যশোরের শার্শায় চায়না কমলা ও মাল্টার বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হলেও অপরিপক্ষ ফল অজ্ঞাত রোগে ঝরে আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কায় পড়েছে বাগানিরা। এ বছর উৎপাদন ঘাটতির আশংকাতে তারা। ফুল ও ফল আসলেও পরিপক্বতার আগেই শুকিয়ে ও পচে ঝরে পড়ছে ফলটি । ফল ক্ষতি পোষাতে বাগানিরা কম দামে কম বিক্রি করছেন ফল।
মাল্টা চাষী শাহাজান আলি ও কমলা চাষি আবুল কালাম ২০২১সালের শেষ পর্যায়ে প্রায় ৬৬শতাংশ জমিতে বারি-১জাতের মাল্টা ও চায়না কমলা চাষ শুরু করেন। মাল্টা চাষে লাভবান হওয়ার প্রত্যাশায় খেত পরিচর্যা করে যাচ্ছেন তারা। সুস্বাদু ফল চাষে স্বপ্ন পূরণ ও স্বাবলস্বী হচে্ছন চাষিরা। বাড়ছে উদ্যোক্তা ও চাষী। চাষিদের উৎপাদিত ফল উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।
স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি মাল্টা ৪৫ থেকে ৬০ টাকা ও কমলা ৮০ থেকে ১২০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ক্ষতির মধ্যেও লাভের আশা কৃষকের। ফল ঝড়ে পড়া রোধে কৃষি বিভাগের সহযোগিতা ও পরামর্শ চেয়েছেন তারা।
যশোরের শার্শায় উন্নত জাতের মিষ্টি মালটা ও কমলা চাষ শুরু হয়েছে। তবে রয়েছে বিভিন্ন সমস্যা। কৃষি বিভাগ সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসলে ফল এলাকার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বাহিরে রফতানির সম্ভাবনা দেখছেন স্থানীয়রা।
ফল চাষ লাভবান হওয়ায় বৃদ্ধি পাচ্ছে চাষ। তবে কিছু ফলের বাগানে পানি স্বল্পতা ও মাছির আক্রমনে ফল শুকিয়ে ও ঝরে নষ্ট হচ্চে। প্রতিকারে বাগানে ফেরোমন ফাদ ব্যাবহার, গাছ ছেটা ও পনিদেওয়ার পরামর্শ প্রশিক্ষণসহ কৃষকদের সরকারি ভাবে সহায়তা করা হচ্ছে বলেও জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার সাহা-আগামীতে ফল বাহিরে রফতাানির আশা করেন দীপক কমার সাহা-উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা শার্শা যশোর।
শার্শা উপজেলায় ৫২জন মাল্টা চাষি ও ১৯জন কমলা চাষি-অন্তত ৩৬ হেক্টরত জমিতে ফল চাষ করে দেখছেন লাভের মুখ। কিছটা সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষের সু দৃস্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগী চাষীরা।