতিক তথ্যভাণ্ডার জিআইএসএআইডির কাছে পাঠানো হয়েছে। জিআইএসএআইডি করোনাভাইরাসের বিভিন্ন ধরন ট্র্যাক করে থাকে।

অধ্যাপক লিওনডিওস কোস্ট্রাইকিস বলেন, নতুন এ ধরনটি আরও ক্ষতিকর বা আরও সংক্রামক কি না কিংবা এটি ডেলটা ও ওমিক্রনের জায়গা দখল করে কি না, তা আমরা অদূর ভবিষ্যতেই জানতে পারব।

তবে, অধ্যাপক লিওনডিওসের ব্যক্তিগত ধারণা হলোনতুন স্ট্রেইনটি অতিসংক্রামক ওমিক্রন ধরনকে ছাপিয়ে যেতে পারবে না।

নিউজ ট্যাগ: ডেলটাক্রন

আরও খবর



ঝিনাইদহ-১ আসনের এমপি আব্দুল হাই মারা গেছেন

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

Image

ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই মারা গেছেন। শনিবার (১৬ মার্চ) থাইল্যান্ডের বামরুনদগ্রাদ হাসপাতালে ব্যাংককের স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। মৃত্যুর বিষয়টি থাইল্যান্ডে অবস্থান করা তার ব্যক্তিগত সহকারী শহিদুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।

আব্দুল হাই এর আগে নিউমোনিয়া ও লিভারের সমস্যায় ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি ছিলেন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে থাইল্যান্ডে নেওয়া হয়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে ও ২ ছেলে রেখে গেছেন।

আব্দুল হাইয়ের জন্ম ১৯৫২ সালের পহেলা মে শৈলকুপা উপজেলার মহম্মদপুর গ্রামে। ফয়জুদ্দিন মোল্লা ও ছকিরন নেছা দম্পতির ৩ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে সবার ছোট তিনি। তার শিক্ষাজীবন শুরু পার্শ্ববর্তী মির্জাপুর গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখান থেকে পাস করার পর ভর্তি হন বসন্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। মাধ্যমিক পাস করার পর ভর্তি হন ঝিনাইদহ কেশবচন্দ্র কলেজে। সেখান থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে  বিএ পাস করেন। বসন্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত অবস্থায় তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন।

আব্দুল হাই সম্পর্কে জানা যায়, তিনি ১৯৬৮ সালে মহকুমা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৯ সালে সরকারি কেসি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। একই বছর তিনি বৃহত্তর যশোর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে, যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং ঝিনাইদহে স্বাধীন বাংলার প্রথম পতাকা উত্তোলন করেন তিনি। দেশ স্বাধীনের পর ঝিনাইদহ যুবলীগের আহ্বায়ক ও ১৯৭৩ সালে যুবলীগের মহকুমা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আশির দশকে জেলা আওয়ামী লীগের যুব ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯৬ সালে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে ১৯৮৭ সালে তিনি ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পরবর্তী সময়ে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সারাদেশে মাত্র ৫৮টি আসনে বিজয় লাভ করে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আসন ছিল বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইয়ের শৈলকুপার আসন। বর্তমান ঝিনাইদহ জেলার মধ্যে এই আসনটিকে আওয়ামী লীগের দূর্গ বলা হয়।

এছাড়া তিনি ২০০১ সালে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক নির্বাচিত হন ও ২০০৫ সালে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হন। তিনি ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১২ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হয়ে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৫ সালের কাউন্সিলে দ্বিতীয়বারের মতো ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে একাদশ সংসদ নির্বাচনেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি অষ্টম, নবম, দশম, একাদশ পরপর চারবারে নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং ২০২২ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তৃতীয়বারের মতো জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।

জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে বেসরকারিভাবে জয়লাভ করেছেন আব্দুল হাই (এমপি)। এ নিয়ে তিনি পঞ্চমবারের মতো ওই আসন থেকে এমপি হিসেবে জয়লাভ করেন। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ আসনে নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাই এমপি ৯৫ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।

আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগসহ জেলার নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। তার জানাজা ও দাফনের বিষয়টি পরিবার থেকে এখনও নিশ্চিত জানা যায়নি।

নিউজ ট্যাগ: ঝিনাইদহ

আরও খবর



মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বাঙালিদের ওপর অতর্কিত গণহত্যার অভিযান অপারেশন সার্চলাইট শুরু করে এবং বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের আগে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে ঢাকায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর ওই ঘোষণা বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রচারিত হয়।

১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। উল্টো তারা বাঙালি বেসামরিক লোকদের ওপর গণহত্যা শুরু করে। তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল সব রাজনৈতিক নেতাকর্মী এবং সব সচেতন নাগরিক। তবে অভিযানে নেমে তারা রিকশাওয়ালা থেকে নিয়ে সমাজের সব শ্রেণি পেশার মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে।

২৫ মার্চ মধ্যরাতে তথা ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তারের আগে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পাশাপাশি যেকোনো মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। মুহূর্তের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণা ওয়্যারলেসের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই সময় বাস্তবতা ও নিরাপত্তাজনিত কারণে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার এ ঘোষণার নথি সংরক্ষণ করা সম্ভব ছিল না। পরবর্তী সময়ে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর ঘোষণার মূল্যবান দলিলটি সেখানে লিপিবদ্ধ হয়েছে এভাবে ইহাই হয়ত আমাদের শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছেন, যার যাহা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও। শেখ মুজিবুর রহমান। ২৬ মার্চ, ১৯৭১।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ ডকুমেন্টস-এ ওই ঘোষণার পূর্ণ বিবরণ প্রকাশিত হয়েছিল। ঘোষণায় বলা হয়, এই-ই হয়ত আপনাদের জন্য আমার শেষ বাণী হতে পারে। আজকে থেকে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। আমি আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি, যে যেখানেই থাকুন, যে অবস্থাতেই থাকুন এবং হাতে যার যা আছে তাই নিয়ে দখলদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। ততদিন পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান-যতদিন না দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর শেষ সৈনিকটি বাংলাদেশের মাটি থেকে বহিষ্কৃত হচ্ছে এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হচ্ছে।

তৎকালীন ইপিআর-এর ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে ঘোষণাটি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে চট্টগ্রামের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ২৬ ও ২৭ মার্চ বেশ কয়েকজন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন।

দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে নতুন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে একটি ভূখণ্ডের, যার নাম বাংলাদেশ। সময় যত পেরিয়েছে, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশও এগিয়ে গেছে। মাথাপিছু আয়, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে দৃশ্যমান পরিবর্তন, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ও দেশজ উৎপাদন বৃদ্ধি, বৈদেশিক বাণিজ্য বৃদ্ধি, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও ব্যবহার এবং সম্পদ উৎপাদন ও আহরণ দৃশ্যমানভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

১৯৭১ সালে সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশের মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকার বার্ষিক বাজেট আজ পরিণত হয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেটে। সেদিনের ১২৯ ডলার মাথাপিছু আয়ের দেশটিতে বর্তমান মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৯শ ৬১ মার্কিন ডলার।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এসে দারিদ্র্য আর দুর্যোগের বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণের পথে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ আর্থ-সামাজিক প্রতিটি সূচকে এগিয়েছে বাংলাদেশ। এ প্রাপ্তি নিয়েই এবারও জাতি মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করবে।


আরও খবর



কখন পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে তা স্পষ্ট করল রাশিয়া

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সরকারি দপ্তর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, যখন তার দেশের অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়বে শুধুমাত্র তখনই রাশিয়া শত্রুর বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে। তিনি তার দেশের পরমাণু অস্ত্রকে শেষ বিদায়ের অস্ত্র’ বলে এ নিয়ে হুঁশিয়ারিও দেন।

