আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

কৃষিক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর অবদান

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আবুবকর সিদ্দিক

যুদ্ধ শেষ হয়েছে। বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরেছেন। নিজ মাটিতে পা দিয়ে যেমন আবেগে আপ্লুত, তেমনি শঙ্কিত ও চিন্তিত যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পুনর্বাসন নিয়ে। বীরযোদ্ধা, আবালবৃদ্ধবনিতাসহ আপামর জনসাধারণ মুক্তির আনন্দে বিভোর। এদিকে সুযোগসন্ধানীরা উঠেপড়ে লেগেছে আখের গোছাতে। শিগগিরই আনন্দের ঘোর কাটবে, ক্ষুধা এসে হানা দেবে দুয়ারে। সময় নষ্ট করা যাবে না। চিন্তিত বঙ্গবন্ধু। একের পর এক পরিকল্পনার ছক কেটে যেতে লাগলেন। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে শুরু করলেন। মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে বসলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা আর দেশ পুনর্বাসনে ১৯৭৩ সালেই তৈরি করলেন প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা। এর মূল অঙ্গীকার বিধ্বস্ত অবকাঠামো পুননির্মাণ, ভগ্নশিল্প পুনঃপ্রতিষ্ঠা, শিক্ষাব্যবস্থা, প্রশাসন পুনর্বিন্যাস, রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা, সর্বোপরি কৃষির উন্নয়ন।

কেন কৃষির কথা ভাবলেন বঙ্গবন্ধু: মনস্তাত্ত্বিক দিক বিবেচনায় এনে বঙ্গবন্ধু ভাবলেন, এ দেশের জলবায়ু ও মাটি কৃষির মাটি। বাংলার সবচেয়ে বড় সম্পদ কৃষি। কৃষি বাংলার প্রাণ, বাঙালির মুখের হাসি। বাঙালি মনোজগতের দার্শনিক বঙ্গবন্ধু। তিনি জানেন, কৃষি মিশে আছে বাঙালির রক্তে। দেশের ৮৫ শতাংশ লোক কৃষির ওপর নির্ভশীল। তাই উন্নয়নের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হবে কৃষি। দৃশ্যমান বাস্তবতা বিবেচনায় এনে ভাবলেন, মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম খাদ্য। বিশে^র বহু দেশে খাদ্য উৎপাদনের উপযোগী জলবায়ু ও মাটি নেই। খাদ্যের জন্য তাদের নির্ভর করতে হয় বহির্বিশ্বের ওপর। যদি বিশ্বে খাদ্যমন্দা দেখা দেয়, তা হলে অনুন্নত দেশগুলোকে তীব্র খাদ্য সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। আমাদের মাটি কৃষির মাটি। এ দেশের মাটিতে সোনা ফলে। এ জন্য যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্বাসনে প্রথম যে বিষয়টি সামনে আসে, তা হলো খাদ্য নিশ্চয়তা। তাই কৃষিকে বাঁচাতে হবে, কৃষককে বাঁচাতে হবে।

বঙ্গবন্ধু কী পদক্ষেপ নিলেন: কৃষি উন্নয়নের কথা ভেবে তিনি যে যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন, সংক্ষেপে সেগুলো ছিল নিম্নরূপ- ক. জাতীয় উন্নয়নে কৃষিকে অগ্রাধিকার দিয়ে রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন : বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান ভিত্তিই হলো কৃষি। এ কারণে ১৯৭৩ সালে প্রণীত প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে বলা হলো, খাদ্যশস্য উৎপাদনে আত্মনির্ভরতা অর্জন, কৃর্ষিক্ষেত্রে কর্মের সুযোগ সম্প্রসারণ এবং শহরমুখী শ্রমিকস্রোত ঠেকানোর উদ্দেশ্যে প্রাতিষ্ঠানিক ও কারিগরিভিত্তিক কৃষিভিত্তি গড়ে তোলা। প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় সামাজিক ন্যায়বিচার ও দারিদ্র্য বিমোচনের তাগিদে কৃষি উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রধিকার দেওয়া হলো। স্বল্পমেয়াদে উন্নত পদ্ধতিতে চাষাবাদ, উন্নত বীজ, সেচ ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ সরবরাহ করে এবং কৃষিঋণ মওকুফ, সার্টিফিকেট মামলা প্রত্যাহার ও খাসজমি বিতরণ করে কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা এবং উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জনের চেষ্টা করা হলো। প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় ভূমিসংস্কার ও গ্রামে সমবায় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কৃষক-জনতার স্বার্থে গ্রাম-সমবায়ও বিশেষভাবে স্থান পেয়েছিল। এ পরিকল্পনায় সব বিষয়টিকে প্রধানত দুটি অংশে বিভক্ত করা হয়েছিল। এর প্রথম অংশে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে পরিকল্পনা কাঠামো এবং দ্বিতীয় অংশে খাতওয়ারি কর্মসূচি। খাতওয়ারি কর্মসূচির শুরুতেই ছিল কৃষি।

