আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

কুমিল্লা আ.লীগ নেতা হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রবিউল বাশার খান, কুমিল্লা

Image

কুমিল্লা শহরতলীর আলেখাচরে আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক হত্যা মামলায় বিএনপি ও যুবদলের দুই নেতার জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তারা হলেন মামলার এজহার নামীয় ৯ নম্বর আসামী কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এয়ার আহমেদ ও ৬ নম্বর আসামী কুমিল্লা (দ:) জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান পাভেল।

এ দুই আসামী উচ্চ আদালত থেকে নেওয়া ৬ সপ্তাহের জামিন শেষে সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে কুমিল্লার আদালতের বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো: হেলাল উদ্দিন এর আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। 

কুমিল্লায় চাঞ্চল্যকর এনামুল হক হত্যা মামলায় ১০ এজহার নামীয় আসামীর মধ্যে দুই কিলার আমানুল্লাহ ও সাঈদ সহ এ পর্যন্ত ৫ আসামী কারাগারে গেলেন। জামিনে রয়েছেন এক আসামী।  অপরদিকে প্রধান আসামী খুনের মুল পরিকল্পনাকারী জামায়াত নেতা কাজী জহিরুল ইসলাম কে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

জানা যায়, গত ১৯ মে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার আলেখাচর এলাকায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক (৩৫) স্থানীয় মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে শিশু সন্তানকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষের হামলা ও ছুরিকাঘাতে খুন হন। ওই দিন রোজা মুখে ছিলেন এনামুল। দিনদুপুরে ৫ বছরের শিশু পুত্রের সামনে এনামুলকে প্রকাশ্য কুপিয়ে খুন হওয়ার ঘটনা জেলাজুড়ে চাঞ্চল্যসৃষ্টি হয়।

স্থানীয় জামায়াত কর্মী কাজী জহিরুল ইসলামের মাদক সেবন ও জুয়া খেলার ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার কারণে ক্ষুব্দতা ও আলেখাচর দক্ষিণ পাড়া জমিরিয়া তালিমুল কোরআন মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির দখল নিয়ে বিরোধ ও ইউপি নির্বাচন নিয়ে দ্বন্ধের জের ধরে আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হককে হত্যা করা হয় বলে জানান স্থানীয়রা।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পরদির (২০ মে) কাজী জহিরুল ইসলামকে প্রধান আসামী করে ১০ জন নামীয় সহ ৫-৬ জন অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন নিহতের পিতা আবদুল অদুদ। এ মামলায় গত জুন মাসে  এজহার নামীয় ৬ আসামী উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন। প্রধান আসামী কাজী জহিরুল ইসলাম ও তার দুই ভাই কাজী এনামুল হক ও কাজী নাজমুল হকের উচ্চ আদালত থেকে নেওয়া জামিনের মেয়াদ গত ১৭ জুলাই শেষ হলেও তারা নিন্ম আদালতে এখনো ( ২৪ জুলাই এ রির্পোট লিখা পর্যন্ত) আত্মসমর্পন করেননি।

এদিকে খুনের ঘটনার ৭২ ঘন্টার মধ্যেই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম পরিকল্পনাকারী কাজী নিজামউদ্দিন সহ ৪ আসামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদের মধ্যে গ্রেফতারকৃত আসামী আমানউল্লাহ ও আবু সাঈদ খুনের সাথে জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে গত ২১ মে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দিতে তারা এজহারনামীয় আসামী ছাড়াও খুনের সাথে জড়িত আরও ৪ জনের নাম উল্লেখ করেছেন। তারা হলেন একই গ্রামের মনির হোসেন, আলম ও জাকির হোসেন (সৈনিক) ও বাতেন। এদের মধ্যে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন মনির হোসেন।

