আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
ইসরায়েলি সেনারা এবার রাফায় অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে: নেতানিয়াহু বায়ুদূষণে শীর্ষে চিয়াং মাই, ১৮০ স্কোর নিয়ে ঢাকা তৃতীয় মুক্তিপণে সন্তুষ্ট জলদস্যুরা, কততে নির্ধারিত হল জিম্মি জাহাজ ও ২৩ নাবিকের জীবন? সেতু থেকে খাদে পড়ে ৪৫ বাসযাত্রীর মৃত্যু, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু ‘নির্বাচনে খরচ ১ কোটি ২৬ লাখ, যেভাবেই হোক তুলবো’ সপ্তাহের ব্যবধানে ৫৩ কোটি ডলার রিজার্ভ কমল চট্টগ্রামে আর্টিকেল ১৯ এর দিনব্যপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত চার বছরে মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী কমেছে ১০ লাখ কংগ্রেস থেকে শিবসেনায় যোগ দিলেন গোবিন্দ পরিবেশ দূষণে বছরে অকাল মৃত্যু হচ্ছে পৌনে ৩ লাখ বাংলাদেশির

কুড়িগ্রামে পাসপোর্ট করাতে গিয়ে দুই রোহিঙ্গা তরুণী আটক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৯ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মাসুদ রানা, কুড়িগ্রাম

Image

কুড়িগ্রাম পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট করতে আসা দুই রোহিঙ্গা তরুণীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। পাসপোর্ট অফিসের কাউন্টারে তাদের দেখে সন্দেহ হলে এবং নাম ঠিকানা জিজ্ঞাসা করলে তা ঠিক মতো বলতে না পারায় তাদের দুজনকে সদর থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয় কুড়িগ্রাম আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ সহকারী পরিচালক মো: কবির হোসেন। পরে পুলিশ তাদের সদর থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করে রোহিঙ্গার বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, আটককৃতরা, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বালুখালি-১ এর ডি-ব্লকের খুরশিদা আক্তার (১৯)। তার পিতা নাম সৈয়দ আহম্মদ এবং মাতা সৈয়দা খাতুন। অপরজন ২৭ নং ক্যাম্পের ব্লক-৯ এর হাসিনা আক্তার বেবি (১৮)। তার পিতার নাম তৈয়ব আলী এবং মাতার নাম আরফা বেগম।

পুলিশ হেফাজতে নেয়া দুই তরুণীর বিষয়ে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানায় সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো: শাহরিয়ার।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-সহকারি পরিচালক কবির হোসেন বলেন, হাসিনা আকতার কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ব্যাপারি পাড়া বালিয়ামারী গ্রামের পিতা-আজিজুল হক, মাতা- নুরনেসা বেগম। আদিজা আক্তার ওরফে খুরশিদা চিলমারী উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ বাউনিয়ার চর গ্রামের ফয়জার শেখ, মাতা-রাবেয়া খাতুন নামসহ জন্ম নিবন্ধনসনদ দিয়ে পাসপোর্ট করতে আসে। এসময় তাদের সাথে কথা বলে মনে হয় তারা রোহিঙ্গা। পরে তাদেরকে কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশের নিকট সোপর্দ করা হয়।

তারা সৌদিতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে এসে ভুয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে পাসপোর্ট করতে এসেছিল বলে জানায় পুলিশ।

নিউজ ট্যাগ: কুড়িগ্রাম

আরও খবর



ডিসিদের আগে নিজের ঘর দুর্নীতিমুক্ত করতে বললেন দুদক চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নিজের ঘর দুর্নীতিমুক্ত করে তারপর অন্যদের দুর্নীতির খোঁজখবর রাখতে বলেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ।

