সাভারে এক তরুণী ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধারের
ঘটনায় মামলার দাবিতে থানায় লাশ নিয়ে হাজির ভুক্তভোগী পরিবার। ঐ পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ
মামলা না নিয়ে নানা গড়িমসি করছে। এমনকি তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের অনেকের সাথেই খারাপ
আচরণ করেছেন বলে জানায় ভুক্তভোগী পরিবারটি। তথ্য জানতে গেলে সাংবাদিকদের সাথেও খারাপ
আচরণ করার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর সন্ধ্যায়
আশুলিয়া থানার সামনে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত রিয়া আক্তার (২০) আশুলিয়ার গাজীরচট
এলাকার মনির হোসেনের মেয়ে। সাভার লিজেন্ড কলেজের এইচএসসি পরিক্ষার্থী।
নিহতের বোন কেয়া আক্তার বলেন, গতকাল আমার
বোনকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গেছে কাউছার নামের একটা ছেলে। কাউছার আমার বোনের সাথেই লিজেন্ড
কলেজে পড়াশুনা করে। সম্ভবত ওই ছেলের সাথে আমার বোনের রিলেশন ছিলো। পরে আমাদের ফোন করে
রিয়া এনামে আছে বলে জানায় কাউছারের লোকজন। ওরা আমার বোনকে মেঝেতে ফেলে রেখেই পালিয়ে
যায়। পরে চিকিৎসক গতকাল বিকেলে রিয়া মারা গেছে বলে আমাদের জানায়। এরপর থেকেই আমরা এসআই
নূর খানের সাথে যোগাযোগ করছি হত্যা মামলা নেয়ার জন্য। কিন্তু উনি মামলা না নিয়ে গতকাল
থেকে আমাদের ঘুরাচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজ কালেক্ট করব, তদন্ত করছি এসব বলে গড়িমসি করছে।
উপায় না পেয়ে আজ লাশ নিয়েই থানায় এসেছি।
লাশ বহনকারী মাইক্রোবাসের চালক মাহফুজ
হাসান বলেন, আমি থানার সামনে লাশের গাড়ি নিয়ে দাড়ায় ছিলাম। হঠাৎ এসআই নূর খান এসে আমার
সাথে খারাপ আচরণ করে লাশ নিয়ে দ্রুত চলে যেতে বলে। একজন পুলিশের কাছে এরকম আচরণ আশা
করিনি। আমিতো লাশ নিয়ে এসেছি। এখান আমার কি দোষ?
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর
মোহাম্মদ খান রেগে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘চারতলা ভবনের
ছাদ থেকে ওই মেয়েটা পড়ে মারা গেছে। আমি তদন্ত করছি। সিসিটিভি ফুটেজ নিয়া আসছি। সাংবাদিকরা
১৪ বছরেও পারবে এটা কালেক্ট করতে? আমি সাংবাদিকতায় পিএইচডি করছি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
থাইকা। আমিতো সাংবাদিকগো তথ্য দেই না। এটাতো মামলা হবে গতকালই সিদ্ধান্ত হইছে।’
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
এসএম কামরুজ্জামান বলেন, এঘটনায়তো মামলা হচ্ছে। সাংবাদিকদের সাথে অসদাচরণের বিষয়টা
আমি দেখছি।