করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর বাবার ফুসফুস মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় আইসিইউতে নেওয়া হয়েছিল। করোনাভাইরাস শনাক্তের পর প্রথমে তাকে রাজধানীর হলি ফ্যামিলি
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা এস এম মহসীন।
রাজধানীর বারডেম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় এ অভিনেতার মৃত্যু হয়েছে বলে তার ছোট ছেলে রাশেক মহসীন জানান।
রাশেদ মহসীন বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর বাবার ফুসফুস মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় আইসিইউতে নেওয়া হয়েছিল। করোনাভাইরাস শনাক্তের পর প্রথমে তাকে রাজধানীর হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল; অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে ইসপালস হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল। সপ্তাহখানেক আগে সেখান থেকে বারডেম হাসপাতালে নেওয়া হয়।
চার দশকের বেশি সময় ধরে মঞ্চ ও টেলিভিশনে অভিনয় করছেন এস এম মহসীন। অভিনয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের ২০২০ সালে একুশে পদক প্রদান করে সরকার। দীর্ঘদিন তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্য বিভাগ অনুষদের সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন। জাতীয় থিয়েটারের প্রথম প্রকল্প পরিচালক হিসাবে যুক্ত ছিলেন। অনিমেষ আইচের পরিচালনায় ‘গরম ভাত অথবা নিছক ভূতের গল্প’ নাটকের অভিনয় করে টিভি নাটকের দর্শককের কাছে আলাদা পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। এছাড়াও মহর আলী, সাকিন সারিসুরিসহ বেশ কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।
রাশেক মহসীন জানান, আসরের পর পরীবাগ মসজিদে জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে সমাহিত করা হবে এস এম মহসীনকে।