আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

লাল-সবুজদের লক্ষ্য এখন ফাইনাল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

টানা দুই জয়ে গৌরবের উপলক্ষ এনে দিতে পেরেছে বাংলাদেশ। হোক না সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ। বয়সভিত্তিক ফুটবল হলেও এই জায়গাটায় ভারতই যে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। শ্রীলঙ্কার পর ভারতকে হারানোর কৃতিত্ব দেখানোয় লাল-সবুজদের লক্ষ্য এখন ফাইনাল। কাল শুক্রবার ভারতের ভুবনেশ্বরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার ম্যাচটি জিতেই সেটি অনেকটা নিশ্চিত করার দিকে দৃষ্টি বাংলাদেশ দলের।

লিগ পর্বের তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ মালদ্বীপ। এই ম্যাচেও জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাইছে তানভীর-মইনুলরা।

৫ দলের টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ ও নেপাল পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে আছে। দুই দল ২ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট করে পেয়েছে। এছাড়া বাকি তিনটি দলই এক ম্যাচ করে খেলে এখনও পয়েন্টর খাতা খুলতে পারেনি। শুক্রবার বিকালে দিনের প্রথম ম্যাচে নেপাল ও ভারত মুখোমুখি হবে। এই ম্যাচে দুই দলের যে কেউ পয়েন্ট হারালেই পরেরটিতে বাংলাদেশ জিতলে ফাইনাল নিশ্চিত হবে। সেক্ষেত্রে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ফাইনালের টিকিট পেয়ে যাবে পল স্মলির দল।

বাংলাদেশ শিবির তাই এই সুযোগ কিছুতেই হাতছাড়া করতে চাইছে না। বরং তারা ফাইনালে উঠার জন্য উদগ্রীব। ভিডিও বার্তায় পাঠানো দলটির অধিনায়ক তানভীর হোসেনের কথাতে ফুটে উঠলো সেটা, সবার আগে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। যেভাবে শুরু করতে চেয়েছি করতে পেরেছি। আমাদের পরিকল্পনা ছিল ম্যাচ বাই ম্যাচ এগিয়ে যাবো। দুই ম্যাচ জিতে আমাদের ৬ পয়েন্ট। এখন মূল উদ্দেশ্য ফাইনালে জায়গা করে নেওয়া।

অবশ্য মালদ্বীপ প্রথম ম্যাচে নেপালের কাছে ৪ গোলে হেরেছে। এখন তারাও টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে লড়াই করতে চাইবে। বাংলাদেশ সেই সুযোগটিও প্রতিপক্ষকে দিতে চাইছে না। তানভীর বলেছেন, আগামীকাল মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচ, বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচ জিততে পারলে ফাইনালে জায়গা করে নিতে পারবো। আশা করছি আমরা ম্যাচ জিতে আসতে পারবো। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। যেন জিতে মাঠ ছেড়ে আসতে পারি।

দলটির কর্মকর্তা সাবেক ফুটবলার বিজন বড়ুয়াও আশাবাদী, নেপাল ও ভারতের ম্যাচ আছে আগে। সেই ম্যাচেরও হিসাব-নিকাশ আছে। তবে আমরা জিতেই ফাইনালে জায়গা করে নিতে চাই।

 


আরও খবর
বৃষ্টিতে বন্ধ বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ

মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪




ঈদুল ফিতরে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে দেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ঈদুল ফিতরে যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় সারা দেশ নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশ, র‌্যাব ছাড়াও আনসার সদস্যরা এ সময় মাঠে থাকবে। ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জেলার পুলিশ সুপারসহ (এসপি) সব অপারেশনাল ইউনিটকে ৩৪ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ সতর্ক ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, এবার ঈদকেন্দ্রিক নিরাপত্তায় সর্বোচ্চসংখ্যক পুলিশ সদস্য দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। এজন্য পুলিশ সদস্যদের ছুটিও সীমিত করা হয়েছে।

এছাড়া র‌্যাব দেশের অপরাধপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে রেড ও ইয়েলো জোনে ভাগ করে নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রস্তুত করেছে। র‌্যাবের অন্তত ৮ হাজার সদস্য ঈদকেন্দ্রিক নিরাপত্তায় মাঠে থাকবে। এছাড়া বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রায় ৬৫ হাজার সদস্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তায় মাঠে থাকবে। রাজধানীকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আলাদা নিরাপত্তা ছক এঁকেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

পুলিশ সদর দপ্তরের দেওয়া ৩৪ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ঈদ ও বাংলা নববর্ষসহ টানা পাঁচ দিনের সরকারি ছুটিতে বিপুল সংখ্যক মানুষ রাজধানী ছেড়ে গ্রামমুখী হবেন। এ সময়ে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অজ্ঞান ও মলম পার্টির তৎপরতা, চাঁদাবাজি ও জাল টাকার ব্যবহারের আশঙ্কা রয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (অপারেশনস; অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ঈদের ছুটির সময় সার্বিক নিরাপত্তায় বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ সময় মানুষ গ্রামে চলে যাওয়ায় বাসাবাড়ি ফাঁকা হয়ে যাবে। এই সুযোগে চোর ও ছিনতাইকারীরা সক্রিয় হয়। এ বিষয়েও বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঈদের পরই পহেলা বৈশাখ। এদিন মঙ্গল শোভাযাত্রাগুলো যাতে নির্বিঘ্নে হতে পারে সে লক্ষ্যে পুলিশ কাজ করছে। ঢাকার রমনা বটমূল, বিআইসিসিসহ যেখানে যেখানে বর্ষবরণকেন্দ্রিক অনুষ্ঠান হবে প্রত্যেকটা জায়গাতে স্যুইপিং করা, আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেকটর দিয়ে চেক করাসহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

র‌্যাবের পক্ষ থেকেও ছয় স্তরের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ঈদে মানুষের নিরাপত্তায় এলাকাভিত্তিক গোয়েন্দা কার্যক্রম ও টহল জোরদার করা হয়েছে। এ সময় ইউনিফর্মের পাশাপাশি সাদা পোশাকে র‌্যাবের মোট আট হাজার সদস্য তৎপর থাকবে। কিছু কিছু এলাকাকে আমরা রেড জোন ও ইয়েলো জোনে ভাগ করেছি। নির্জন এলাকাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, রাজধানীর রেড জোনের মধ্যে রয়েছে-রামপুরা, বাড্ডা, মোহাম্মদপুর, তেজগাঁওসহ বেশ কিছু এলাকা। র‌্যাবের ৬ স্তরের নিরাপত্তা থাকবে। সেগুলো হলো-গোয়েন্দা, ফুট প্যাট্রোল, মোবাইল প্যাট্রোল (মোটরসাইকেল বা পিকআপ নিয়ে), সাইবার ওয়ার্ল্ডের নজরদারি, স্পেশাল ফোর্স ও যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় হেলিকপ্টার প্রস্তুত থাকবে। ফাঁকা ঢাকায় অনেকে উৎসব করতে গিয়ে মাদক সেবন করে। এগুলো ঠেকাতে র‌্যাবের মোবাইল টিম কাজ করবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ঈদের নিরাপত্তায় ৬০ থেকে ৬৫ হাজার সাধারণ ও ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য সারা দেশে মোতায়েন থাকবে। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হক বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের অপারেশনে আমরা ব্যস্ত আছি। এরপরও ঈদের নিরাপত্তায় জেলা প্রশাসকের কাছে আমাদের যে সাধারণ আনসার ও ব্যাটালিয়ন আনসার আছে তারা সার্বক্ষণিক প্রস্তুত আছে।

রাজধানীতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ছক তৈরি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির অপারেশন্স বিভাগ প্রণীত এ ছকে প্রাধান্য পাচ্ছে ঈদগাহ, বিপণিবিতান, মার্কেট, ব্যাংক এবং এটিএম বুথ। এছাড়া গোয়েন্দা বিভাগের পক্ষ থেকে তৈরি করা হয়েছে আলাদা নিরাপত্তা ছক। নিরাপত্তা পরিকল্পনার অংশ হিসাবে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের দেহ ও অন্যান্য বস্তু তল্লাশি করবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ঈদগাহ প্রাঙ্গণ এবং আশপাশের এলাকায় যাতে ভিক্ষুক বা হকার ঢুকতে না পারে, সে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে পুলিশ কন্ট্রোলরুম বা হাইকোর্ট অভ্যন্তরে স্থাপিত সাব-কন্ট্রোলরুমে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঈদের দিন থেকে বিপণিবিতান এবং স্বর্ণের দোকানে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। ব্যাংক এবং এটিএম বুথের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে। আবাসিক এলাকায় পুলিশের মোবাইল প্যাট্রোল লোকজনের গমনাগমনে দৃষ্টি রাখাসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকাকে ফুট প্যাট্রোলের আওতায় আনবে। মোটরসাইকেলবিরোধী অভিযান জোরদার করা হবে। চেকপোস্ট, তল্লাশি ও গাড়ি চেকিং কার্যক্রম পরিচালনা করবে ট্রাফিক বিভাগ। এছাড়া ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের পক্ষ থেকে রাজধানীবাসীকে ১৪ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-গ্যাস সিলিন্ডার অথবা গ্যাসের লাইন, পানির লাইনসহ সব ধরনের লাইট, ফ্যানের সুইচ, বৈদ্যুতিক প্লাগ বন্ধ করে বাসা থেকে বের হওয়া। বাসাবাড়িতে সিসি ক্যামেরা বসাতে এবং পূর্বে বসানো সিসি ক্যামেরা সচল আছে কিনা পরীক্ষা করা। রাতে কিংবা দিনে একসঙ্গে মুখে মাস্ক এবং মাথায় ক্যাপ পরিহিত অপরিচিত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গতিবিধি নজরদারি করা এবং প্রয়োজনে ৯৯৯ ফোন দেওয়া।


আরও খবর



কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের দায়িত্বে মামুন উল হক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরিচালক (আইটিসি) প্রফেসর মো. মামুন উল হককে চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের উপসচিব আনিসুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশ ও প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে সনদ বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তাকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে সংযুক্তি করা হয়।  সনদ বাণিজ্য চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত শনিবার উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরের রাজউক অ্যাপার্টমেন্ট থেকে আকবর খানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাকে দুদিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।

গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের জাল সনদ, রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র তৈরিতে জড়িত একটি চক্রের সঙ্গে সেহেলা পারভীনের টাকা-পয়সা লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। ওই চক্রটি গত কয়েক বছরে পাঁচ হাজারের বেশি জাল সার্টিফিকেট ও মার্কশিট বানিয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করেছে। বোর্ডের জাল সনদ ও নম্বরপত্র তৈরির বিষয়ে তথ্য জানতে আলী আকবর খানকেও জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তলব করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

সেহেলা ছাড়াও এ অভিযোগে আগে আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ টি এম শামসুজ্জামান, একই প্রতিষ্ঠানের চাকরিচ্যুত কর্মচারী ফয়সাল হোসেন, গড়াই সার্ভে ইনস্টিটিউটে পরিচালক সানজিদা আক্তার কলি, কামরাঙ্গীরচরের হিলফুল ফুযুল টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা ওরফে মোস্তাফিজুর রহমান এবং যাত্রাবাড়ী এলাকার ঢাকা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের (মেডিকেল) পরিচালক মাকসুদুর রহমান ওরফে মামুন (৪০)।

এই পাঁচজনের মধ্যে পুলিশ সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামান ও ফয়সাল হোসেনকে গ্রেফতার করে গত ১ এপ্রিল। তাদের দেওয়া তথ্যে কলিকে কুষ্টিয়া সদর এলাকা থেকে ধরা হয় গত ৫ এপ্রিল। পরে এই তিনজন  আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আর কলির জবানবন্দিতে জাল সনদ জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে সেহেলার জড়িত থাকার তথ্য উঠে আসে।

গোয়েন্দা পুলিশের ভাষ্য, চেয়ারম্যানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনের সঙ্গে শামসুজ্জামান ও সানজিদা আক্তার কলির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এ চক্রের সঙ্গে জড়িত আরও ২৫ থেকে ৩০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে ১০ চুক্তি-সমঝোতা স্মারক সই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ঢাকায় সফররত কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে পাঁচটি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই সই হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের করবী হলে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে দুদেশের মধ্যে ৫টি চুক্তি ও ৫টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

চুক্তিগুলো হলো- দ্বৈত কর ও কর ফাঁকি পরিহার, আইনি বিষয়ে সহযোগিতা, সমুদ্র পরিবহন, পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা, দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের স্থানান্তর এবং একটি যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদ প্রতিষ্ঠা। এর বাইরে শ্রমশক্তি, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতাসহ পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

মিরপুরের কালশী এলাকার বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক ও মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী উড়ালসড়ক পর্যন্ত সড়কটি কাতারের আমিরের নামে সড়কটির নামকরণ করা হয়।

এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওকাতারের আমির শেখ তামিম। একান্ত বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গ্লোব হলে ফটোসেশনে অংশ নেন শেখ হাসিনা ও আমির শেখ তামিম। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চামেলী হলে দুদেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন তারা।

সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাতারের আমির পৌঁছালে টাইগার গেটে তাকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান শেখ হাসিনা।