খ. কৃষি পুনর্বাসন ও কৃষককে সুযোগ-সুবিধা প্রদান : কৃষক বাঁচাও দেশ বাঁচাও স্লোগানে সবুজ বিপ্লবের ডাক। ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মাফ। পরিবারপ্রতি জমির মালিকানা ৩৭৫ বিঘা থেকে কমিয়ে সর্বোচ্চ সীমা ১০০ বিঘা নির্ধারণ। পাকিস্তান শাসনামলে মামলাকৃত ১০ লাখ সার্টিফিকেট মামলা থেকে কৃষকদের মুক্তি প্রদান ও সুদসহ ঋণ মওকুফ। জমির পূর্ববর্তী সব ভূমি কর মওকুফ। দরিদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের রেশন প্রদানের ব্যবস্থা। উপকূলীয় অঞ্চলে বাঁধ নির্মাণ করে প্রায় ১৮ লাখ একর কৃষিজমি রক্ষা। উচ্চফলনশীল ধান, পাট ও গম বীজ কৃষকদের মধ্যে বিতরণ। স্বাধীনতার পর স্বল্পসময়ের মধ্যে ২২ লাখ কৃষি পরিবারকে পুনর্বাসন। হ্রাসকৃত মূল্যে লো লিফট পাম্প, গভীর নলকূপ ও শ্যালো টিউবওয়েল বিতরণ। নদী কিংবা সাগরে জেগে ওঠা চর জমির মালিকানা রাষ্ট্রের হাতে নিয়ে দরিদ্রতর কৃষকদের মধ্যে বণ্টনব্যবস্থার বিধান। অল্পদামে কিংবা বিনামূল্যে সার, কীটনাশক, বীজ ও কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ। ভূমিহীনদের মধ্যে খাসজমি বিতরণ। কৃষকদের মধ্যে ষাঁড়, গরু বিতরণ ও কৃষিঋণ প্রদান। সহজ শর্তে ঋণপ্রাপ্তির লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা। কৃষকের কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার জন্য ধান, পাট, তামাক, ইক্ষুসহ গুরুত্বপূর্ণ ফসলের ন্যূনতম বিক্রিমূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া। কৃষি উৎপাদন সহযোগী সামগ্রী স্বল্প ও বিনামূল্যে প্রদান করে কৃষিকাজে উৎসাহ ও কৃষকের উৎপাদন ব্যয় কমানো। কৃষিজ পণ্যের ক্ষুদে বিক্রেতাদের শুল্ক থেকে অব্যাহতি প্রদান। কৃষকদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের জন্য সব রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংককে নির্দেশনা প্রদান। সরকারিভাবে খাদ্য মজুদের জন্য ১৯৭২ সালেই ১০০টি খাদ্য গোডাউন নির্মাণ। গ. কৃষিভিত্তিক ও কৃষিসহযোগী শিল্প : কৃষি খামার, মৎস্য এবং অন্যান্য কৃষিভিত্তিক ক্ষুদ্রশিল্প প্রতিষ্ঠায় উৎসাহ প্রদান ও সহজ শর্তে ঋণপ্রাপ্তির ব্যবস্থা। স্থানীয়ভাবে কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরির ক্ষুদ্রশিল্পকে উৎসাহ ও প্রণোদনা প্রদান। ঘ. কৃষি সমবায় : সমন্বিত পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের অধীন বিদ্যমান সমবায় সমিতির পাশাপাশি দ্বিস্তরের সমবায় পদ্ধতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য দেশের প্রথম মাইক্রোক্রেডিট কর্মসূচি প্রণয়ন। ঙ. সবুজ বিপ্লব : কৃষি বাঁচলে দেশ বাঁচবে স্লোগান সামনে রেখে সবুজ বিপ্লব-এর ডাক। কৃষকদের বিদ্যমান সুবিধা বৃদ্ধি করে নানা সুযোগ প্রদান করে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করতে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ছিল এর মূল লক্ষ্য। চ. কৃষিবিদদের মর্যাদা বৃদ্ধি : অধিকতর মেধাবী শিক্ষার্থীদের কৃষি শিক্ষায় আকৃষ্ট করার জন্য ১৯৭৩ সালে কৃষিবিদদের চাকরি ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণির মর্যাদা প্রদান। ছ. কৃষি শিক্ষা ও কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্থাপন : কৃষি গবেষণা ছাড়া কৃষির উন্নতি সম্ভব নয়- এ কথা উপলদ্ধি করে ১৯৭৩ সালে কৃষি গবেষণা সমন্বয়ের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা। ১৯৭৩ সালে ১০ নম্বর অ্যাক্টের মাধ্যমে নতুন নামে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট পুনর্গঠন করা। ঢাকার আণবিক গবেষণাকেন্দ্রে কৃষি পারমাণবিক গবেষণা ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার এগ্রিকালচার প্রতিষ্ঠার নির্দেশ। জুট এগ্রিকালচার রিসার্চ ল্যাবরেটরিকে বাংলাদেশ জুট রিসার্চ ইনস্টিটিউট নামে পুনর্গঠন। সোনালি আঁশের সম্ভবনার দ্বার উন্মুক্ত করতে পাট মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা। তুলার চাষ সম্প্রসারণ করার জন্য তুলা উন্নয়ন বোর্ড গঠন। হর্টিকালচার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড, সিড সার্টিফিকেশন এজেন্সি ও রাবার উন্নয়ন কার্যক্রম পুনর্গঠন। ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট, মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠা। কৃষি সেচব্যবস্থার উন্নয়ন, বীজ উৎপাদন, বীজে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে বিএডিসিকে পুনর্গঠন ও এর বীজকেন্দ্র সারাদেশে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ।

বঙ্গবন্ধুর পদক্ষেপের সুদূর প্রভাব: শত বিপত্তির মধ্যেও কৃষি উন্নয়নের ক্ষেত্রে পুরো পৃথিবীতে বাংলাদেশ এখন একটি রোল মডেল হিসেবে পরিচিত। দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তবে স্বাধীনতা অর্জন সময়ের তুলনায় মানুষ বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে বাংলাদেশ এখন খাদ্য রফতানি করছে। শিল্পায়ন, বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যের প্রসার, সেবাধর্মী কর্মকাণ্ডের বাজার ও শ্রমবাজার বৃদ্ধিসহ নানাবিধ কারণে কৃষি থেকে বিপুল মানবসম্পদের নিয়ত অভিবাসন সত্ত্বেও দেশের জিডিপিতে রয়েছে কৃষির উল্লেখযোগ্য অবদান (বর্তমানে তা মোট জিডিপির প্রায় ১৪ শতাংশ)। এগ্রো ইন্ডাস্ট্রি, পরিকল্পিত ও বাণিজ্যিক কৃষি উৎপাদনে বৃদ্ধি পেয়েছে বেসরকারি বিনিয়োগ এবং সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা। তা দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বেকারত্ব দূরীকরণে রাখছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এতে বৃদ্ধি পেয়েছে কৃষকের মর্যাদা। এসবই সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী কৃষি ভাবনা ও উপযুক্ত পদক্ষেপের কারণে। তাই স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বঙ্গবন্ধু নামের পাশে খুবই যৌক্তিকভাবে সংযোজিত হয় আরেকটি নাম, আরেকটি বিশেষণ, আরেকটি শ্রদ্ধার্ঘ্য কৃষিবন্ধু মুজিব

লেখক: মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব), গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রলালয়


আরও খবর



‘বাস মালিকদের সুবিধা দিতে রেলের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাস মালিকদের বিশেষ সুবিধা দিতে রেয়াত সুবিধা প্রত্যাহারের নামে বাসের চেয়ে রেলের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনের মহাসচিব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

লিখিত বক্তব্যে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, রেলের রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি যাত্রী কল্যাণ সমিতি পর্যবেক্ষণ করে নিম্নে ৫টি রুটের বাস এবং রেলের ভাড়া ও সময়ে তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে, এতে দেখা গেছে

১। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম তূর্ণা নিশিতা ট্রেনে শোভন চেয়ারের আগের ভাড়া ছিল ৩৪৫ টাকা। এখন রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহারের পর ৪০৫ টাকা। এই টিকিট কালোবাজারির কাছ থেকে যাত্রীদের কিনতে হয় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে লোকাল বাসের ভাড়া ৪০০ টাকা, ডাইরেক্ট বাসের ভাড়া ৬৮০ টাকা। ঢাকা চট্টগ্রাম তূর্ণা নিশিতা ট্রেনে এসি চেয়ারে আগের ভাড়া ছিল ৬৫৬ টাকা রেয়াত প্রত্যাহারের পরে এখন ৭৭৭ টাকা। এই টিকিট কালোবাজারির কাছ থেকে কিনতে হয় ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায়। অথচ এই রুটে এসি বাসের ভাড়া ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে বাসে যেতে সময় লাগে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা, ট্রেনে সময় লাগে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা।

২। ঢাকা খুলনা রুটে ট্রেনের শোভন চেয়ারে ৫০০ টাকার ভাড়া এখন ৬২৫ টাকা। অথচ এই রুটে বাসে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায় যাতায়াত করেন যাত্রীরা। এই রুটে ট্রেনে এসি চেয়ার ৯৫৫ টাকার টিকিট এখন ১১৯৬ টাকা যা কালোবাজারির কাছ থেকে ১৫০০ টাকায় কিনতে হয়। অথচ ঢাকা-খুলনা রুটে বিলাসবহুল এসি বাসের ভাড়া মাত্র ৯০০ টাকা।

৩। ঢাকা-রংপুর রুটে ট্রেনের শোভন চেয়ার ৫০৫ টাকা টিকিট এখন ৬৩৫ টাকা যা কালোবাজারির কাছ থেকে কিনতে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা লাগে। ঢাকা রংপুর রুটে লোকাল বাসের ভাড়া ৪০০/৫০০ টাকা, ডাইরেক্ট বাসের ভাড়া ৮০০ টাকা। এই রুটে ট্রেনের এসি চেয়ার ৯৬৬ টাকার টিকিট এখন ১২১৪ টাকা যা কালোবাজারির কাছ থেকে কিনতে লাগে ১৫০০ টাকায়। এই রুটে বিলাসবহুল বাসের এসি টিকিট ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকায় পাওয়া যায়। ঢাকা রংপুর ট্রেনের এসি বার্থ ২১৮০ টাকা যা কালোবাজারে কিনতে ৩০০০ টাকা লাগে অথচ বিলাসবহুল বাসে এই রুটে এসি স্লিপার ১৬০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এই রুটে বাসে যেতে সময় লাগে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা, ট্রেনে সময় লাগে ১০ থেকে ১১ ঘণ্টা।

৪। ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে ট্রেনের ৫১০ টাকার শোভন চেয়ার টিকিট এখন ৬৪৫ টাকা যা কালোবাজারে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায় কিনতে হয়। অথচ এই রুটে ৬০০ থেকে ৯০০ টাকার উন্নতমানের বাসে যাওয়া যায়। এই রুটে ট্রেনের এসি চেয়ার ৯৭২ টাকার টিকিট এখন ১২৩৭ টাকা যা কালোবাজারির কাছ থেকে ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকায় কিনতে হয়। অথচ বিলাসবহুল এসি বাসের টিকিট ১২০০ টাকায় পাওয়া যায়।

৫। ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে এসি বার্থ এর মূল্য ২৪০০ টাকা। এই রুটে বিলাস বহুলবাসে এসি স্লিপারের ভাড়া ১৮০০ টাকা।


আরও খবর



মুন্সিগঞ্জে হিট স্ট্রোকে দুজনের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সীগঞ্জে হিট স্ট্রোকে দুই জন মারা গেছেন। হিট স্ট্রোকের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও চার জন। হিট স্ট্রোকে যে দুজন মারা গেছেন তারা হলেন- ওমর আলী (৬৫) ও আব্দুল বাতেন মাঝি (৬০)। তাদের দুই জনের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলায়।

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ওমর আলীকে আজ মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে এবং আব্দুল বাতেন মাঝিকে সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালে আনা হয়।

ওমর আলী চরকিশোরগঞ্জের বাবু হাজারীর ছেলে এবং আব্দুল বাতেন মাঝি মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মানিকপুরের ওলিউল্লা মাস্টারের ছেলে।

