আজঃ বুধবার ০১ মে ২০২৪
শিরোনাম

কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্য ব্যক্তিগত মতামত: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশের ৪০ জন বুদ্ধিজীবীর দেওয়া বিবৃতির সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আগুন সন্ত্রাস বন্ধের আহ্বান না জানিয়ে যারা নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন তারা বিএনপির দালাল। এসব বুদ্ধিজীবীরা বিএনপির রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।

সোমবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার নিয়ে কৃষিমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যকে এ সময় তিনি ব্যক্তিগত মতামত বলে দাবি করেন।

এর আগে রোববার চ্যানেল টোয়েন্টিফোরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, বিএনপিকে ভোটে আনতে সব চেষ্টাই করেছে আওয়ামী লীগ। এমনকি সব নেতাকে জেল থেকে মুক্তির প্রস্তাবেও বিএনপি রাজি হয়নি। এই বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো দেউলিয়া দল নয়। আওয়ামী লীগ দলীয় নিয়মনীতি ভঙ্গ করে, গণতন্ত্রের প্রতি কমিটমেন্ট বিনষ্ট করে এ ধরনের উদ্ভট প্রস্তাব বিএনপি বা কাউকে দিবে এটা কখনো সঠিক হতে পারে না। এ ধরনের প্রস্তাব সরকার এবং দল দেয়নি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এবারের নির্বাচনে এ পর্যন্ত ২৭টি দল অংশ নিচ্ছে, প্রার্থী সংখ্যা ১৮৮৬ জন। স্বতন্ত্র ৩৫৭ জন। নির্বাচনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি চলছে।

তিনি বলেন, আগামী ২৭ ডিসেম্বর দলের সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হবে।

বিএনপি নেতা মঈন খানের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ৭ জানুয়ারি সারাদেশের দিকে একটু নজর দিয়েন, ভোটকেন্দ্রের দিকে একটু তাকিয়েন, তাহলে বুঝতে পারবেন সারাদেশের মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য কতটা উন্মুখ হয়ে আছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলনকে মানুষ বিশ্বাস করে না। আগামী পাঁচ বছরও তারা আন্দোলনের ডাক দিয়ে যাবে।

সংবাদ সম্মেনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।


আরও খবর



জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিক মুক্ত

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অবশেষে মুক্ত হয়েছে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটিতে থাকা ২৩ নাবিকই সুস্থ রয়েছেন।

জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টা ৩৫ মিনিটে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অল্প কিছুক্ষণ আগে আমরা সুসংবাদ পেয়েছি। আমাদের জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ২৩ নাবিকই অক্ষত অবস্থায় আমরা ফেরত পেয়েছি। আগামীকাল (রোববার) সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।

জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি বিমান বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর বিমান থেকে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে উঠে দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। তবে চুক্তি অনুযায়ী জাহাজটি যথাসময়ে ছেড়ে দেয়নি দস্যুরা। পরবর্তীতে আশপাশে কেউ আটক করছে কি না, সেটি নিশ্চিত হয়ে জাহাজ থেকে দস্যুরা নেমে যায়।

মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ সময় শনিবার মধ্যরাতে ২৩ নাবিক নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। যদিও মুক্তিপণ কত এবং কীভাবে দেওয়া হয়েছে সেটি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জাহাজের মালিকপক্ষের কোনো কর্মকর্তা।

কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান বলেন, সমঝোতার পর নাবিকসহ জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। জাহাজের চারপাশে একাধিক আন্তর্জাতিক যুদ্ধজাহাজ রয়েছে।

এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।

কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ আগে গোল্ডেন হক নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এরকম মোট ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।


আরও খবর



আ.লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ : কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সামনে উপজেলা নির্বাচন। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে।

মন্ত্রী-এমপির নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটজনেরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেকেই এখনও নির্বাচনে আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হউক, তার আগে এ বিষয়ে কীভাবে বলা যাবে।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।


আরও খবর



আজ পবিত্র শবে কদর

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

আজ পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে সন্ধ্যা থেকে সারাদেশে দিনটি পালিত হবে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য ও রহমত লাভের আশায় ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে পবিত্র লাইলাতুল কদরের রজনী পালন করবেন।

মহান আল্লাহতায়ালা লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় এবাদত-বন্দেগি করে থাকেন।

পবিত্র রমজান মাসের লাইলাতুল কদরে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছিল। তাই মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে এবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন। মুসলমানরা নফল নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আসকার, দোয়া, মিলাদ মাহফিলের মধ্য দিয়ে শবে কদরের রজনী কাটাবেন।

পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এবং বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। শবে কদর উপলক্ষে আগামীকাল রোববার (৭ এপ্রিল) সরকারি ছুটি থাকবে।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




লোকসভা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোট দিয়েছে ৬০ শতাংশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

প্রতিবেশী দেশ ভারতে আজ (শুক্রবার) থেকে শুরু হয়েছে লোকসভা নির্বাচন। সাত ধাপে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনের প্রথম ধাপ শুরু হয়েছে। এ নির্বাচনকে বলা হচ্ছে বিজেপির মাইল ফলক ও বিরোধীদের টিকে থাকার লড়াই।

