আজঃ রবিবার ১২ মে ২০২৪
শিরোনাম

ক্ষুধার মহাস্রোতে প্রবেশ করছে বিশ্ব

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

রাজনীতি ও সামাজিকতার সঙ্গে মানবিক বিষয়গুলো ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এরকমই একটি স্পর্শকাতর মানবিক বিষয় হচ্ছে ক্ষুধা। ক্ষুধা এমন একটি অবস্থা যাতে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য একজন ব্যক্তি মৌলিক পুষ্টির চাহিদা পূরণে পর্যাপ্ত খাবার খেতে অক্ষম। ২০২৩ সালে ক্ষুধার বড় বিপর্যয় ঘটতে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্যবিষয়ক কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) খাদ্যসহায়তা বিতরণ সমন্বয় করে। সংস্থাটির পরিসংখ্যান বলছে, তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন লোকের সংখ্যা ২০২১ সালের শেষে ২৮২ মিলিয়ন অর্থাৎ ২৮ কোটি ২০ লাখে পৌঁছায়। কিন্তু ২০২২ সালে সেটি রেকর্ড পরিমাণে দাঁড়িয়েছে ৩৪৫ মিলিয়ন অর্থাৎ ৩৪ কোটি ৫০ লাখে। ২০২৩ সালের শুরুর দিকে দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে ৫০ মিলিয়ন অর্থাৎ ৫ কোটি মানুষ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার এখনও কোভিড-১৯ মহামারির কবলে পড়ে ভুগছে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধীরগতির সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছে। ফলে এসব দেশের অনেক মানুষ অনাহারে থাকতে পারে।

এখন অব্দি সমস্যাটি মূলত প্রাপ্যতার পরিবর্তে দামের সঙ্গে সম্পৃক্ত। বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি বার্লি, ভুট্টা ও সূর্যমুখী তেল রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে ছিল রাশিয়া ও ইউক্রেন। ফলে দেশ দুটির মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর চরমভাবে খাদ্যপণ্য সরবরাহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যুদ্ধের ফলে বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উদাহরণস্বরূপ, সুদান, তানজানিয়া ও উগান্ডা রাশিয়া এবং ইউক্রেনের গম রপ্তানির ৪০ শতাংশের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এর প্রভাব সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। আর্জেন্টিনা ও ভারতসহ অন্যান্য দেশেও বাণিজ্য বিধিনিষেধের সঙ্গে সঙ্গে বেড়ে যায় খাদ্যপণ্যের দাম। জরুরি খাদ্যসহায়তা কর্মসূচিতেও ভাটা পড়ে। কেননা ডব্লিউএফপি সাধারণত ইউক্রেন থেকে বিতরণ করা গমের অর্ধেক পরিমাণে কেনে। যুদ্ধ চলাকালে ইউক্রেন থেকে জাহাজে খাদ্যপণ্য সরবরাহ আবারও শুরু হলে বেশ কয়েকবার অবরোধের মধ্যে পড়ে। ফলে দুর্বল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সত্ত্বেও চাহিদা আরও বেড়ে যায়। তবে কিছু এলাকায়, মুদ্রাস্ফীতি কমতে শুরু করেছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) খাদ্য-মূল্য সূচক, যা খাদ্যপণ্যের আন্তর্জাতিক মূল্যের মাসিক পরিবর্তন জরিপ করে তারা বলছে, ২০২২ সালের মার্চ মাসে খাদ্যপণ্যের সর্বোচ্চ দাম ধীরে ধীরে হ্রাস পেয়েছে।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করে বলেছেন, বিশ্ব খাদ্য-মূল্যস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করা থেকে কেবল পর্যাপ্ত খাদ্য না পাওয়ার দিকে চলে যেতে পারে। নাইট্রোজেন সারের উৎপাদনে ধস নেমেছে রাশিয়ার প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানি বিঘ্নিত হওয়ায়, যা কৃষিকাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কৃষকরা কম সার ব্যবহার করছে, ফসল ফলাতে পরিবর্তন আনছে এবং উৎপাদন কমাচ্ছে। ২০২৩ সালে, মানুষ বিভিন্ন কারণে অভুক্ত থাকবে। আফগানিস্তান, ইথিওপিয়া ও ইয়েমেনের মতো সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে কৃষিকাজ ব্যাহত হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মানে চরম আবহাওয়া পরিস্থিতি, বিশেষ করে পাকিস্তানের বন্যা ও হর্ন অব আফ্রিকায় খরা, আরও সাধারণ ব্যাপার হয়ে উঠছে। আমেরিকা ও ব্রিটেনের মতো ধনী দেশ এবং ব্রাজিল ও ভারতের মতো বৃহৎ খাদ্য-উৎপাদনকারী দেশসহ সবখানেই সমস্যা কেবল দারিদ্র্য। উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও মন্থর বিশ্ব অর্থনীতির মিশ্রণের অর্থ হলো অনেক লোক তাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহে অর্থ প্রদানের জন্য সংগ্রাম করবে।

