কুড়িগ্রামে করোনা
ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পৌরসভার তিনটি এলাকায় লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
মঙ্গলবার সকাল থেকে এ লকডাউন শুরু হয়েছে। এর আগে সোমবার বিকালে জেলা করোনা সংক্রান্ত কমিটির ভার্চুয়াল মিটিংয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান এবং জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলা প্রশাসক
মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, জেলায় করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আমরা ম্যাপিংয়ের কাজ করেছি।
জেলার কোনো অঞ্চলগুলোতে সংক্রমণের মাত্রা বেশি সেটি নির্ণয় করে আমরা আপাতত পৌর এলাকার
২, ৩ ও ৭নং ওয়ার্ডে জনসমাগম ও মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ এরিয়ায়
সংক্রমণ বেশি। এ এলাকায় আমরা কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছি।
মঙ্গলবার বিকাল
৫টা থেকে পরবর্তী সাত দিন এ বিধিনিষেধ চলবে।
তিনি বলেন, আমরা
আপাতত আগামী সাত দিন পর্যবেক্ষণ করব। এ পদ্ধতির একটা প্রভাব পড়তে পারে। যদি এতে পরিস্থিতির
উন্নতি না হয়, তা হলে পরবর্তী সময় কঠোর বা সর্বাত্মক লকডাউনে যাব।
জেলা প্রশাসক
বলেন, শহরের হাসপাতালপাড়া এলাকায় ওষুধ ও খাবারের দোকান ছাড়া অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ
রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া জিয়াবাজার
ও পৌরবাজার এলাকায় মোটরসাইকেল কিংবা অটোরিকশা ও রিকশা চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে।
যাতে মানুষের সমাবেশ বা সমাগমটা কম হয়।
কয়েকটি পয়েন্ট
নির্ধারণ করা হয়েছে। ওই পয়েন্টগুলোতে মোবাইল কোর্ট বসানো হবে। ছোট ছোট পরিবহনে যাত্রী
পরিবহন নিয়ন্ত্রণ করা হবে, যাতে তারা অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে পৌর এলাকায় প্রবেশ করতে
না পারে।
জেলা স্বাস্থ্য
বিভাগ জানায়, সোমবার জেলায় ২৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে,
যার মধ্যে ১৩ জনই সদর উপজেলার বাসিন্দা।