আজঃ শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

কুড়িগ্রামে জামায়াত-শিবিরের ৮ নেতাকর্মী আটক

প্রকাশিত:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ২০ নভেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মাসুদ রানা, কুড়িগ্রাম

Image

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে চলমান জামায়াত-বিএনপির হরতালের সমর্থনে রাস্তা অবরোধ করে মিছিল করার সময় জামায়াত ও শিবিরের ৮ নেতাকর্মীকে আটক করেছে থানা পুলিশ।

সোমবার সকাল ৬টায় শহরের সাদ্দাম মোড় থেকে এদের আটক করা হয়। পরে দুপুরে তাদেরকে কুড়িগ্রাম কোর্টে পাঠানো হয়।

আটককৃতরা হলো ভুরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের বাগভান্ডার গ্রামের ফজলুল হক (৬০), আব্দুল করিম (৭০), মিনহাজ (৪৫), আমিনুল ইসলাম (৪৫), এনামুল হক (২৩), আমিনুর রহমান (২১), আরিফুল ইসলাম (২১) ও সাব্বির রহমান (১৯)।

ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন জানান, রাস্তা অবরোধ করে জনগণের ভোগান্তি ও সরকারী কাজে বাঁধা প্রদানের অভিযোগে তাদের নামে মামলা করা হয়েছে এবং আটককৃতদের কুড়িগ্রাম কোর্টে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর
ভালুকা মুক্ত দিবস আজ

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




আয় কমলেও সম্পদ বেড়েছে মাশরাফির

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা এবারও নড়াইল-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, সঙ্গে জমা দিয়েছেন হলফনামা। তার হলফনামা পর্যালোচনা করে দেখা যায়- গত ৫ বছরে মাশরাফির আয় কমেছে, তবে বেড়েছে সম্পদ।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দেওয়া মাশরাফির হলফনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি পেশায় রাজনীতিবিদ। তার বার্ষিক আয় ৮৮ লাখ ৫৪ হাজার ৪৫৮ টাকা। এর মধ্যে শেয়ার মার্কেট, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানত ১৪ লাখ ১ হাজার ৯৫৩ টাকা, চাকরি ও বিভিন্ন সম্মানি বাবদ ২৩ লাখ ৩ হাজার ২০ টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে ৫১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৮৫ টাকা আয় করেন তিনি।

৫ বছর আগে মাশরাফির বার্ষিক আয় ছিল ১ কোটি ৯৯ লাখ ১৮ হাজার ৭০০ টাকা। কৃষিখাত থেকে বছরে ৫ লাখ ২০ হাজার, ব্যবসা (এমডি, দি ম্যাশ লি.) থেকে ৭ লাখ ২০ হাজার, চাকরি (ক্রিকেট খেলে) করে ৩১ লাখ ৭৪ হাজার এবং অন্যান্য খাত থেকে ১ কোটি ৫৫ লাখ ৪ হাজার ৭০০ টাকা আয় করেন।

এবারের হলফনামার তথ্য অনুযায়ী মাশরাফির ২৮ লাখ ১০ হাজার ৫৮০ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে। পাঁচ বছর আগে ছিল মোট ৯ কোটি ১৪ লাখ ৫৯ হাজার ৫১ টাকার (৫০ তোলা স্বর্ণ বাদে) সম্পত্তি। বর্তমানে তার ৯ কোটি ৪২ লাখ ৬৯ হাজার ৬৩১ টাকার সম্পত্তি রয়েছে।

অস্থাবর সম্পদের মধ্যে মাশরাফির নগদ ১ কোটি ৮০ লাখ ৫৪ হাজার ৪০২ টাকা রয়েছে। আর স্টান্ডার্ড চার্টার্ড, সিটি ও ইসলামী এই তিন ব্যাংকে রয়েছে তার ১ কোটি ৩ লাখ ৭০ হাজার ৮৬০ টাকা। আর বন্ড, ঋণপত্র, স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত ৯ কোম্পানিতে শেয়ার রয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আর পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ করেছেন ২ কোটি ৪৫ লাখ ৮৩ হাজার ৩৬৯ টাকা। আছে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৭ হাজার টাকা মূল্যের একটি কার, দুটি মাইক্রো এবং একটি জিপ।

এছাড়া ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী এবং ১৮ লাখ ৮০ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে তার। রয়েছে ৫০ তোলা স্বর্ণ। 

স্থাবর সম্পত্তি হিসেবে হলফনামায় উল্লেখ রয়েছে, মাশরাফির নিজ নামে ৩৭ লাখ টাকা মূল্যের ৩.৬১ একর কৃষিজমি। আছে ১ কোটি ৮ লাখ টাকা মূল্যের ২ হাজার ৮০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট। এছাড়া পূর্বাচলে তার ৮ লাখ ২৪ হাজার টাকা মূল্যের একটি প্লট রয়েছে। আছে ৪৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ছয় তলা বিশিষ্ট বাড়ি। 