অপরদিকে, ঘটনার দিন রাতেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া আসামী কাজী নিজামউদ্দিন গত  জুন মাসে উচ্চ আদালত থেকে ৬ মাসের জামিনে বেরিয়ে আসেন। নিজামউদ্দিন আলেখাচর দারুসুন্নাৎ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার পদে রয়েছেন। বাদী পক্ষের অভিযোগ নিজামউদ্দিন জামিনে এসে বাদীর পরিবারের সদস্যদের মামলা তুলে নিতে প্রকাশ্য হুমকী দিচ্ছেন। গত ১৬ জুন নিহত এনামুলের ছোট বোন নুরুন্নাহার ও নুরজাহানকে হত্যার হুমকীর অভিযোগে নিজামউদ্দিনের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এছাড়া মামলার বাদীর পক্ষে কাজ করায় নিহত এনামুলের সহপাঠি আলমগীরকেও হুমকী দমকির অভিযোগে কাজী নিজামউদ্দিন, তার ভাই ও ছেলে সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গত ২৭ জুন কোতয়ালী মডেল থানায় সাধারণ ডাইরী করা হয়েছে। 

মামলার বাদী নিহত এনামুলের পিতা আবদুল ওয়াদুদ বলেন, খুনিরা প্রভাবশালী, প্রধান আসামী ও তার ভাইরা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাহিরে। খুনের অন্যতম পরিকল্পনাকারী কাজী নিজামুদ্দিন উচ্চ আদালত থেকে ৬ মাসের জামিনে এসে আমার পরিবারের লোকজনকে নানাভাবে হুমকী দিচ্ছে। তারা আবারও যেকোন অঘটন ঘটাতে পারে। এনামুলের অল্প বয়সে বিধাব হওয়া স্ত্রী, দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে আতংকে রয়েছি।

মামললার তদন্তকারী কর্মকর্তা ক্যান্টমমেন্ট পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আমিরুল ইসলাম জানান, প্রধান আসামী কাজী জহিরুল ইসলাম সহ পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে আমরা তৎপর রয়েছি। মামলাটি অধিক গুরুত্বসহ তদন্ত করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

উল্লেখ্য, এনামুল হত্যা মামলার নামীয় ১০ আসামীরা হচ্ছেন আলেখাচর গ্রামের মৃত কাজী আবদুল খালেকের পুত্র জামায়াত নেতা কাজী জহিরুল ইসলাম জহির (৪০), কাজী এনামুল হক (৩৮), কাজী নাজমুল হক (৪২), কাজী আমিনুল ইসলামের পুত্র কাজী আমান উল্লাহ (২৭) , জাকির হোসেনের পুত্র আবু সাঈদ (২৩), আবদুল মালেক সর্দারের পুত্র আতিকুর রহমান পাভেল (৪৫),মৃত  আবদুল মোতালেব এর পুত্র কাজী নিজাম উদ্দিন, জয়নাল আবেদিনের পুত্র বিল্লাল হোসেন (৩৫),মৃত কেরামত আলীর পুত্র ইয়ার আহম্মেদ (৪৮), মৃত তোয়াচ্ছিন এর পুত্র জাকির হোসেন (৪৫)। এছাড়া ৫-৬ জন ব্যক্তিকেও আসামী করা হয়েছে। 


আরও খবর



প্রাইভেট হাসপাতালের রোগ নির্ণয় পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করা হবে

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন করে দেশের সকল প্রাইভেট হাসপাতালের রোগ নির্ণয় পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে গাজীপুরের কাশিমপুরে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এসময় মন্ত্রী আরও বলেন, গাজীপুরে শেখ ফজিলাতুন্নেসা  মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালকে কিভাবে আরো সচল করা যায়, মানুষজন কিভাবে সহজে সেবা নিতে পারে সে বিষয়ে আমরা কাজ করবো। গ্রামীণ স্বাস্থ্য সেবা উন্নয়নে সরকার কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হোসেন পাপন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখমুজিব মেডিকেল কলেজের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মাদ নুরুল হক, জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম, জেলা সিভিল সার্জন মাহমুদা আক্তার।

এর আগে হাসপাতালের নারী ও পুরুষ ওর্য়াড পরিদর্শন করে চিকিৎসাধীন রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।


