আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

কতদূর গড়াবে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের ‘বেলুনকাণ্ড’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আমরা নতুন করে স্নায়ুযুদ্ধ চাই না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে বলেছিলেন গত নভেম্বরে যখন তারা বালিতে মিলিত হন। এভাবে চীন-আমেরিকার সম্পর্কের মধ্যে নতুন করে আশার আলো সঞ্চার হয়। গত জানুয়ারি মাসে জুরিখে দুই দেশের ঊর্ধ্বতন অর্থনৈতিক কর্মকর্তারা যোগাযোগ সম্প্রসারণ ও সহযোগিতার কথাও বলেছিলেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের দুইদিনের বেইজিং সফর শুরু হওয়ার কথা ছিল ৫ ফেব্রুয়ারি। এর আগেই আমেরিকার আকাশসীমায় ভেসে ওঠে চীনা নজরদারি বেলুন।

এটা কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। বেলুনটি স্ট্রাটোস্ফিয়ার অঞ্চলেই ছিল, প্রায় ১৮ হাজার মিটার উপরে এবং সৌর প্যানেল দিয়ে সজ্জিত। এটি সাধারণত আবহাওয়া সংক্রান্ত গবেষণার জন্য ব্যবহৃত বেলুনের চেয়ে অনেক বড়। তবুও চীন দাবি করে, মূলত আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের জন্য বেলুনটি আকাশে ওড়ানো হয়েছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট পথে না গিয়ে সেটি যুক্তরাষ্ট্র চলে গেছে। মার্কিন প্রতিরেক্ষা দপ্তর ও বাকী বিশ্ব সেই যুক্তি আমলে নিতে নারাজ। আমেরিকা এটিকে একটি নজরদারি বেলুন বলে অভিহিত করে। ৪ ফেব্রুয়ারি বেলুনটিকে আটলান্টিক মহাসাগরে ভূ-পাতিত করে যুক্তরাষ্ট্র। আপাতত ব্লিঙ্কেনের বেইজিং সফরও স্থগিত করার কথা জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।

দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, বেলুনটি আমেরিকার আকাশসীমায় প্রবেশ উচিত হয়নি। অন্য একটি বেলুন লাতিন আমেরিকায় খুঁজে পেয়েছে পেন্টাগন। ব্লিঙ্কেন তার সফর স্থগিত করে ঠিক করেছেন। বাইডেন প্রশাসনের চীনের উসকানির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সিদ্ধান্তও সঠিক। বেলুনটি গুলি করে ভূ-পাতিত করার অধিকার ছিল কেননা পেন্টাগনের মতে এটি তাদের আকাশসীমায় ছিল। তবে ঘটনাটিকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দুই দেশের সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে বড় পরিসরে দেখা দরকার।

চীন যে আমেরিকার ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করে তা গোপন নয়। তবে বেলুনটির গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের সক্ষমতা সীমিত ছিল। এটি পেন্টাগনও স্বীকার করেছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, যখন আমেরিকা এবং চীনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তীব্র হয়, তখন ছোট ঘটনাগুলো সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি করে। এটি প্রতিরোধ করার জন্য, চীন ও আমেরিকার তাদের সম্পর্ককে উন্নতি করার উপায় জরুরি হয়ে পড়ে। দুদেশের সংযমের প্রয়োজনীয়তা আরও জরুরি কেননা উভয় দেশের উপদলগুলোর দেশপ্রেমিক প্রমাণপত্র প্রদর্শনের সুযোগ তৈরি করবে। এ ঘটনায় ওয়াশিংটনে ক্ষোভ জন্ম নিতে পারে। হাউজের নতুন দ্বিদলীয় চীন নির্বাচন কমিটির রিপাবলিকান প্রধান মাইক গ্যালাঘের বলেছেন, এটি আমেরিকান সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি, এবং এটি মধ্য-পশ্চিমের জন্যও হুমকিস্বরূপ। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এটি ভূ-পাতিত করার কথা বলেছিলেন।