তবে সিটি ব্যাংকে তার ৮৯ লাখ ৭ হাজার ৭৭৫ টাকা ঋণ রয়েছে। হলফনামায় তিনি শিক্ষাগত যোগ্যতা এইচএসসি উল্লেখ করেছেন। তার নামে কোনো ফৌজদারি মামলা নেই।


আরও খবর
রবিবার হরতাল-অবরোধ দিচ্ছে না বিএনপি

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




আঘাত করেনি হামাস, মুক্তি পাওয়া ইসরাইলিরা সবাই সুস্থ

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে সম্মতিতে চার দিনের যুদ্ধবিরতি চলছে। শুক্রবার থেকে চলা যুদ্ধবিরতিতে এরই মধ্যে ২৫ ইসরাইলিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। তাদের কারও কারও দুর্বলতা বা ক্লান্তি থাকলেও সবাই সুস্থ আছে বলে জানিয়েছেন ইসরাইলের চিকিৎসকরা। বন্দিদের বিষয়ে আগেই হামাস জানিয়েছিল, তারা মেহমান। সেভাবেই তাদের রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।

টাইমস অব ইসরাইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরাইলের পেটাহ টিকভা হাসপাতালে নেওয়া হয় হামাসের কাছ থেকে মুক্তি পাওয়া ৮ জন শিশু ও নারীকে। তাদের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পেটাহ টিকভার স্নাইডার মেডিকেল সেন্টারে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর দেখা গেছে আটজনের অবস্থাই ভালো।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে তাদের পর্যবেক্ষণের জন্য চিকিৎসক ও মনোবিদরা রয়েছেন।

এদিকে ইসরাইলের আরেক স্বাস্থ্যকেন্দ্র হলন হাসপাতালে হামাসের কাছ থেকে মুক্তি পাওয়া ৫ জনের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়েছে। হাসপাতালটি জানিয়েছে, তাদের সবার অবস্থা স্থিতিশীল এবং তারা পরিবারের লোকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে।

আরও পড়ুন>> গাজায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়তে পারে: বাইডেন

এই ১৩ ইসরাইলি নাগরিক ছাড়াও ১২ থাই নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে হামাস। চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে ৫০ বন্দিকে হামাস মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে। শনিবার আরও কয়েকজনকে মুক্তি দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতির পর ৩৯ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরাইল। আলজাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইসরাইল যে ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিয়েছে তাদের মধ্যে ২৪ নারী ও ১৫ তরুণ। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেছেন, আমাদের মূল লক্ষ্য জিম্মিদের নিরাপত্তা। আমাদের অপারেশন রুমের মাধ্যমে তারা যাতে নিরাপদে সেখানে পৌঁছান তা নিশ্চিত করার দিকে আমরা মনোযোগ দেব। জিম্মিদের গাজা থেকে মুক্তির বিষয়টিতে যুক্ত থাকবে রেডক্রস ও যুদ্ধের অন্য পক্ষগুলো।

দীর্ঘ ৪৮ দিনের ভয়ঙ্কর আগ্রাসনের পর শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) গাজায় কার্যকর হয় চার দিনের যুদ্ধবিরতি। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া লাখ লাখ মানুষের মনে। তাই সাহস আর তল্পিতল্পা গুছিয়ে বাড়ির পথ ধরেছেন নিরীহ মানুষগুলো। তবে হামলায় বাসস্থানগুলো টিকে আছে কিনা তা জানা নেই তাদের।


আরও খবর



দিল্লিতে ৯০ দেশের দূতকে যা বললেন পররাষ্ট্র সচিব

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উৎসবমুখর পরিবেশে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেবে জনগণ। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বিকালে দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে ৯০ দেশের দূতকে এমনটিই জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। একই সময় পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূতদের সামনে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আগামী সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ও তুলে ধরেন। শনিবার (২৫ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বৈঠকে সচিব বলেন, গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশে নির্বাচনকে একটি উৎসব হিসেবে দেখা হয়। যেখানে বাংলাদেশের জনগণ আনন্দঘন পরিবেশে ভোট দেওয়ার মাধ্যমে পছন্দের প্রতিনিধিকে নির্বাচিত করেন। আর এভাবেই দেশের জনগণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়।

আরও পড়ুন>> সৌদি গেলেন সেনাপ্রধান

মাসুদ বিন মোমেন বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর। এ সময় এশিয়া অঞ্চল এবং এর বাইরে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে দূতদের সমর্থন কামনা করেন তিনি।

বৈঠকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, অব্যাহত স্থিতিশীলতা এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে ক্রমবর্ধমান গুরুত্ব এবং বৈশ্বিক উদ্বেগের বিষয়গুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ততার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকায় কূটনৈতিক মিশন খোলার বিষয়ে নিজ নিজ সরকারকে অনুরোধ করার জন্য রাষ্ট্রদূতদের অনুরোধ করেন পররাষ্ট্র সচিব।

সেই সঙ্গে তাদের এই প্রক্রিয়া সহজতর করতে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতা ও সহায়তার আশ্বাসও দেন তিনি।


আরও খবর
তৃতীয় দিনে ১৫৫ প্রার্থীর আপিল ইসিতে

শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩




তানজানিয়ায় ভারী বর্ষণে নিহত ৪৭

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

তানজানিয়ায় ভারী বর্ষণের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ৪৭ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া বহু মানুষ আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তানজানিয়ার উত্তরাঞ্চলের হানাং পর্বতের ঢালের কাছে ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৪৭ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ৮০ জন আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ওই অঞ্চলের বেশকিছু ঘরবাড়ি ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়তার জন্য জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করেছেন প্রেসিডেন্ট সামিয়া হাসান। 

আরও পড়ুন>> যুক্তরাষ্ট্রে একই পরিবারের ৪ জনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

বন্যাকে তানজানিয়ায় সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ বলা হয়ে থাকে। বন্যায় প্রতি বছর দেশটিতে কয়েক হাজার মানুষ ক্ষয়ক্ষতির শিকার হন।

গত মাসে তানজানিয়ায়, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের ফলে রাজধানী দারুস সালাম এবং কিগোমা, কাগেরা, গেইতা ও উনগুজা এলাকায় প্রাণহানি এবং বহু সম্পত্তি ধ্বংস হয়ে গেছে। এদিকে চলতি মাসে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে বলে সতর্ক করেছে দেশটির আবহাওয়া সংস্থা।


আরও খবর



মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ সূচকে বাংলাদেশের পাঁচ ধাপ উন্নতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থায় বাংলাদেশের পাঁচ ধাপ উন্নতি হয়েছে। ২০২৩ সালের র‌্যাংকিংয়ে আগের ৪১ অবস্থান থেকে ৪৬ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে বাংলাদেশের ৮ ধাপ উন্নতি হয়েছিল।

বর্তমানে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হাইতি। এরপরই পর্যায়ক্রমে চাঁদ ও মিয়ানমারের অবস্থান। আর সবচেয়ে কম ঝুঁকির দেশ আইসল্যান্ড যার অবস্থান ১৫২। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সুইজারল্যান্ডভিত্তিক দ্য ব্যাসেল ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স সম্প্রতি এ তালিকা প্রকাশ করেছে। বিশ্বের ১৫২টি দেশের ওপর এ র‌্যাংকিং করা হয়। এই তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে চীনের অবস্থান ২৭, পাকিস্তান ৬১ ও শ্রীলঙ্কা ৬২তম অবস্থানে রয়েছে। আর প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্র ১১৯ ও যুক্তরাজ্য ১৪০তম।

প্রতিষ্ঠানটি ১২ বছর ধরে র‌্যাংকিং তালিকা তৈরি করে আসছে। একটি দেশের পাঁচটি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে র‌্যাংকিং দেওয়া হয়। মোট ১০০ মার্কিংয়ের মধ্যে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থাপনা পরিপালনে ৬৫, ঘুষ ও দুর্নীতি আর্থিক স্বচ্ছতা ও মানদণ্ড, আইনগত ও রাজনৈতিক ঝুঁকিতে ১০ করে এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতায় ৫ নম্বর রয়েছে। 

আরও পড়ুন>> নির্বাচনে নিরাপত্তায় থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়ে ৭ লাখ সদস্য

প্রতিবেদনে বাংলাদেশের মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ সূচকে উন্নয়নের কারণ হিসেবে আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ কাঠামোর মানোন্নয়নের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে, বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক অঙ্গীকার, আন্তঃসংস্থার কাজের সমন্বয়, আর্থিক খাতে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকারের পর্যাপ্ত লোকবল ও অর্থের সংস্থান ভূমিকা রেখেছে।

উল্লেখ্য, এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানিলন্ডারিংয়ের (এপিজি) মিউচুয়াল ইভ্যালুয়েশন রিপোর্ট মোতাবেক বাংলাদেশ এফএটিএফের ৪০টি সুপারিশের বিপরীতে ৮টিতে কমপ্লায়েন্ট, ২৭টিতে লার্জলি কমপ্লায়েন্ট এবং ৫টিতে পার্শিয়ালি কমপ্লায়েন্ট রেটিং পেয়েছে। বাংলাদেশ এফএটিএফের ৪০টি সুপারিশের সবকটিই বাস্তবায়ন করেছে।


আরও খবর