আরও খবর



ফিলিস্তিনের পক্ষে থাকার ঘোষণা এরদোয়ানের

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনিদের পক্ষে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। আজ বুধবার নিজ দল একে পার্টির (জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) সংসদীয় দলের সভায় তিনি বলেন, আমাকে একঘরে করে রাখলেও আমি ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকব। তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

গত বছরের ৭ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন এক হাজার ৪০০ জন। এরপরেই বছরের পর বছর ধরে গাজায় চলা সামরিক পদক্ষেপ জোরালো করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে প্রাণ হারিয়েছে ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, আহত ৭২ হাজারেরও বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক। এমন অবস্থায় বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশিরভাগ পশ্চিমা দেশ ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এমন অবস্থায় এরদোয়ান বলেছেন, যতক্ষণ আমার শরীরে প্রাণ আছে আমি ফিলিস্তিনিদের পক্ষে থাকবো। তাদের সংগ্রামের সঙ্গে থাকবো।

হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মানতেও নারাজ এরদোয়ান। হামাস যোদ্ধাদের দেশপ্রেমিক বলে আখ্যা দেন তিনি। তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা একমাত্র সাহসী জাতি যারা হামাসকে স্বাধীনতাকামী সংগঠন মনে করি।

এরদোয়ান বলেন, যখন কেউ কথা বলেনি, আমরা বলেছি। জাতিসংঘে আমরা দাঁড়িয়ে বলেছি হামাস সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নয়।


আরও খবর



সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিষয়ে অনুসন্ধান করবে দুদক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠায় দুর্নীতি অনুসন্ধান করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ঘটনায় কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এর আগে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে অবসরে যান। অবসর গ্রহণের পর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে, যা তার আয়ের তুলনায় অসম।

গত ৩১ মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠে ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শকের স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন।

বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার আয়ের তুলনায় প্রতিবেদনে উল্লিখিত সম্পত্তিগুলো অধিগ্রহণ করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে চিঠিতে জানান ব্যারিস্টার সুমন। এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী, বড় মেয়ে এবং ছোট মেয়ের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ সংগ্রহের জন্য তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দুদককে অনুরোধ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি দৈনিক কালের কণ্ঠে ঢাকায় বেনজীরের জন্ম আলাদীনের চেরাগ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র‌্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকেই বেশ আলোচনায় পুলিশের সাবেক এই আইজিপি।

জাতীয় ওই দৈনিক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে বেনজীর আহমেদের নানা অর্থ-সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হয়। বেনজীরের বিপুল সম্পদের মধ্যে রয়েছে, গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নে সাভানা ইকো রিসোর্ট নামের এক অভিজাত ও দৃষ্টিনন্দন পর্যটনকেন্দ্র। এছাড়াও তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ছয়টি কোম্পানির খোঁজ পাওয়া গেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগের পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার পাশে বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার। পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি। অথচ, গত ৩৪ বছর সাত মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদের বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় এক কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।


আরও খবর



আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম বাংলাদেশের আবু রায়হান

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সেনেগালের রাজধানী ডাকারে অনুষ্ঠিত ১১ তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে আবু রায়হান পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ১০ মিলিয়ন ফ্রান্ক বা ১৬ হাজার ৬০০ শত মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৯ লাখ টাকা।

এই কেরাত প্রতিযোগিতায় ৩০টি দেশকে পেছনে ফেলে প্রথম হয়েছেন তিনি।

রবিবার (৭ এপ্রিল) স্থানীয় সময় রাত ১০টায় চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়।

গত ২ এপ্রিল প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে সেনেগালের উদ্দেশে রওনা দেন হাফেজ আবু রায়হান। তিনি আর রায়হান ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসার একজন শিক্ষার্থী।

গত ডিসেম্বরে লালবাগ শাহী মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের বাছাইপর্ব। সেখানে আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সংস্থা বাংলাদেশ নির্বাচিত করে রায়হানকে। মূল প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করে যথাক্রমে মিসর ও সেনেগালের প্রতিযোগী।

