আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

লাশবাহী গাড়ি থেকে দশ কেজি গাঁজাসহ আটক দুই

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মোছাদ্দেক হাওলাদার, বরিশাল প্রতিনিধি

Image

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদীর বার্থীতে অভিযান চালিয়ে লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়ি থেকে ১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

সোমবার (২৬ জুন) সকালে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) শাখা এ অভিযান চালায় বলে জানান, গৌরনদী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোসা. শারমিন সুলাতানা রাখী।

অভিযানে আটকরা হলেন ফেনী জেলার সোনাগাজী উত্তর চরচান্দিয়া এলাকার বাসিন্দা সান্তুনু বাবুর ছেলে ও লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়ির চালক সাগর বাবু (২৬) এবং একই এলাকার বাসিন্দা ফারুক হোসেনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল রাফি (২১)।

পুলিশ জানিয়েছে, লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িটিতে কোনো লাশ ছিল না। তারা গাড়িতে গাঁজা নিয়ে ফেনী থেকে বরিশালের দিকে আসছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বার্থী স্ট্যান্ড এলাকা থেকে আটক করা হয়। এসময় তল্লাশি চালিয়ে ১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়।

এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়ে জেলা ডিবি পুলিশের (পরিদর্শক) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

নিউজ ট্যাগ: বরিশাল

আরও খবর



ডোমারে রেললাইনে কাটা পড়লো নেশাগ্রস্থ যুবক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:

নীলফামারীর ডোমারে বাড়ির পাশে রেললাইনে বসে মাদক সেবনরত অবস্থায় সাদ্দাম হোসেন(২৩) নামের এক যুবক ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হয়েছে।

মরদেহের পাশে পড়ে রয়েছে নেশার সরঞ্জাম সলিউশন আঠাঁর কৌটা। সাদ্দাম ওই এলাকার তেলিপাড়ার মৃত আবু হানিফার ছেলে।

রবিবার (২১ এপ্রিল) রাত সাড়ে এগারোটার দিকে ডোমার রেল স্টেশনের তিন কিলোমিটার উত্তরে হাজিপাড়া রেলক্রসিং এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, রাতে চিলাহাটি হতে খুলনাগামী সীমান্ত ট্রেনে কাটা পড়ে সাদ্দাম হোসেন ঘটনাস্থলে মারা যায়। সে সময় সে রেললাইনে বসে ক্যামিক্যাল আঠা(ডান্ডি) নেশা করেছিল। নেশার কারণে আগে থেকেই মানষিক ভারসাম্যহীন ছিলো সাদ্দাম।

সৈয়দপুর রেলওয়ে থানা ওসি নুরুল ইসলাম জানান, নিহত সাদ্দাম মানষিক ভারমাস্যহীন ছিল। আইনী প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



জয়পুরহাট হিমাগারে আলু পচন, ক্ষুদ্ধ কৃষক ও ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের কালাইয়ে মান্নান অ্যান্ড সন্স বীজ হিমাগারে রাখা আলুতে পচন ধরেছে। এতে লোকসানে পড়েছেন স্থানীয় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। হিমাগার কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন তারা। আলুতে পচনের জন্য কৃষক ও ব্যবসায়ীদের দায়ী করেছে হিমাগার কর্তৃপক্ষ।

উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের একই মালিকের দুটি হিমাগার মান্নান অ্যান্ড সন্স বীজ হিমাগার এবং মুসলিমগঞ্জ মান্নান বীজ হিমাগারে রোমানা জাতের আলু প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ কেজি ওজনের ৩০ হাজার বস্তা পচা ও দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ নিরুপায় হয়ে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সংবাদ দিয়ে তাদের পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত আলু বের করে দিচ্ছে। বস্তা খুলে দেখা যায় ৬০ থেকে ৬৫ কেজি ওজনের মধ্যে প্রায় ৩০ কেজি আলু পচে গেছে। বাজারে যেখানে ৬০ কেজি আলুর দাম ২৫শ টাকা সেখানে হিমাগারে শেডে পাইকারি বিক্রি করছে এক হাজার থেকে ১২শ টাকা, এতে করে কৃষক ও ব্যবসায়ীর প্রতি বস্তায় লোকসান গুনতে হচ্ছে ১৩শ থেকে ১৫শ টাকা।