প্রথম ধাপের ভোট ২১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১০২টি আসনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোট পড়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ।

ভারতীয় সময় বিকাল ৫টায় পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ। তামিলনাড়ুতে ভোট পড়েছে ৬৩.২ শতাংশ, রাজস্থানে ৫০.৩ শতাংশ, উত্তর প্রদেশে ৫৭.৫ শতাংশ এবং মধ্যপ্রদেশে ৬৩.৩ শতাংশ। সাধারণ নির্বাচনের পাশাপাশি রাজ্য নির্বাচনের জন্য, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশে যথাক্রমে ৬৭.৫ ও ৬৪.৭ শতাংশ ভোট পড়েছে৷

তামিলনাড়ুর ৩৯, রাজস্থানের ১২, উত্তর প্রদেশের ৮, মধ্যপ্রদেশের ৬, উত্তরাখণ্ডের ৫, অরুণাচল প্রদেশের ২, মেঘালয়ের ২, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ১, মিজোরামের ১, নাগাল্যান্ডের১, পুদুচেরির ১, সিকিমের ১ ও লাক্ষাদ্বীপের ১ আসনে প্রথম দফার ভোট হয়েছে।

এছাড়া আসাম ও মহারাষ্ট্রে পাঁচটি করে, বিহারে চারটি, পশ্চিমবঙ্গে তিনটি, মণিপুরে দুটি এবং ত্রিপুরা, জম্মু ও কাশ্মীর ও ছত্তিশগড়ে একটি করে আসন প্রথম ধাপে অন্তর্ভুক্ত।

চারটি রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশে লোকসভা নির্বাচনের পাশাপাশি নতুন বিধানসভা নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে অরুণাচল প্রদেশ (৬০ আসন) এবং সিকিম (৩২) প্রথম স্থানে রয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি কর্মীরা কোচবিহারে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একে অপরের বিরুদ্ধে সহিংসতা, ভোটারদের ভয় দেখানো এবং পোল এজেন্টদের ওপর হামলার অভিযোগ তোলেছে বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে। তবে কোনো সহিংসতা ঘটেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মণিপুরের বিষ্ণুপুর ভোটকেন্দ্রে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। ইম্ফল জেলায় একটি ভোটকেন্দ্র ভাঙচুর করা হয়েছে। তামিলনাড়ুর সালেম জেলার ভোটকেন্দ্রে দুজন বয়স্ক লোক নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

নিউজ ট্যাগ: লোকসভা নির্বাচন

আরও খবর



উপজেলা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় নেতাদের ‘হস্তক্ষেপ’ নিয়ে চিন্তিত প্রার্থীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর প্রথম অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনের দিকে নজর সবার। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত বেশ তৎপর। যেহেতু দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে না, তাই এবার দল থেকে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না।

প্রথম ধাপের নির্বাচনে বেশিরভাগ উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগই। তাই-তো তৃতীয় কোনো প্রার্থী থাকলে সেদিকেও নজর দিতে হচ্ছে তাদের। অন্যদিকে, স্থানীয় সংসদ সদস্যরা (এমপি) তাদের নিজস্ব বলয়ে রাখতে চাইছেন উপজেলাগুলো। আবার ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও চাচ্ছেন, তাদের বলয়ের মধ্যে থাকুক উপজেলার চেয়ার। এমন এক বা একাধিক বলয়ের বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে প্রার্থীদের।

তবে, একাধিক প্রার্থী জানিয়েছেন, তারা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রী কিংবা কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপ চান না। কোনো রকম প্রভাব ছাড়াই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন প্রত্যাশা তাদের।

বর্তমান সংসদ সদস্যরা উপজেলার চেয়ারম্যান পদটিও অনেক স্থানে ভাগিয়ে নিতে চাচ্ছেন। নিজের পছন্দ মতো প্রার্থী দিচ্ছেন। যদিও ক্ষমতাসীনরা এবার দলীয় প্রতীক দেয়নি। সেই সুযোগ নিতে যাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র এমপিরা। এতে তৃণমূল রাজনীতিতে গ্রুপিংটা আরও প্রকাশ পাচ্ছে।

জানা গেছে, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এসব উপজেলার চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মোট ৬৯৬ জন। তার মধ্যে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের অন্তত ৪৬৬ জন নেতা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বাকিরা বিএনপি, জামায়াত ও অন্যান্য দলের প্রার্থী। তবে, বিএনপি ও জামায়াত দলীয়ভাবে নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের অনেক প্রার্থী এখনও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার দৌড়ে আছেন। এ নিয়ে চিন্তিত ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা। তাদের এক পক্ষ হস্তক্ষেপ চান, অপর পক্ষ হস্তক্ষেপ চান না বলে জানা গেছে।