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল বলেন, সকালে ওমর আলী মাঠে কাজ করার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন। আর আব্দুল বাতেন মাঝি বাজার এলাকায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের দুজনকেই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের মধ্যে হিট স্ট্রোকের উপসর্গ ছিল।

তিনি আরও বলেন, আরও চার জনকে হিট স্ট্রোকের উপসর্গ নিয়ে সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে তিন জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং একজনকে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরত পাঠানো হয়েছে।'


আরও খবর



ফের দেশজুড়ে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

হিট অ্যালার্টের (তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা) মেয়াদ আরও ৩ দিন বাড়ছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান এ তথ্য জানান।

মো. আজিজুর রহমান বলেন, আমরা এর আগে তিন দিনের যে হিট অ্যালার্ট জারি করেছিলাম তার মেয়াদ আজ শেষ হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হবে। কারণ, আপাতত বড় পরিসরে বৃষ্টি হয়ে তাপপ্রবাহ দূর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমরা হিট অ্যালার্ট জারি করে সরকারকে জানিয়ে দিই। সরকার সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। সংশ্লিষ্টরা তাদের করণীয় যা সেটা করবে।

তিনি বলেন, সারা দেশের তাপমাত্রা গতকালের থেকে আজ কিছুটা বেড়েছে। চলতি এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ পুরোপুরি দূর হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমরা দেখছি যে, এটা মে মাসের ২ থেকে ৩ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এরপর হয়তো বিভিন্ন অঞ্চলে কিছু বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এর আগ পর্যন্ত বড় পরিসরে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। স্থানীয়ভাবে বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে।


আরও খবর



ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ চলছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। স্থানীয় সময় সকাল সাতটা থেকে এই ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সাত দফার এই নির্বাচনে আজ প্রথম দফায় ২১টি রাজ্য এবং‌ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে দেশের ১০২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

এই রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোর মধ্যে রয়েছে অরুণাচল, আসাম, বিহার, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, রাজস্থান, সিকিম, তামিলনাড়ু, ত্রিপুরা, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গ।

নির্বাচন কমিশন ১ লাখ ৮৭ হাজার ভোটকেন্দ্র জুড়ে ১৮ লাখেরও বেশি ভোটকর্মী মোতায়েন করেছে। নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৬ কোটি ৬৩ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে ৮ কোটি ৪০ লাখ পুরুষ, ৮ কোটি ২৩ লাখ নারী এবং ১১ হাজার ৩৭১ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।

২০ থেকে ২৯ বছর বয়সী ৩ কোটি ৫১ লাখ তরুণ ভোটার ছাড়াও প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন ৩৫ লাখ ৬৭ হাজার ভোটার।


আরও খবর



গত ২৪ ঘণ্টায় হিটস্ট্রোকে ৭ জেলায় ৮ মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে হিটস্ট্রোকে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে দুইজন, পাবনায় একজন, মেহেরপুরে একজন, নরসিংদীর মাধবদীতে একজন, শরীয়তপুরে একজন, ঝালকাঠিতে একজন ও সিলেটে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

দিনাজপুর: দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে হিট স্ট্রোকে দুজন মারা গেছেন। তারা হলেন- ফুলবাড়ী পৌর এলাকার চকসাবাজপুর গ্রামের সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোতাহার আলী (৫৮) এবং অপরজন যশোর কোতোয়ালি থানা এলাকার রাজারহাট গ্রামের ট্রাকচালক বিল্লাল হোসেন (৫২)। মোতাহার হোসেনের ছেলে সানজিদ আহম্মেদ সুইট বলেন, কয়েক দিন ধরে জ্বর ছিল আমার বাবার। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হঠাৎ বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অপরদিকে, ট্রাকমালিক সোহরাব হোসেন বলেন, যশোর থেকে পাথরের ডাস্টের ভাড়া আনতে বড়পুকুরিয়া এলাকায় যান ট্রাকচালক বিল্লাল হোসেন। গতকাল রাত ১০টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শুনেছি স্ট্রোক করে ড্রাইভার বিল্লালের মৃত্যু হয়েছে।

