বিপিএলে কুমিল্লা
ভিক্টোরিয়ান্সকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। এ নিয়ে টানা তৃতীয় জয় তুলে
নিল মাশরাফির সিলেট।
সোমবার মিরপুর
শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে কুমিল্লার দেয়া ১৫০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট ও
১৪ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সিলেট।
টানা জয়ে একদিকে
যেমন শীর্ষে উঠে গেছে সিলেট, অন্যদিকে দুই ম্যাচ হেরে এখন তলানিতে কুমিল্লা।
এতে ভালো দল গড়েও
গতবারের চ্যাম্পিয়নরা প্রথম দুই ম্যাচেই হেরেছে বড় ব্যবধানে।
১৫০ রানের লক্ষ্যে
ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১২ রানে মোহাম্মদ হ্যারিসের উইকেট হারায় সিলেট। তবে তাতে রানের
গতি কমেনি। তৌহিদ হৃদয়ের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১০ ওভারেই ৮৫ রান করে ফেলে সিলেট। ১০
বলে ২০ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে মোহাম্মদ নবির বলে ফেরেন জাকির হোসেন। তবে ধরে খেলেছেন
হৃদয়। আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও তুলে নিয়েছেন অর্ধশতক।
৩৭ বলে ৫৬ রানের
ইনিংস খেলে হৃদয় যখন ফিরলেন, তখন জয় থেকে মাত্র ২২ রান দূরে সিলেট। আকবর আলীকে নিয়ে
মুশফিকুর রহিম সহজেই উতরে গেলেন সে লক্ষ্য।
এর আগে ব্যাটিংয়ে
নেমে ১৪৯ রান করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়াস। তাতে জাকের আলীর কৃতিত্বই সবচেয়ে বেশি। তার
অবদান ৪৩ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৫৭ রান।
থিসারা পেরেরার
করা প্রথম ওভারের প্রথম বলে চার মেরে দারুণ শুরুর আভাস দিয়েছিলেন কুমিল্লার ওপেনার
লিটন দাস। বাউন্ডারি ছাড়া করেন তৃতীয় বলেও। কিন্তু সম্ভাবনাময় ইনিংসটিকে অকাল পরিসমাপ্তি
দেন ডানহাতি এই ওপেনার। ওভারের চতুর্থ বলেই থার্ড ম্যান অঞ্চলে থাকা মোহাম্মদ হারিসের
হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। কিন্তু ব্যক্তিগত ৮ রানে সেই প্রথম ওভারেই ফিরতে হলো তাকে।
লিটন যেখানে শেষ
করলেন সেখানেই যেন শুরুর সৈকত আলীর। মোহাম্মদ আমিরকে চার মেরে রানের খাতা খুলেন তিনি।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে প্রথম বল করতে এসে তার কাছে টানা তিন চার খেয়েছেন মাশরাফি বিন
মর্তুজা। সেই ওভারে ১৫ রান দেন সিলেট অধিনায়ক।
তবে লিটনের মতো
সৈকতও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১২ বলে ২০ রান করে পাকিস্তানি স্পিনার ইমাদ ওয়াসিমের
বলে বোল্ড হন তিনি। পরের ওভারে অধিনায়ক ইমরুল কায়েস (২ রান) মোহাম্মদ আমিরের শিকার হয়ে ফিরলে পাওয়ার প্লের ভেতরই তিন
উইকেট হারিয়ে ফেলে কুমিল্লা। স্কোরবোর্ডে তখন সংগ্রহ কেবল ৪৬ রান।
এমন চাপের মুখেই
ব্যাটিংয়ে নামেন জাকের আলী। জুটি বাঁধেন একপ্রান্ত আগলে রাখা ওপেনার দাভিদ মালানের
সঙ্গে। তবে তাদের এই জুটি ম্যাচে খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি। কেননা চতুর্থ উইকেটে
৫৩ রান তুলতে ৪৯ বল খরচ করেন তারা। যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বেমানান। ৩৯ বলে ৩৭ রান
করে ফিরলে হাতখুলে খেলতে থাকেন জাকের। রেজাউর রহমান রাজার এক ওভারে তোলেন ১৫ রান। যদিও
শেষ দিকে খুব আতঙ্ক বিরাজ করতে পারেনি তার ব্যাট। এর মাঝেই হতাশ করে ফিরে যান মোসাদ্দেক
হোসেন ও মোহাম্মদ নবী। মাশরাফির করা শেষ ওভারের
পঞ্চম বলে আবু হায়দার রনি ছয় হাঁকানোয় সিলেটকে ১৫০ রানের লক্ষ্য দিতে পারে কুমিল্লা।
সিলেটের হয়ে দুটি
করে উইকেট নেন পেরেরা ও আমির। একটি করে শিকার করেন মাশরাফি ও ইমাদ।