কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
স্টেশন বা বাজারের গনশৌচাগারের মত লাইনে দাড়িয়ে শৌচাগার ব্যবহার করতে হচ্ছে রোগী ও রোগীর স্বজনদের। এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেরে পুরুষ ওয়ার্ডে।
শৌচাগারের লাইন ত্রুটির কারণে প্রায় তিন মাস ধরে বন্ধ রয়েছে শৌচাগার। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে ভর্তি থাকা রোগী ও স্বজনরা।
সোমবার (৪ এপ্রিল) সকালে হাসপাতাল ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়। রোগীদের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ শৌচাগারটি তিন মাসেও মেরামত হয়নি কেন? অনেকের মনে এমন পশ্ন। অনেকেই বলছেন, এখন পর্যন্ত কাজই ধরা হয়নি, ঠিক হবে আবার কবে। হাসপাতাল কতৃর্পক্ষকে লক্ষ্যকরে বলছেন, এটি দায়িত্ব অবহেলা ছাড়া আর কিছু নয়।
ভূক্তভোগি রোগী ও স্বজনদের কাছ থেকে জানা যায়, শৌচাগারের সমস্যা থাকার কারণে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়েছে পুরুষ ওয়ার্ডের শৌচাগারটি। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ভর্তি হওয়া রোগীদের। উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুরুষ ওয়ার্ডে শৌচাগারের অভাবে রোগী এবং তাদের স্বজনরা ঠিকমতো টয়লেট ব্যবহার করতে পারছে না। তবে সাময়িকভাবে শৌচাগারের কাজ সারতে খুলে দেওয়া হয়েছে কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত আইসোলেশন ওয়ার্ডের শৌচাগার। কিন্তু এখানেও সমাধান মেলেনি। আইসোলেশন ভবনটি পুরুষ ওয়ার্ড হতে দূরে সেখানে গিয়ে লাইনে দাড়িয়ে শৌচাগার ব্যবহার করতে হয় রোগীদের। শৌচাগারটি অন্য ভবনে থাকায় এতে জরুরি রোগিসহ ডায়রিয়া রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আবার আইসোলেশন ভবনের সৌচাগারটির অবস্থাও ভালো না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোগী বলেন, আমি প্রায় তিন মাস আগেও এসে এই টয়লেটের অবস্থা এরকমই দেখেছিলাম।
কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আল বেলাল বলেন, ঘটনাটি সত্য আসলেই ভবনটি তো অনেক পুরোনো প্রায় ১০০ বছরের, তাই বিভিন্ন জায়গায় বা পাইপে ফুটো হয়ে গেছে। দের মাস ধরে টয়লেটের লাইনে ত্রুটির কারণে অল্প অল্প পানি পড়ে নিচের রুমগুলোতেও অনেক সমস্যা হচ্ছে। নতুন করে কাজের টেন্ডার হয়েছে, ওয়ার্ক অর্ডারও হয়ে গেছে। আশাকরি সপ্তাখানেকের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।