ডেমোক্র্যাটরাও এখন ক্ষুব্ধ। মন্টানার সিনেটর জন টেস্টার বেলুনটিকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য স্পষ্ট হুমকি বলে অভিহিত করেছেন। চীন নির্বাচন কমিটির র‌্যাঙ্কিং ডেমোক্র্যাট রাজা কৃষ্ণমূর্তি বিবৃতিতে বলেছেন, বাইডেন প্রশাসনের কাছে জবাব চাইছি। যদিও চীনের প্রতি এমন শত্রুতার জায়গা বাইডেনের কৌশলে নেই। চীনের রাজনৈতিক পরিবেশও কম উত্তেজনাপূর্ণ নয়। চীন সরকার আমেরিকার আকাশসীমায় বেলুনের অনিচ্ছাকৃত প্রবেশের জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছে। বলা চলে, চীন স্বীকার করবে যে এটি তারা ভুল করেছে। সর্বোপরি শি, পশ্চিমের সঙ্গে উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্য নিয়েছিলেন। ঠিক যেমন তিনি তার সাম্প্রতিক নীতির মাধ্যমে বলার চেষ্টা করেন, চীন বিনিয়োগের জন্য একটি ভালো জায়গা।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুঃখপ্রকাশ করলেও, দেশের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই, ব্লিঙ্কেনকে বলেছিলেন, চীন কোনো ভিত্তিহীন অনুমান বা মিথ্যাচার গ্রহণ করবে না। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে বেলুনকাণ্ড বাড়বে না। চীন ও আমেরিকার মধ্যে উত্তেজনা কতটা তীব্র হতে পারে তা দুদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ের ওপর নির্ভর করছে। বাইডেন ও শি যদি দুর্ঘটনা, ত্রুটি এবং ভুল বোঝাবুঝির দ্বারা সম্পর্ক নির্ধারণ করতে না চান তবে তাদের যোগাযোগের আরও ভালো উপায় খুঁজে বের করতে হবে।

বেলুনটি আমেরিকার আকাশসীমায় প্রবেশের অনেক আগে, ঝুঁকি কমানোর জন্য নতুন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছিল দেশ দুটির। বাইডেন প্রশাসন স্পষ্টভাবে জানায়, দুই পক্ষের সামরিক নেতাদের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের লাইন খোলা এবং তাদের জাহাজ ও বিমানগুলো নিরাপদে যোগাযোগ করার জন্য প্রোটোকল প্রতিষ্ঠা করা দরকার। তবে চীন আরও সতর্ক হয়েছে, কেননা যেকোনো চুক্তিকে তার সামরিক বিকল্প সীমিত করার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছে দেশটি।

চীন-আমেরিকার সম্পর্কের উত্তেজনা ততটা নয় যতটা সোভিয়েত-আমেরিকার সম্পর্কে ছিল। কিন্তু ওয়াশিংটন ও মস্কোর কর্মকর্তারা ঝুঁকি এড়াতে কার্যকর উপায় বের করার আগে এটি একটি ক্ষেপণাস্ত্র সংকট তৈরি করেছিল। তবে পারমাণবিকের পরিবর্তে বেলুনকাণ্ড ভালো, যা আমেরিকা ও চীনকে একে অপরের সঙ্গে কীভাবে কথা বলা যায় তা স্পষ্ট করেছে।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় আড়াই কোটি টাকার টোল আদায়

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও নেই যানজট। মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহন বৃদ্ধির ফলে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে যানবাহন পারাপার ও টোল আদায় স্বাভাবিকের তুলনায় দ্বিগুণ বেড়েছে।

বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিস সূত্র জানায়, রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৬টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ২৯ হাজার ৭৮০ যানবাহন পারাপার হয়েছে এবং টোল আদায় হয়েছে দুই কোটি ৫০ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকা।

এরমধ্যে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব অংশে ১৫ হাজার ৮৫ যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয়েছে এক কোটি ৮৫ লাখ ৪০ হাজার ৫০ এবং সিরাজগঞ্জের সেতু পশ্চিম অংশে ১৪ হাজার ৬৯৪ যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয়েছে এক কোটি ৩২ লাখ ৩৫ হাজার ১৫০ টাকা। সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে দুই হাজার ৭১০।

এবিষয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, যানজট নিরসনে সেতুর উভয় অংশে ৯টি করে ১৮ টোল বুথ স্থাপনসহ মোটরসাইকেলের জন্য চারটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। যানবাহনের চাপ বেড়েছে।