দিমিত্রি পেসকভ বলেন, রাশিয়ার যে সামরিক ডকট্রিন রয়েছে তাতে নির্দিষ্ট করে বলা রয়েছে যে, রাশিয়া অথবা তার মিত্ররা যদি আগে পরমাণু হামলার শিকার হয় অথবা দেশের অস্তিত্ব যদি একেবারেই হুমকির মুখে পড়ে তখন রাশিয়া পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে।

বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানিয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। পেসকভ আরো বলেন, যদি কোনকিছু আমাদের দেশের অস্তিত্ব হুমকি মুখে ফেলে তবে তখনই শুধুমাত্র পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন করা হবে; বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর, একে হালকা করে দেখার সুযোগ নেই।

এর আগে, গত বছরের জুন মাসে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছিলেন, তার দেশের পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করার প্রয়োজন হবে না। তিনি তখন বলেছিলেন, পরমাণু অস্ত্র হচ্ছে দেশের সর্বশেষ সামরিক ব্যবস্থা।

এছাড়া, গত সপ্তাহে রাশিয়ার জাতীয় সংসদে দেয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছিলেন, আগ্রাসীদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, রাশিয়াকে পরাজিত করার সব রকমের চেষ্টা ব্যর্থ হবে এবং এর সম্ভাব্য পরিণতি কল্পনার চেয়েও ভয়াবহ হবে। সে সময় তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে, রাশিয়ার হাতে বিপুল পরিমাণ পরমাণু অস্ত্র মজুদ রয়েছে এবং সেগুলো মোতায়েন করার জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত।

এদিকে, সুইডেনকে ন্যাটোর নতুন সদস্য করার একদিন আগে পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে নতুন করে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোটে (ন্যাটো) যোগদানের প্রক্রিয়া শেষ করে সুইডেন।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এর পরেই ন্যাটোতে যোগ দিতে আবেদন করে সুইডেন। প্রায় দুই বছর ধরে ব্যাপক আলাপ-আলোচনার পর, অবশেষে বৃহস্পতিবার সদস্যপদ পেল দেশটি। ধারণা করা হচ্ছে, এতে ভূ-রাজনীতিতে চাপে পড়লো রাশিয়া।


আরও খবর



পিরোজপুরে আইনজীবীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

পিরোজপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভা চলাকালীন বহিরাগত সন্ত্রাসীদের আক্রমণে পাঁচজন আইনজীবীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখমের ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার পিরোজপুর কোর্ট চত্ত্বরে জেলা আইনজীবী সমিতির আয়োজনে ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক খান বাদশার সভাপতিত্বে ও অ্যাডভোকেট সরদার ফারুক আহমেদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট চন্ডী চরণ পাল, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম ডি আউয়াল, অ্যাডভোকেট আহাসানুল কবির বাদল, অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট দিলীপ কুমার মাঝি, জিপি অ্যাডভোকেট প্রেমানন্দ হালদার, অ্যাডভোকেট শ.ম হায়দার, অ্যডভোকেট শওকত, অ্যাডভোকেট তরুণ ভট্টাচার্য।

এসময় বক্তারা হামলাকারী ও হুকুম দাতাদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

উল্লখ্য, গত ২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার  জেলা আইনজীবী সমিতির তলবি সভা এবং এডহক কমিটি গঠণকে কেন্দ্র করে আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আলাউদ্দিন খানের নির্দেশে বহিরাগতদের হামলায় ৫জন আইনজীবী গুরুতর আহত হয়। ওই দিন দুপুরে সভা চলাকালীন বহিরাগত সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে অ্যাডভোকেট তরুণ ভট্টাচার্য ও আহাসানুল কবির হিমুসহ আরো ১জনকে আহত করে। আহত ৩জনকে জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে নেয়া হয়। পরবর্তীতের আহতদের দেখতে যাওয়ার পথে আরও দুই আইনজীবী রাজ্জাক খান বাদশা ও সাইদুর রহমান টিটুকে আহত করে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।

