কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহতের ঘটনায় বাহিনীটির অজ্ঞাতনামা সদস্যদের আসামি করে রৌমারী থানায় মামলা হয়েছে।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) নিহত যুবক মানিক মিয়ার (৩০) বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপ কুমার সরকার।
এর আগে গত শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের বেহুলারচর সীমান্তে বিএসএফ'র 'গুলিতে' বাংলাদেশি যুবক মানিক মিয়া নিহত হন। তিনি বেহুলারচর গ্রামের আব্দুল বাতেনের ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, মানিক মিয়া তার কয়েকজন সহযোগীসহ সীমান্তে গরু চোরাকারবারের জন্য গিয়েছিলেন। পরে বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এতে মানিক মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। আইনি জটিলতা এড়াতে মানিকের সহযোগী ও পরিবারের সদস্যরা লাশ নিয়ে সটকে পড়ে। পরের দিন দুপুরে পাশ্ববর্তী বন্দবের ইউনিয়নের বাঞ্চারচর গ্রামে মানিকের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিকে মামলার এজাহারের বরাতে ওসি রূপ কুমার সরকার জানান, বাদী উল্লেখ করেছেন, তাদের বাড়ির একটি গরু হারিয়েছিল। মানিক মিয়া শনিবার গভীর রাতে তাদের বাড়ি থেকে ৩০০ গজ পূর্বে সীমান্তের কাছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সেই গরু খুঁজতে গিয়েছিলেন। এসময় বিএসএফ সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করলে গুলিবিদ্ধ হয়ে মানিক নিহত হন।
ওসি বলেন, অজ্ঞাত বিএসএফ সদস্যদের আসামী করে নিহতের বাবা মামলা করেছেন। বিষয়টি তদন্ত চলছে।
এদিকে সীমান্তে গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহতের ঘটনায় সোমবার বিকালে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়েছে। এ বিষয়ে রৌমারী সীমান্তের দায়িত্বে থাকা জামালপুর বিজিবি-৩৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবদুল্লাহ আল মাশরুকী বলেন, পতাকা বৈঠকে বিএসএফ জানিয়েছে, তাদের সীমানায় সন্দেহভাজনদের অনুপ্রবেশের কারণে তারা গুলি ছুড়েছে। গুলির ঘটনায় আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছি।