আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

ক্ষতির আশঙ্কায় শার্শায় কমলা ও মাল্টার চাষীরা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
এম এ রহিম, বেনাপোল (যশোর)

Image

যশোরের শার্শায় চায়না কমলা ও মাল্টার বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হলেও অপরিপক্ষ ফল অজ্ঞাত রোগে ঝরে আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কায় পড়েছে বাগানিরা। এ বছর উৎপাদন ঘাটতির আশংকাতে তারা। ফুল ও ফল আসলেও পরিপক্বতার আগেই শুকিয়ে ও পচে ঝরে পড়ছে ফলটি । ফল ক্ষতি পোষাতে বাগানিরা কম দামে কম বিক্রি করছেন ফল।

মাল্টা চাষী শাহাজান আলি ও কমলা চাষি আবুল কালাম ২০২১সালের শেষ পর্যায়ে প্রায় ৬৬শতাংশ জমিতে বারি-১জাতের মাল্টা ও চায়না কমলা চাষ শুরু করেন। মাল্টা চাষে লাভবান হওয়ার প্রত্যাশায় খেত পরিচর্যা করে যাচ্ছেন তারা। সুস্বাদু ফল চাষে স্বপ্ন পূরণ ও স্বাবলস্বী হচে্‌ছন চাষিরা। বাড়ছে উদ্যোক্তা ও চাষী। চাষিদের উৎপাদিত ফল উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।

স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি মাল্টা ৪৫ থেকে ৬০ টাকা ও কমলা ৮০ থেকে ১২০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ক্ষতির মধ্যেও লাভের আশা কৃষকের। ফল ঝড়ে পড়া রোধে কৃষি বিভাগের সহযোগিতা ও পরামর্শ চেয়েছেন তারা।

যশোরের শার্শায় উন্নত জাতের মিষ্টি মালটা ও কমলা চাষ শুরু হয়েছে। তবে রয়েছে বিভিন্ন সমস্যা। কৃষি বিভাগ সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসলে ফল এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বাহিরে রফতানির সম্ভাবনা দেখছেন স্থানীয়রা।

ফল চাষ লাভবান হওয়ায় বৃদ্ধি পাচ্ছে চাষ। তবে কিছু ফলের বাগানে পানি স্বল্পতা ও মাছির আক্রমনে ফল শুকিয়ে ও ঝরে নষ্ট হচ্চে। প্রতিকারে বাগানে ফেরোমন ফাদ ব্যাবহার, গাছ ছেটা ও পনিদেওয়ার পরামর্শ প্রশিক্ষণসহ কৃষকদের সরকারি ভাবে সহায়তা করা হচ্ছে বলেও জানান  উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার সাহা-আগামীতে ফল বাহিরে রফতাানির আশা করেন  দীপক কমার  সাহা-উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা শার্শা যশোর। 

শার্শা উপজেলায় ৫২জন মাল্টা চাষি ও ১৯জন কমলা চাষি-অন্তত ৩৬ হেক্টরত জমিতে ফল চাষ করে দেখছেন লাভের মুখ। কিছটা সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষের সু দৃস্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগী চাষীরা।

নিউজ ট্যাগ: যশোর

আরও খবর
পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়লো ১৩ টাকা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




প্রবাসী আয় কমে যাওয়ার তিন কারণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গত আগস্টে দেশে আসা প্রবাসী আয় বেশ বড় পরিমাণে কমেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আগস্টে ২১ দশমিক ৫৬ শতাংশ আয় কম এসেছে। সব মিলিয়ে এ মাসে প্রবাসী আয় এসেছে প্রায় ১৬০ কোটি মার্কিন ডলার, গত বছরের একই মাসে যার পরিমাণ ছিল ২০৪ কোটি ডলার। কোনো একক মাসে আয় এত কমে যাওয়ার ঘটনা সম্প্রতি ঘটেনি।

