আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

কুইক রেন্টাল-ক্যাপাসিটি চার্জ নিয়ে জানতে চায় আইএমএফ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৩ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষগুলোর কাছে রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ক্যাপাসিটি চার্জ আর কত দিন টানতে হবে, তা জানতে চেয়েছে। সংস্থাটি বিদ্যুতে ভর্তুকির বদলে বাণিজ্যিক ঋণ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

বুধবার (২ নভেম্বর) বিদ্যুৎ বিভাগ ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সঙ্গে ঢাকা সফররত আইএমএফ প্রতিনিধি দলের এক বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ ও পিডিবির পক্ষ থেকে সার্বিক বিষয়ে আইএমএফকে অবহিত করা হয়। পিডিবি বলেছে, বাণিজ্যিক ঋণের চেয়ে ভর্তুকি তাদের জন্য সুবিধাজনক।

এদিকে একইদিন আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আরেক বৈঠকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাজার সুবিধা ও রপ্তানি, তৈরি পোশাক রপ্তানি একক খাত-নির্ভরতা কমিয়ে বহুমুখীকরণ, আঞ্চলিক ও মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি, শুল্ক্কহারসহ নানা ইস্যুতে সচিবালয়ে আলোচনা হয়।

বুধবার সকালে প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ এবং বিকেলে বিদ্যুৎ ভবনে পিডিবির সঙ্গে বৈঠক করে। বিদ্যুৎ বিভাগের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান। পিডিবির বৈঠকে নেতৃত্বে ছিলেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান।

জ্বালানির দাম বাড়ার কারণে বিদ্যুতে ভর্তুকি বাড়ছে। গত অর্থবছরে (২০২১-২২) বেসরকারি কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনতে পিডিবির ভর্তুকি লেগেছে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। এই অর্থবছরে ভর্তুকি বেড়ে ৪৮ হাজার কোটি টাকা ছাড়াতে পারে বলে মনে করছে পিডিবি। এদিকে গত ১২ বছরে বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিকদের ৮৬ হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ (বিদ্যুৎ না কিনলে চুক্তি অনুসারে উদ্যোক্তাদের পরিচালন ও অন্য খরচ হিসেবে দেওয়া হয় যে অর্থ) দিতে হয়েছে সরকারকে।

সম্প্রতি আইএমএফের কাছে অর্থনৈতিক সংকট সামলাতে বাংলাদেশ সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা চেয়েছে। এই সহায়তা চাওয়ার পর আইএমএফ বিভিন্ন খাতের, বিশেষ করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে ভর্তুকি এবং বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের লোকসান কমাতে সরকারকে চাপ দিচ্ছে। এসব বিষয়ে আলোচনার জন্য সংস্থাটির এশীয় ও প্যাসিফিক বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বাধীন একটি দল ঢাকা সফর করছে। গত ২৬ অক্টোবর থেকে তারা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বিদ্যুৎ খাত নিয়ে বৈঠক বসে। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সকাল ১১টায় জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সঙ্গে আইএমএফ প্রতিনিধি দলের বৈঠক করার কথা রয়েছে।

এদিকে সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ বিভাগের বৈঠকে রেন্টাল কেন্দ্রগুলোর ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধের বিষয়ে জানতে চেয়েছে আইএমএফ প্রতিনিধি দল। এ সময় বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, সংকটকালীন স্থাপিত ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর সঙ্গে ক্যাপাসিটি চার্জ-সংক্রান্ত চুক্তি ছিল। চুক্তি অনুযায়ী তাদের ক্যাপাসিটি চার্জের টাকা দেওয়া হয়েছে। এখন এসব চুক্তি থেকে সরে আসছে সরকার। নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট ভিত্তিতে চুক্তি করা হচ্ছে। অর্থাৎ বিদ্যুৎ দিতে না পারলে তারা কোনো অর্থ পাবে না। প্রতিনিধি দলের প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র অধিকাংশেরই চুক্তি শেষ হয়েছে। কয়েকটি রয়েছে, যা আগামী দু-এক বছরের মধ্যে বন্ধ হয়ে যাবে।