দলীয় সূত্র মতে, উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে থাকার রেষ কাটতে না কাটতে উপজেলা নির্বাচন। জাতীয় নির্বাচনের সব জের যেন উপজেলা নির্বাচনে প্রকাশ পাচ্ছে। অনেকের মতে, তৃণমূলে আরও বড় হচ্ছে বিভেদের দেয়াল। গেল সংসদ নির্বাচনে নেতাকর্মীদের মধ্যে মনোমালিন্যের যে বাঁক-বদল হয়েছিল, আসছে উপজেলার ভোটে তা আরও নতুন মাত্রা পাচ্ছে। বর্তমান সংসদ সদস্যরা উপজেলার চেয়ারম্যান পদটিও অনেক স্থানে ভাগিয়ে নিতে চাচ্ছেন। নিজের পছন্দ মতো প্রার্থী দিচ্ছেন। যদিও ক্ষমতাসীনরা এবার দলীয় প্রতীক দেয়নি। সেই সুযোগ নিতে যাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র এমপিরা। এতে তৃণমূল রাজনীতিতে গ্রুপিংটা আরও প্রকাশ পাচ্ছে।

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে বিভিন্ন জায়গায় নিকটাত্মীয়দের মনোনয়ন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রার্থিতা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন উন্মুক্ত মানে উন্মুক্ত পরিবেশে নির্বাচন করার ইচ্ছা-বাসনা অনেকেরই থাকতে পারে। আমাদের বক্তব্য হলো, এমপি সাহেবরা বা মন্ত্রী-মহোদয়রা কোথাও কোনো প্রভাব বিস্তার করবেন না। প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকবে। প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কেউ হস্তক্ষেপ করলে তা যেন সফল করতে না পারে। আর প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর কেউ দলীয় নির্দেশ অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নিকটাত্মীয়ের মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে উপজেলা আওয়ামী লীগের অভিযোগ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, আমরা এগুলো জানি। তদন্ত করে খোঁজখবর নিচ্ছি।’

“প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, মন্ত্রী-এমপিরা যেন প্রভাব বিস্তার না করেন। নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে হয়, কেউ কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। প্রশাসন কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। নির্বিঘ্নে ভোটদানের ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন।

আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন নেতাকর্মীরা। কারণ, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দল থেকে প্রতীক ও কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়া হচ্ছে না। এতে যে যার মতো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। কেউ কাউকে ছাড় দিচ্ছেন না। এজন্য নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়ছে। আবার কেন্দ্র থেকেও পছন্দের প্রার্থী সমর্থনের ইশারা দিচ্ছেন কেউ কেউ। এতে সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

বর্তমান সংসদ সদস্য ও তার আশেপাশের নেতাকর্মীরা উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করতে পারে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী বলেন, তারা (ক্ষমতাসীন দল) একশ ভাগ প্রভাব বিস্তার করবে। আমি নিরপেক্ষ নির্বাচন চাচ্ছি, প্রভাবমুক্ত নির্বাচন চাচ্ছি, যেখানে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে। ভোট দিতে পারে।”

২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এখনও আইনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান আছে। কিন্তু ক্ষমতাসীনদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনও বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। তাদের অনুপস্থিতিতে নির্বাচনকে প্রতিযোগিতামূলক করতে আওয়ামী লীগ এবার উপজেলায় দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দিচ্ছে না।

এদিকে, মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, মন্ত্রী-এমপিরা যেন প্রভাব বিস্তার না করেন। নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে হয়, কেউ কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। প্রশাসন কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ করবে না। নির্বিঘ্নে ভোটদানের ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন। বিএনপি প্রকাশ্যে উপজেলা নির্বাচনের বিরোধিতা করলেও আমাদের জানা মতে তাদের অনেকেই অংশগ্রহণ করবেন।”

জানা গেছে, ২০১৫ সালে আইন সংশোধন করে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দেওয়ার বিধান যুক্ত করা হয়। ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এখনও আইনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান আছে। কিন্তু ক্ষমতাসীনদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনও বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। তাদের অনুপস্থিতিতে নির্বাচনকে প্রতিযোগিতামূলক করতে আওয়ামী লীগ এবার উপজেলায় দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দিচ্ছে না। দলটির নেতারা প্রার্থী হচ্ছেন। অন্যদিকে, শুরুতে এ নির্বাচনে কিছু জায়গায় প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও শেষ পর্যন্ত সেখান থেকে সরে এসেছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির যেসব নেতা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন, তাদের তা প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগরের পাশের এক উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জাতীয় নির্বাচনে যে সমস্যা হয়েছিল, উপজেলাতেও সেটা হচ্ছে। স্বতন্ত্র এমপিরা মাঠ দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় নেতারাও বসে নেই। তারাও নিজেদের বলয় টিকিয়ে রাখতে চাচ্ছেন। এতে অন্যান্য প্রার্থীরা বিপদের মুখে পড়েছেন। কেউ দেখাচ্ছেন সাংগঠনিক ভয়, আবার কেউ দেখাচ্ছেন এমপির ভয়। কেউ ঢাকায় বসে, আবার কেউ এলাকায় বসে রাজত্ব চাচ্ছেন। ভোট সুষ্ঠু করতে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে। কারও ইশারায় কাজ করা যাবে না। সবাই হস্তক্ষেপ করতে চাইবে, কিন্তু প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: উপজেলা নির্বাচন

আরও খবর