আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

ক্ষেতলালে দুই দিনের শিশুকে নিয়ে দাখিল পরীক্ষা দিচ্ছে মা

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি:

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে দুই দিনের শিশুকে সঙ্গে নিয়ে দাখিল পরীক্ষা দিচ্ছে মা রিভা খাতুন। আজ বুধবার জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার ক্ষেতলাল খোশবদন জি.ইউ আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে এ দৃশ্য দেখা যায়। তবে রিভা খাতুনের লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে শিশুটির নানীসহ পরীক্ষাকেন্দ্রের একটি কক্ষে অবস্থানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে জানান কেন্দ্র সচিব। মায়ের পরীক্ষার সময় বাচ্চাটি সেই কক্ষে অবস্থান করছিল।

রিভা খাতুন উপজেলার বিনাই দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থী। তিনি উপজেলার দেওগ্রামের মোরশেদুল ইসলামের স্ত্রী।

রিভা খাতুন বলেন, পরীক্ষা শুরুর ২ দিন পূর্বে (২৮ এপ্রিল) আমার বাচ্চা হয়েছে। অনেক্ষণ সময় ধরে পরীক্ষা দিতে হয় তাই বাড়িতে না রেখে তাকে সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছি। বাচ্চাকে বাইরে রেখে পরীক্ষা দিতে সমস্যা হওয়ায় আমার মাকে বাচ্চাসহ কেন্দ্রের অভ্যন্তরীন কোন কক্ষে অবস্থান করার অনুমতির জন্য কেন্দ্র সচিব বরাবর আবেদন করি। পরে অনুমতি সাপেক্ষে আমার মা বাচ্চাকে নিয়ে কেন্দ্রের আলাদা একটি কক্ষে অবস্থান করছে।

ক্ষেতলাল খোশবদন জি.ইউ আলিম মাদ্রাসার কেন্দ্র সচিব ও অধ্যক্ষ একরামুল হক বলেন, রিভা খাতুন নামের বিনাই দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার এক পরীক্ষার্থী দুই দিনের শিশু নিয়ে আমাদের কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে। মেয়েটির প্রতিষ্ঠান সুপারের লিখিত আবেদন ও মানবিক কারণে পরীক্ষার নিয়ম-কানুন মেনে শিশুটির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে।

ক্ষেতলাল খোশবদন জি.ইউ আলিম মাদ্রাসার পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী প্রোগ্রামার খাযরুইয়ার রহমান বলেন, কেন্দ্র সচিবের মাধ্যমে ঘটনাটি আমি শুনেছি। ২ দিনের শিশুকে রেখে মেয়েটির পরীক্ষায় অংশ নেয়ার বিষয়টি জেনে খুব ভাল লেগেছে। এটি মেয়েদের জন্য অনুপ্রেরণা হবে। এ জন্য তাকে সাধুবাদ জানাই।


আরও খবর



ডায়াবেটিসে অন্ধত্ব ও করণীয়

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

ডায়াবেটিসের শুরুতেই রোগের লক্ষণ হিসেবে অনেকের ঝাপসা দৃষ্টি থাকতে পারে। টাইপ-২ ডায়াবেটিসের সিকি ভাগেরও বেশি রোগীর রোগ নির্ণয়ের সময় জটিলতা থাকে। এসব জটিলতার মধ্যে চোখের জটিলতা তথা রেটিনোপ্যাথি সবচেয়ে বেশি। ডায়াবেটিস বেড়ে গেলেও ঝাপসা দৃষ্টি তৈরি হতে পারে। দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, সোজা রেখা বাঁকা দেখা, দৃষ্টি সীমানার ভেতরে কালো কালো দাগ দেখা, আকস্মিক অন্ধত্ব এগুলো সব হতে পারে রেটিনার ব্যাধিতে। মাঝেমধ্যে দৃষ্টিশক্তির হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে রক্তে গ্লুকোজের তারতম্যের কারণে।

