আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

করোনায় পিরোজপুরে ওসি শহিদুল ইসলামের মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ জুলাই ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ১৯ জুলাই ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম শাহিনের (৫৭)। 

সোমবার (১৯ জুলাই) ভোর সোয়া ৪টার দিকে ঢাকার সেন্ট্রাল পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ মেয়ে ও ১ ছেলে রেখে গেছেন। 

তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পিরোজপুর-১ আসনের এমপি মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিম। 

শহিদুল ইসলাম পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের বাসিন্দা ও নাজিরপুর উপজেলা পরিষদের প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুস সত্তারের জেষ্ঠ্য পুত্র। তিনি খুলনা জেলায় সিআইডি পুলিশের ইন্সেপেক্টর (ওসি) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

তার মেঝো ভাই নাজিরপুর উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহিদুল ইসলাম বিলু জানান, শাহিন গত ২২ মে থেকে করোনা উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ ছিলেন। পরে তার নমুনা পরীক্ষা করালে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার সেন্ট্রাল পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


আরও খবর



মহেশপুরে ৪০ পিস স্বর্ণের বারসহ আটক ২

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

Image

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত থেকে ৪০ পিস স্বর্ণের বারসহ ২ জনকে আটক করেছে বিজিবি। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী পলিয়ানপুর সীমান্তের ছয়ঘড়িয়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো- মহেশপুর উপজেলার ছয়ঘড়িয়া গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে মো. জসিম উদ্দিন (৫৩) ও মৃত আকতার আলীর ছেলে মো. হুমায়ন কবির (৪০)।

৫৮ বিজিবি মহেশপুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সালাহউদ্দিন চৌধুরী জানান, বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে সোনা পাচার হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্ত এলাকায় টহল জোরদার করে বিজিবি। বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে ছয়ঘড়িয়ায় মহেশপুর থেকে সীমান্তের দিকে যাওয়া একটি মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তারা। সেসময় মোটরসাইকেলে থাকা দুই ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৪ কেজি ৬৩৩ গ্রাম ওজনের ৪০ টি স্বর্ণের বার। আটক করা হয় ওই গ্রামের জসিম উদ্দিন ও হুমায়ন কবিরকে। এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করে আসামিদের মহেশপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।


আরও খবর



পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিলো বিজিপির আরও ১২ সদস্য

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) আরও ১২ সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপির আষাঢ়তলী, জামছড়ি ও ঘুমধুম ইউপির রেজু সীমান্ত দিয়ে তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এ নিয়ে তিন দিনে দেশটির মোট ২৮ সেনা ও বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় ‍নিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সরকারি জান্তা বাহিনীর সদস্যরা সংঘাতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে টিকতে না পেরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন বলেন, ৮ নম্বর ওয়ার্ড জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১০ বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।

ঘুমধুম ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য বাবুল কান্তি চাকমা জানান, ওয়ার্ডের ফাত্রাঝিরি রেজু আমতলী পাড়া সীমান্ত দিয়ে দুই বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিজিবির গণসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম আজ সকালে ১২ বিজিপি সদস্য আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

নতুন করে আসা ২৮ জনই নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওখানে আগে থেকে ১৮০ জন আশ্রয়ে রয়েছে। ফলে সেখানে এখন মিয়ানমারের মোট ২০৮ জন সেনা ও বিজিপি সদস্য রয়েছেন।

আগে থেকে থাকা ১৮০ জনের মধ্যে গত ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিনজন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এর আগে ১১ মার্চ আশ্রয় নেন আরও ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য।

তারও আগে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন। যাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।


আরও খবর



ট্রেনে নাশকতার তথ্য নেই: র‌্যাব

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে ট্রেনে নাশকতা বা সহিংসতার কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে আমরা সমন্বয় করে কাজ করছি। কোনো ধরনের নাশকতা বা সহিংসতার তথ্য যদি থাকে বা আশঙ্কা থাকে তা যেন আমরা যথাসময়ে জানতে পারি সে বিষয়ে আমাদের মেকানিজমও কাজ করছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে এবং অন্য যারা কাজ করছে সবার সঙ্গে সমন্বয় করে বলছি, কোনো ধরনের নাশকতা বা সহিংসতার তথ্য আমাদের কাছে নেই।

সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৯টায় ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেন নিশ্চিত হয় সেজন্য বেশ কিছু কার্যক্রম নিয়েছি। স্টেশনভিত্তিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছি। সাদা পোশাকে গোয়েন্দারাও এখানে আছেন। বিভিন্ন স্টেশনে বিপুল সংখ্যক র‌্যাব সদস্য নিয়োজিত করেছি। গোয়েন্দারাও কাজ করছেন, আমরা সাইবার ওয়ার্ল্ডও নজরদারি করছি। আমরা বসে নেই, প্রস্তুত আছি যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করে যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে।

