আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

লাগামহীন বাজারদরে দিশেহারা নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

কয়েকদিন পরেই পবিত্র মাহে রমজান। এরই মধ্যে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। রমজান মাসকে কেন্দ্র করে বাজার করতে শুরু করেছেন অনেকেই। তবে বাজার করতে গিয়ে এখনো স্বস্তি পাচ্ছেন না নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষ। সবজির বাজারে কিছুটা স্বস্তি পেলেও মাছ-মাংসের বাজারে গিয়েই হতাশ হতে হচ্ছে এখনো। শেষ পর্যন্ত আকাশছোঁয়া দাম কোথায় গিয়ে থামবে, তা নিয়ে খুবই চিন্তিত সাধারণ মানুষ। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারেও আজ নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর দশা।

দু'মাস ধইরে মাছ খাউনা। কিনিম যে দাম তো অনেক বেশি। আয় রোজগার কুমলেও সব জিনিসের দাম বাড়ছে। যে কারণে ছোয়ালাক ভালো খিলাবা পারু না। দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত বৃদ্ধিতে এভাবেই নিজের অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন শমসের আলী নামে এক রিকশাচালক। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির যাঁতাকলে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশাপাশি পিষ্ট হচ্ছেন মেস বা হোস্টেলে থাকা শিক্ষার্থীরাও।

ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজ বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রাসেল বলেন, আমরা অধিকাংশ শিক্ষার্থীই বাইরে বিভিন্ন মেসে থাকি। তেমন টিউশনিও নেই। এর ওপর দ্রবমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধিতে একেবারে নাজেহাল হয়ে পড়েছি আমরা। আগের তুলনায় বর্তমানে প্রতিমাসে আরও এক থেকে দেড় হাজার টাকা বেশি লাগছে। যা পরিবার থেকে দেওয়া বেশ কষ্টকর।

বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক আশরাফ আলী বলেন, খাদ্যসহ নিত্যপণ্যের চড়া মূল্যের বিরূপ প্রভাব পড়েছে অতিদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের ওপর। আলু ছাড়া সব পণ্যের দাম বেশি। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির যাঁতাকলে অসহায় মানুষের দুঃখের কথা বলার কোনো জায়গাও নেই।

শহরের কালিবাড়িতে বাজারে করতে এসেছেন এনজিও কর্মী শারমিন আক্তার। সন্তানদের জন্য মুরগি কিনতে এসেছেন তিনি। তবে বাজারে সবকিছুর উচ্চ মূল্য থাকায় হতাশ হতে হচ্ছে তাঁকে। আজ সকালে বাজারের এক মুরগির দোকানের সামনে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। শারমিন বলেন, বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকার কাছাকাছি। এই দামে মুরগি কিনে খাওয়া আমাদের জন্যই কষ্টসাধ্য। স্বল্প আয়ে স্বামী-স্ত্রী ও দুই সন্তানকে নিয়ে কষ্টে সংসার চলছে। নিজেরা না খেয়ে থাকতে পারলেও সন্তানদের কথা ভেবে মুরগি কিনেছেন তিনি।

পৌর শহরের হাজিপাড়া এলাকায় অন্যের বাসা-বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করা মাজেদা বেগম বলেন, 'মানুষের বাড়িতে কাজ করে যে টাকা পাই তা দিয়ে এখন আর সংসার চালাতে পারি না। এ অবস্থায় টিকে থাকার জন্য সব ধরনের খাবার খাওয়া কমিয়ে দিয়েছি। এক বেসরকারি কোম্পানিতে চাকুরী করেন শফিক মিয়া। তিনি বলেন, 'এখন দুশ্চিন্তার একটাই কারণ, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। আমি টিকে থাকতে পারছি না। সত্যি, আমি আর পারছি না।

সবজি ব্যবসায়ী কাউসার বলেন, দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতারা যেমন ক্ষীপ্ত, তেমনি আমরাও বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি। সাধারণ মানুষ বাজারে এসে দাম শুনে প্রয়োজনীয় অনেক কিছু না কিনে চলে যাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ বেশি দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। খুচরা বিক্রেতা দুলাল বলেন, পণ্যের দাম একবার বাড়লে তা সহজে কমে না। শীতের সবজি শেষের দিকে। ফলে দাম বাড়ছে। আরেক বিক্রেতা বলেন, যেসব সবজির মৌসুম শেষ সেসব সবজির দাম কিছুটা বেশি। কারণ ওইসব সবজির সরবরাহ কমে গেছে।

