আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

কুড়িগ্রামে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে অটোরিকশাচালকের মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে কয়লা বোঝাই ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক অটো চালক নিহত হয়েছে। সোমবার বিকেলে ভুরুঙ্গামারী-সোনাহাট স্থলবন্দর সড়কের ঘুন্টিঘর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম জামাল হোসেন (৩৫)। তিনি উপজেলার বঙ্গ সোনাহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ ভরতের ছড়ার ঘুন্টিঘর এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার বিকেলে ভুরুঙ্গামারী থেকে অটো রিকশা নিয়ে বাড়ি ফিরছিল জামাল হোসেন। এসময় ঘুন্টিঘর এলাকায় এসে অটোরিক্সাটি পৌঁছলে সোনাহাট স্থলবন্দর থেকে কয়লা বোঝাই একটি ট্রাক অটো রিক্সাটিকে চাপা দেয়। এতে প্রায় ২০০ গজ দূরে গিয়ে তার শরীর ছিটকে পড়ে এবং চালক জামালের হাতসহ শরীরের একাংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। ভুরুঙ্গামারী থানার ওসি (তদন্ত) আজহার আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


আরও খবর
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




কক্সবাজারের গোল দিঘির পাড়ে প্রকাশ্যে রশীদের চোলাই মদের ব্যবসা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজার শহরের গোল দিঘির পাড়স্থ রাখাইন পাড়ায় চোলাই মদের পাইকারি কারবার করে যাচ্ছে রশীদ ওরফে বার্মাইয়া রশীদ। প্রকাশ্যে এই মদের ব্যবসা চালিয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন রয়েছে চুপ। কোন প্রকার আইনি বাধা না থাকায় জমজমাট হয়ে উঠেছে রশীদের মাদক কারবার।

প্রতিদিন ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত রামু থেকে সিএনজি টেক্সি যোগে প্রকাশ্যে চোলাই মদ এসে খালাস হচ্ছে গোল দিঘির পাড়স্থ রাখাইন পাড়াগুলোতে। পাইকারি এই মদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসনের তালিকাভুক্ত বহু মামলার আসামী শহরের বৈদ্য ঘোনা এলাকার রশীদ ওরফে বার্মাইয়া রশীদ। তিনি একই এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। এই মদ কারবারে তার একাধিক সহযোগী রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৈদ্য ঘোনা এলাকায় রশীদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, হত্যা মামলা ও ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। এসব মামলা মাথায় নিয়ে গোলদিঘির পাড় এলাকায় প্রকাশ্যে চোলাই মদের পাইকারি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ অনেক বছর ধরে প্রকাশ্যে এই কারবার চালিয়ে গেলেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রশীদ।

রামু ক্যান্টেনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের পাশে টাইম বাজার এলাকার এক রাখাইন থেকে এসব চোলাই মদ সংগ্রহ করেন রশীদ। নাম প্রকাশে অনিছুক গোল দিঘির পাড় এলাকার এক মদক কারবারি বলেন, আমি তো ছোট ব্যবসা করি। দিনে হয় তো দেড় হাজার টাকা মত লাভ হয় আমার। ওই লাভ থেকেও বিভিন্নজনকে কমিশন দিতে হয়। দিন শেষে আমার কিছুই থাকে না। এখানের বড় মদ ব্যবসায়ী হল বৈদ্য ঘোনার রশীদ। পুলিশ সদস্য যারা গোল দিঘির পাড় কেন্দ্রীক রাতে ডিউটি করেন সবাই জানে রশীদের চোলাই মদের কারবার সম্পর্কে। কিন্তু কৌশলে তারাও চুপ থাকে।

এ বিষয়ে রশীদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি মদের ব্যাবসা করলে আপনার কি! আপনি আমাকে চেনেন না, আমি অনেক পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করিয়েছি। আমি সব মামলায় জামিনে আছি, এক পর্যায়ে অভিযোগের বিষয় তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র দাবী করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

কক্সবাজার শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বলেন, মাদক ব্যবসায়ী যে হোক না কেন খোঁজখবর নিয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এবিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) কায়সার হামিদ বলেন, মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকি। যারা এসব চোলাই মদ পাইকারি এনে সরবরাহ দিচ্ছে তাদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