ঈদে ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, ঈদে নাড়ির টানে ঢাকাবাসীর অনেকেই বাড়ি চলে যান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে সেই শূন্য ঢাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব অবশ্যই আমাদের ওপর বর্তায়। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের মোটরসাইকেল পেট্রোলের সংখ্যা অনেকটাই বাড়ানো হয়। এছাড়া যারা জনপ্রতিনিধি আছেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করি, যাতে কোথাও কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে আমরা যেন সঙ্গে সঙ্গে তথ্য পাই।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক বলেন, কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকায় র‌্যাব-৩ সার্বক্ষণিক বেশ কিছুদিন ধরে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে আমরা অনেক চেষ্টা করেছি দালাল বা টিকিট কালোবাজারি চক্রের সদস্যদের খুঁজে বের করার জন্য। কিন্তু আমরা দেখেছি তারা কেউই প্রকাশ্যে নেই।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের সহযোগিতায় আমরা সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু অভিযান পরিচালনা করেছি। যারা দুষ্কৃতকারী এবং ট্রেনের টিকিট কালোবাজারে জড়িত ছিল, যারা এই টিকিটকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার টিকিট কালোবাজারির পরিকল্পনা করছিল, আমরা তাদের আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি। আমরা কাউকে ছাড় দেইনি। যাত্রীদের অনুরোধ করবো আপনার প্রতারিত হবেন না। নিয়ম মেনে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করে নিরাপদ যাত্রা উপভোগ করুন।


আরও খবর



জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিক মুক্ত

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অবশেষে মুক্ত হয়েছে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটিতে থাকা ২৩ নাবিকই সুস্থ রয়েছেন।

জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টা ৩৫ মিনিটে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অল্প কিছুক্ষণ আগে আমরা সুসংবাদ পেয়েছি। আমাদের জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ২৩ নাবিকই অক্ষত অবস্থায় আমরা ফেরত পেয়েছি। আগামীকাল (রোববার) সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।

জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি বিমান বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর বিমান থেকে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে উঠে দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। তবে চুক্তি অনুযায়ী জাহাজটি যথাসময়ে ছেড়ে দেয়নি দস্যুরা। পরবর্তীতে আশপাশে কেউ আটক করছে কি না, সেটি নিশ্চিত হয়ে জাহাজ থেকে দস্যুরা নেমে যায়।

মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ সময় শনিবার মধ্যরাতে ২৩ নাবিক নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। যদিও মুক্তিপণ কত এবং কীভাবে দেওয়া হয়েছে সেটি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জাহাজের মালিকপক্ষের কোনো কর্মকর্তা।

কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান বলেন, সমঝোতার পর নাবিকসহ জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। জাহাজের চারপাশে একাধিক আন্তর্জাতিক যুদ্ধজাহাজ রয়েছে।

এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।

কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ আগে গোল্ডেন হক নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এরকম মোট ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।


আরও খবর



বোনকে সামলান, সামনে পড়লে থাবড়ায়ে দেবনে: পরীমণি

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

দুই চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী আর পরীমণির কথার লড়াই যেন থামছেই না। গেল ২১ মার্চ শেহজাদ খান বীরের জন্মদিনে একটি আবেগঘন ভিডিওবার্তা দেন বুবলী। একই ধরনের ভিডিও মাস কয়েক আগে পরীও প্রকাশ করেছিলেন তার ছেলে শাহীম মুহাম্মদ রাজ্যের জন্মদিনে। আর এই কপি’ ভিডিও নিয়েই তাদের যত ভার্চ্যুয়াল যুদ্ধ।

সম্প্রতি কলকাতার একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজেকে বেয়াদব’ বলে মন্তব্য করেন পরীমণি। তার কথায়, সবসময় এমন হয়েই থাকতে চান তিনি। বদলাতে চান না বেয়াদবি’র তকমা।’

পরীমণির এমন বক্তব্যের পর শুক্রবার একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দেন বুবলী। যেখানে পরীর নাম না নিলেও পরোক্ষভাবে নায়িকার ওই বক্তব্যের সমালোচনা করেন তিনি। বুবলীর কথায়, কেউ যদি কারোর সঙ্গে অসভ্যতা করেন, কাউকে হার্ট করেন, সেটি যদি তার কাছে মনে হয় বা তিনি প্রমাণ করতে চান আমি স্পষ্টবাদী’, তাহলে তো একসময় বড়দেরও অসম্মান করা হবে।”

এটাকে বেয়াদবিও আখ্যা দেন বুবলী। যা দেখে বেজায় চটেছেন পরী। কারও নাম উল্লেখ না করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনিও বার্তা দিয়েছেন।

পরী কথায়, আপনার বড় বোনকে আগে সভ্য হতে বলেন আপা। গালিগালাজ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ট্যাটাস দেয় কেন বিদেশ বসে। সামনে আসতে বলেন। আগে নিজে এবং নিজের পরিবারের সভ্যতা নিশ্চিত করেন। দল পাকায়েন না এত।’

তিনি আরও বলেন, আমি তাও তো আপনাকে আপা বলে কথা বলি। আপনি বলি। কারণ আমি সভ্য তাই। আপনার বোন আর আপনার মতো তুই-তোকারি গালিগালাজ তো করি নাই। সামনে পরলে এবার থাবড়ায়ে দিবনে তাইলে। বেয়াদবি না করেই এত কথা আপনার আমাকে নিয়ে। এবার এটা করলে কী যায় আসে আর।’


আরও খবর