খাদ্য ঘাটতির পরিণতি খুব ভয়াবহ। দীর্ঘস্থায়ী ক্ষুধার্ত থাকা হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। অপুষ্টির মানে শুধু এই নয় মানুষ খুব কম খায় এবং তারা পাতলা হয়ে যায়। বিশেষ করে শহরে, যারা পুষ্টিকর খাবার কেনার সামর্থ্য রাখে না তার পরিবর্তে সস্তা, প্যাকেটজাত খাবার কেনে এবং দরিদ্র মানুষগুলোর স্থূলতার ঝুঁকি বেড়ে যায়। ক্ষুধা বিপর্যয়ের সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী নারীরা। পরিবার দরিদ্র হওয়া এবং তাদের পরিবারকে খাওয়ানোর জন্য না খেয়ে থাকার প্রবণতা বেশি। এফএও বলছে, ২০২১ সালে ২৭ দশমিক ৬ শতাংশ পুরুষের তুলনায় বিশ্বের ৩১ দশমিক ৯ শতাংশ নারী মাঝারি বা গুরুতরভাবে খাদ্য নিরাপত্তাহীন ছিলেন এবং সেই ব্যবধান আরও বিস্তৃত হচ্ছে। কেয়ার নামে একটি এনজিওর সমীক্ষায় দেখা যায়, কীভাবে লিঙ্গবৈষম্যের সঙ্গে খাদ্যনিরাপত্তাহীনতা সম্পৃক্ত। সোমালিয়ায় পুরুষরা বলে তারা অল্প খাবার খাচ্ছে, কিন্তু নারীরা বলে তারা খাবার এড়িয়ে যাচ্ছে। ওই প্রতিবেদনে নাইজেরিয়ার এক নারী বলছেন, আমরা সবার জন্য খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছি। শুধু আমার স্বামী ছাড়া কারণ তিনি পুরুষ।

শিশুদের ক্ষেত্রে ক্ষুধা মানসিক বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করে। শৈশবের মাত্র কয়েক মাসের পুষ্টিহীনতা একজন ব্যক্তির সুস্থ, উৎপাদনশীল জীবনযাপনের আশাকে কমিয়ে দিতে পারে। সাও পাওলোতে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য একটি নার্সারির প্রধান শিক্ষক ক্লডিয়া রুশো বলেন, তিনি দেখেন আরও বেশি শিশু সকালে নাশতার জন্য আসছে কারণ তারা আগের দিন নার্সারির দেওয়া মধ্যাহ্নভোজের পর থেকে আর কিছুই খায়নি। এই শিশুরা ছোট, অসুস্থ এবং তাদের দৈহিক বৃদ্ধি হ্রাস পায়। সরবরাহ শৃঙ্খল পুনর্নির্মাণ ও খাদ্যের দাম কমে যাওয়ার পরও বর্তমান খাদ্য সংকটের প্রভাব তাদের জন্য দীর্ঘস্থায়ী হবে।