আরও খবর



বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে: ছাত্রলীগ সভাপতি

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, বুয়েটের রাজনৈতিক কাঠামো বুয়েট ঠিক করবে, তবে ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে। রোববার (৩১ মার্চ) বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি ফেরাতে শহিদ মিনারে ছাত্রলীগের সমাবেশে অংশ নিয়ে তিনি এই কথা বলেন।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, ছাত্র রাজনীতি বন্ধের নাটক বন্ধ করতে হবে। কোন ক্যাম্পাসে যাওয়াটা মৌলিক অধিকার। অনুমতি নেয়ার দরকার নেই। কোথাও ছাত্র রাজনীতি বন্ধের নিয়ম নেই। থাকলেও তা সংবিধান বিরোধী। বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে। ছাত্র সংসদ নিবাচন দিতে হবে। বুয়েটে ইতিয়াজ রাব্বির সিট ফিরিয়ে দিতে হবে।

রোববার সকাল ১১ টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয় বেলা ১২ টায়। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

মৌলবাদী গোষ্ঠীর কালো ছায়া থেকে মুক্ত করে বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতির দাবিতে এবং বুয়েট কর্তৃক গৃহীত সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার পরিপন্থী শিক্ষাবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ সমাবেশ করছে ছাত্রলীগ।

সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, বাঙলা কলেজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগসহ আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইউনিট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সমবেত হন।

এ সময় নেতাকর্মীদের মৌলবাদের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন, শিবিরের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন, জায়ামাত-শিবির-রাজাকার, তাড়াতাড়ি বাংলা ছাড়, শিবিরে আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায়।


আরও খবর
বিএনপির ৭৫ নেতাকে বহিষ্কার

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪




বিদ্রোহীদের দখলে এবার মিয়ানমারের মায়াবতী শহর

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কয়েক সপ্তাহের তুমুল লড়াই শেষে থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের মায়াবতী শহরের দখল নিতে চলেছে দেশটির জান্তা শাসনবিরোধী বিদ্রোহী জোট।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, আদিবাসী কারেন বিদ্রোহীদের নেতৃত্বে অভ্যুত্থানবিরোধী বাহিনী কয়েক সপ্তাহ আগে মায়াবতী শহর আক্রমণ করে। তারা একটু একটু করে শহরের ভেতর প্রবেশ করে এবং শহরটির পাহারায় থাকা মিয়নমারের শতাধিক সেনাসদস্য শেষ পর্যন্ত তাদের কাছে পরাস্ত হয়ে আত্মসমর্পণ করতে রাজি হয়েছে।

শুক্রবার কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন-কেএনইউ থেকে এক ঘোষণায় বলা হয়, থাঙ্গানিনাং শহরে থাকা এক ব্যাটেলিয়ন সেনাসদস্য তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। শহরটি মায়াবতী থেকে ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে। আর মায়াবতীতে থেকে যাওয়া মিয়ানমার সেনাবাহিনীর শেষ ব্যাটেলিয়নের সঙ্গে এ সপ্তাহান্তে তাদের আলোচনা চলছে এবং খুব সম্ভবত সেনাবাহিনীর ওই ব্যাটেলিয়ন আত্মসমর্পণে রাজি হয়েছে।

থাইল্যান্ডের সঙ্গে স্থলপথে বাণিজ্যে মায়াবতী শহরের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দুই দেশের স্থলপথে আমদানি-রপ্তানির অধিকাংশই হয় এই শহর দিয়ে।

তিন বছর আগে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে মিয়ানমারের শাসনভার দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। অভ্যুত্থান রক্তপাতহীনভাবে বিনা বাধায় হলেও ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদলে যায়। সাধারণ মানুষ অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু করে।

যে বিক্ষোভ কঠোর হাতে দমন করে জান্তা বাহিনী। তাদের দমন নিপীড়নে বহু বিক্ষোভকারী প্রাণ হারায়। প্রাথমিকভাবে বিক্ষোভ দমন হলেও অভ্যুত্থান বিরোধীরা মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকাগুলোতে আগে থেকেই সামরিক বাহিনীর সঙ্গে লড়াইরত বিভিন্ন আদিবাসী বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহী দলগুলোর সঙ্গে জোট গঠন করে গত বছর শেষদিক থেকে জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।

