আজঃ শুক্রবার ২৮ জুন ২০২৪
শিরোনাম

কুষ্টিয়ায় সাংবাদিক রিজুর উপর হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

Image

কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসি, সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়া, এশিয়ান টেলিভিশনের কর্মরত কুষ্টিয়ার সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরাসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার সাংবাদিকরা এশিয়ান টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রিজুর উপর হামলার ঘটনা হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৪ জুন) সকাল ১১টায় কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসি ও সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার আয়োজনে কুষ্টিয়া ডিসি কোর্টে অবস্থিত প্রেসক্লাব কেপিসির চত্বর থেকে একটি বিশাল মিছিল বের হয়ে কুষ্টিয়া ঝিনাইদহ মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের প্রাণকেন্দ্র মজমপুর গেটে অবস্থান করে সড়ক অবরোধ, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সড়ক অবরোধ, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসি ও সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার সভাপতি রাশাদুল ইসলাম বিপ্লব। এ সময় বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও জিটিভি জেলা প্রতিনিধি সোহেল রানা, সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসি'র সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মিলন উল্লা, সহ-সভাপতি ও আর টিভি'র জেলার প্রতিনিধি শেখ হাসান বেলাল, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুন্সি তরিকুল ইসলাম। কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসি'র সাংগঠনিক সম্পাদক ও আনন্দ টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি ফিরোজ কায়সার, নির্বাহী সদস্য ও এশিয়ান টেলিভিশনে মিরপুর-ভেড়ামারা প্রতিনিধি ফয়সাল চৌধুরী, এশিয়ান টেলিভিশনের কুমারখালী প্রতিনিধি কে এম আর শাহীন, এশিয়ান টেলিভিশনের দৌলতপুর প্রতিনিধি সোহানুর রহমান শিপন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি নজরুল ইসলাম প্রধান প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ফেসবুকে হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের শালদহ এলাকার স্থানীয় প্রভাবশালী শিপন কটূক্তি করলে এই নিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ এবং পূর্ব বিরোধের জেরে হাসিবুর রহমান রিজুর ওপর এ হামলা চালানো হয়। গত বুধবার (১৯ জুন) বিকেলে ওই নির্বাচনের মিটিং-এ অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে হরিপুর বাজারস্থ বিদ্যালয়ে মোটরসাইকেল যোগে যাচ্ছিলেন। এসময় পথে স্থানীয় প্রভাবশালী শিপন, মুরাদ ও রাজনের নেতৃত্বে কয়েকজন রিজুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি ২০ থেকে ২৫ মিনিট দুই পা, দুই হাত ও মাথায় আঘাত করেন। এ সময় আরও ১৫ থেকে ২০ জন যুবক-কিশোর মারধরকারীদের ঘিরে রাখেন। রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলে প্রায় আধঘণ্টা ধরে পড়েছিলেন রিজু। সন্ত্রাসীরা এতই প্রভাবশালী যে বাজারে থাকা লোকজন এগিয়ে আসার সাহস পান না। দুঃখের বিষয় এ মামলায় এখন পর্যন্ত মূল আসামিরা গ্রেপ্তার হয়নি।

হামলাকারীদের গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন সংগ্রাম চলবে। এই আন্দোলন সংগ্রাম কুষ্টিয়া থেকে ঢাকা পর্যন্ত চলবে বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন সাংবাদিক নেতারা। এই সময় সাংবাদিকর নেতৃবৃন্দরা আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ প্রশাসনকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম এর ঘোষণা দেন। বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রিজু ঢাকা ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

হাসিবুর রহমান রিজু হাটশ হরিপুর গ্রামের আমজাদ মালিথার ছেলে। তিনি কুষ্টিয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় দৈনিক সত্য খবর পত্রিকার সম্পাদক। এছাড়াও হাসিবুর রহমান রিজু ভারত-বাংলাদেশ যুব মৈত্রী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি একই সাথে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও এলাকায় নানা সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সন্ধ্যায় আহত সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রিজুর স্ত্রী টপি বিশ্বাস কুষ্টিয়া মডেল থানায় বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামায় ২৫ থেকে ৩০ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন।