বাপ-দাদার শেখানো পেশায় যাদের জীবন জীবিকা

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

এক সময় মাটির তৈরি হাঁড়ি-পাতিল, থালা-বাসন, ঘটি, মটকা, সরা, চারি, কাসা, কলস, ব্যাংক, প্রদীপ, পুতুল, কলকি, দেবদেবীর মূর্তি ও ঝাঝরের বিকল্প ছিল না তবে আধুনিকতার ছোঁয়ায় মানুষের রুচির পরিবর্তনে মাটির তৈরি সামগ্রীর স্থান দখল করে নিয়েছে প্লাস্টিক, মেলামাইন, স্টিল আর অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি নানা রকম আধুনিক সামগ্রী। তাই বর্তমানে বাজারে চাহিদা কম থাকায় এবং কাঁচামালের চড়ামূল্য ও পুঁজির অভাবে টিকতে না পাড়ায় সংকটে পড়েছে পাবনার ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্পীরা।

মৃৎশিল্পীরা জানান, বর্তমান মানুষের ব্যবহারিক জীবনে মৃৎশিল্পের তেমন কোন আর ভূমিকা নেই। প্রযুক্তি বিকাশের এ যুগে এই শিল্পের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সাধিত না হওয়ায় বর্তমানে এই পেশায় টিকে থাকা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে কালের আবর্তে বাপ-দাদার পেশা হারিয়ে যেতে চললেও এখনোও টিকিয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন পাবনা চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের গৌড়িপুর পালপাড়া গ্রামের মৃৎশিল্পীরা।

সরেজমিনে গৌড়িপুর পালপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, ভোরের আলো ফুটতেই মাটির হাঁড়ি পাতিল তৈরি করে রোদে শুকাতে দিচ্ছে কুমাররা, কেউ বা ব্যস্ত সময় পার করছেন বিভিন্ন সামগ্রী তৈরীতে, কেউ বা করছেন রং এভাবেই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলছে তাদের কর্মব্যস্ততা।

পালপাড়ায় গিয়ে কথা হয় মায়া রাণীর সাথে তিনি জানান, দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে মাটির তৈজসপত্র তৈরী করে আসছেন তিনি। আগে মাটির সামগ্রীর প্রচুর চাহিদা থাকলেও এখন আর তেমন কোন চাহিদা নেই, তাই শীত মৌসুমে পিঠাপুলির সামগ্রী তৈরী করেই কোনোমতে চলছে তার সংসার।

এমনিতেই ব্যবসা চলে কম তার উপরে নেই রাস্তাঘাট তাই গৌড়িপুর পালপাড়া থেকে নিমাইচড়া বাজার পর্যন্ত পাকা সড়কের দাবি জানান তিনি।

মৃৎপাত্র পোড়ানোর সময় কথা হয় দুলাল পালের সাথে কথা হইলে তিনি জানান, প্রায় ৪০ বছর ধরে বাপ-দাদার শেখানো পেশায় কাজ করছেন। আগের দিনে বাজারে মৃৎপাত্রের প্রচুর চাহিদা থাকলেও এখন অনেকটাই কম। অন্য কোন কাজ না জানায় এই পেশাই আঁকড়ে ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন তিনি।

দুলাল পাল আরও বলেন, পেশাগত প্রয়োজনে ব্যাংক ঋণ পাননা তারা। সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ পেলে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেন তিনি। স্থানীয় মৃৎশিল্পীরা মনে করেন, ঐতিহ্যবাহী এই মৃৎশিল্পকে বাঁচাতে সরকারের বহুমুখী উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করা খুবই প্রয়োজন।

কথা হয় বিকাশ পাল, সম্বল পাল, দরদী পাল ও সুবর্ণা পালের সঙ্গে, তারা এই প্রতিবেদককে জানান, এক সময়ে এই গ্রামে মৃৎশিল্পের রমরমা ব্যবসা ছিল। আগে গৌড়িপুর গ্রামে প্রায় ১১০টি ঘর মৃৎশিল্পের কাজ করতো কিন্তু বর্তমানে বেশির ভাগ পালরা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ায় এখন ১০-১৫ টি ঘরে প্রায় ৩০-৩৫ জন পাল এই কাজের সাথে জড়িত বলে জানান তারা।

তারা আরও জানান, মৃৎশিল্পের সঙ্গে জড়িতরা সরকারি কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা বা প্রণোদনা কোন দিন পেয়েছেন কি না তা তাদের জানা নেই। তারা বলেন, এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হলে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। এছাড়াও মৃৎশিল্পীদের শিল্প জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে যদি আধুনিক করে গড়ে তোলা যায় তা হলেই কেবল গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই মৃৎশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব বলে তারা মনে করেন।

কথা হয় গোপাল চন্দ্রপালের সঙ্গে তিনি বলেন, আগের দিনে মৃৎশিল্পের প্রয়োজনীয় উপকরণ যেমন এঁটেল মাটি, রঙ, যন্ত্রপাতি ও জ্বালানি ছিল সহজলভ্য। কিন্তু বর্তমানে এসব প্রয়োজনীয় উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা এখন হিমশিম খাচ্ছেন। তারা জানান, পূর্বে যেখানে বিনামূল্যে মাটি সংগ্রহ করা যেত বর্তমানে সেই মাটি ১০-১২ হাজার টাকায় কিনতে হয়। আগে খড় কিনতে তাদের কোন টাকা পয়সা লাগতো না, এখন সেই এক বুঝা খড় ৩০০ টাকায় কিনতে হয় তাদের।

গোপালচন্দ্র পাল বলেন, বর্ষা মৌসুমে তাদের হাতে তেমন কোন কাজ না থাকায় সে সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে মাটি সংগ্রহ করে থাকেন তারা। তবে অনেক সময় মাটি কিনতে আইনি জটিলতায় পড়তে হয় তাদের।

বাড়ির উঠোনে পাত্রগুলোতে রং করতে দেখা যায় উজ্জ্বল কুমার পালকে, তার সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, সাধারণত মৃৎপাত্রগুলো কুমার পরিবারের নারী-পুরুষ উভয়ে মিলেমিশে তৈরি করে থাকেন। এই তৈরিকৃত সামগ্রী বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা এসে কিনেন। অনেকে আবার বাড়ি বাড়ি ফেরি করেও বিক্রি করেন। বর্ষা মৌসুমে কাজ বন্ধ থাকায় কুমারদের অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ যায়। সে সময় কুমাররা সারা বছর কাজ করার জন্য এঁটেল মাটিসহ প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সংগ্রহে নেমে পড়েন। শুধু পাবনা নয়, গোটা দেশে এ পেশায় নেমে এসেছে চরম বিপর্যয়। এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে কারও যেন কোন মাথাব্যথাই নেই।

বাড়ির উঠোনে মাটির পাত্র তৈরি করছেন অনিতা পাল ও প্রার্থনা পাল তাদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, আগের দিনে তাদের ব্যবসা অনেক ভালো চলতো বর্তমানে মানুষ প্লাস্টিক, এ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার করায় এখন কম চলে। তারা বলেন, আগে কলসিসহ বিভিন্ন তৈজসপত্র তৈরী করলেও বর্তমানে তা ব্যবহার কম হওয়ায় এখন শুধু ঝাঁঝর, কাসা, হাঁড়ি পাতিল তৈরী করে থাকেন তারা। 

এবিষয়ে নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভিন সুলতানা মুক্তি বলেন, তারা কখনও আমার কাছে কোন দাবি নিয়ে আসেনি। আমি আমার এলাকার অনেক সড়কের কাজ করেছি, তাদের সড়কের বিষয়েও কাজ করার চেষ্টা করবো এবং আমি সবসময় তাদের পাশে থাকবো।


আরও খবর
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




চবির ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে সি ইউনিটে প্রথম বর্ষ বিবিএ (ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত সব বিভাগ) ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

আজ শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ১০টা ১৫মিনিট থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ভর্তি পরীক্ষার হল পরিদর্শন করেন।

এ সময় উপ-উপাচার্য, সি-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা কমিটি ২০২৩-২৪ এর কো-অর্ডিনেটর ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. হেলাল উদ্দিন নিজামী, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, কলেজ পরিদর্শক, শিক্ষক সমিতির নেকা, শিক্ষক, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

সি-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় উপাচার্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি পরবর্তী ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তিচ্ছু ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বিঘ্নে অংশগ্রহণ করতে পারে, সে ব্যাপারে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।


আরও খবর



ব্যাটারি চেক করার দিবস আজ

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

প্রতি বছর মার্চ মাসের দ্বিতীয় রোববার পালন করা হয় ব্যাটারি চেক করার দিবস (চেক ইয়োর ব্যাটারি ডে)। এই দিবসটি মূলত আমাদের মনে করিয়ে দেয় নিয়মিত ব্যবহৃত ডিভাইসে ব্যাটারি চেক এবং পরিবর্তন করার কথা। আপনি ভাবতেই পারেন, কেন? কেন না এটি শুধুমাত্র রিমোট কন্ট্রোল ডিভাইসের জন্য। আসলে এই দিবস পালন করা হয় নিরাপত্তার জন্যও।