হিমাগার চুক্তিভিত্তিক আলু বাছাইকারী নারী শ্রমিক দেলোয়ারা বেগম, রওশন আরা, ফিরোজা জানান, প্রতি বস্তায় ৬০ থেকে ৬৫ কেজি আলু থাকে, সেখানে প্রায় ৩০ কেজি আলু পচে গেছে।

উদয়পুর ইউনিয়নের সানাইপুকুর গ্রামের খায়রল ইসলাম বলেন, নষ্ট আলু নিতে গেলে ক্ষতিপূরণ না দিয়ে উল্টো বস্তাপ্রতি ৩৪০ টাকা ভাড়া নিচ্ছে। এল্লাগাড়ি গ্রামের ইয়াছিন বলেন, অভিযোগ করলেও প্রতিকার পাই না।

হিমাগার কর্তৃপক্ষ জানায়, হিমাগারে নিয়ে আসা আলুর বয়স কম এবং আলুর সঙ্গে মাটি লেগে থাকার কারণে এই পচন ধরেছে। রোমানা জাতের আলু ছাড়া অন্য কোনো জাতের আলুতে পচন ধরেনি।

কালাই কৃষি কর্মকর্তা অরুণ চন্দ্র রায় জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই কথা বলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবুল হায়াত।


আরও খবর



কলাপাড়ায় মুরগি দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা নিয়ে উধাও প্রতারক চক্র

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাইফুল ইসলাম, কলাপাড়া(পটুয়াখালী)

Image

হাজার টাকা দিলেই মিলবে হাইব্রীড জাতের ১৬টি মুরগি। আর ১শ টাকা কিস্তি দিলে পাওয়া যাবে ১টি করে মুরগি পালনের দোতালা কাঠের ঘর। এমনকি গ্রুপের দায়িত্বে থাকা নারী নেত্রী পাবেন প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা। ঠিক এমনই মিথ্যা প্রলোভনে পড়ে লাখ লাখ টাকা হারিয়েছেন শতাধিক গ্রামীণ গৃহবধূরা।

তবে উপজেলা প্রশাসন বলছে, প্রতারণার ফাঁদে ফেলে ঠিক কত টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে চক্রটি তা এখনো নিরুপন করা সম্ভব হয়নি।

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পল্লীগ্রাম মুরগি ফার্ম এন্ড হ্যাচারী নামের একটি প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত হয়েছে শাতাধিক নারী উদ্যোক্তারা। মাত্র এক সপ্তাহ সময়ের মধ্যে উপজেলার লতাচাপলী ইউপির একাধিক গ্রাম থেকেই কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই চক্রটি। চক্রটির কোম্পানীর লিফলেটে দেওয়া ঠিকানায় নাম লেখা রয়েছে ঝালকাঠির সালমা খাতুনের পল্লীগ্রাম হ্যাচারী। তবে সরেজমিনে অনুসন্ধ্যান করে নিবন্ধনহীন এই পল্লীগ্রাম হ্যাচারীর কোন অস্তিত্ব মেলেনি।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, নাম পরিচয়হীন দুজন মাঠকর্মী পল্লীগ্রামের লিফলেট আর একটি মাত্র ভিজিডিং কার্ড দিয়েই নিয়ে গেছে গ্রামীণ জেলেবধূদের কষ্টার্জিত রসদ। মিষ্টি কথায় মন গলিয়ে মুরগি দেওয়ার নামে মোবাইল ফোনে দুই দফা সময় বেঁধে দিলেও এখন বন্ধ রয়েছে ফোন নম্বরসহ সকল যোগাযোগ ব্যবস্থা।

আর ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের দাবী, মুরগি দেওয়ার নামে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ঠিক কত লাখ টাকা হাতিয়েছে হায় হায় কোম্পানি তা সবারই অজানা। তবে পরিসংখ্যাান বলছে, কেবল লাতাচাপলীর ৬ গ্রাম থেকেই প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি।