সোমবার (৪ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে দুদকের অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের সামনে এ কথা তুলে ধরেন দুদক চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, আমি জেলা প্রশাসকদের বলেছি, আপনি নিজে দুর্নীতিমুক্ত কি না, আপনার অফিস দুর্নীতি মুক্ত কি না, আগে নিজের কাছে প্রশ্ন করুন। তাদের বলেছি, যদি আপনার অফিস দুর্নীতিমুক্ত না হয়, নিজের অফিসকে দুর্নীতিমুক্ত করুন। জেলা-উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে আপনাদের অধীনে যেসব অফিস আছে সেগুলো দুর্নীতিমুক্ত করার চেষ্টা করেন। নিজের ঘর দুর্নীতি মুক্ত করুন, তারপর অন্যান্য দুর্নীতির খোঁজখবর রাখুন।

জেলা প্রশাসকদের সরকারের প্রতিনিধি উল্লেখ করে মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বলেন, তারা ৩০-৩৫টা কমিটির প্রধান। জেলার সমস্ত কার্যক্রম সম্পর্কে তারা অবহিত থাকেন। এজন্য অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্যগুলো তাদের কাছে আগে আসে। জেলা প্রশাসকদের আমরা এই বিষয়ে সচেতন থাকতে বলেছি। তাদের বলেছি, কোথায় দুর্নীতি-অনিয়ম হচ্ছে এইগুলো আপনাদের কাছে আগে আসে। কীভাবে সব তথ্য আসতে পারে সেই ম্যাকানিজম তৈরি করে, তথ্য সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। যেগুলো দুদকে পাঠানো দরকার ওইগুলো পাঠিয়ে দেবেন। কোন কারণে যদি সরাসরি পাঠাতে সমস্যা হয় তাহলে প্রতি ১৫ দিন পর পর একটা গোপন প্রতিবেদন দেন মন্ত্রিপরিষদে। সেখানে দিলে আমরাও জেনে যাব।

প্রতিকার ও প্রতিরোধ দুদকের প্রধান দুই কাজ উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনুসন্ধান তদন্ত করে মামলার মাধ্যমে আদালতে সোপর্দ করি, এটা প্রতিকার। জেলা প্রশাসকের সাহায্য ছাড়া প্রতিরোধ আমরা সুচারুভাবে করতে পারি না। দুর্নীতি যেন না হয় সেজন্য আমাদের সাহায্য করতে তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। জেলা ও বিভাগীয় অফিসে তারা যেন সার্বিক সহায়তা করেন। জেলা পর্যায়ে আমাদের লোকবল যথেষ্ট নয়, এজন্য প্রতিরোধমূলক কার্যক্রমে তাদের সহায়তা চেয়েছি।


আরও খবর



ঝালকাঠিতে পুলিশ সুপার কাপ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি

Image

ঝালকাঠিতে পুলিশ সুপার কাপ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট-২০২৪ এর ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ সময় পুলিশ-সাংবাদিক ও পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যদের মধ্যে দুটি গ্রুপে দুটি ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ সাংবাদিক ফাইনাল খেলায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাব রার্নাসআপ ও জেলা পুলিশ চ্যাম্পিয়ন।

খেলায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের খেলোয়ার ছিলেন ডিবিসি নিউজের জেলা প্রতিনিধি অলোক সাহা ও দৈনিক আমার সংবাদ এর জেলা প্রতিনিধি এস.এম. পারভেজ। জেলা পুলিশের বিজয়ী প্লেয়ার হলেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (রাজাপুর সার্কেল) মোঃ মাসুদ রানা ও টি.আই মোঃ রফিকুল ইসলাম। পুলিশের সদস্যদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয় কনস্টেবল মোঃ ফায়জুল ইসলাম ও কনস্টেবল মোঃ হাফিজুর রহমান এবং রার্নাস আপ সার্জেন্ট এস.এম মাজহারুল ইসলাম ও এস আই মোঃ মুরসালিন।

সদর পুলিশ ফাঁড়ি প্রাঙ্গন মাঠে রবিবার রাতে এ ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ঝালকাঠির মিডিয়া বান্ধব পুলিশ সুপার (পিপিএম সেবা) মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খেলা উপভোগ করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ আনোয়ার সাঈদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) শেখ ইমরান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মহিতুল ইসলাম, প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাজি খলিলুর রহমান, সহ-সভাপতি আল-আমিন তালুকদার, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুর রহমান পারভেজ, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক আজকের দর্পণ এর ঝালকাঠি প্রতিনিধি মোঃ রুবেল খানসহ বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ ও জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য বৃন্দ।