শহরের কালবাড়ি, সেনুয়া, গৌধুলীসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়, সোনালি মুরগি ৩৪০ থেকে ৩৫০, দেশি মুরগি ৫৪০ থেকে ৫৫০, গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০,  খাসির মাংস ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১৩৫ থেকে ১৪৫ টাকায়। মাংসের উচ্চ মূল্যের পাশাপাশি মাছের বাজারও চড়া। মাছ-মাংসের বাজার ঘুরে সবজি বাজারেই ভিড় করছেন ক্রেতারা। সবজির বাজারে বেগুন ৩০ থেকে ৩৫, বাঁধাকপি ১৫ থেকে ২০, ফুলকপি ২৫ থেকে ৩০, শসা ২৫ থেকে ৩৫, মিষ্টিকুমড়া ৩০ থেকে ৩৫, টমেটো ২০ থেকে ২৫, পেঁপে ২৫ থেকে ৩০, শিম ৩৫ থেকে ৪৫, গাজর ২০ থেকে ২৫, লাউ ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা।

অন্যান্য নিত্যপণ্যের মধ্যে প্রতি কেজি খোলা চিনি ১০৫ থেকে ১১০ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ১১০ থেকে ১১৫, দেশি মসুরের ডাল ১৪০ থেকে ১৪৫, মানভেদে ছোলা ৯০ থেকে ১০৫,  আটা ৬৫ থেকে ৬৮, খোলা আটা ৫৬ থেকে ৫৮, ময়দা ৭৫ থেকে ৭৮, ময়দা ৬২ থেকে ৬৫, পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৪০, দেশি রসুন ১০০ থেকে ১১০, আমদানি করা রসুন ১২০ থেকে ১৩০ এবং বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তবে বাজার ঘুরে অধিকাংশ দোকানে দেখা মেলেনি নির্দিষ্ট মূল্য তালিকার। এর ফলে একেক বাজারে একেক রকম দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা।

জাতীয় ভোক্তা-অধিকার ঠাকুরগাঁও জেলার সহকারী পরিচালক মো. শেখ সাদী বলেন, রমজানের আগে বাজারগুলোতে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। রমজানে যাতে মানুষের ভোগান্তি না হয়, সেই অনুযায়ী বাজারগুলো মনিটরিং করা হবে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে।


আরও খবর



বেইলি রোডে আগুনের সূত্রপাত নিয়ে যা জানা গেল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। দুই ঘণ্টার চেষ্টায়ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট। আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে কাচ্চি ভাইসহ কয়েকটি রেস্টুরেন্টে।

৭তলা এই ভবনটিতে অবস্থিত ফুওকো রেস্টুরেন্টের মালিক ডা. নাইম বলেন, বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করছে।

কোথা থেকে আগুনের সূত্রপাত সে প্রসঙ্গে ডা. নাইম বলেন, আমাদের ভবনের নিচে ছোট একটা রেস্টুরেন্ট হয়েছে। সেখান থেকে আগুনের সূত্রপাত। আগুন লাগার পর পরই আমার স্টাফদের বারান্দা দিয়ে নামিয়েছি। তারা সবাই আহত।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, আটকেপড়াদের উদ্ধার করা হচ্ছে। টিটিএলের মাধ্যমে পাঁচ-ছয়জনের বেশি মানুষকে নামানো যায় না। এ অবস্থাতেই ভবনে আটকে পড়া অর্ধশতাধিক মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫ জন নারী রয়েছেন। এরই মধ্যে ১০ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আরও হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পথচারী ও স্থানীয়রা জানান, আগুন লাগার পর ভবনের রেস্টুরেন্টগুলোতে মানুষ দেখা গেছে। আগুন ভবনের চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে এসব মানুষ সেখানে আটকে পড়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন জানান, রাত ৯টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ভবনে আগুনের খবর আসে। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ করছে।

ভবনটিতে পিজ্জা ইন, স্ট্রিট ওভেন, খানাসসহ আরও রেস্টরেন্ট রয়েছে। এছাড়া ইলিয়েন, ক্লোজেস্ট ক্লাউডসহ জনপ্রিয় বিপণিবিতানও রয়েছে। পঞ্চম তলা থেকে ১৪ তলা পর্যন্ত আবাসিক ফ্ল্যাট রয়েছে।


আরও খবর



তিনটি সমঝোতা স্মারক সই হবে

আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের রাজা-রানি

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আজ ঢাকায় আসছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগিয়েল ওয়াংচুক। সকাল ১০টায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে তার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে। এই সফরে তার সঙ্গে রানি জেতসুন পেমাসহ একটি প্রতিনিধি দল থাকছে। সফরকালে রাজা ও রানি বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে তিনটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং একটি নবায়ন হবে। আওয়ামী লীগ সরকার গত জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর এটি বাংলাদেশে কোনো দেশের শীর্ষ নেতার প্রথম সফর।