প্রবাসী আয় কমে যাওয়ায় নতুন করে চিন্তায় পড়েছেন ব্যাংকাররা। কারণ, ডলারসংকট নিয়ে এমনিতেই চাপে আছে বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রতিনিয়ত কমছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ রিজার্ভ রাখার শর্ত দিয়েছিল। বর্তমানে তার চেয়ে কম রিজার্ভ রয়েছে।

ব্যাংকাররা বলছেন, আগের চেয়ে সম্প্রতি ঋণপত্র খোলা বেড়েছে, ফলে আমদানি দায় মেটাতে ভবিষ্যতে আরও বেশি ডলারের প্রয়োজন হবে। আবার সামনে সরকারি-বেসরকারি ঋণ পরিশোধও বাড়বে। তাই এমন সময়ে প্রবাসী আয় এতটা কমে যাওয়া সবার জন্য উদ্বেগের, আতঙ্কের।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা মনে করেন, বর্তমানে যে পদ্ধতিতে ডলারের দাম বাড়তে না দিয়ে স্থানীয় মুদ্রা টাকাকে শক্তিশালী করে রাখা হয়েছে, তাতে প্রবাসী আয় কমে যাচ্ছে। এই নীতি কোনোভাবেই কার্যকর হচ্ছে না। শীর্ষ কর্মকর্তারা বিষয়টি মানতে চাইছেন না, ফলে রিজার্ভেরও পতন ঠেকানো যাচ্ছে না।

গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) মিলে রপ্তানি, প্রবাসী আয়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে দিচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে সংগঠন দুটি প্রায় প্রতি মাসে ডলারের দাম নতুন করে নির্ধারণ করছে। তবে কাজটি করার ক্ষেত্রে বাজারের চাহিদা ও জোগান কতটা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

চলতি মাস থেকে প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করা হয় ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা। এর আগে প্রবাসী আয়ের ডলার ১০৯ টাকায় বিক্রি করা যেত। কিন্তু খোলাবাজারে নগদ ডলারের দাম ক্রমাগত বাড়ছে, এখন বিদেশি এই মুদ্রা বিক্রি হচ্ছে ১১৭-১১৮ টাকায়।

অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারম্যান আনিস এ খান বলেন, আনুষ্ঠানিক মাধ্যমে প্রবাসী আয় বাড়াতে হলে বাজারদর অনুযায়ী ডলারের বিনিময় হার ঠিক করতে হবে। বর্তমানে নির্ধারিত বাজারদরের সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। খোলাবাজার ও নির্ধারণ করা দামের মধ্যে পার্থক্য অনেক বেশি। এই অবস্থা যত দিন চলবে, তত দিন আনুষ্ঠানিক মাধ্যমে আসা প্রবাসী আয় বাড়বে না।

আনিস এ খান আরও বলেন, ডলারের দাম বাজারভিত্তিক বা ভাসমান করে দেওয়া উচিত। আইএমএফও তাদের বিভিন্ন বার্তায় এটা করতে বলেছে। ডলারের দাম ভাসমান করা হলে প্রাথমিকভাবে হয়তো ডলারের দাম বাড়বে, হয়তো ১২০-১৩০ টাকায় চলে যাবে। তবে একপর্যায়ে তা ঠিক হয়ে যাবে।

দেশে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ নিয়ে উদ্বেগ অবশ্য একেবারে নতুন নয়। এই আয় বা রেমিট্যান্স কিছুদিন ধরেই কমছে বা খানিকটা ওঠানামার মধ্যে আছে। তবে ছয় মাসের মধ্যে গত আগস্টেই প্রবাসী আয় এসেছে সবচেয়ে কম। ব্যাংকারদের সঙ্গে কথা বলে প্রবাসী আয় কমে যাওয়ার কয়েকটি কারণ চিহ্নিত করা গেছে।

প্রথমটি হলো, ব্যাংকগুলোতে কী দামে ডলার কেনা ও বেচা হচ্ছে, তা যাচাইয়ের জন্য আগস্ট মাসে বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েকটি পরিদর্শক দল কিছু ব্যাংক পরিদর্শন করেছে। এ কারণে বেশির ভাগ ব্যাংক বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি দরে প্রবাসী আয় কিনতে পারেনি। দেখা গেছে, যেসব ব্যাংকে পরিদর্শক দল যায়নি, ওই ব্যাংকগুলোর কয়েকটির মাধ্যমে প্রবাসী আয় বেশি এসেছে। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কড়াকড়ির কারণে সামগ্রিকভাবে প্রবাসী আয় কম এসেছে।

দ্বিতীয়ত, আগস্ট মাসে ব্যাংকের মাধ্যমে আসা প্রবাসী আয়ে প্রতি ডলারের বিপরীতে সর্বোচ্চ ১০৯ টাকা দেওয়া হয়েছে। এর আড়াই শতাংশ সরকারি প্রণোদনা ধরে হয় সর্বোচ্চ ১১১ টাকা ৭২ পয়সা। তবে বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, এ সময় হুন্ডির মাধ্যমে আসা প্রতি ডলারে ১১৭-১১৮ টাকা দাম পাওয়া গেছে। এই কারণেও আয় কমেছে।

তৃতীয় কারণটি হলো, জুনের শেষে কোরবানি ঈদ ছিল। এরপরের কয়েকটি মাসে এমনিতেই কম অর্থ দেশে পাঠান প্রবাসীরা। কারণ, কোরবানির সময় অনেকেই দেশে আসেন। এরপর বিদেশে ফিরে যেতে দু-তিন মাস সময় লেগে যায়। আবার নতুন অনেক জনশক্তি রপ্তানি হলেও আয় পাঠাতে তাঁরা প্রায় ছয় মাস সময় নেন। কারণ, চাকরি ও কাজ পেতে সময় লাগে। আবার বিদেশে গিয়ে থাকা-খাওয়ার খরচ মেটাতে অনেকে হিমশিম খান। এর ফলে সামগ্রিকভাবে আয় কমে গেছে।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, কোনো একক মাসে প্রবাসী আয় এত কমে যাওয়াটা উদ্বেগজনক। কারণ, এখন ডলারের খুবই প্রয়োজন। দেশের আর্থিক হিসাব ঋণাত্মক হয়ে আছে, রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে হচ্ছে।

বাজার বিশ্লেষকদের উদ্ধৃত করে সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ডলারের দাম বাজারভিত্তিক করা হলে প্রবাসী আয় বাড়বে। আমার মনে হয়, পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।


আরও খবর
মুরগির দাম কমলেও সবজির মূল্য অপরিবর্তিত

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




আ.লীগ কখনই অস্ত্রবাজি করে ক্ষমতায় আসেনি, আসবেও না: কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

Image

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনই অস্ত্রবাজি করে ক্ষমতায় আসেনি এবং অস্ত্রবাজি করে ক্ষমতায় আসতেও চায় না।আমরা অস্ত্রবাজি ও আগুন সন্ত্রাসে বিশ্বাস করি না। আমাদের শক্তি এ দেশের জনগণ। আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে, স্বাধীন বাংলাদেশ যেন দুর্বৃত্ত, অর্থপ্রচারকারী, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির হাতে কোনো ভাবেই যেতে না পারে।