আরও খবর



পাকিস্তানে ভারী বর্ষণ ও বজ্রপাতে নিহত ৩৯

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কয়েক দিন ধরে অস্বাভাবিক ভারী বর্ষণ ও বজ্রপাতে অন্তত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের অনেকেই মাঠে গম চাষের সময় বজ্রাহত হয়েছিলেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে বৃষ্টির পানিতে ডুবে থাকা ফসলের মাঠ দেখা যায়। আকস্মিক বন্যার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও পরিবহন ব্যবস্থায়ও বিঘ্ন দেখা দিয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পাকিস্তানে চরম আবহাওয়া বিপর্যয় বেড়ে চলেছে।

২০২২ সালে আকস্মিক বন্যায় দেশটির বেশ কয়েকটি এলাকা সম্পূর্ণ পানিতে ডুবে যায়। এতে ১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয় এবং আহত হয় আরও কয়েক হাজার। ওই সময় বন্যার কারণে কয়েক লাখ মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে এবং কয়েক মাস ধরে সুপেয় পানির অভাবে ভুগতে থাকে।

খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তানসহ ২০২২ সালের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কিছু এলাকা সাম্প্রতিক ঝড়ের কারণে আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়ার পূর্বাভাসের সঙ্গে ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যার হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।

পাকিস্তানের সবচেয়ে জনাকীর্ণ প্রদেশ পাঞ্জাবে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি নিহতের ঘটনা ঘটেছে। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুসারে, গত শুক্রবার থেকে রোববারের মধ্যে প্রদেশটিতে বজ্রপাতে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির সর্ব পশ্চিমের প্রদেশ বেলুচিস্তানে অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রদেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল সোমবার ও আজ মঙ্গলবার বেলুচিস্তানের স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

বেলুচ উপকূলীয় শহর পাসনির বেশির ভাগ এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।

শহরের মিউনিসিপ্যাল কমিটির চেয়ারম্যান নূর আহমেদ কালমাতি পাকিস্তানের সংবাদপত্র ডনকে বলেন, বসতি এলাকায় এবং প্রধান বাণিজ্যিক অঞ্চলে আকস্মিক বন্যা দেখা দেওয়ায় পাসনিকে এই মুহূর্তে একটি বড় হ্রদের মতো দেখাচ্ছে।

পার্শ্ববর্তী দেশ আফগানিস্তানেও ভারী বন্যার খবর পাওয়া গেছে। গত রোববার আফগান কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃষ্টির কারণে অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং শত শত বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, পাকিস্তানে ২০২২ সালের বন্যায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নেরও ভূমিকা ছিল। জাতিসংঘের গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্স অনুসারে, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য পঞ্চম সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে স্থান পেয়েছে পাকিস্তান।


আরও খবর



প্রার্থিতা ফিরে পেলেন রশিদ শিকদার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন আব্দুর রশিদ শিকদার। রোববার আপিল শুনানিতে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পান।

মামলার তথ্য গোপন করার অভিযোগে গত ২৩ এপ্রিল মনোনয়ন যাচাই বাছাইকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রশিদ শিকদারের মনোনয়ন অবৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন অফিস। এর বিরুদ্ধে আপিল করেন আব্দুর রশিদ শিকদার। আজ আপিল শুনানিতে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পান।

এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিন জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে রশিদ শিকদার বেশ শক্তিশালী প্রার্থী। আব্দুর রশিদ শিকদার লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পুরান ঢাকার উষা ক্রীড়া চক্রের সাধারণ সম্পাদক।

এছাড়াও চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন, লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বি এম শোয়েব এবং বেজগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য লাকি মল্লিক।

এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আব্দুর রশিদ শিকদার ও বি এম শোয়েবের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ভোটারদের অভিমত।