বিদ্রোহী জোট একের পর এক সীমান্ত এলাকা ও শহরে আক্রমণ করে সেগুলো দখল করতে শুরু করে। এ বছরের শুরু থেকে তাদের আক্রমণের তেজ বেড়ে যায়। মিয়ানমারের বেশ কয়েকটি অঞ্চল ও শহর এখন বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে। চীন সীমান্তবর্তী শান রাজ্য এবং বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যের অনেকটাই এখন বিদ্রোহীদের দখলে।

বিবিসি জানায়, গত তিন বছরে জান্তা বাহিনীকে এত বড় চ্যালেঞ্জের মুখে আর পড়তে হয়নি। মায়াবতী শহরের নিয়ন্ত্রণ হারানো তাদের জন্য আরও একটি বড় ধাক্কা।

দ্য কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন আদিবাসী কারেন জনগোষ্ঠীর স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে সেই ১৯৪৮ সালে মিয়ানমারের স্বাধীনতা লাভের পর থেকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে আসছে।

গত শতাব্দীর ৯০ এর দশকে সামরিক বাহিনী তাদের অনেকটাই পরাস্ত করে এবং ২০১৫ সালের পর তারা একটি জাতীয় যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে লড়াই বন্ধ করেছিল। কিন্তু ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর সবকিছু পাল্টে যায়। কেএনইউ থেকে বলা হয়, নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করায় ওই চুক্তি অকার্যকর হয়ে গেছে।

কেএনইউ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শুধু লড়াই করছে না। বরং সারা দেশ থেকে যারা স্বোচ্ছায় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে আসছে তাদের প্রশিক্ষণও দিচ্ছে।

এছাড়া সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করা দেশের অন্যান্য প্রান্তের বড় বড় বিচ্ছিন্নতাবাদী দলগুলোকে তারা এক জোট করার চেষ্টাও করছে।


আরও খবর



নাবিকরা ভালো আছেন, আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

সোমালিয়ায় জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধার প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সর্বমুখী প্রচেষ্টা পরিচালনা করা হচ্ছে। যারা হাইজ্যাক করেছে তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে এবং নাবিকরা ভালো আছে। তাদের খাবার-দাবারেরও কোনো অসুবিধা নেই। তারা কেবিনে আছে। যেহেতু আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে, আমরা আশা করছি, সহসা তাদের মুক্ত করা সম্ভব হবে।

শনিবার (৬ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নগরের দেওয়ানজি পুকুর লেন ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সেই জাহাজের আশপাশে বিদেশি জাহাজও প্রস্তুত আছে। আলোচনার পাশাপাশি হাইজ্যাকারদের ওপর নানামুখি চাপও রয়েছে। আমরা আশা করছি, সহসা জাহাজ এবং নাবিকদের মুক্ত করা সম্ভব হবে। সেইজন্য দিনক্ষণ বলা সম্ভবপর নয়। তবে, এক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। জাহাজে যারা চাকরি করে ঈদের আগে-পরে হিসেব করে তাদের কোনো ছুটি হয় না। তারা যায় ছয়মাস কিংবা একবছরের জন্য। এই জাহাজ যদি হাইজ্যাক নাও হতো তারা ঈদের আগে জাহাজ ছেড়ে পরিবারের সাথে মিলিত হওয়ার কথা ছিল না।


আরও খবর



মালয়েশিয়ায় মাঝ আকাশে ২ হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ, নিহত ১০

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মাঝ আকাশে মালয়েশিয়া নৌবাহিনীর দুটি হেলিকপ্টারের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে রয়্যাল মালয়েশিয়ান নৌবাহিনীর একটি অনুষ্ঠানের জন্য মহড়ার সময় হেলিকপ্টার দুটির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর একটি মাটিতে পড়লেও আরেকটি গিয়ে পড়ে সুইমিং পুলে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এইচওএম এম৫০৫-৩ মডেলের একটি হেলিকপ্টারের ৭ জন এবং এম৫০৩-৬ মডেলের অন্য হেলিকপ্টারে তিনজন আরোহী ছিলেন।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ওই দুটি হেলিকপ্টারে ১০ জন ক্রু ছিলেন। তাদের মৃত্যু হয়েছে। তবে এ তথ্যের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।


আরও খবর