রোববার দুপুরে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার মুশুদ্দি আফাজ উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সুবিধাভোগী সদস্যদের মধ্যে ঋণের চেক বিতরণ ও মুশুদ্দি আফাজ উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের নব নির্মিত একাডেমিক ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে দেশে দৃশ্যমান অনেক উন্নয়ন হয়েছে। মানুষ এসব উন্নয়ন দেখেছে। কাজেই আগামী জাতীয় নির্বাচনে আগুন সন্ত্রাস নয়, উন্নয়নের পক্ষে জনগণ ভোট দেবে। মানুষ বিএনপি জামায়াতের আগুন সন্ত্রাসের কথা এখনও ভুলে যায়নি। তাদের জ্বালাও পোড়াও, সন্ত্রাসী কার্যক্রম, চাঁদাবাজির কথা মনে করে দেশের বেশির ভাগ মানুষ নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনবে।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখেছিলেন সমবায়ের মাধ্যমে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলবেন। তারই ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনা সমবায়, কৃষি ও কৃষকদের সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসাইনের সভাপতিত্বে ও ধনবাড়ী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আনছার আলীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন- সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক শফিকুর রেজা বিশ্বাস, ঢাকা বিভাগীয় যুগ্ম নিবন্ধক শেখ কামাল হোসেন, সাবেক অতিরিক্ত নিবন্ধক ও বঙ্গবন্ধু মডেল গ্রামের সভাপতি মো. আসাদুজ্জামান দুলাল, বঙ্গবন্ধু মডেল গ্রাম পাইলট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. হেলাল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মীর ফারুক আহমাদ ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপন, ইউপি চেয়ারম্যান আবু কায়সার ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হযরত আলী প্রমুখ।


আরও খবর
পেঁয়াজের দাম কেজিতে বাড়লো ১৩ টাকা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




আত্মসমর্পণ করছেন আমান উল্লাহ আমান

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান উচ্চ আদালতের নির্দেশে বিচারিক আদালতে আজ আত্মসমর্পণ করছেন।

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক আবুল কাশেমের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করবেন তিনি।

আমান উল্লাহ আমানের আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

গত ৩ সেপ্টেম্বর একই আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান আমান উল্লাহ আমানের স্ত্রী সাবেরা আমান। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ৫ সেপ্টেম্বর চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ক্যান্সারের রোগী বিবেচনায় ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত তাকে জামিন দেন। পরে তিনি কারামুক্ত হন।

২০০৭ সালের ৬ মার্চ সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় আমান দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন আমান উল্লাহ আমানকে ১৩ বছর এবং তার স্ত্রী সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন বিশেষ জজ আদালত। এরপর ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন তারা। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট তাদের খালাস দেন।

পরে হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করে দুদক। আপিল বিভাগ ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে আপিলটি পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন।

গত ৩০ মে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় আমানের ১৩ বছর ও তার স্ত্রী সাবেরা আমানের ৩ বছরের কারাদণ্ড বহাল রেখে আদেশ দেন।

উচ্চ আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, রায়ের অনুলিপি পৌঁছানোর ১৫ দিনের মধ্যে আমান দম্পতিকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে। গত ২৭ আগস্ট বিশেষ জজ আদালত-১ এ পৌঁছে রায়ের অনুলিপি।


আরও খবর



রাত পোহালেই গাড়ি চলবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বহুল প্রতীক্ষিত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের (ঢাকা উড়াল সড়ক) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়ে গেছে। এখন অপেক্ষা এর ওপর দিয়ে যান চলাচলের। আর সেই অপেক্ষার অবসান হবে রাত পোহালেই। অর্থাৎ, রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা থেকে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে দেশের প্রথম এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে।