রোববার দুপুরে ভুটানের রাজার বাংলাদেশ সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি জানান, বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ভুটানের রাজাকে স্বাগত জানাবেন। ভুটানের রাজার সফরে নতুন করে তিনটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে। সেগুলো হলো- ভুটানের থিম্পুতে একটি বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট প্রতিষ্ঠা, বাংলাদেশের কুড়িগ্রামে ভুটানের জন্য বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং ভোক্তা সুরক্ষায় প্রযুক্তিগত সহযোগিতা। এছাড়া সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতাসংক্রান্ত একটি চুক্তি আছে- সেটির নবায়ন করা হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সফরের শুরুর দিন রাজা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন এবং জাতির পিতার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। বাংলাদেশ সফরকালে তিনি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। প্রথম দিন রাজার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ২৬ মার্চ ভোরে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করবেন রাজা।

মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ সফরে ভুটানের রাজা পদ্মা সেতু পরিদর্শন করবেন। তিনি শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতাল নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে অবস্থিত বাংলাদেশ বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করবেন। কুড়িগ্রামে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলটি পরিদর্শনের জন্য বিমানযোগে ঢাকা ত্যাগ করে তিনি সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়বেন। স্থলবন্দরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করবে। সেখানে তাকে বিদায় জানাবেন নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

রাজার সফরের তাৎপর্য তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, নতুন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর বাংলাদেশে প্রথম কোনো উচ্চ পর্যায়ের রাষ্ট্রীয় সফর এটি। এ সফরে বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশে (বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে) ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। থিম্পুতে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট প্রতিষ্ঠা উদ্যোগের মাধ্যমে দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের বৃহত্তর কল্যাণ সাধন হবে। ট্রানজিট এবং অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির (পিটিএ) মাধ্যমে ভুটানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ হবে। বিদ্যুৎ খাতে ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতার চুক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ ও বিনিময়ের সুযোগ তৈরি হবে।

তিনি বলেন, আগামী বছর থেকে বাংলাদেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে এমবিবিএস কোর্সে ভুটানের শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ আসন সংখ্যা ২২ থেকে বাড়িয়ে ৩০ করা হবে। প্রতি বছর ভুটানের ফরেন সার্ভিস অফিসারদের জন্য বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রশিক্ষণের জন্য দুটি আসন বরাদ্দ করা হবে।

বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি ভুটানে একটি কূটনৈতিক প্রশিক্ষণকেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় কারিগরি সহযোগিতা দেবে। বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ কাউন্সিলে ভুটানের কৃষিবিষয়ক কর্মকর্তাদের বিভিন্ন মেয়াদে তিন বছরব্যাপী প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই সফর বাংলাদেশ-ভুটানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসাবে বিবেচিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সুপ্রতিবেশীসুলভ পররাষ্ট্রনীতির সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় আমাদের অবস্থান সুদৃঢ হবে।

বাংলাদেশে মহান স্বাধীনতার প্রথম স্বীকৃতিদানকারী দেশ ভুটান। মহান স্বাধীনতা মাসে দেশটির রাজার এ সফর এবং স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া ভুটানের রাজার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা যায়। সফরে ঢাকায় রাজাকে ব্যাপক উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হবে। রাজার আগমন উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে ঢাকার প্রধান প্রধান সড়কে ভুটানের রাজা এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি টানানো হয়েছে।


আরও খবর



বাংলাদেশকে ১৬৬ রানের টার্গেট শ্রীলঙ্কার

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে ১৬৬ রানের টার্গেট দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। বুধবার (৬ মার্চ) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। রানের খাতা খোলার আগেই তাসকিনের বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান আভিস্কা ফার্নান্দো।

এরপর ক্রিজে আসা কামিন্দু মেন্ডিসকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন কুশল মেন্ডিস। ৬৬ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার।

এরপর কুশল মেন্ডিসকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন সৌম সরকার। ২২ বলে ৩৬ রান করে আউট হন তিন। তার বিদায়ের পর দ্রুতই তিন উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ।

এরপর দলের হাল ধরেন আঞ্জেলো ম্যাথুস ও দাসুন শানাকা। এই দুই ব্যাটার রানের চাকা সচল রাখেন। আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন ম্যাথুস। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা।

ম্যাথুস ২১ বলে ৩২ ও শানাক ১৮ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন, মাহেদি, সৌম্য ও মোস্তাফিজ নেন ১টি করে উইকেট।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