আরও খবর



সৌদি পৌঁছেছেন ৫৩ হাজার হজযাত্রী, মক্কা-মদিনায় ৮ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ৫৩ হাজার ১৮০ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এসব হজযাত্রীর মধ্যে মারা গেছেন আট বাংলাদেশি। শনিবার (১ জুন) সকালে হজ পোর্টালে আইটি হেল্প ডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়েছে, শুক্রবার রাত ২টা পর্যন্ত মোট ৫৩ হাজার ১৮০ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গেছেন ৪৯ হাজার ৪৩৩ জন। এখন পর্যন্ত হজকেন্দ্রিক সৌদি আরব যাওয়ার ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ১৩৬টি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার প্রথম ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত হজযাত্রার এ ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন থেকে শুরু হবে ফিরতি ফ্লাইট। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।

এদিকে, এখন পর্যন্ত সব হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন বাংলাদেশি হজ করতে যাবেন। তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জন।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ৮ বাংলাদেশি হজযাত্রী সৌদি আরবে মারা গেছেন। তাদের সবাই পুরুষ। এর মধ্যে মক্কায় ছয় এবং মদিনায় মারা গেছেন দুজন।


আরও খবর



কক্সবাজারে পাহাড় ধসে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

কক্সবাজারের সদর উপজেলায় পাহাড়ধসে এক দম্পতি মারা গেছেন। শুক্রবার (২১ জুন) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে সদর উপজেলা পুলিশ লাইনের বাদশা ঘোনা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পাহাড়ধসে নিহতরা হলেন পুলিশ লাইন বাদশা ঘোনা এলাকার কেন্দ্রীয় মসজিদের মোয়াজ্জেম আনোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী মাইমুনা আক্তার। মাইমুনা ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন কবির বলেন, আমার এলাকায় পাহাড় ধসে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।

তিনি বলেন, টানা কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টি হচ্ছিলো। পাহাড় ধসে ঘুমন্ত অবস্থায় মাটি চাপা পড়ে ওই দম্পতি মারা যান। স্থানীয় লোকজন মাটি সরিয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করে।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক অফিসার ডাক্তার আশিকুর রহমান বলেন, তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে মৃত্যু হয়।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রফিকুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, কক্সবাজার শহরে বাদশা ঘোনা এলাকায় পাহাড় ধসে ঘুমন্ত স্বামী স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হয়েছে।


আরও খবর



ভাঙনের কবলে সুন্দরবনের উপকূলীয় অঞ্চল

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

জলবায়ু পরিবর্তন, ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, উচ্চ জলোচ্ছ্বাস, লবণাক্ততা বৃদ্ধি ও মনুষ্যসৃষ্ট দূষণসহ নানা ধরনের সংকট মোকাবিলা করতে হচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ বাদাবন (ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট) সুন্দরবন ও বনের জীববৈচিত্র্যকে। ফলে অনিরাপদ হয়ে পড়ছে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য।

সুন্দরবন বন বিভাগ সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের সময় অস্বাভাবিক জলোচ্ছ্বাসে ১৩৪টি মৃত হরিণ ও চারটি বন্য শুকরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে, সুন্দরবন বন বিভাগের মতে, বন্যপ্রাণী মৃতের সংখ্যা আরও কয়েক গুণ বেশি হবে। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের পর বঙ্গবন্ধুর চর, পুটনির চরসহ গহীন সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন বন এলাকায় বন বিভাগের কর্মীরা যেতে পারেনি।

তাদের মতে, গত ২৬ মে ভোরে বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন সুন্দরবনে ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানে। এ সময় বঙ্গবন্ধুর চর, পুটনির চরসহ সুন্দরবনের বঙ্গোপসাগর অংশে ২০ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হয়েছিল। এতে বহু হরিণ সাগরে ভেসে গেছে। যার খোঁজ পাওয়া যায়নি। ওগুলো পচে-গলে পানিতে মিশে গেছে। উদ্ধার করা মৃত বন্যপ্রাণীগুলো মূলত-সুন্দরবনের কটকা, কচিখালী, দুবলা, নীলকমল, আলোরকোল, ডিমের চর, পক্ষীর চর, জ্ঞানপাড়া, শেলার চর এবং বিভিন্ন নদী-খাল থেকে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। এর আগে ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরের পর একটি বাঘ ও ২৭টি হরিণের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। এছাড়া ২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর তিনটি হরিণ ও একটি বন্য শুকরের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সুন্দরবনের প্রাণীর মৃত্যুর কোনো খতিয়ান নেই।

বনজীবীরা জানান, প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবনের গাছপালা ও বন্যপ্রাণীর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে এবারই ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবনের গাছপালার চেয়ে বন্যপ্রাণীর ক্ষতি বেশি হয়েছে।

বিভাগীয় বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ খুলনার কর্মকর্তা মফিজুর রহমান চৌধুরী জানান, এবারের ঘূর্ণিঝড় রেমালের সময় জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবনের গাছপালার চেয়ে পশুপাখির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বেশি। সুন্দরবনের যেসব জায়গা উঁচু তা সর্বোচ্চ আট ফুট। অথচ সেখানে পানি উঠেছিল ১০-১২ ফুট। টানা ৩৬-৩৭ ঘণ্টা পুরো সুন্দরবন লবণপানির নিচে ছিল। এর আগে এ রকম জলোচ্ছ্বাস সুন্দরবনে কখনো হয়নি। যা জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকির বিষয়।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও প্রাণী বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. এম এ আজিজ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে এখন যে অভিঘাত হচ্ছে, এগুলো ধীরে ধীরে বাড়বে। উচ্চ জলোচ্ছ্বাস ছাড়াও আমরা যে অসুবিধাগুলো দেখছি, সুন্দরবনের উপকূলীয় এলাকা ভেঙে যাচ্ছে। বিশেষ করে সাতক্ষীরা অঞ্চলের সুন্দরবন। সাতক্ষীরা থেকে মান্দারবাড়ী হয়ে দুবলারচর, কটকা পর্যন্ত অনেক এলাকা ভেঙে যাচ্ছে। এটা সুন্দরবনের জন্য দৃশ্যমান ক্ষতি হচ্ছে। ঐ অঞ্চলে ভেঙে গিয়ে বন কমে যাচ্ছে। তবে সুন্দরবনের বলেশ্বরের দিকে কিছু কিছু চর জাগছে। সুন্দরবনের দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকায় গত ১০-১২ বছর ধরে ভাঙন অনেক বেশি হচ্ছে। এই ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদি এবং ধীরে ধীরে এই ক্ষতি বাড়ছে। হয়তো এখন ক্ষতিটা অত নজরে আসছে না; নজরে আসে যখন ঘূর্ণিঝড়ের মতো কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয় তখন।

তিনি বলেন, গত ২০ বছরের অভিজ্ঞতায় দেখি, দীর্ঘ সময় ধরে সুন্দরবন জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে থাকা এবারই প্রথম দেখা গেল। জলবায়ুর যে অভিঘাতগুলো আনপ্রেডিক্টেবল (অপ্রত্যাশিত)। যা আমরা আগে থেকে প্রেডিক্ট (প্রত্যাশা) করতে পারি না। ফলে বাঘ ও বন্যপ্রাণীসহ জলজ প্রাণীরও ক্ষতি হচ্ছে। কারণ লবণাক্ততা বাড়ছে।

সুন্দরবনের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন আগের তুলনায় ধীরে ধীরে প্রকট হচ্ছে। জলবায়ুর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার কারণেই এবার উচ্চ জলোচ্ছ্বাস হয়েছে বলে আমরা মনে করছি। স্বাভাবিক জোয়ারের সময় এখন পানি অনেক উঁচু হয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এবারই প্রথম সুন্দরবন একটানা প্রায় ৩৬ ঘণ্টা লোনাপানিতে প্লাবিত ছিল, যা আমরা আগে ধারণাও করতে পারিনি। সুন্দরবনে এবারের দুর্যোগ আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস মোকাবিলায় কী করা যায়, তা নিয়ে আমরা ভাবছি।