চোখের সবচেয়ে সংবেদনশীল স্তর হচ্ছে রেটিনা। ডায়াবেটিসের কারণে রেটিনার রক্তনালিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কখনও রেটিনায় ঘটে রক্তক্ষরণ। এ ছাড়া অনেক ক্ষেত্রে রেটিনা বিচ্ছিন্ন পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। অনেক সময় রেটিনা ও অক্ষিগোলকের জেলিসদৃশ পদার্থের ভেতর নতুন নতুন রক্তনালি তৈরি হতে থাকে। এসব গজিয়ে ওঠা নবীন রক্তনালি থাকে ভঙ্গুর। এখান থেকে হতে পারে রক্তক্ষরণ। এমনটি ঘটলে দৃষ্টিশক্তি চিরদিনের জন্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

আরও পড়ুন>> ডেঙ্গুতে আরও ১৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৬০৮

ডায়াবেটিস রোগীদের অন্যদের তুলনায় দ্বিগুণ ছানি পড়ার প্রবণতা তৈরি হয়। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের গ্লুকোমা বা চোখের চাপ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় বেশি।

ডায়াবেটিসের ধরন, সময়কাল, ব্যক্তির বয়স, গ্লুকোজের মাত্রা, উচ্চ রক্তচাপ এবং রক্তে কোলেস্টেরল বা চর্বির উপস্থিতি রেটিনার ব্যাধি সৃষ্টির জন্য নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। দীর্ঘদিনের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস সবচেয়ে বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করে।

চোখের জটিলতা কমাতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। শরীরচর্চা, ওষুধ এবং প্রয়োজন বোধে ইনসুলিনের চিকিৎসা নিতে হবে। নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে হবে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা কেমন।

প্রতিবছর অন্তত একবার চক্ষু চিকিৎসকের দ্বারস্থ হয়ে চোখের জটিলতা নির্ণয় করে চিকিৎসা নিতে হবে। টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে ডায়াবেটিস নির্ণীত হওয়ার পর থেকে প্রতিবছর চক্ষু পরীক্ষা করা জরুরি। টাইপ-১ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয়ের পাঁচ বছর পর থেকে প্রতিবছর এমনটি করতে হবে। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ ও রক্তের চর্বি নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 

আরও পড়ুন>> ডেঙ্গু আক্রান্তরা কেন ডাবের পানি পান করবেন?

রেটিনার এসব রোগের জন্য বর্তমানে বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। একজন বিশেষজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসক এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে পারবেন। কখনও এর জন্য প্রয়োজন হতে পারে লেজারথেরাপি কিংবা কখনও চোখের ভেতরে ইনজেকশন দেওয়ার প্রয়োজন পড়তে পারে। এসব নির্ভর করে চোখের বা রেটিনার অবস্থার ওপর।

নিউজ ট্যাগ: ডায়াবেটিস

আরও খবর
ডেঙ্গুতে ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৩৫৭

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশে এই প্রথম ডেঙ্গু টিকার সফল পরীক্ষা

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




কানাডায় বিয়ের অনুষ্ঠানে গুলি, নিহত ২

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

কানাডার রাজধানী অটোয়াতে একটি অভ্যর্থনা স্থলেবন্দুকধারীর গুলিতে দুজন নিহত ও ছয়জন আহত হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ১০টা ২১ মিনিটে (গ্রিনীচ মান সময় রোববার ০২:২১টায়) দক্ষিণ-প্রান্তের একটি কনভেনশন হলের পার্কিংস্থলে গুলি বর্ষণ শুরু হয়। খবর এএফপির।

একই সঙ্গে দুটি বিয়ের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের বাইরে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হলে অতিথিদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিলে তারা নিরাপদস্থানে আশ্রয় নেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনাস্থল ছেড়ে যাওয়া সম্ভব না হলে পুলিশ আমাদের গাড়িতে থাকতে বলে।

অটোয়া পুলিশ নিশ্চিত করেছে, কানাডার বৃহত্তম শহর টরেন্টো থেকে ২৬ ও ২৯ বছর বয়সী দুজনের মৃত্যু হয়েছে। 

আরও পড়ুন>> তাইওয়ানে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় ‘হাইকুই’

পুলিশ জানায়, আহত ৬ জনের মধ্যে কয়েকজন আমেরিকান রয়েছে। তাদের জীবন শঙ্কা মুক্ত। তবে তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

