জাতীয় ক্রিকেট
দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা এবারও নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে
নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, সঙ্গে জমা
দিয়েছেন হলফনামা। তার হলফনামা পর্যালোচনা করে দেখা যায়- গত ৫ বছরে মাশরাফির আয় কমেছে,
তবে বেড়েছে সম্পদ।
রিটার্নিং কর্মকর্তার
কার্যালয়ে জমা দেওয়া মাশরাফির হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি পেশায় রাজনীতিবিদ। তার
বার্ষিক আয় ৮৮ লাখ ৫৪ হাজার ৪৫৮ টাকা। এর মধ্যে শেয়ার মার্কেট, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক
আমানত ১৪ লাখ ১ হাজার ৯৫৩ টাকা, চাকরি ও বিভিন্ন সম্মানি বাবদ ২৩ লাখ ৩ হাজার ২০ টাকা
এবং অন্যান্য খাত থেকে ৫১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৮৫ টাকা আয় করেন তিনি।
৫ বছর আগে মাশরাফির
বার্ষিক আয় ছিল ১ কোটি ৯৯ লাখ ১৮ হাজার ৭০০ টাকা। কৃষিখাত থেকে বছরে ৫ লাখ ২০ হাজার,
ব্যবসা (এমডি, দি ম্যাশ লি.) থেকে ৭ লাখ ২০ হাজার, চাকরি (ক্রিকেট খেলে) করে ৩১ লাখ
৭৪ হাজার এবং অন্যান্য খাত থেকে ১ কোটি ৫৫ লাখ ৪ হাজার ৭০০ টাকা আয় করেন।
এবারের হলফনামার
তথ্য অনুযায়ী মাশরাফির ২৮ লাখ ১০ হাজার ৫৮০ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে। পাঁচ
বছর আগে ছিল মোট ৯ কোটি ১৪ লাখ ৫৯ হাজার ৫১ টাকার (৫০ তোলা স্বর্ণ বাদে) সম্পত্তি।
বর্তমানে তার ৯ কোটি ৪২ লাখ ৬৯ হাজার ৬৩১ টাকার সম্পত্তি রয়েছে।
অস্থাবর সম্পদের
মধ্যে মাশরাফির নগদ ১ কোটি ৮০ লাখ ৫৪ হাজার ৪০২ টাকা রয়েছে। আর স্টান্ডার্ড চার্টার্ড,
সিটি ও ইসলামী এই তিন ব্যাংকে রয়েছে তার ১ কোটি ৩ লাখ ৭০ হাজার ৮৬০ টাকা। আর বন্ড,
ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত ৯ কোম্পানিতে শেয়ার রয়েছে ২ লাখ
৫০ হাজার টাকা। আর পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী
আমানতে বিনিয়োগ করেছেন ২ কোটি ৪৫ লাখ ৮৩ হাজার ৩৬৯ টাকা। আছে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৭ হাজার
টাকা মূল্যের একটি কার, দুটি মাইক্রো এবং একটি জিপ।
এছাড়া ১৫ লাখ
৫০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী এবং ১৮ লাখ ৮০ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে তার।
রয়েছে ৫০ তোলা স্বর্ণ।
স্থাবর সম্পত্তি
হিসেবে হলফনামায় উল্লেখ রয়েছে, মাশরাফির নিজ নামে ৩৭ লাখ টাকা মূল্যের ৩.৬১ একর কৃষিজমি।
আছে ১ কোটি ৮ লাখ টাকা মূল্যের ২ হাজার ৮০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট। এছাড়া পূর্বাচলে তার
৮ লাখ ২৪ হাজার টাকা মূল্যের একটি প্লট রয়েছে। আছে ৪৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ছয়
তলা বিশিষ্ট বাড়ি।
তবে সিটি ব্যাংকে
তার ৮৯ লাখ ৭ হাজার ৭৭৫ টাকা ঋণ রয়েছে। হলফনামায় তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি উল্লেখ
করেছেন। তার নামে কোনো ফৌজদারি মামলা নেই।