এই দিনটি আমাদের স্মোক ডিটেক্টর, কার্বন মনোক্সাইড অ্যালার্ম এবং ফ্ল্যাশলাইটের মতো প্রয়োজনীয় ডিভাইসগুলোতে ব্যাটারি পরীক্ষা করতে উৎসাহিত করে। এই ব্যাটারিগুলো পরীক্ষা করে, আমরা নিশ্চিত করি যে আমাদের নিরাপত্তায় কাজে ব্যবহৃত ডিভাইসগুলো তাদের কাজ করার জন্য প্রস্তুত।

এই দিনটি একটি রুটিন চেক-আপের চেয়ে বেশি; এটি একটি জীবন রক্ষাকারী অভ্যাস। এটি ডেলাইট সেভিং টাইমের সাথেও মিলে যায়, যা মনে রাখা সহজ করে তোলে।

সুতরাং আপনি আপনার ঘড়িতে ব্যাটারি পরিবর্তন করছেন বা আপনার নিরাপত্তা অ্যালার্ম কাজ করছে কিনা তা নিশ্চিত করুন, আপনার ব্যাটারি দিবস চেক করা হল সাধারণ পদক্ষেপগুলোর একটি, যা বড় প্রভাব ফেলতে পারে। মনে রাখবেন, আজ ব্যাটারি চেক করতে কয়েক মিনিট ব্যয় করা আগামীকাল জীবন রক্ষাকারী হতে পারে।

ব্যাটারি চেক করার দিনের ইতিহাস : ব্যাটারি চেক করার দিনের ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি। কবে থেকে বা কে শুরু করেছিলেন এই দিনটি। এই দিনটি আপনার টিভির রিমোট কাজছে কি-না তার চেয়ে বেশি ফোকাস করে আপনার সুরক্ষায় ব্যবহৃত ডিভাইসগুলো ঠিকমতো কাজ করছে কিনা। যেমন- স্মোক ডিটেক্টর এবং কার্বন মনোক্সাইড অ্যালার্ম ইত্যাদি।

এই ডিভাইসগুলোর ব্যাটারিগুলো আমাদের বাড়ির নীরব অভিভাবক, ধোঁয়া বা ক্ষতিকারক গ্যাসের মতো অদেখা বিপদ সম্পর্কে আমাদের সতর্ক করে। এটি আমাদের জীবন রক্ষা করে। যদিও সঠিক উৎস রহস্যের মধ্যে আবৃত থাকে, তবে দিনটি বছরের পর বছর ধরে তাৎপর্য পেয়েছে।


আরও খবর
ক্যালেন্ডারের উপহার : ৩৬৬ দিনের ২৯ ফেব্রুয়ারি আজ

বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪




বিয়ের অনুষ্ঠানে মদপানে মামা-ভাগ্নের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মানিকগঞ্জে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে দেশি মদপানে অসুস্থ হয়ে দুই যুবক মারা যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁরা সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে। শনিবার রাতে তাঁদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।

নিহতরা হলেন- গাজীপুর জেলার ভাওয়াল কলেজ এলাকার সতীশ সরকারের ছেলে দীপু সরকার (২৯) ও হরিরামপুর উপজেলার বয়ড়া ইউনিয়নের দাসকান্দি বয়ড়া গ্রামের মৃত প্রকাশ সরকারের ছেলে প্রসেনজিৎ সরকার (২১)।

মৃত দীপু সরকারের মামাতো ভাই সঞ্জয় বৈরাগী জানান, তাঁর বোনের বিয়ে উপলক্ষে তাদের বাড়িতে গায়ে হলুদে আয়োজন ছিল। শুক্রবার মধ্যরাতে সেই আয়োজনে দেশিয় মদপান করে দীপু ও প্রসেজিৎসহ বেশ কয়েকজন যুবক। পরে শনিবার সকালের দিকে দীপু ও প্রসেজিৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন।

বিকেলে তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সন্ধ্যার দিকে প্রসেনজিৎকে কর্নেল মালেক মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়। অপরদিকে অসুস্থ দীপু সরকারকে অসুস্থ অবস্থায় হাটিপাড়া থেকে মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে অসুস্থ অন্যরা এখন সুস্থ আছেন বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার রাশেদা নাজনীন বলেন, শনিবার প্রসেনজিৎকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসা হয়। পরে তার শরীরের পালস না পাওয়ায় তাকে দ্রুত মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিল হোসেন বলেন, মারা যাওয়া প্রসেনজিৎ সরকারের ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অপরদিকে হরিরামপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজিবুর রহমান বলেন, সদরের হাটিপাড়া ইউনিয়নের জগন্নাথপুরে মদপান করে দুজন মারা গেছে। এরমধ্যে একজনের বাড়ি হরিরামপুর। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।


আরও খবর
চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