কানাডা সরকারের মতে, বেশ কয়েকটি শহরে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঘন ঘন গুলি-হামলাসহ সশস্ত্র সহিংসতা ক্রমন্বয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে দেশটিতে সহিংস বন্দুক হামলা ৮১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।


আরও খবর



নির্দেশনা অমান্য করে পেরেক ঠুকে ব্যানার সাঁটাচ্ছে রাবি ছাত্রলীগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের ২৬ তম সম্মেলন ঘিরে ক্যাম্পাসে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে সংগঠনটির পদপ্রত্যাশী নেতারা। পুরো ক্যাম্পাস ছেয়ে গেছে নেতাদের ব্যানার পোস্টারে। এদিকে গাছে পেরেক ঠুকে ব্যানার সাঁটিয়ে গাছের জীবন চক্র ধংস করছে বলে অভিযোগ উঠেছে এসব নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থীরা বলছে গাছে পেরেক ঠুকে ব্যানার সাঁটিয়ে গাছের জীবন চক্র ধংসযজ্ঞে মেতে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা ।

সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়কের পাশের গাছগুলোতে পেরেক ঠুকে শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলনের ব্যানার সাঁটাতে দেখা গেছে নেতাকর্মীদের। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গত মঙ্গলবার ক্যাম্পাসের গাছে পেরেক ঠুকে ব্যানার-ফেস্টুন লাগানো থেকে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন মহলকে বিরত থাকতে সতর্কতামূলক প্রচারণা চালায়। তাতেও কোনো লাভ হয়নি। নির্দেশনার পরেও গাছগুলোতে ঝুলছে ব্যানার।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা গেইট থেকে শুরু করে শেরে বাংলা ফজলুল হক হল গেইট পর্যন্ত, প্যারিস রোডের গনগনশিরিশ গাছ, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনে দেবদারুগাছ গুলোসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রধান জায়গায় প্রায় প্রতিটি গাছে পেরেক মেরে সাইনবোর্ড সাঁটিয়েছেন রাবি শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলনের পদপ্রত্যাশীরা। এতে গাছগুলো মৃত্যুঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে গাছে পেরেক বিদ্ধ করে সাইনবোর্ড না লাগাতে ২০০২ সালের ৭ জুলাই জাতীয় সংসদে আইন পাস হয়। কিন্ত বাস্তবে সে আইন কার্যকর হয়নি।

সিটি করপোরেশন আইনে ১৯৯০ এর ৯২ ধারার ৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যত্রতত্র পোস্টার-ব্যানারসহ প্রচারপত্র সেঁটে দেওয়া এবং গাছে সাইনবোর্ড লাগানো দণ্ডনীয় অপরাধ। এই আইনের আওতায় ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধানও আছে। আইন থাকলেও বাস্তবে তার প্রয়োগ নেই।

সাইনবোর্ড সাঁটানোর বিষয়ে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় যে নির্দেশনা দিয়েছে সেটা জানতাম না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেহেতু নির্দেশনা দিয়েছেন। আমি সাইনবোর্ডগুলো দ্রুত তোলার ব্যবস্থা করবো।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) রাজশাহী জেলার সমন্বয়কারী তন্ময় সান্যাল বলেন, গাছের জীবনকে নষ্ট করার অধিকার কোনো ব্যক্তির নেই। এখানে সচেতনতার বড় অভাব রয়েছে। সরকার আইন করেছে কিন্তু আইনকে যারা বাস্তবায়ন করবে তারা সঠিকভাবে সেটা পালন করছে না। কোনোভাবেই এ বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা যাচ্ছে না। যদি সকলকে সচেতন করা যায় তাহলে আগামী দিনে গাছ নিধন কমে আসবে বলে তিনি মনে করছেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. গোলাম কবির বলেন, গাছে পেরেক ঢুকানো একদম ঠিক না। পেরেক ঢুকানোর ফলে গাছ ব্যাথা পায়। গাছ অস্বস্তি প্রকাশ করে। আমাদের যেমন নার্ভাস সিস্টেম আছে গাছেরও তেমন নার্ভাস সিস্টেম আছে যা কাজ করে অন্য ভাবে। গাছ কথা বলতে পারে না তাই এভাবে হাজার কষ্ট সহ্য করে।

এছাড়াও তিনি বলেন, পেরেক ঢুকানোর ফলে গাছ আক্রান্ত হয় নানা রোগে। পেরেক একবার ঢুকালে সেখানে গর্ত হয়ে থাকে। পরে সেই গর্তে নানান রকমের জীবাণু প্রবেশ করে। অনেক গাছ সেই জীবাণুগুলো সহ্য করতে পারে না। তখন গাছের গায়ে টিউমার হয়ে যায়। একপর্যায়ে গাছগুলো মারা যায়। মানুষকে উৎসাহিত করা উচিৎ যেন গাছে পেরেক না মারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, গাছগুলো বাঁচাতে আমরা যদি একে অপরের সহযোগিতা না করি তাহলে তো গাছগুলোর ক্ষতি হবেই। এই ক্ষতিটা শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের হবে না ক্যাম্পাসের প্রতিটা মানুষের জন্য ক্ষতি। আমরা তাদের অনুরোধ করেছি গাছগুলোতে দরকার হলে দড়ি বা তাড় দিয়ে বেধে সাইনবোর্ডগুলো লাগাতে। সবার উচিত গাছগুলোকে বাঁচানো।

নির্দেশনার পরেও গাছগুলোতে ঝুলাচ্ছে ব্যানার। এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনদিন আগে এই কথাগুলো জেনে আমি প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টাকে এবিষয়ে খবর নিতে বলেছি। বর্তমানে ক্যাম্পাসের বাহিরে আছি। এসে দুই-একদিনের মধ্যে আমরা তাদের সাথে বসবো। যারা গাছে সাইনবোর্ডগুলো লাগাচ্ছে।


আরও খবর



দেশকে অস্থিতিশীল করতে একটি মহল গুজব ছড়াচ্ছে : খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নওগাঁ প্রতিনিধি

Image

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি মহল মিথ্যা-গুজব ছড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করাসহ উন্নয়ন বিঘ্ন সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে প্রেসক্লাব আয়োজিত প্রীতি ফুটবল প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষে আলোচনা ও নৈশভোজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সংবাদ পরিবেশনের সময় সতর্ক থাকতে হবে, যাতে ভুল তথ্যের মাধ্যমে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে যে অভাবনীয় উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, তা অক্ষুন্ন রাখতে মিথ্যা গুজব সম্পর্কে নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ তুলে ধরে দেশবাসীকে জানাতে হবে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সুস্থ্য ধারার সাংবাদিকতার গতিশীলতা রক্ষার স্বার্থে সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নাই। বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের স্বার্থ রক্ষায় নিবেদিত। সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে তাদের মতামত তুলে ধরে স্বাধীনভাবে কাজ করছে, যা অন্য কোনো সরকারের আমলে হয় নাই।

নওগাঁ জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি কায়েস উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল, জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক, নওগাঁ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শফিক ছোটন বক্তব্য রাখেন।


আরও খবর



দিল্লিতে বৈঠকে বসেছেন শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে দ্বিপাক্ষিক এই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে উভয় দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী আলাপ-আলোচনা করবেন।

এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টার দিকে (বাংলাদেশ সময় দেড়টা) নয়াদিল্লিতে পৌঁছান শেখ হাসিনা। নয়াদিল্লিতে পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ধ্যায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শুরু করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের সময় ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হতে পারে। কৃষি গবেষণা, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে লেনদেনের সরলীকরণ বিষয়ে তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হবে।

মোমেন বলেন, ওয়ান আর্থ এবং ওয়ান ফ্যামিলি সেশনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন, কভিড-১৯ মহামারীর পরে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, ইউরোপে যুদ্ধের ফলে জ্বালানি, খাদ্য এবং সারের মতো প্রয়োজনীয় পণ্যের বৈশ্বিক সরবরাহের মারাত্মক ব্যাঘাতের চ্যালেঞ্জ কীভাবে মোকাবেলা করা যায় তা তুলে ধরবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী বর্তমান সরকারের মেয়াদে বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভাবনীয় সাফল্যের অভিজ্ঞতা অংশগ্রহণকারী বিশ্ব নেতাদের কাছে তুলে ধরবেন।


আরও খবর