লাতাচাপলী ইউপির মম্বিপাড়া গ্রামের জেলেবধূ তানিয়া বলেন, ভিআইপি পোশাক পরিহিত দুই ব্যক্তি প্রথমে আমাদের গ্রামে এসে আমাকে মুরগি দেওয়ার কথা বলে একটি গ্রুপ সৃষ্টি করে। আর সেই গ্রুপের সভানেত্রীর দায়িত্বও আমাকে দেন তারা। কথা ছিল নেত্রী হিসেবে প্রতি মাসে ৫ হাজার করে বেতন দেবে আমাকে। পরে আমার গ্রুপের ৪০ জনের কাছ থেকে ৫শ করে টাকা তুলে দিতে বলে প্রথম ধাপে মুরগি এবং ঘরের জন্য। কিন্তু বুজতে পারিনি যে টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যাবে এই প্রতারকরা।

হুইসেন পাড়ার বাসীন্দা জাকির হোসেন বলেন, একই ভাবে মাহাফুজাকে সভানেত্রী করে তার এলাকা থেকেও নেওয়া হয়েছে প্রায় অর্ধলক্ষ টাকা। একই চিত্র তাহেরপুর, কচ্ছপখালী এলাকার। অপরদিকে জেলে নাসীরের অভিযোগ, চাকামইয়া তার শশুরবাড়ি এলাকা থেকেও বিপুল অর্থ হাতিয়েছে চক্রটি।

এদিকে কলাপাড়া পৌর শহরে অবস্থিত প্রাণিসম্পদ কার্য়ালয়ের সামনে অস্তিত্বহীন নাম সর্বস্ব এই হ্যাচারীর অস্থায়ী ভাড়া অফিসে গিয়েও মেলেনি প্রতারক চক্রের সন্ধ্যান। সেখানে এখন পল্লীগ্রাম স্টিকার সংযুক্ত সাইনবোর্ড সাটানো অফিসে ঝুলছে তালা।

স্থানীয়রা বলছেন, গত এক সপ্তাহ ধরে তাদের ভাড়াবাসাটি তালাবদ্ধ রয়েছে। অনেক ভুক্তভোগীরাই এখানে এসে তাদের খোঁজ করছেন।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, এই প্রতারক চক্রটির বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশের দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তবে প্রতারক চক্রটি ঠিক কত টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তা জানা সম্ভব হয়নি। প্রতারকদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।


আরও খবর



ফরিদপুরে দুজনকে পিটিয়ে হত্যায় জড়িতদের অচিরেই গ্রেফতার: র‌্যাব

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ফরিদপুরে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তে কাজ করছে পুলিশের এলিট ফোর্স র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখা। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের স্থানীয় প্রশাসন শনাক্ত করেছে, তাদের অচিরেই গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের নতুন পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত পরিচয় পর্ব ও মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তিনি সদ্য বিদায়ী পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনের স্থলাভিষিক্ত হলেন।

ফরিদপুরের মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লিতে মন্দিরের পাশে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান ও সদস্য অজিত কুমার বিশ্বাসকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেছেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার।

তাদের গ্রেফতারে এলিট ফোর্স র‌্যাব কী ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, র‌্যাবের ইনটেলিজেন্স উইং বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। দেশের যেকোনো জায়গায় যেকোনো প্রান্তে যেকোনো ঘটনা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসব ঘটনা নিয়ে কাজ করে। অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের হাতে সোপর্দ করে থাকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অংশ হিসেবে র‌্যাব এ ঘটনায় কাজ করছে। অচিরেই এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে।

ফরিদপুরের মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লিতে মন্দিরের পাশে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা হচ্ছে সাইবার জগতে। যারা অপচেষ্টা করছেন তাদের শনাক্ত করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটা অপরাধ সংঘটনের পর অপচেষ্টা বা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হতে পারে। অপরাধী গ্রেফতার হলেই সব বেরিয়ে আসবে।

উপজেলা নির্বাচন আসন্ন। নির্বাচন ঘিরে অস্ত্রের ঝনঝনানি হয়। এক্ষেত্রে র‌্যাব কী ধরনের তৎপরতা চালাচ্ছে জানতে চাইলে কমান্ডার আরাফাত বলেন, সমগ্র দেশে চার পর্বে উপজেলা নির্বাচন হতে যাচ্ছে। একটি অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির জন্য র‌্যাব আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে। সাদা পোশাকেও র‌্যাব সদস্যরা কাজ করছেন।

কোন বিষয়টি কাজ করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রতিদিন যে ঘটনাগুলো ঘটে থাকে সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করি। আমার পূর্বের যে কর্মকর্তারা কাজ করে গেছেন। ঊর্ধ্বতনরা যে লিগ্যাসি রেখে গেছেন সেটাই আমি বহন করবো। র‌্যাবের কার্যক্রমকে আরও বেগবান করবো।

গত দুই বছর ক্রসফায়ার নেই৷ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কি খুব ভালো হয়ে গেলো যে র‌্যাবের সঙ্গে কোনো ক্রসফায়ার নেই। নাকি অন্য কোনো চাপে ক্রসফায়ার হচ্ছে না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে এই পর্যায়ে কথা বলার কিছু নেই৷ র‌্যাব কেন আত্মরক্ষার অধিকার সবার আছে। ক্রসফায়ার শব্দটি আমি ব্যবহার করতে চাই না। আমরা সবসময় চাই বিচারবহির্ভূত কোনো হত্যাকাণ্ড না ঘটুক। যদিও বিভিন্ন সময় এটা নিয়ে ভিন্নখাতে আলোচনা হয়।

কিশোর গ্যাং ও অস্ত্র-মাদক সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাদক নিয়ে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স। কিশোর গ্যাং নির্মূলে উচ্চ পর্যায়ে নির্দেশনা পেয়েছি। আমরা কাজ করছি। অনেক কিশোর গ্যাং সদস্যকে আমরা গ্রেফতার করেছি। এদের আশ্রয়প্রশ্রয় ও মদদদাতাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। তদন্ত করে এটা খুঁজে বের করা হবে। কিশোর গ্যাং চক্রকে আমরা সমূলে উৎখাত করবো ইনশাআল্লাহ। এজন্য গণমাধ্যমের সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।

কুকি-চিনের তৎপরতা নির্মূলে র‌্যাব ও যৌথ বাহিনীর অভিযান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যৌথ বাহিনী কাজ করছে। র‌্যাব যৌথ বাহিনীর অংশ। এটা নিয়ে কিছু বিষয় গোপনীয়তা রয়েছে অভিযানের স্বার্থে। এতটুকু বলতে পারি, র‌্যাব এ ক্ষেত্রে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করছে।

নিউজ ট্যাগ: র‌্যাব ফরিদপুর

আরও খবর



জয়পুরহাটে কৃষক হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটে বুলু মিয়া হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ-২য় আদালতের বিচারক নুরুল  ইসলাম এ রায় দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌশলী অ্যাডভেকেট নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জয়পুরহাট সদর উপজেলার দস্তপুর গ্রামের মৃত শামসুদ্দিনের ছেলে বাচ্চু মিয়া, গনিরাজের ছেলে এমরান আলী নুহু ও আউশগাড়ার মোকছেদ আলীর ছেলে বাবু মিয়া মিয়া।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, জয়পুরহাট সদর উপজেলার চকদাদরা এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে বুলু মিয়া দস্তপুর গ্রামের মৃত কুদ্দুসের মেয়েকে বিয়ের পর সেখানে ঘর জামাই হিসেবে থাকতেন। ২০০৫ সালের ৩ এপ্রিল রাতে সে হাতে লাঠি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেননি। সে রাতেই আসামীরা পারিবারিক বিরোধের জেড় ধরে বুলুকে গলা কেটে হত্যা করে। পরের দিন ওই গ্রামের একটি বায়োগ্যাস তৈরীর টাংকির উপর তার গলাকাটা ও জখম রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত এ রায় দেন।


আরও খবর