আলোচনায় আইএমএফ প্রতিনিধিরা বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের বিশেষ বিধান আর কত দিন চলবে, তা জানতে চেয়েছেন। স্বচ্ছতার জন্য তাঁরা দরপত্র প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রকল্প নেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০-এর আওতায় দরপত্র ছাড়াই সমঝোতার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ দেওয়া হচ্ছে এক যুগ ধরে। দুই বছরের জন্য প্রণীত আইনটির মেয়াদ বারবার বাড়ানো হচ্ছে। এ আইনের আওতায় গৃহীত প্রকল্পের স্বচ্ছতা নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রশ্ন তুলেছেন খাত-সংশ্নিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। কারণ, এ আইনের আওতায় গৃহীত প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্নিষ্টদের দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে উপস্থিত এক কর্মকর্তা জানান, প্রতিনিধি দল পুরোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র, তেলের ব্যবহার, লোডশেডিং, নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছে। বিদ্যুৎ বিভাগ তাদের বলেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বাড়ায় ভর্তুকি বাড়ছে। এই অর্থবছরে প্রায় ৪৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকির প্রয়োজন হবে। লোডশেডিংয়ের বিষয়ে বলা হয়, এটি নির্ভর করে জ্বালানির ওপর। জ্বালানি বিভাগ থেকে পর্যাপ্ত তেল ও গ্যাস সরবরাহ করা হলে লোডশেডিং হবে না। তবে বিশ্বে তেল-গ্যাসের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় সরবরাহ কমেছে, তাই লোডশেডিং হচ্ছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির বর্তমান কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে বিদ্যুৎ বিভাগ বলেছে, ভৌগোলিক অবস্থার কারণে বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্প্র্রসারণের সম্ভাবনা কম।

বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমানের কাঝে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়ে প্রতিনিধি দল কোনো পরামর্শ দিয়েছে কিনা- জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

অন্যদিকে ভর্তুকি, ক্যাপাসিটি চার্জ, সিস্টেম লোকসানসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পিডিবির সঙ্গে আলোচনা করেছে আইএমএফ। ভর্তুকি না নিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে পিডিবিকে চলার বিষয়ে জানতে চায় প্রতিনিধি দল। পিডিবির চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান এ সময় ঋণের বিষয়ে বলেন, বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে নিলে ঋণ ও সুদ দুটিই পরিশোধ করতে হবে। তবে সরকারের কাছ থেকে ভর্তুকি নিলে তা পরিশোধ করতে হয় না, এটা সুবিধাজনক। লোকসান কমাতে বাণিজ্যিক ঋণ পিডিবির জন্য বাস্তবসম্মত নয়। ভর্তুকি বন্ধ হলে পিডিবি কী করবে- এমন প্রশ্নে কর্মকর্তারা জানান, সরকারের নীতি মেনেই কাজ করবে পিডিবি।

বাজেটে বিদ্যুতের জন্য ভর্তুকি বরাদ্দ রাখা হয়। যদিও অর্থ বিভাগ টাকা ছাড়ের সময় শর্ত দেয়, ২ শতাংশ সুদে এটি পিডিপির জন্য ঋণ সহায়তা। তবে পিডিবি এখন পর্যন্ত এই ঋণ ফেরত দেয়নি।

বৈঠকে উপস্থিত একটি সূত্র জানায়, বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্যাপাসিটি চার্জ নিয়েও আইএমএফ প্রতিনিধি দলের প্রশ্ন ছিল। তারা জানতে চেয়েছে, ২০৩০ সালের পরও ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করতে হবে কিনা? পিডিবি তাদের জানিয়েছে, এ বিষয়ে এখনই বলা সম্ভব নয়। কারণ, নতুন নতুন বেশ কিছু বেসরকারি কেন্দ্র উৎপাদনে আসছে। তাদেরও ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হবে। তবে বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

সংশ্নিষ্টরা বলছেন, ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র পূর্ণ সক্ষমতায় না চালানোয় গত দুই অর্থবছরে ৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ হিসেবে দিতে হয়েছে পিডিবিকে। আগামী বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভারতের আদানির ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট, চট্টগ্রামের এস আলম গ্রুপের ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট, রামপালের ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটসহ বেশ কয়েকটি বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র গ্রিডে যুক্ত হবে। চাহিদা না বাড়লে এসব কেন্দ্রের অনেকটিই বসে থাকবে। এতে ক্যাপাসিটি চার্জের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে সংশ্নিষ্টদের আশঙ্কা।

বৈঠকের বিষয়ে পিডিবির চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও সাড়া মেলেনি।

বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষের নেতৃত্বে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে আইএমএফ প্রতিনিধি দল।

ওই বৈঠকে আইএমএফ বলেছে, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলে বৈশ্বিক বাস্তবতায় নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। আগে থেকেই এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করা না হলে বাংলাদেশের উত্তরণ টেকসই হবে না। এর জন্য সরকারের পরিকল্পনা জানতে চেয়েছেন প্রতিনিধিরা। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে রপ্তানি সুবিধা অব্যাহত রাখতে, বিশেষ করে জিএসপি প্লাস পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ কী পদক্ষেপ নিচ্ছে- সে বিষয়েও আলোচনা করেছে আইএমএফ। বাংলাদেশ কোন কোন দেশ ও অঞ্চলের সঙ্গে কোন ধরনের চুক্তি করতে যাচ্ছে এবং তার আলোচনা ও সম্ভাব্য অগ্রগতি কতটুকু- সেটিও আইএমএফ জানতে চেয়েছে।