পাবনা: পাবনার চাটমোহর উপজেলায় ভুট্টা খেতে কাজ করতে গিয়ে হিট স্ট্রোকে আলাউদ্দিন আলী আলাল (৪৩) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দুপুরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে মারা যান আলাউদ্দিন আলী আলাল। তিনি উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়য়নের নেউতিগাছা এলাকার মো. ইউসুফ আলীর ছেলে। পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সকালের দিকে চাটমোহরে ভুট্টার খেতে কাজ করতে গিয়ে হিট স্ট্রোকে আলাউদ্দিন আলী আলাল অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় তাকে উদ্ধার করে আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরপর দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. কামরুজ্জামান বলেন, আমাদের এখানে সকালে ভর্তি হয়েছিল। পরে দুপুরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পাবনা জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবেন উনি কি জন্য মারা গেছেন। আলাউদ্দিন আলী হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন পাবনা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আয়েশা সিদ্দিকা।

তিনি বলেন, প্রচণ্ড গরমে প্রতিদিনই মানুষ হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেক রোগী হাসপাতালে আসছে। চাটমোহরের আলাউদ্দিন হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে এসেছিলেন বলে আমাদের প্রাথমিক ধারণা।

এর আগে শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে পাবনা শহরে হিট স্ট্রোক করে সুকুমার দাস (৬০) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। এদিন পাবনা শহরের রূপকথা রোডে একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় হিট স্ট্রোক করেন তিনি। এসময় আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সুকুমার দাস শহরের শালগাড়িয়ার জাকিরের মোড়ের বাসিন্দা।

মেহেরপুর: মেহেরপুরের গাংনীতে হিটস্ট্রোকে শিল্পী খাতুন (৪৫) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকাল ৮টায় উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের রুয়েরকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিল্পী খাতুন রুয়েরকান্দি গ্রামের আবু তাহেরের স্ত্রী এবং পার্শ্ববর্তী আমতৈল গ্রামের বিল্লাল মালিথার মেয়ে। মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক শামীম হাসান বলেন, শিল্পী খাতুনের মৃত্যু হিটস্ট্রোকে হয়েছে কিনা সেটা নিশ্চিত করতে ইউএনও এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বইছে। তীব্র গরমে অতি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের না হতে এবং নিজেকে সুস্থ রাখার নির্দেশনা দিয়ে মাইকিং করা হয়েছে।

নরসিংদী: নরসিংদীর মাধবদীতে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে সাফকাত জামিল ইবান (৩২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দুপুরে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ইবান সদর উপজেলার মাধবদী থানার ভগীরথপুর এলাকার মৃত জাকারিয়া জামিলের ছেলে এবং শেখেরচর বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী ছিলেন।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকলে অফিসার (আরএমও) ডা. মাহমুদুল কবির বাশার বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় প্রচণ্ড রোদের মাঝে চলাফেরা এবং প্রচুর ঘামের ফলেই অজ্ঞান হয়ে যান ইবান। তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়। পরিবারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে তার মৃত্যু হিটস্ট্রোকে হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

শরীয়তপুর: শরীয়তপুরে অতিরিক্ত গরমে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হারুন চৌকিদার (৪৩) নামে এক অটোরিকশা চালকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রবিবার দুপুরে জেলা পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। হারুন চৌকিদার নড়িয়া উপজেলার মোক্তারেরচর ইউনিয়নের নয়ন মাদবরকান্দি এলাকার আলী হোসেন চৌকিদারের ছেলে।

সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সাবিকুন নাহার বলেন, স্বজনদের কাছ থেকে জানতে পারি অতিরিক্ত গরমে কাজ করার ফলে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যান হারুন। রোগীর স্বজনরা তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সদর হাসপাতালে সামনে নিয়ে এলে আমি অ্যাম্বুলেন্সে গিয়ে তাকে দেখি। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

ঝালকাঠি: ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার কাঠালিয়া সদর ইউনিয়নের পশ্চিম আউরা গ্রামে এক যুবক হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন। তার নাম মো. আফজাল তালুকদার (৪৫)। হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক দিলীপ চন্দ্র হাওলাদার।

সিলেট: সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় হিট স্ট্রোকে এক রিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দুপুরে দক্ষিণ সুরমা পুলিশ বক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে রিকশাচালকের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশে ওসি ইয়ারদৌস হাসান জানান, দুপুর ১২টার দিকে এক অজ্ঞাত পরিচয়ের রিকশাচালক দক্ষিণ সুরমা পুলিশ বক্সের সামনে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


আরও খবর