নির্বাচন অফিস জানায়, দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় আগামী ৩০ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২ মে এবং ব্যালট পেপার পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হবে ২১ মে।


আরও খবর



মূল্যবান খনিজ জমিয়ে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে শি জিনপিং প্রশাসন

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পূর্বাঞ্চলীয় বন্দর ডংগিংয়ে গতবছর নতুন জ্বালানি তেলের একটি ডিপো নির্মাণের কাজ শেষ করেছে চীন। আর চলতি বছরের শুরু থেকেই সেখানে নজরে আসছে তেলবাহী ট্যাংকারগুলোর ব্যস্ততা। কৌশলগত জ্বালানি মজুত হিসেবে অভিহিত ডংগিংয়ের এ বিশাল তেলের ডিপোর ধারণ ক্ষমতা ৩ কোটি ১৫ লাখ ব্যারেল। মূলত রাশিয়া থেকে ভর্তি হয়ে আসা ট্যাংকারগুলোই এখানে খালাস করছে তাদের তেল। দ্রুত খালাস করেই নতুন চালান ভরতে চীনা ট্যাংকারগুলো ফের ছুটছে রাশিয়ার বন্দরগুলোর উদ্দেশ্যে।

যেভাবে তেলের মজুত বাড়াচ্ছে চীন

দিন দিন রাশিয়া থেকে চীনের এ জ্বালানি আমদানি বেড়েই চলেছে। বর্তমানে দিনে গড়ে ২১ লাখ ব্যারেল তেল মস্কো থেকে আমদানি করছে বেইজিং। টানা দুবছর ধরে বেইজিংয়ের জ্বালানি সরবরাহের প্রধান উৎস মস্কো। এতো বিপুল পরিমাণ জ্বালানি তেল কেনার মাধ্যমে চীনের কৌশলগত জ্বালানি তেলের মজুত বর্তমানে উঠানামা করছে ২৮ কোটি থেকে ৪০ কোটি ব্যারেলের মধ্যে।

যেখানে তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত জ্বালানি মজুতের পরিমাণ ৩৬ কোটি ব্যারেলের আশপাশে। শান্তিপূর্ণ সময়ে চীনের দৈনিক জ্বালানি চাহিদার পরিমাণ প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ ব্যারেল। এ হিসেবে দেখা যাচ্ছে, বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী প্রায় ছয় মাসেরও বেশি সময়ের তেলের মজুত নিজের হাতে ধরে রেখেছে চীন।

চীনের তেলের মজুত গড়ে তোলার এ পরিসংখ্যানই পশ্চিমা রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও সামরিক মহলকে উদ্বিগ্ন করে তোলার জন্য যথেষ্ট। তাদের ধারণা, সামনে বড় ধরনের কোন ঘটনা ঘটানোর পরিকল্পনা আঁটছেন চীনের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এর অংশ হিসেবেই দ্রুত ডংগিংয়ের মতো এসব ডিপোকে তেলে ভর্তি করছে বেইজিং।

অন্যান্য খনিজের মজুতও বাড়াচ্ছে চীন

শুধু জ্বালানি তেলই নয়, অত্যন্ত দ্রুতগতিতে কৌশলগত প্রায় সব শিল্প কাঁচামালের মজুত গড়ে তুলছে বেইজিং। পশ্চিমা মহলের ধারণা, ভবিষ্যতে কোন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি কিংবা সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা পরিস্থিতিকে মাথায় রেখেই তার জন্য আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে চীনা কর্তৃপক্ষ। তাইওয়ানে চীনের সম্ভাব্য সামরিক অভিযানকেই এর সম্ভাব্য কারণ হিসেবে মনে করছেন তারা।