বৈঠকে সংস্থাটির প্রতিনিধিরা বলেছেন, বৈশ্বিক সংকটে মানুষের ভোগ ও চাহিদা দুটোই কমতে শুরু করেছে। এটা দীর্ঘায়িত হতে পারে। আইএমএফ মনে করে, একক রপ্তানি পণ্য হিসেবে তৈরি পোশাকের ওপর রপ্তানি আয়ের অতি নির্ভরতা বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে। এ অবস্থায় রপ্তানি ঝুঁকি কমাতে তৈরি পোশাকের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে পণ্যের বহুমুখীকরণে কার্যকর উদ্যোগ দরকার।

বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এলডিসি উত্তরণে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে। এ ছাড়া তৈরি পোশাকের ওপর একক নির্ভরতা কাটিয়ে রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ ও গড় ট্যারিফ নামিয়ে আনা এবং ২০২৪ সালের মধ্যে ব্যবসা করার খরচ কমিয়ে আনতে ২৯ মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত পদক্ষেপ ও কর্মপরিকল্পনাও আইএমএফকে জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।


আরও খবর



নওগাঁয় সন্ত্রাসী বাহিনীর শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফয়সাল আহম্মেদ, নওগাঁ প্রতিনিধি

Image

নওগাঁয় মোশারফ হোসেন শান্ত ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকা আদালতের সামনের সড়কে বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকাবাসীর আয়োজনে এ কর্মসূচী পালিত হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ কবিরাজ এর সভাপতিত্বে পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জামেদ আলীসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।

এসময় স্থানীয় বাসিন্দা চাঁন মোহাম্মদ চান্দু, আব্দুস ছালাম, গোলাম রব্বানী, সন্ত্রাসী হামলায় আহত ঠিকাদার সাজ্জাদ হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যসহ এলাকার প্রায় দুই শতাধিক এলাকাবাসী ঝাঁড়ু হাতে উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন- গত ১৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯ টায় শহরের বালুডাঙ্গা বাসস্টান্ড এলাকায় দেশীয় অস্ত্র রামদা, চাপাতি ও হাসুয়াসহ বিভিন্ন অস্ত্র সজ্জিত হয়ে মোশারফ হোসেন শান্ত ১০-১২ জনকে সঙ্গে নিয়ে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ এর ঠিকাদার সাজ্জাদ হোসেন এর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় সাজ্জাদকে কুপিয়ে জখম করে মোশারফ হোসেন শান্ত সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীরা। পরে থানায় মামলা হলে মোশারফ হোসেন শান্তসহ তিনজনকে আটক করে আদালতে পাঠায় থানা পুলিশ। ব্যবসায়ীরা ভয়ে ঠিকমতো ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছে না। মোশারফ হোসেন শান্তর অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ট। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এলাকাবাসী।


আরও খবর



ইসরায়েল থেকে সরাসরি ঢাকায় ফ্লাইট, যা বলল বেবিচক

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সম্প্রতি ইসরায়েল থেকে দুটি ফ্লাইট সরাসরি ঢাকায় অবতরণ করার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। আজ শনিবার বেবিচকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ সোহেল কামরুজ্জামানের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ব্যাখ্যা দেয় কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েল থেকে বিমান এলো ঢাকায় শিরোনামে বিভিন্ন পত্রপত্রিকার অনলাইন সংস্করণে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে গত ৭ এপ্রিল একটি বিমান তেল আবিব থেকে উড্ডয়ন করে সন্ধ্যা ৭টা ২২ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করে ও কার্গো নিয়ে রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা থেকে উড্ডয়ন করে এবং অপরটি গত ১১ এপ্রিল রাতে ঢাকায় অবতরণ ও মধ্যরাত সাড়ে ১২টায় কার্গো নিয়ে ঢাকা থেকে উড্ডয়ন করে। দুটি বিমানই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিবন্ধিত এবং ওই দেশের বিমান সংস্থা ন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‌বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিমান চলাচল চুক্তি রয়েছে। বিমান চলাচল চুক্তি অনুযায়ী কার্গো ফ্লাইট দুটি ঢাকা এসেছিল। ঢাকা থেকে তৈরি পোশাক নিয়ে ফ্লাইট দুটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ এবং ইউরোপের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। বাংলাদেশ ও ইসরায়েলের মধ্যে কোনো বিমান চলাচল চুক্তি নেই এবং ইসরায়েলের কোনো বিমান বাংলাদেশে অবতরণের ঘটনা ঘটেনি।

