ক্যান্সারের ঝুঁকি থাকা দুইটি ওষুধ সরাচ্ছে ফাইজার। আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মাননিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো বলছে, এই দুইটি জেনেরিক সংস্করণে এমন উপাদান উচ্চমাত্রায় রয়েছে, যা ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি করে। যেসব রোগীরা ব্লাড প্রেশার, স্ট্রোক ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে এসব ওষুধ সেবন করে আসছেন, তাদেরকে বিকল্প কোনো ওষুধ খুঁজে বের করতে বলা হয়েছে।
‘গ্রিনস্টোন’ বিতরণ করেছে এমন দুটি ওষুধের জেনেরিক সংস্করণ কুইনাপ্রিল এইচসিএল ও হাইড্রোক্লোরোথিয়াজাইডে নির্ধারিত মাত্রার বেশি এন-নাইট্রোসো-কুইনাপ্রিল পাওয়া গেছে। যদিও প্রত্যেক মানুষই কিছু মাত্রার নাইট্রোসামিনের সংস্পর্শে আসে তবে যদি দীর্ঘ সময় সহনীয় মাত্রার বেশি নাইট্রোসামিনের সংস্পর্শে আসে তবে তা ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
ফাইজার এক বিবৃতিতে, সমস্যা থাকা ওষুধগুলোর লট শনাক্ত করতে লট নাম্বার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করেছে। তবে দুইটি ওষুধের প্রোফাইল বলছে, বাজারজাত করার আগে এই ওষুধকে ২০ বছরের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে থাকতে হয়েছে। এই ওষুধ সেবনকারীদের তাদের ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি খুঁজে বের করতে হবে। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তারা স্বউদ্যোগে এফডিএকে (যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা) জানিয়ে বাজার থেকে ওষুধ সরিয়ে নেয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে।
ফাইজার নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক একটি ওষুধ গবেষণা ও প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। করোনা মহামারী মোকাবেলায় এমআরএনএ ভিত্তিক কোভিড-১৯ এর প্রতিষেধক তৈরি করে বৈশ্বিক আলোচনায় আসে প্রতিষ্ঠানটি।