তবে ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞাও বেইজিংকে সুযোগ করে দিচ্ছে ডিসকাউন্ট দরে মস্কো থেকে তেলসহ অন্যান্য কাঁচামাল কেনার ব্যাপারে। জ্বালানি তেলের পাশাপাশি অনেক সস্তায় মস্কো থেকে নিকেল, অ্যালুমিনিয়াম ও তামার মতো অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খনিজ কিনতে সক্ষম হচ্ছে চীনা কোম্পানিগুলো। আর চীনের এ মূল্যবান ধাতু কিনে মজুত করার প্রবণতার গতি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে রাশিয়ার নিকেল, অ্যালুমিনিয়াম ও তামার ওপর আরোপ করা সর্বশেষ পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা।

বিশ্বব্যাপী লিথিয়ামের এক-তৃতীয়াংশই চীনের কব্জায়

এসব ধাতুর পাশাপাশি বেইজিংয়ের নজরে রয়েছে বর্তমান যুগের অন্যতম মূল্যবান খনিজ পদার্থ হিসেবে পরিচিত লিথিয়ামের ওপরও। ব্যাটারি শিল্পের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এ খনিজ পদার্থের ক্ষেত্রে চীন মজুত বাড়িয়েই ক্ষান্ত হচ্ছে না; বরং বিভিন্ন দেশে থাকা লিথিয়ামের খনি থেকে শুরু করে পরিশোধনাগার পর্যন্ত কিনে ফেলতে শুরু করেছে।

এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইউবিএস গত মার্চে জানায়, এভাবে চলতে থাকলে ২০২৫ সালের মধ্যেই বিশ্বের সব লিথিয়াম সরবরাহের তিন ভাগের একভাগই চলে যাবে চীনের কব্জায়।

অবশ্য চীন অনেক আগে থেকেই প্রয়োজনীয় ধাতু ও বিরল মৃত্তিকার মতো খনিজ পদার্থের মজুত গড়ে তুলছে। এ ব্যাপারে মার্কিন খনি বিষয়ক দফতর ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের ২০১৬ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, চীনের হাতে অ্যালুমিনিয়াম, ক্যাডমিয়াম, কোবাল্ট, কপার, গ্যালিয়াম, জার্মেনিয়াম, ইরিডিয়াম, ট্যানট্যালাম, টিন, টাংগেস্টন, জিংক ও জিরকোনিয়ামের পাশাপাশি অন্যান্য বিরল মৃত্তিকা পদার্থের মজুত রয়েছে। এরপরের বছরগুলোতে চীন এসব খনিজ মজুত করার তৎপরতা আরও বাড়িয়েছে।

চীন স্বর্ণের মজুদও বাড়াচ্ছে, টান পড়ছে সারা বিশ্বে

শুধু এসব খনিজ পদার্থই নয়, বরং স্বর্ণের মজুতও দিন দিন বাড়িয়ে চলেছে বেইজিং। আর এ স্বর্ণ শুধু সরকারই কিনছে না, বরং চীনের বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ব্যক্তি পর্যায়ে বেড়ে গেছে স্বর্ণ কেনার প্রবণতা। মূলত চীনাদের এ স্বর্ণ কেনার প্রবণতাই বিশ্বজুড়ে স্বর্ণের দামকে রেকর্ড পর্যায়ে উন্নীত করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে প্রতি আউন্স স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৪শ ডলারে।

মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরশীলতা থেকে বেরিয়ে আসার প্রয়োজনেই চীনের এ স্বর্ণ কেনার উদ্দেশ্য বলে কেউ কেউ মনে করছে। তবে এর পেছনে দেশটির জনগণের একটি মনস্তাত্ত্বিক অবস্থানও রয়েছে বলে মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক। তাদের মতে ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তা আঁচ করতে পেরেই চীনের এলিট সমাজ তাদের সম্পদ দেশের বাইরে জমা করার বদলে দেশেই নিজের হাতের নাগালে রাখতে চাইছেন। আর স্বর্ণ কিনে জমা রাখার মাধ্যমেই তা সবচেয়ে ভালোভাবে সম্ভব। অর্থাৎ চীন যে তাইওয়ানকে ঘিরে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে যাচ্ছে, সে বিশ্বাস দানা বাঁধছে চীনের সাধারণ মানুষের মধ্যেও।