দুপুরে বঙ্গভবনের দরবার হলে কাতারের আমিরের সম্মানে মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করেছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন। সন্ধ্যায় বিশেষ বিমানে করে আমির কাতারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার কথা রয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তাকে বিমানবন্দরে বিদায় জানাবেন।

এর আগে, গতকাল সোমবার বিকেল ৫টার দি‌কে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।


আরও খবর



বাঙালির দুয়ারে কড়া নাড়ছে পহেলা বৈশাখ

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্যাডেলে পা দিয়েছে বাঘ, রিকশা নিয়ে ছুটবে এবার শহর থেকে গ্রাম। কোথাও আবার সে রিকশায় সওয়ার হয়েছে চতুর শেয়াল পণ্ডিত। যেখানে খুব আদরে মুরগি বাঁধা, সেখানেই রিকশা নিয়ে ছুটে চলা। আয়োজকেরা বলছেন, রূপ কথার গল্প আছে, শিয়াল পণ্ডিতের পাঠশালা। সেটাকে কেন্দ্র করেই এই থিম।

অন্যদিকে তোড়জোড় বাঁশের বেণী বাঁধার। সেই বেণীতে আঁজলা হাতে আঙুলের আলতো চাপে আদল পাচ্ছে বিভিন্ন প্রতিকৃতি। প্রতিটিই বাঙারির চিরায়ত জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গ্রামে-বন্দরে, জলে জঙ্গলে। একজন জানান কবুতর, হাতি ও ট্যাপা পুতুল থাকছে তাদের থিমে। অপরজন জানান গ্রামীণ লোক শিল্প তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

এবার পহেলা বৈশাখ আসছে ঈদের ছুটির সঙ্গে পিঠাপিঠি হয়ে। তাই ছুটির আমেজে কমেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী সংখ্যা। তবু পিছিয়ে নেই আঁকিবুঁকি। বড় কিংবা ছোট মোটিফে আগের মতোই থাকছে হুতোম পেঁচা কিংবা বাঘ। সরায় কিংবা কাগজের ক্যানভাসে দৃশ্যপটের পসরাও বসেছে বিক্রির জন্য। এবার জীবনানন্দ দাশের তিমির-হননের গান কবিতা থেকে ঠিক করা হয়েছে প্রতিপাদ্য।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন নিসার হোসেন জানান, এই ছোটখাটো জিনিসগুলো যেগুলো তৈরি হয়, সবগুলোর মধ্যে লোক শিল্পের টাচ থাকে। অর্থাৎ আমাদের সংস্কৃতির যে ঐতিহ্য, সে ঘরে তা নিয়ে যাচ্ছে। এর ভাষা ও বিশিষ্টের সঙ্গে সে পরিচিত হচ্ছে। সুতরাং এটা দু-তিনটা পারপাস সার্ভ করছে।

নিউজ ট্যাগ: পহেলা বৈশাখ

আরও খবর
লিপি চক্রবর্তীর ‘আকণ্ঠ মরেছি’

বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4




ভোজ্যতেলের তেলের দাম নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

খোলা সয়াবিনের তেলের দাম প্রতি লিটারে দুই টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বোতলজাত তেলের দাম প্রতি লিটারে বাড়ানো হয়েছে ৪ টাকা। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

তিনি বলেন, খোলা সয়াবিন তেলের দাম ২ টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা এবং বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে ১৬৭ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৮১৮ টাকা। আগে এটির দাম ছিল ৮০০ টাকা। আর পাম ওয়েল সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩৫ টাকা।

তাৎক্ষণিকভাবে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে সয়াবিন তেলের যৌক্তিক মূল্য ঠিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এর আগে গত সোমবার (১৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের চিঠিতে আবারও সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। লিটার প্রতি ১০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ১৭৩ টাকা। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে লেখা চিঠিতে বলা হয়, আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, ভোজ্য তেলের কাঁচামাল আমদানি, উৎপাদন পর্যায়ে গত ৭ ফেব্রুয়ারিতে জারি করা এসআরওদ্বয়ের মেয়াদ ১৫ এপ্রিলে শেষ হচ্ছে। তাই আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে বাজারে ভোজ্য তেল (পরিশোধিত পাম তেল ও পরিশোধিত সয়াবিন তেল) সরবরাহে ভ্যাট অব্যাহতি পূর্ববর্তী মূল্যে পণ্য সরবরাহ হবে।’

চিঠিতে ১৬ এপ্রিল থেকে বোতলজাত ১ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৭৩ টাকা, ৫ লিটার ৮৪৫ টাকা এবং খোলা ১ লিটার পাম তেলের দাম ১৩২ টাকা প্রস্তাব করা হয়।


আরও খবর