ইসরায়েল থেকে বিমান এলো ঢাকায়-শিরোনামে বিভিন্ন অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ভিন্নভাবে প্রকাশের ফলে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া, এ ধরনের বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশনা অনাকাঙ্ক্ষিত ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত হিসাবে বিবেচ্য। এ ধরনের সংবাদ পরিবেশনা থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হলো।


আরও খবর



বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্বের অন্যতম দূষিত বাতাসের শহর রাজধানী ঢাকা। কয়েক দিনের তীব্র গরম আর শুষ্ক আবহাওয়ায় ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে।

শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৮৯ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে মেগাসিটি ঢাকা, যা অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।

এ ছাড়া বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৮৫ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু, ১৭১ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর, ১৬৩ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন শহর এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা পাকিস্তানের লাহোর শহরের স্কোর ১৬১।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর



জামালপু‌রের সরিষাবাড়ীতে ১৩ গ্রামে ঈদ উদযাপন

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জামালপুর প্রতিনিধি

Image

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ১৩ গ্রামের মানুষ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। ব্যাপক উৎসাহ এবং উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঈদের নামাজ পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও অংশগ্রহণ করেন। বুধবার (১০ এপ্রিল) সকালে পৌরসভার বলার দিয়ার মাস্টার বাড়ী জামে মসজিদ মাঠে এ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

জানা গেছে, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে বুধবার (১০ এপ্রিল,) সকাল ৮টায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। বলার দিয়ার জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আজিম উদ্দিন মাস্টার ঈদুল ফিতরের নামাজে ইমাম হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

এছাড়াও উপজেলার বলারদিয়ার, মুলবাড়ী, সাতপোয়া, সাঞ্চারপাড়, পঞ্চপীর, পাখাডুবি, বনগ্রাম, বালিয়া, বাউসী,  হোসনাবাদ, পাটাবুগা, পুটিয়ারপাড়, ও বগারপাড় গ্রামের প্রায় তিন শতাধিক মানুষ এ নামাজে অংশগ্রহণ করেন।  নারীদের জামাতে নামাজ আদায় করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়। 

এ ব্যাপারে বলার দিয়ার জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আজিম উদ্দিন মাস্টার বলেন, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে রমজানের রোজা শুরু হয়। তাই তাদের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতরের নামাজ ও ঈদ আনন্দ উদযাপন করে থাকি আমরা।

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ উপজেলায় একদিন আগে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।  তারই ধারাবাহিকতায় আজ বুধবার সকালেও সুষ্ঠু এবং সুশৃঙ্খলভাবে এ উপজেলায় দুইটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।


আরও খবর



ভারতীয় তিন কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কে জড়িত থাকায় তিনটি ভারতীয় কোম্পানিসহ এক ডজনেরও বেশি সংস্থা, ব্যক্তি এবং জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ইরানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে অবৈধ বাণিজ্য থাকা এবং ড্রোন সরবরাহের কারণে ওই তিনটি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া ইরানের কাছ থেকে যেসব ড্রোন পেয়েছে তা গোপনে বিক্রিতে সহায়তা করেছে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া কোম্পানিগুলো। ইরানের এ বাণিজ্যিক কাজকে সামনে থেকে সমর্থন দিয়েছে ইরানি কোম্পানি সাহারা থান্ডার। এর সঙ্গে জড়িত থাকায় তিনটি ভারতীয় কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।

এ কোম্পানিগুলো হলো জেন শিপিং, পোর্ট ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এবং সি আর্ট শিপ ম্যানেজমেন্ট (ওপিসি) প্রাইভেট লিমিটেড। সাহারা থান্ডার ইরানি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং আর্মড ফোর্সেস লজিস্টিকসের পক্ষ থেকে চীন, রাশিয়াসহ একাধিক দেশে ইরানি পণ্য বিক্রয় এবং চালান করে থাকে।

চলতি মাসের শুরুতে সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। ওই হামলার জবাবে গত ১৩ এপ্রিল রাতে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে তিনশত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। এরপর ইরানের ওপর প্রথম দফায় নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ড্রোন প্রযুক্তি ও উৎপাদন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও কোম্পানিকে লক্ষ্য করে ১৯ এপ্রিল এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়।

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৩ এপ্রিল ইসরাইলে হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে, ইরানের এমন ইউএভি বা ড্রোন উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১৬ ব্যক্তি ও দুটি সংস্থাকে লক্ষ্য করে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।


আরও খবর