টার্গেট তাইওয়ান, ডেডলাইন ২০২৭

জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের মজুত চীন যেভাবে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বাড়িয়ে নিচ্ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিজের সামরিক বাহিনীকেও ব্যাপকভাবে অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত করছে বেইজিং। এমন এক সময়ে এই সামরিকীকরণ চলছে যখন তাইওয়ানকে ঘিরে বেইজিংয়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র তথা পশ্চিমা বিশ্বেরও উত্তেজনার পারদ বেড়ে চলেছে পাল্লা দিয়ে। আর চীনের এসব প্রস্তুতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মার্কিন সামরিক মহল। মার্কিন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের অনেকেই বিশ্বাস করেন শি জিনপিং তাইওয়ান দখলে তার সামরিক বাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে ২০২৭ সাল পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। আর এজন্যই চীনের অর্থনৈতিক অবস্থা বর্তমানে কিছুটা দুর্বল হওয়া সত্ত্বেও সামরিক খাতে খরচ বাড়িয়ে চলেছে বেইজিং।

এ ব্যাপারে সম্প্রতি জাপানে অনুষ্ঠিত নৌবাহিনীর সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তা অ্যাডমিরাল জন অ্যাকুলিনো বলেন, অর্থনীতি দুর্বল হতে থাকা সত্ত্বেও সামরিক সক্ষমতা বাড়াতে চীন সচেতনভাবে অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছে। যা কিনা আমাকে উদ্বিগ্ন করছে।’

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনীতি বিষয়ক ব্লগিং সাইট ওয়ার অন দ্য রকস’-এ নিজের এক লেখায় মার্কিন নৌবাহিনীর সাবেক গোয়েন্দা প্রধান ও যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের পরিচালক অ্যাডমিরাল মাইক স্টুডম্যান বলেন, শি জিনপিং (চীনা প্রেসিডেন্ট) তার দেশকে সংঘাতের জন্য প্রস্তুত করছেন। এ লক্ষ্যে সম্ভাব্য এক বিধ্বংসী যুদ্ধের জন্য শি জিনপিং চীনা সমাজকে সামরিকীকরণের মাধ্যমে পুরো দেশকে বর্মে মুড়িয়ে ফেলছেন।’

এর অংশ হিসেবেই চীনা কর্তৃপক্ষ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও কাঁচামালের একটি কৌশলগত মজুত গড়ে তুলছে বলে মনে করেন মার্কিন এ শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা। ইউক্রেন যুদ্ধের পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা বিশ্ব যে ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলো, সেই ধরনের নিষেধাজ্ঞার মতো পরিস্থিতি থেকে নিজেদের রক্ষা করতেই বেইজিং এই মজুত গড়ে তুলছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

মাইক স্টুডম্যান আরও বলেন, ২০২২ সালে চীনের শীর্ষে নেতৃত্বের যে রদবদল, সেখানেও শি জিনপিংয়ের এ যুদ্ধ প্রস্তুতির ইঙ্গিত রয়েছে। বেছে বেছেই তাইওয়ান সম্পর্কে অভিজ্ঞদের নিজের ক্যাবিনেটে অন্তর্ভুক্ত করেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট। বর্তমানে চীনের ২৪ সদস্য বিশিষ্ট সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী পরিষদ পলিটব্যুরোর ২৪ সদস্যের মধ্যে ১৫ জনকেই মনে করা হয় তাইওয়ান সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ।

এমনকি তাদের মধ্যে সামিল রয়েছেন এমন একজন সামরিক কর্মকর্তা, পলিটব্যুরোতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আগে তার আগের ধাপ চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটিতেও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না তিনি। তাইওয়ান বিষয়ে ব্যাপক অভিজ্ঞতাই পলিটব্যুরোতে জায়গা করে দেয় তাকে। এ সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন চীনের ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের সাবেক কমান্ডার। আর তাইওয়ানের বিরুদ্ধে চীনের যেকোন সামরিক অভিযানের সার্বিক দায়িত্ব প্রথমে এই ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের ওপরেই বর্তাবে।

