উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে
ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়তে থাকায় উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী ও চর রাজিবপুরে বন্যা পরিস্থিতির
অবনতি হয়েছে। অপর দিকে আবারো ধরলায় পানি বাড়তে শুরু করেছে।
এতে ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র
অববাহিকায় প্রায় ৮০ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।
বাড়ি-ঘরে পানি
ওঠায় বন্যার্ত মানুষজন পরিবার-পরিজন নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ নিরাপদ স্থানে বা
আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। চারদিকে পানি ওঠায় দেখা দিয়েছে খাদ্য ও বিশুদ্ধ
পানির সংকট।
বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে
বয়স্ক ও নারীদের জন্য শৌচাগার সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। তৃণভূমি তলিয়ে যাওয়ায়
গবাদিপশুর তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন নৌকায়।
শুক্রবার (০৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৪৯ সেন্টিমিটার এবং ধরলা নদীর পানি ব্রিজ পয়েন্টে ৪১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলায় পানি বেড়েছে ৩০ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রে কমেছে ২ সেন্টিমিটার।
কুড়িগ্রামের উলিপুর
উপজেলার ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার হাতিয়া ইউনিয়নে বাঁধে আশ্রিতরা জানান, বাড়ি-ঘরে পানি
ওঠায় শতাধিক পরিবার বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। পানি বাড়তে থাকায় আরও অনেক পরিবার আসছে বাঁধে
আশ্রয় নিতে। পরিবারগুলোর জন্য বিশুদ্ধ পানি ও ল্যাট্রিন সমস্যা দেখা দিয়েছে।
উলিপুর উপজেলার
হাতিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিএম আবুল হোসেন জানান, উজান ঢলে ব্রহ্মপুত্রে
পানি বাড়ায় তার ইউনিয়নে আড়াই থেকে তিন হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়েছে। বন্যা কবলিতদের
জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে ৬ মে.টন চাল বরাদ্দ পেয়েছি। যা বিতরণ করা হচ্ছে।
উলিপুর উপজেলা
পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন মন্টু জানান, উলিপুরে ৮টি ইউনিয়নে প্রায়
৩০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়েছে। বিশুদ্ধ পানি ও শৌচাগারের ব্যবস্থা করার কাজ চলছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মঞ্জুরুল হক জানান, বন্যার ফলে জেলায় প্রায় ২৮ হাজার হেক্টর রোপা আমন ক্ষেত, শাকসবজি ও বীজতলা তলিয়ে গেছে।