এ ঘটনায় পিরোজপুর সদর থানায় গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আইনজীবী সামতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলাউদ্দিন খান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হুমায়ূণ তালুকদার, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শাজাহান হাওলাদার, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলাউদ্দিন হাওলাদারসহ অজ্ঞাত ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়।


আরও খবর



নিজ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে পর্ন তারকার মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

নিজের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হলো পর্ন সিনেমার অভিনেত্রী সোফিয়া লিওনের মৃতদেহ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ২৬ বছর। সোফিয়ার বাবা তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ১ মার্চ সোফিয়া লিওনকে তার অ্যাপার্টমেন্টে পাওয়া যায়। মৃত্যুর কারণ নিয়ে তদন্ত চলছে।

একাধিক সূত্র দাবি করেছে, তার মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না। পরিবারও এই মুহূর্তে এমন আর্থিক টানাটানির মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল না।

সোফিয়া লিওনের বাবা মাইক রোমেরো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টের মাধ্যমে মেয়ের মৃত্যুর খবর শেয়ার করেছেন। তিনি মেয়ের ভক্তদের কাছে শেষকৃত্য সম্পন্ন করার জন্য আর্থিক সাহায্যের আবেদন করেছেন।

সেখানে তিনি লিখেছেন, সোফিয়া ছিল প্রিয় কন্যা, কারও বোন, নাতনি ও বন্ধু। নানান প্রাণীর প্রতিই তার গভীর ভালোবাসা ছিল, বিশেষ করে তার তিনটি পোষা প্রাণীর প্রতি। ভ্রমণ করতে ভালোবাসত এবং সব সময় ওর চারপাশের সবাইকে হাসিখুশি রাখার উপায় খুঁজে বের করত। সোফিয়াকে আমরা খুব মিস করব। কিন্তু যারা ওকে ভালোবাসে, তাদের হৃদয়ে ওর স্মৃতি বেঁচে থাকবে।’

মাইক রোমেরো জানিয়েছেন, মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে স্থানীয় পুলিশের তদন্ত এখনো চলছে।

তার মডেলিং এজেন্সি, হানড্রেড ওয়ান মডেলিংও খবরটি নিশ্চিত করে বলেছে, আমাদের প্রিয় সোফিয়া লিওনের অকাল এবং মর্মান্তিক মৃত্যুতে মন ভেঙে গেছে।’

প্রতিষ্ঠানটি এক্সে একটি পোস্টে লিখেছে, একটি সুন্দর আত্মা, যে আমাদের অনেককে স্পর্শ করেছে। এই দেবদূতের আত্মার শান্তি কামনা করি। আমরা আপনাকে অনেক ভালোবাসতাম। পরিবারের জন্য একটি গোফান্ড মি শুরু করা হয়েছে।’

সেখানে আরও দাবি করা হয়েছে, আত্মহত্যা করে মারা যাননি সোফিয়া লিওন। তার মৃত্যুর বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

হিন্দুস্তান টাইমস সূত্রে জানা গেছে, সোফিয়ার জন্য শোক প্রকাশ করার পাশাপাশি অনেকেই তার মৃত্যুর তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। সোফিয়ার আকস্মিক মৃত্যুতে পরিবার ও বন্ধুরা শোকাহত।

১৯৯৭ সালের ১০ জুন যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে জন্ম সোফিয়া লিওনের। মাত্র ১৮ বছর বয়সে পর্ন সিনেমার ভুবনে প্রবেশ করেন তিনি।

টিএমজেডের প্রতিবেদন অনুসারে, তিন মাসের মধ্যে পরপর চার পর্ন তারকার মৃত্যু হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে আত্মহত্যা করেন কাগনি লিন কার্টার। তার বন্ধুরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংবাদটি শেয়ার করেছেন এবং সবাইকে চমকে দিয়েছেন। গত সপ্তাহে ওহাইওতে নিজ বাসভবনে মারা যান কাগনি। এছাড়া গত জানুয়ারিতে ওকলাহোমায় জেসি জেন ও তার প্রেমিক ব্রেট হাসেনমুলারের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিউজ ট্যাগ: সোফিয়া লিওন

আরও খবর