যুদ্ধের প্রস্তুতি চীনের, দ্বিধাবিভক্ত পশ্চিমা বিশ্ব

তবে চীন যখন দ্রুত তার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে, তখনও চীনের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারে দ্বিধাবিভক্ত পশ্চিমা মহল। জ্বালানি ও কাঁচামালের আন্তর্জাতিক উৎস থেকে বেইজিংকে বিচ্ছিন্ন করার ব্যাপারে এখনও দৃশ্যমান কোন শক্ত পদক্ষেপ নিতে পারেনি তারা। যদিও যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে উচ্চ প্রযুক্তির মাইক্রো চিপ থেকে চীনকে বঞ্চিত করতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে ইউরোপীয় দেশগুলো চীনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নেয়ার ব্যাপারে দ্বিধাবিভক্ত। বরং চলতি মাসে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস চীন সফরের মধ্যদিয়ে এ বার্তাই দেয়া হচ্ছে যে, ইউরোপীয়রা চীনের সঙ্গে বর্তমান বাণিজ্যিক সহযোগিতা বজায় রাখতেই বেশি আগ্রহী।


আরও খবর



ইসরাইলের সঙ্গে সকল বাণিজ্য বন্ধ করল তুরস্ক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অবৈধ দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে তুরস্ক। তুরস্কের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ফিলিস্তিনি অঞ্চলে মানবিক ট্র্যাজেডি আরও খারাপ’ উল্লেখ করে এ ঘোষণা দিয়েছে। পাশাপাশি ইসরায়েল সরকার গাজায় নিরবচ্ছিন্ন এবং পর্যাপ্ত মানবিক সাহায্য প্রবাহের অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত তুরস্ক এই সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে বলে বলা হয়েছে।

তুরস্কের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের পণ্য আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, বৃহস্পতিবার থেকে তুরস্ক ইসরায়েল থেকে সব রপ্তানি এবং আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে।

২০২৩ সালেও দেশ দুইটির মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের বিরুদ্ধে এক্সে একটি পোস্ট করেছেন। এতে তিনি অভিযোগ করেছেন, বন্দর দিয়ে ইসরায়েলি পণ্য আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ করে দিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বাণিজ্যিক চুক্তি ভঙ্গ করছেন।

তুরস্ক বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়ায় বিকল্প হিসেবে অন্য দেশগুলো থেকে পণ্য আমদানি এবং স্থানীয়ভাবে পণ্য উৎপাদনের জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন দখলদার ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।


আরও খবর



রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় ওআইসির সহযোগিতা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচারের দাবিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলায় আইনি ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

ওআইসি সম্মেলনের শেষ দিনের অধিবেশনে স্থানীয় সময় রোববার (৫ মে) বিকেলে ওআইসি মহাসচিব হিসেইন ব্রাহিম তাহার উপস্থিতিতে ওআইসি নেতৃবৃন্দের সামনে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার অগ্রগতি তুলে ধরেন পরাষ্ট্রমন্ত্রী।

অধিবেশনে ড. হাছান মাহমুদ মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে রোহিঙ্গাদের আইনি অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করায় গাম্বিয়াকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আইন ও আর্থিক বিষয়ে ওআইসি সদস্য দেশগুলোর সহযোগিতা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে সহায়ক হবে।

সভায় সৌদি আরব, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, প্যালেস্টাইনসহ উপস্থিত সদস্য রাষ্ট্রসমূহের প্রতিনিধিরা রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত ও স্থায়ী সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এ সময় গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মামাদৌ তাঙ্গারা মিয়ানমার হতে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।


আরও খবর