প্রধান অতিথি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল বলেন আজকে এ খেলা আয়োজনের মাধ্যমে জেলা পুলিশ ও সাংবাদিক ভাইদের মধ্যে নতুন এক সম্পর্কের উম্মেচন হলো। সাংবাদিক ও আমরা উভয়ই রিক্স নিয়ে কাজ করি। সাংবাদিকরা ঝুকি নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে আর আমরা ঝুকি নিয়ে অপরাধিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপনেই।

প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাজি খলিলুর রহমান পুলিশ সুপার মহোদয়কে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, প্রতিবছর যেন এ আয়োজনের ধারা অব্যাহত থাকে। এতে করে পুলিশ ও সাংবাদিকদের মধ্যে সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে।


আরও খবর



গাজায় অনাহারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে : ইইউ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জার পাশাপাশি হামলা হচ্ছে হাসপাতালেও। এতে করে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ইতোমধ্যেই ভেঙে পড়েছে।

এরসঙ্গে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটিতে দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক সংকট। এমন অবস্থায় গাজায় অনাহারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে অভিযোগ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বুধবার (১৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় অনাহারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন ইইউর পররাষ্ট্র নীতি প্রধান জোসেফ বোরেল। তিনি অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে সহায়তার অপ্রতুল প্রবেশকে মানবসৃষ্ট বিপর্যয় হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

যুদ্ধে জর্জরিত গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষের প্রান্তে থাকা ফিলিস্তিনিদের জন্য ২০০ টন খাদ্যদ্রব্যবাহী একটি জাহাজ ভূমধ্যসাগরের উপকূলবর্তী দেশ সাইপ্রাস থেকে রওনা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরের দিকে সাইপ্রাসের লারনাকা বন্দর থেকে রওনা দেয় ওপেন আর্মস নামের সেই ত্রাণবাহী জাহাজটি।

কিন্তু জাতিসংঘ বলেছে, স্থলপথে সাহায্য বিতরণের বিকল্প হতে পারবে না ওই জাহাজ। এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু দক্ষিণ গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।

এই অঞ্চলে সাহায্য সরবরাহের দ্রুততম ও সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো রাস্তা দিয়ে সহায়তা পাঠানো। কিন্তু সাহায্য সংস্থাগুলো বলছে, ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞার মানে হচ্ছে- যে পরিমাণ সাহায্য প্রয়োজন, তার কেবল একটি ভগ্নাংশই সেখানে প্রবেশ করছে। আর তাই সড়ক পথে সহায়তা পাঠানোর পরিবর্তে সমুদ্র এবং আকাশ থেকে সহায়তা সরঞ্জাম নিচে ফেলার মতো বিকল্প বিভিন্ন পন্থার দিকে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েল বলেছে, গাজার খাদ্য সংকটের জন্য তারা দায়ী নয় কারণ তারা দক্ষিণে দুটি ক্রসিং দিয়ে সাহায্য প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে।

তবে মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভাষণ দেওয়ার সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি প্রধান জোসেফ বোরেল বলেন, কার্যকর স্থলপথের অভাবের কারণে এই অঞ্চলে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। আমরা এখন এমন জনসংখ্যার মুখোমুখি হচ্ছি যারা নিজেদের বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছে। গাজায় মানবিক সহায়তার প্রয়োজন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই সহায়তা সেখানে পাঠাতে যতটা সম্ভব কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, (মানবিক সংকট) মনুষ্যসৃষ্ট এবং যখন আমরা সমুদ্র, আকাশপথে সহায়তা প্রদানের পথ খুঁজি, তখন আমাদের মনে রাখতে হবে, রাস্তার মাধ্যমে সহায়তা প্রদানের প্রাকৃতিক উপায়... কৃত্রিমভাবে বন্ধ। অনাহারকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং যখন আমরা ইউক্রেনে এই ঘটনার নিন্দা করেছি, তখন গাজায় যা ঘটছে তার জন্যও আমাদের একই শব্দ ব্যবহার করতে হবে।

এর আগে গাজা উপত্যকায় কমপক্ষে ৫ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ বা ভূখণ্ডটির মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ দুর্ভিক্ষ থেকে এক ধাপ দূরে রয়েছে বলে জাতিসংঘের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গত ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে জানিয়েছিলেন। একইসঙ্গে তিনি সেসময় সতর্ক করে বলেন, কোনও ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া না হলে গাজায় ব্যাপক দুর্ভিক্ষ প্রায় অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৭০ হাজার মানুষ।

ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। এছাড়া গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গত দুই সপ্তাহে সেখানকার হাসপাতালে অপুষ্টি ও পানিশূন্যতার কারণে অন্তত ২৭ জন মারা গেছে। অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় মৃতদের মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে।


আরও খবর



যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাসের পরও গাজায় বিরামহীন বোমা হামলা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজায় অব্যাহত বোমা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব বাস্তবায়নেরও কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এতে চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন ঘরবাড়ি হারানো লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। অর্ধহারে-অনাহারে প্রায় খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাচ্ছেন তারা।

ইউনিসেফের মুখমাত্র জেমস এল্ডার জানিয়েছেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হওয়ার পরেও গত দুইদিন ধরে গাজায় ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে চরম হতাশ গাজাবাসী।

তিনি বলেন, নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হওয়ার পর আশায় জেগেছিলেন ক্ষুধার্ত গাজাবাসী। কিন্তু ইসরায়েলের বিরামহীন হামলায় সবকিছু নিরাশায় রূপ নিয়েছে।

গত ৭ অক্টোবরের পর ইসরায়েলের হামলায় গাজায় ৩২ হাজার ৪৯০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৪ হাজার ৮৮৯ জন।

গত সোমবার (২৫ মার্চ) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় জরুরিভিত্তিতে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়। পাস হওয়া এই প্রস্তাবে গাজায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির শর্ত রাখা হয়।

প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। তবে নিরাপত্তা পরিষদের বাকি ১৪টি দেশ প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দেয়।


আরও খবর



বাংলাদেশিকে হত্যার দায়ে সৌদিতে ৫ পাকিস্তানির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সৌদি আরবে প্রবাসী এক বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যার দায়ে পাকিস্তানের পাঁচ নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। স্থানীয় সময় গত মঙ্গলবার (০৫ মার্চ) সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে আসামিদের দণ্ড কার্যকর করা হয়।

সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে দুই নিরাপত্তারক্ষীকে বেধড়ক পিটিয়েছেন তারা। এদের মধ্যে একজন প্রবাসী বাংলাদেশি। গুরুতর আহত বাংলাদেশির চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। তদন্তের পর ওই পাঁচজনকে বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়, যেখানে তারা দোষী সাব্যস্ত হন এবং তাদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। পরবর্তীতে আসামিদের আবেদন সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে যায়। পরে রাজকীয় অধ্যাদেশে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের চূড়ান্ত নির্দেশ দেয়া হয়।

সংবাদ মাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে নিরাপত্তারক্ষীকে হাত-পা বেঁধে বেধড়ক পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের মোটিভ জানা যায়নি। দণ্ডিতদের মধ্যে পাঁচজনই পাকিস্তানের নাগরিক।

মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে মানুষ হত্যা ও সন্ত্রাসী হামলার পাশাপাশি মাদক চোরাচালান ও পাচারের ক্ষেত্রে দোষীদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।

গত বছর ডিসেম্বরে আর্থিক বিরোধের জেরে মুখে কীটনাশক স্প্রে করে এক ভারতীয় নাগরিককে হত্যার দায়ে দুই প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। রায়ে বলা হয়, ভুক্তভোগীকে প্রলোভন দেখিয়ে ওই দুই আসামি তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তার মুখে কাপড় প্যাঁচিয়ে শ্বাসরোধ এবং মুখে কীটনাশক স্প্রে করে। এতে ঘটনাস্থলে নিহত হয় ওই ব্যক্তি।


আরও খবর