পিরোজপুরে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

পিরোজপুরের পাড়েরহাট সড়কে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছে। নিহত তিনজনই মোটরসাইকেল আরোহী।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে পাড়েরহাট সড়কের শংকরপাশা ইউনিয়নের মল্লিক বাড়ি নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে দুইজন ও পরে খুলনা আড়াইশ শয্যা হাসপাতালে নেয়ার পথে আর একজন মারা যায়।

নিহত তিনজন হলো ভান্ডারিয়ার মাটিভাঙ্গা মোনতাজিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারি সুপার মাওলানা মাসুম বিল্লাহ (৫৮), ইন্দুরকানী উপজেলার উমেদপুর গ্রামের মালেক আকনের ছেলে হাসিব আকন (২২) ও শংকরপাশা ইউনিয়নের বাইনখালী গ্রামের নূরুল ইসলাম (৬০)। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত নুরুল ইসলাম ও আরিফকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে স্থানন্তর করা হলে পথিমধ্যে নুরুল ইলমাম মারা যায়।

পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. স্বাগত হালদার জানান, দুইজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। এছাড়া দুইজনের অবস্থা গুরুতর অবস্থায় রয়েছে। আহত দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্য থেকে নূরুল ইসলাম নামের আর একজন মারা গেছেন।

ওসি মো. আসিকুজ্জামান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


আরও খবর



আশ্রয় নেওয়া বিজিপিদের বিনিময়ে বাংলাদেশি বন্দি মুক্তি দেবে মিয়ানমার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) সদস্যদের ফেরানোর বদলে দেশটির জান্তা সরকারের কারাগারে থাকা ২০০ বাংলাদেশি বন্দি মুক্তি পাচ্ছে। থাইল্যান্ড ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ইরাবতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বন্দি বিনিময়ের এই প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে।

গত ১১ মার্চ বিদ্রোহী গোষ্ঠি আরাকান আর্মির সাথে সংঘাতে টিকতে না পেরে দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় বিজিপির ১৭৯ সদস্য। বিজিপির এই সদস্যরা বর্তমানে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের (বিজিবি) হেফাজতে আছেন।

ইরাবতির প্রতিবেদন বলছে, এপ্রিলের শুরুতে এই বিনিময় সম্পন্ন হতে পারে। বিজিপি সদস্যদের মধ্যে অন্তত একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ আছে।

অবশ্য এ বিষয়ে বিজিবির কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সরকারের একটি সূত্রের কথা উল্লেখ করে ইরাবতির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলমান সংঘাতের কারণে রাখাইন রাজ্যসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা কারাগারগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করা জান্তা সরকারের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় তারা বাংলাদেশি কারাবন্দিদের ফেরত পাঠাতে চায়। ধারণা করা হচ্ছে যে জাহাজে করে কক্সবাজার থেকে বিজিপি সদস্যদের ফেরত নেওয়া হবে সেই জাহাজেই বাংলাদেশি বন্দিদের নিয়ে আসা হবে।

সেই সূত্রটি বলে, এটাকে এক অর্থে বন্দি বিনিময় বলা যায় না, কারণ বিজিপি সদস্যরা এখানে আশ্রয় চেয়েছেন। তারা সবাই মিয়ানমারে ফেরত যেতে চান। এদের মধ্যে কেউ শরণ চাইলে আমরা বিষয়টি জাতিসংঘকে অবহিত করব।

সেই কর্মকর্তা জানান, রোহিঙ্গা গণহত্যায় অভিযুক্ত বিজিপি কর্মকর্তা কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, যদি তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে চান তাহলে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বক্তব্য দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

গত বছরের ১৩ নভেম্বর থেকে উত্তর রাখাইন ও প্রতিবেশী দক্ষিণ চিন রাজ্যে মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে আসছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। গোষ্ঠীটি বলছে, রাখাইনের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ও সেনা সদরদপ্তরের দখল নিয়েছে তারা।

সামরিক জান্তা ও বিদ্রোহীদের এ সংঘর্ষে বাংলাদেশ সীমান্তেও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। মিয়ানমার থেকে আসা গোলার আঘাতে একজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। দিনভর সংঘর্ষ, আর ওপার থেকে ভেসে আসা তীব্র গোলাবারুদের শব্দে আতঙ্ক কাটছে না মিয়ানমার সীমান্তে থাকা বাংলাদেশি জনপদগুলোতে।

আরাকান আর্মির সঙ্গে চলমান সংঘাতে টিকতে না পেরে এরআগেও বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছিল মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি), সেনা সদস্যসহ বিভিন্ন বিভাগের ৩৩০ কর্মকর্তা। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দুই ধাপে সমুদ্রপথে তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।


আরও খবর