২০১৮ সালে কাতারে অনুষ্ঠিত টেলিভিশনভিত্তিক রিয়েলিটি শো তিজানুন নূর তথা জিম টিভিতে আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায়ও প্রথম স্থান অর্জন করার গৌরব অর্জন করেছিলেন রায়হান।

আবু রায়হানের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে। তার কোরআন পড়ার সূচনা হয় মুফতি আবদুল কাইয়ুম প্রতিষ্ঠিত বল্লভদী আল ইসরাহ একাডেমি মাদরাসায়। তিনি মুফতি আব্দুল কাইয়ুম মোল্লার ছাত্র।


আরও খবর



প্রেমের নামে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:

টার্গেট করা হয় প্রাবস ফেরত ও টাকাওয়ালা ব্যক্তিদের। পরে তাদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে মেয়ে দিয়ে প্রেমের ফাঁদ পেতে নিয়ে আসা হয় ডেটিংয়ের জন্য। আগে থেকেই তৈরি থাকে চক্রের সদস্যরা। তারা ওই ব্যক্তিদের আটকে রেখে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে মারপিটসহ জোরপূর্বক নকল বিয়ে দেন কাজী ডেকে। দেনমোহর ধার্য করেন ৫ থেকে ১০ লাখ টাকার। পরে ডিভোর্সের নামে সেই দেন মোহরের টাকা হাতিয়ে নেন। এমনই প্রতারক চক্রের সন্ধান মিলেছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নে।

গত ২১ শে মার্চ এই চক্রের সদস্যদের হাতে প্রতারণার শিকার হয়েছেন ঘাটাইল উপজেলার রহমতখার বাইদ গ্রামের দুলাল মন্ডলের ছেলে নাজমুল ইসলাম নামে এক প্রবাস ফেরত যুবক। এ ঘটনায় তিনি বিচার চেয়ে টাঙ্গাইল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

আসামীরা হলেন- মোঃ জাহিদুল হাসান জাহিদ, সৌরভ তালুকদার, হুমায়ুন সিকদার রানা, বাবুল হোসেন, মোঃ জুয়েল, রিজান, সুজন, রায়হান, কাজী মোঃ তাহেরুল ইসলাম তাহের, রাশেদা বেগমকে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ৫ মাস আগে দেশে আসে নাজমুল ইসলাম। গত ২১ মার্চ চাম্বলতলা গ্রামের আবু তালুকদারের বাড়িতে তার ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে যান। সেখানে খাওয়া-দাওয়া শেষে রাত ৯ টার দিকে জাহিদ সৌরভ তালুকদার মাধ্যমে নাজমুলকে ডেকে নাজিম উদ্দিনের বাড়ির উত্তর পার্শ্বে গজারী বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তারা। চাঁদা না দিলে নাজিম উদ্দিনের নাবালিকা কন্যা সুমাইয়ার সাথে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়ার কথা বলে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে ব্যাপক মারধর করে। পরে তারা কয়েকটি কার্টিজ পেপারে খুন করার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয় এবং নাবালিকা সুমাইয়াকে কাবিন ছাড়া বিবাহের নামে নাজিম উদ্দিনের নাবালিকা কন্যা সুমাইয়াকে নাজমুলের বাড়িতে জোরপূর্বক তুলে দেয়। সত্য ঘটনা প্রকাশ করিলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। পরে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানান নাজমুল।

সুমাইয়া জানায়, সে নাজমুলকে চিনতেন না। জাহিদুল তার দুঃসম্পর্কের মামা হয়। জাহিদুলের কথায় সে এমনটি করেছে। প্রথমে না করতে চাইলে আমাকে মারধর করত।

স্থানীয়রা জানান, এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে এমন প্রতারণার মাধ্যমে লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তারা নারীদের ব্যবহার করছে। আর স্থানীয় কাজীকে তারা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।

কাজী তাহেরুল ইসলাম তাহের জানান, এ ধরনের বিয়ে তিনি পড়াননি। তবে তাকে ডেকে নেয়া হয়েছিল।

এ বিষয়ে ঘাটাইল থানার ওসি আব্দুস ছালাম মিয়া বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর