প্রথম টেস্টের
ছবিই ভেসে উঠছে ক্যান্ডিতে। পিচ বোলারদের সাহায্য করলেও উইকেটের দেখা নেই বাংলাদেশের।
লাঞ্চ বিরতির পরও সাফল্য আসেনি। উইকেট অক্ষত রেখে শ্রীলঙ্কার স্কোর ১০০ ছাড়িয়ে গেছে।
নাজমুল হোসেন
শান্ত ক্যাচটি তালুবন্দি করতে পারলে দৃশ্যপট অন্যরকম হতে পারতো। তার ক্যাচ মিসে দ্বিতীয়
জীবন পাওয়া দিমুথ করুণারত্নে সুযোগ কাজে লাগিয়ে তুলে নিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৬তম
হাফসেঞ্চুরি। ২৮ রানে জীবন পাওয়া লঙ্কান অধিনায়ক ইতিমত্যে পূরণ করেছেন টেস্টের ৫ হাজার
রানের মাইলফলকও।
করুণারত্নের সঙ্গে
সমানতালে লড়ে যাচ্ছেন আরেক ওপেনার লাহিরু থিরিমানে। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান বোলারদের
কোনও সুযোগই দিচ্ছেন না। চমৎকার ব্যাটিংয়ে তিনিও পেয়েছেন হাফসেঞ্চুরি। ১০২ বলে পূরণ
করেছেন লাল বলের ক্রিকেটের ১১তম ফিফটি। তাদের দৃঢ়তায় কঠিন সময় যাচ্ছে তাসকিন আহমেদ-আবু
জায়েদ রাহীদের। অথচ শান্ত ক্যাচটি নিতে পারলে উইকেট উদযাপন করতে পারতেন তাসকিন।
ক্যান্ডির দ্বিতীয়
টেস্টেও তাই লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের দাপট। ৩৭ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে স্বাগতিকদের
সংগ্রহ ছিল ১১৪।
এই ক্যাচ ফেলে
দিলেন শান্ত!
সুযোগ খুব বেশি
দিচ্ছেন না শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা। অনেক চেষ্টার পর এলো প্রথম দিনের সবচেয়ে সহজ
সুযোগ। কিন্তু হেলার নষ্ট করলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। স্লিপে দাঁড়িয়ে বল হাতে নিলেন
কিন্তু তালুবন্দি করতে পারলেন না। বোলার তাসকিন আহমেদের সঙ্গে আক্ষেপে পুড়লো বাংলাদেশের
ক্রিকেটপ্রেমীরা।
দ্বিতীয় টেস্টেও
দুর্দান্ত সব ডেলিভারি দিচ্ছেন তাসকিন। বেশ কয়েকবার কঠিন পরীক্ষা নিয়েছেন শ্রীলঙ্কান
ওপেনারদের। চমৎকার বোলিংয়ের পুরস্কারও পেতে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু সতীর্থ ফিল্ডার
শান্ত সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করলে উইকেট বঞ্চিত তাসকিন। ডানহাতি পেসারের দুর্দান্ত ডেলিভারি
দিমুথ করুণারত্নের ব্যাটের কানায় লেগে গেলে স্লিপে দাঁড়ানো শান্ত হাতে নিয়েও বল রাখতে
পারেননি। ফলে করুণারত্নে পেলেন ‘দ্বিতীয় জীবন’।
এক বল পরই দলীয়
৫০ রান ছাড়ায় শ্রীলঙ্কা। ফলে কোনও উইকেট না হারিয়েই ফিফটি পেয়েছে স্বাগতিকরা। আর প্রথম
সেশনে বাংলাদেশকে থাকতে হয় উইকেটশূন্য। লাঞ্চ বিরতিতে যাওয়ার সময় শ্রীলঙ্কার স্কোর
ছিল ২৭ ওভারে ৬৬ রান।
রিভিউ ‘নষ্ট’ করলো বাংলাদেশ
রিভিউয়ের সঠিক
ব্যবহারে এখনও পারদর্শী হয়ে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। ক্যান্ডি টেস্টের প্রথম দিনের খেলায়
যেমন নষ্ট করলো একটি রিভিউ। আবু জায়েদ রাহীর বল দিমুথ করুণারত্নের ব্যাটের বেশ খানিকটা
বাইরে দিয়ে যাওয়ার পরও রিভিউ নিয়েছিলেন অধিনায়ক মুমিনুল হক।
১২তম ওভারের চতুর্থ
বলটি করেছিলেন রাহী। অফ স্টাম্পের বাইরে পিচ করা বল হয়তো পয়েন্ট দিয়ে মারতে চেয়েছিলেন
বাঁহাতি করুণারত্নে। কিন্তু বাড়তি বাউন্স পাওয়ায় চাহিদা অনুযায়ী খেলতে পারেননি। বল
সরাসরি জমা পড়ে উইকেটকিপার লিটন দাসের গ্লাভসে। বোলার রাহী আবেদন করতেই থাকলেন, তাতেও
আম্পায়ারের সাড়া মেলেনি। এই অবস্থায় বেশ খানিকটা সময় নিয়ে অতঃপর রিভিউ নিলেন মুমিনুল।
কিন্তু রিপ্লেতে
দেখা যায়, ব্যাট-বলে কোনও সংযোগ হয়নি। ফলে রিভিউ হারায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের বোলারদের
সামনে অবশ্য সুবিধা করতে পারছেন না শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার করুণারত্নে ও লাহিরু থিরিমানে।
শুরু থেকেই তারা সতর্ক। বেশ কয়েকবার পরীক্ষাও দিতে হয়েছে তাদের। যদিও ঠাণ্ডা মাথার
ব্যাটিংয়ে উইকেট অক্ষত রেখেছেন দুই ওপেনার। প্রথম ঘণ্টায় কোনও উইকেট না হারিয়ে স্বাগতিকদের
স্কোর ছিল ১৪ ওভারে ২২।