কুমিল্লা বরুড়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে শহীদ উল্ল্যাহ নামে এক ফার্নিচার ব্যবসায়ীকে হত্যার দায়ে চারজনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় ১১ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন- মো. ইউসুফ, বনি আমিন, সোলায়মান ও আবদুল হক। অন্যদিকে রজ্জবি বিবি নামে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) নুরুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে ২১ মে দুপুরে শহিদুল্লাহ তাঁর জমিতে ধানের চারা রোপণ করতে যান। তখন শহিদুল্লার সঙ্গে আসামিদের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে রাতের বেলা শহিদুল্লাহকে তাঁর দোকান থেকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে জখম করেন আসামিরা। ওই সময় স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান শহিদুল্লাহ।
এপিপি নুরুল ইসলাম জানান, ওই ঘটনায় ২২ মে নিহতের ভাই আমানুল্লাহ বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ ১৫ জনের নামে চার্জশিট প্রদান করে। ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে দীর্ঘ ২৬ বছর পর আজ সোমবার মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। বিচারক চারজনের ফাঁসি এবং একজনকে যাবজ্জীবনের নির্দেশ দিয়েছেন।
এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের সঙ্গে ছিলেন নিহত শহিদুল্লাহর ছেলে অ্যাডভোকেট আবু নাসের। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার বাবাকে যখন মেরে ফেলা হয়, তখন আমি পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। আমার মা আমাকে ছোট বেলা থেকে একটাই শিক্ষা দিয়েছে যেন আমি বড় হয়ে আইনজীবী হই এবং আমার বাবা হত্যায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে পারি। আমি অনেক চড়াই উতরাই পাড় করে একজন আইনজীবী হতে পেরেছি। আমার বাবার হত্যাকারীদের বিচার করতে আমি ২৬ বছর লড়াই করেছি। আমি আদালতের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া। আমি এই রায়ে খুশি।’