আরও খবর



শিশু ওয়াসিম হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

মীরসরাই থানার আলোচিত শিশু কাজী মশিউর রহমান ওয়াসিম হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার (৯ জুন) চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ মো.রবিউল আউয়ালের আদালত এই রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলো কাজী নাহিদ হোসেন পল্লব। এ মামলায় কাজী ইকবাল হোসেন বিপ্লব নামে অন্য একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ২২ নভেম্বর বিকেল মিরসরাই উপজেলার মঘাদিয়া ইউনিয়নের ভূঁইয়া তালুক কাজী বাড়ির পূর্বপাশের ছনখোলায় আসামি কাজী নাহিদ হোসেন পল্লব ৫ বছর বয়সী শিশু ওয়াসিমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। সিগারেটের আগুনে ছ্যাঁকা দিয়ে শিশুটির মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। আসামি বাড়িতে এসে তার পরিবারকে ঘটনা খুলে বলে। ওই রাতে আসামির পরিবারের সদস্যরা ছনখোলা থেকে শিশুর মরদেহ বস্তাবন্দি করে পাশের ধানক্ষেতে ফেলে দেয়। শিশু ওয়াসিমকে না পেয়ে চাচা কাজী একরামুল হক মিরসরাই থানায় ২৩ নভেম্বর সাধারণ ডায়েরি করেন। সেদিন শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ পাশের ধানক্ষেতে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করেন। ছনখোলা থেকে আসামির মোবাইল ও শিশুর স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়। শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের পর মিরসরাই থানায় ওয়াসিমের চাচা মামলা দায়ের করেন। মামলা চলাকালীন সময়ে আসামি কাজী নাহিদ হোসেন পল্লব হত্যার দায় স্বীকার করে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করলে ২০১৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি  আসামি কাজী নাহিদ হোসেন পল্লব, তার ভাই কাজী ইকবাল হোসেন বিপ্লব, বাবা ফজলুল কবির প্রকাশ হরমুজ মিয়া ও মা নুর জাহানের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ৩০২ ও ২০১ ধারায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিচার চলাকালীন আসামি ফজলুল কবির ও আসামি নুর জাহান বেগম মৃত্যু বরণ করেন। মৃত্যু বরণ করাই দুই আসামিকে মামলা থেকে অব্যহাতি দেন আদালত।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ২১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণে ওয়াসিম হত্যা মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি কাজী নাহিদ হোসেন পল্লবকে মৃত্যুদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আসামি রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন, পরে সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় কাজী ইকবাল হোসেন বিপ্লব নামে এক আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

ওয়াসিম হত্যার বিচারের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নিহতের পিতা মোশারফ হোসেন বাবুল।


আরও খবর



ভূরুঙ্গামারীতে সিটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাজল ও সা. সম্পাদক রফিকুল

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে সিটি প্রেস ক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি হলেন মো: আব্দুর রাজ্জাক (কাজল) ও সাধারণ সম্পাদক মো: রফিকুল ইসলাম। সিটি প্রেস ক্লাব ভূরুঙ্গামারী শাখায় মোট ১৫ জন সাংবাদিক নিয়ে এ কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হয়েছে। সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক (কাজল) দৈনিক প্রথম খবর, দৈনিক সূর্যোদয়, দৈনিক তালাশ টাইমস পত্রিকায় ও সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জাতীয় দৈনিক আজকের দর্পণ, স্বদেশ কন্ঠ প্রতিদিন, দৈনিক মনিং পোস্ট, নববাংলা, জাগ্রত জনতা, আর এম সি নিউজ পত্রিকায় কাজ করে আসছেন।

ক্লাবের অন্যান্য সাংবাদিকরা হলেন মো: সাঈদুর রহমান সহ সভাপতি, মো: শফিকুল ইসলাম সহ সভাপতি, মো: মেহেদী হাসান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মো: রাহিজুল ইসলাম কোষাধক্ষ্য, মো: বাবুল আক্তার সাংগঠনিক সম্পাদক,মোছা: শরিফা আক্তার মহিলা বিষয়ক সম্পাদক,মো: শাহীন আলম দপ্তর সম্পাদক, মো: কফিল উদ্দিন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, মো: রাসেল ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক, মো: রমজানুল হক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক, মো: জাকির হোসেন কার্যকরী সদস্য, মো: নাসির উদ্দীন কার্যকরী সদস্য, মো:শাহীন আলম সদস্য।

নবনির্বাচিত সভাপতি সাংবাদিক মো: আব্দুর রাজ্জাক (কাজল) বলেন, নবনির্বাচিত কমিটির সকল সাংবাদিক বৃন্দকে অভিনন্দন ও জেলা সিটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো: নুর মোহাম্মদ চৌধুরী ভাই ও সাধারণ সম্পাদক মো: আ: হালিম মন্ডল গাজী ভাইসহ জেলা সিটি প্রেস ক্লাবের সকল সাংবাদিক বৃন্দকে ধন্যবাদ জানান।

নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মো: রফিকুল ইসলাম বলেন,ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় কেউ যেন কোনো প্রকার দুর্নীতি, মাদক ব্যবসা, চোরা চালন, অবৈধ ব্যবসা, নারী নির্যাতন, শিশু ধর্ষণ এ ধরণের কোনো অপরাধ করতে না পারে সেই লক্ষ্য নিয়ে ভূরুঙ্গামারী উপজেলাকে সত্য সুন্দর ন্যায় বিচার ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন শিক্ষা নগরী গড়ে তুলতে চাই। আমাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেটা যেন সম্মানের সহিত পালন করতে পারি।


আরও খবর