প্রথম দফায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারবে। এই অংশের দূরত্ব ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার। এরই মধ্যে উড়াল সড়কের টোল প্লাজা ও ওঠানামার র‌্যাম্পের নির্মাণ কাজ পুরোপুরি শেষ হয়েছে। দ্রুতগতির এ উড়াল সড়কে কাওলা, কুড়িল, মহাখালী, বনানী, তেজগাঁও ও ফার্মগেটে টোলপ্লাজা থাকবে। কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত যেতে সময় লাগবে ১২-১৫ মিনিট। বর্তমানে এ অংশটুকু যেতে আসতে সময় লাগে এক থেকে দেড় ঘণ্টা।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে চলাচল করতে হলে টোল দিতে হবে। এজন্য যানবাহনকে চার শ্রেণিতে ভাগ করে নির্ধারণ করা হয়েছে টোল। এতে সর্বনিম্ন টোল ৮০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, চার শ্রেণির যানবাহনের মধ্যে গাড়ি, ট্যাক্সি, জিপ, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল, মাইক্রোবাস (১৬ সিটের কম) এবং হালকা ট্রাকের (তিন টনের কম) টোল ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০ টাকা, সব ধরনের বাসের (১৬ সিট বা এর বেশি) ক্ষেত্রে ১৬০ টাকা, মাঝারি ধরনের ট্রাকের (ছয় চাকা পর্যন্ত) ৩২০ টাকা, আর বড় ট্রাকের (ছয় চাকার বেশি) ক্ষেত্রে ৪০০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।

তবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর দিয়ে থ্রি হুইলার, সাইকেল এবং পথচারীরা চলাচল করতে পারবে না। আর মোটরসাইকেল এখনই চলতে দেওয়া হবে না। এছাড়া গাড়ি নিয়ে উড়ালসড়কে দাঁড়ানো ও ছবি তোলা নিষিদ্ধ। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাওলা অংশে নামফলক উন্মোচনের মাধ্যমে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন।

২০১৪ সালের মধ্যে পুরো উড়াল সড়কের (১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার) কাজ শেষ করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু এক যুগ পর ২০২৩ সালে এসে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত উদ্বোধন করা হলো এর। এখন পর্যন্ত প্রকল্পটির কাজ শেষ হয়েছে ৬০ শতাংশ। পুরো প্রকল্পের কাজ ২০২৪ সালের জুনে শেষ হতে পারে।

এই মেগা প্রকল্পে শুরুতে তিন হাজার ২১৬ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হলেও কয়েক দফায় তা বেড়ে ১৩ হাজার ৮৫৮ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। এ প্রকল্পে ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিডেট ৫১ শতাংশ, চায়না শ্যানডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপ ৩৪ শতাংশ এবং সিনো হাইড্রো কোম্পানি লিমিটেড ১৫ শতাংশের অংশীদার। এসব কোম্পানি আগামী ২৫ বছর টোল আদায় করে স্থাপনাটি পুরোপুরি সরকারের কাছে হস্তান্তর করবে।


আরও খবর



স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান সৌদির

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি সমস্যার ন্যায্য সমাধানের আহ্বান জানিয়েছে সৌদি আরব। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে এক বক্তৃতায় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান বলেন, মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য ফিলিস্তিন সমস্যার একটি ন্যায্য সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান বলেন, এই সমাধান আন্তর্জাতিক বৈধ রেজ্যুলিউশন ও আরব শান্তি উদ্যোগের ভিত্তির ওপর হওয়া উচিত, যেখানে ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ওপর ভিত্তি করে ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অধিকারের নিশ্চয়তা থাকবে।

১৯৯৩ সালে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি লিবারেশন অরগানাইশেনের মধ্যে অসলো চুক্তি হয়, যার মধ্যমে ফিলিস্তিনিদের একটি সিভিল রুল দেওয়া হয়। কিন্তু একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আলোচনার বিষয়টি বারবারই ব্যর্থ হয়েছে।

২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হয়। কারণ তেল আবিব বসতি স্থাপন ও বন্দিদের মুক্তির বিষয়টি অস্বীকার করে।

এর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ভাষণ দিয়েছেন। ভাষণে তিনি সৌদি আরবের সঙ্গে ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি নিয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন।

ইসারায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের দ্বারপ্রান্তে আছি আমরা। এক্ষেত্রে মধ্যস্থতার ভূমিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ইসারায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের বার্তা দেন।

সূত্র: আনাদোলু নিউজ এজেন্সি


আরও খবর
নেদারল্যান্ডসে বন্দুক হামলায় নিহত ৩

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