হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ইসরায়েলি ভূখণ্ড ও সামরিক চৌকি লক্ষ্য করে প্রত্যক দিনই রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে। এমনকি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সাথে সংঘর্ষ ও গুলিবিনিময়ের ঘটনাও ঘটেছে হিজবুল্লাহর। এতে এখন পর্যন্ত হিজবুল্লাহর অন্তত ৮ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এর মাঝেই ইরান-সমর্থিত এই গোষ্ঠী গত কয়েক দিনে ইসরায়েলি সীমান্ত চৌকি ও উত্তরাঞ্চলীয় কয়েকটি এলাকায় হামলা বৃদ্ধি করেছে। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ৯টি রকেট ও দুটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে হিজবুল্লাহ। এরপর দিনভর থেমে থেমে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে আঘাত হেনেছে হিজবুল্লাহর ছোড়া রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উত্তর ইসরায়েলে বৃষ্টির মতো রকেট নিক্ষেপ করেছে হামাস।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, বিকেলে লেবানন থেকে উত্তর ইসরায়েলের নাহারিয়া শহর ও এর কাছাকাছি সীমান্ত এলাকায় প্রায় ২০টি রকেট ছোড়া হয়েছে। এই হামলার কিছুক্ষণ আগে উত্তর ইসরায়েলে হিজবুল্লাহর ছোড়া অন্তত ৬টি রকেট আছড়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ। এ সময় উত্তর ইসরায়েলের কয়েকটি শহরে রকেট হামলার সাইরেন বাজিয়ে বাসিন্দাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়।
টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের লেবানন শাখা উত্তর ইসরায়েলে রকেট হামলা চালিয়েছে বলে দায় স্বীকার করেছে গাজার ক্ষমতাসীন এই গোষ্ঠী। এক বিবৃতিতে হামাস বলছে, তাদের লেবানন শাখার সদস্যরা ইসরায়েলের নাহারিয়া ও শ্লোমি শহরে ৩০টির মতো রকেট নিক্ষেপ করেছে।
আইডিএফ বলেছে, হিজবুল্লাহর ছোড়া একটি প্রোজেক্টাইলে বাধা দিয়েছে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম। আর বাকি পাঁচটি উন্মুক্ত স্থানে পড়েছে। তবে এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।